Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৯ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ২৬ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৯ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ২৬ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    এক মাসে গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ৪০০-র বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ



    গাজা যেন এখন আর শুধু যুদ্ধক্ষেত্র নয়—এটা হয়ে উঠেছে জীবনের জন্য হাহাকার, আর মৃত্যুর প্রতিদিনকার মিছিল। সেই মৃত্যুর নতুন মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিতর্কিত নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো। স্রেফ একটু খাবার নিতে গিয়েই প্রাণ দিতে হয়েছে অন্তত ৪১০ জন ফিলিস্তিনিকে, যারা সবাই বেসামরিক, সবাই ক্ষুধার্ত।

    এই হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলোকে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)।

    জাতিসংঘ জানায়, গত ২৭ মে থেকে সন্ত্রাসী ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজায় কিছু নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো জাতিসংঘ ও অন্যান্য নিরপেক্ষ মানবিক সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এই ত্রাণকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে ইসরায়েলি সামরিক অঞ্চলে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষেধ। আর এখানেই ঘটছে ভয়াবহ সব ঘটনা—ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ, বিশৃঙ্খলা, মৃত্যু।

    জাতিসংঘ বলছে, গত এক মাসে—মানে মে মাসের শেষ থেকে—গাজায় ত্রাণ নেওয়ার সময় শহীদ মানুষের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৪১০।

    এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে গুলির শব্দ এখন যেন নিয়মিত। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের এই সামরিকীকৃত ত্রাণব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালার সম্পূর্ণ বিরোধী। খাবার আর চিকিৎসার মতো মৌলিক সহায়তা কেড়ে নিয়ে তা অস্ত্র বানিয়ে ফেলা হয়েছে।

    এইভাবে বেঁচে থাকার শেষ আশাটুকু কেড়ে নেয়া, যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের সামনে সহানুভূতির বদলে অস্ত্র তুলে ধরা—এটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সরাসরি যুদ্ধাপরাধ।

    জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সংস্থা বলছে, গাজার পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যেখানে প্রতিদিন শিশু, নারী, বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষ মারা যাচ্ছে। যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের জীবন টিকিয়ে রাখার মতো যথেষ্ট সহায়তাও পৌঁছাচ্ছে না।

    এসব বিতরণ কেন্দ্রের সামনