Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ১৭ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ২৭শে এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ১৭ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ২৭শে এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

    ইসরায়েলকে বর্ণবিদ্বেষী মানতে নারাজ আমেরিকা

    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে ‘বর্ণবিদ্বেষী সরকার’ উল্লেখ করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গত ২৭ এপ্রিল ১২৩ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সন্ত্রাসবাদী দখলদার ইসরায়েলকে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ সরকার আখ্যায়িত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

    সংস্থাটি জানায়, ‘ইসরায়েল দখলকৃত অঞ্চলগুলিতে ফিলিস্তিনিদের জমি বাজেয়াপ্তকরণ, বিল্ডিং পারমিট না দেয়া, বাড়ি-ঘর ভেঙে দেয়া এবং ফিলিস্তিনিদের মৌলিক মানবাধিকারের উপর কয়েক দশক ধরে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা নির্যাতনের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে’।

    সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। কাজেই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের উচিত তাদের বিচার করা।

    অপরদিকে ইহুদিদের বিশ্বস্ত সহযোগী বিশ্বসন্ত্রাসী আমেরিকা প্রকাশিত প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

    হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, এইচআরডাব্লিউ তার প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষী আচরণ ও তাদের প্রতি নির্যাতনের অপরাধে দায়ী করেছে। তবে মৌলিকভাবে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ পরিভাষাটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে না। তাই আমারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনটি মূল্যায়ন করবো না।

    জেন সাকি বলে, আমেরিকা প্রতি বছর (তথাকথিত) মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু এসব প্রতিবেদনে কখনো এরকম পরিভাষা ব্যবহার করা হয় না।

    সূত্র : ইনসাফ২৪ ডটকম।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দিল্লিতে মিলছে না আগুন, মালাউনদের লাশ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর

    ভারতের দিল্লি এখন এক মৃত্যুপুরী। মানুষের মৃত্যুর সারি এখানে এতই দীর্ঘ হচ্ছে যে, তাদের দাহ করতে পেতে হচ্ছে বেগ। শহরের শ্মশানগুলো এখন আর খালি নেই। সেখানে মরদেহের দীর্ঘ লাইন।

    দীর্ঘ সময় মরদেহ বাইরে রাখায় কোথাও কোথাও দেখা গেছে রাস্তার কুকুর সেগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গাজিয়াবাদ জেলায়।

    আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে করোনায় মারা যাওয়া আদালতের এক কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হিন্দোন শ্মশানে।

    মৃত ব্যক্তির সহকর্মী ত্রিলোকী সিংহ জানান, তারা সকাল ৮টায় পৌঁছানোর পর টোকেন দেয়া হয় বেলা ১০টার। কারণ লম্বা লাইন ছিল। পরে সেই টোকেন বদলে নতুন সময় দেয়া হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এ সময় তারা একটু দূরে গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

    হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে তাদের খবর দেন, রাস্তার কুকুর এসে তাদের মরদেহ টেনেছিঁড়ে দিচ্ছে। তারা দৌড়ে যান। সেই ছবি এবং সংবাদ বিড়ম্বনায় ফেলেছে দিল্লি সরকারকে।

    শুধু একটি শ্মশানেই এমন অবস্থা নয়। দিল্লির সব শ্মশানে একই অবস্থা। এই যেমন সুভাষনগরের শ্মশানে করোনায় মৃত বাবার দেহ নিয়ে গিয়েছিলেন মনমীত সিংহ। কিন্তু তিনি সেখানে বাবাকে দাহ করতে পারেনি।

    সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, বাবার মরদেহ নিয়ে শ্মশানে ঢুকতে যাবেন, তার আগেই রাস্তা আটকালেন এক কর্মী। জানিয়ে দিলেন, আর দেহ নেয়া যাবে না। কারণ দাহ করার জায়গা এবং কাঠ নেই।

    মনমীত বলেন, ‘সরকার হাসপাতালে অক্সিজেন দিতে পারছে না। অন্তত শ্মশানে জায়গা তো দিক, যাতে পৃথিবী থেকে বিদায়টা ঠিকমতো হয়।’

    বিবিসির খবরে বলা হয়, দিল্লির অবস্থা এতটাই খারাপ যে, খোলা মাঠ, পার্ক এমনকি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাতেও অস্থায়ী শ্মশান তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারপরেও মরদেহ নিয়ে তীব্র গরম আর চিতার আগুণের হলকার মধ্যে পিপিইতে মোড়া স্বজনদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির সারাই কালে খান শ্মশানের ভেতর খালি জায়গায় গত কদিনে নতুন ২৭টি দাহ করার বেদি তৈরি করা হয়েছে। শ্মশানটির লাগোয়া পার্কে আরও ৮০টি বেদি তৈরি হয়েছে।

    এদিকে যমুনা নদীর তীর ঘেঁষা এলাকাগুলোতে অস্থায়ী শ্মশান তৈরির জন্য জায়গা খুঁজছে দিল্লি পৌর কর্তৃপক্ষ।

    দিল্লিতে বিবিসি হিন্দি ভাষা বিভাগের সংবাদদাতা জুবায়ের আহমেদ তিনটি শশ্মান ঘুরে এসে জানান, জীবনে একসঙ্গে এত চিতা জ্বলতে তিনি দেখেননি। শবদেহগুলো সবই কোভিড রোগীদের।

    এদিকে ভারতে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে মারা গেছেন তিন হাজার ৬৪৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ। এর ফলে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪ হাজার ৭৩২ জনে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এক দশক পরেও শেষ হয়নি ছোট সেতু নির্মাণ, ব্যয় বেড়েছে ৬২%

      শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর দৈর্ঘ্য সোয়া কিলোমিটারের মতো। প্রকল্প অনুমোদনের ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।

      জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১০ সালে পদ্মা সেতু ও তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্প অনুমোদন দেয়। নদীর পরিস্থিতি অনুকূল থাকার পরও মাত্র ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ এখনো শেষ হয়নি।

      গুরুত্ব-প্রয়োজনীয়তা, নকশা ও নির্মাণশৈলীর দিক থেকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর তুলনা হয় না। তবে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা সেতুটির গুরুত্বও নেহাত কম নয়। কারণ, সেতুটি হলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ সহজ হবে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদরের সঙ্গে বন্দর উপজেলারও সংযোগ ঘটবে।

      বর্তমানে প্রতিদিন বন্দর উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষকে নৌকা ও ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জ সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এতে প্রতিনিয়ত যেমন ভোগান্তি থাকে, তেমনি মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটে।

      এই সেতুর কাছেই ৪ এপ্রিল বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসা একটি কার্গো জাহাজ চাপা দেয় ছোট লঞ্চকে। এতে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। নৌযানচালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, জাহাজটির গতি যেমন বেপরোয়া ছিল, তেমনি সেতুর কাছে নৌপথ সংকুচিত হওয়াও দুর্ঘটনার একটি কারণ। লঞ্চ দুর্ঘটনার তদন্তে গঠিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কমিটির প্রতিবেদনেও দুর্ঘটনার অনেকগুলো কারণের একটি হিসেবে সংকুচিত নৌপথকে দায়ী করেছিল।

      ১০ বছরেও কেন তুলনামূলক ছোট এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার কারণ হল বাংলাদেশ সরকারের খামখেয়ালি। ফলে প্রকল্পটির ব্যয় ও মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে।

      সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্পটি পাস করার সময় এর ব্যয় ধরা হয় ৩৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসএফডি ৩১২ কোটি টাকা ঋণ এবং সরকারের ৬৫ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার কথা। পরের বছর সংস্থাটির সঙ্গে ঋণচুক্তি সই হয়। ২০১৩ সালের মধ্যে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল।

      নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে না পারায় ৩৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প এখন ৬১০ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। খরচ বেড়েছে ২৩৩ কোটি টাকা, যা শুরুর ব্যয়ের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি। বাড়তি ব্যয়ের বড় অংশ জোগান দিতে হবে সরকারের তহবিল থেকে। নতুন ব্যয় কাঠামো অনুযায়ী, সরকার দেবে ২৬৫ কোটি টাকা, যা আগে ছিল ৬৫ কোটি টাকা। আর এসএফডি দেবে ৩৪৫ কোটি টাকা।

      প্রকল্পের সার্বিক কাজ এখনো ২৫ শতাংশ বাকি। এ কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছে সওজ অধিদপ্তর।
      সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রকল্পের নথিপত্র সূত্র জানাচ্ছে, এই প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ দিতেই লেগে যায় সাত বছর। কারণ, সেতুর নির্মাণ ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নিয়ে ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে অর্থায়নকারী সংস্থা এসএফডির টানাপোড়েন চলে।
      কালক্ষেপণ করে এভাবে ব্যয় বাড়ানো একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সরকারের। জনগণের ভোগান্তি হলেও নিজেদের আখের গোছানোই যেন মুল উদ্দেশ্য। প্রথম আলো
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়া-লা মালাউনদের লাঞ্ছনার সাথে ধ্বংস করে দিন.. লাশ কুকুর শেয়াল ভক্ষন করুক,আমিন।

        Comment

        Working...
        X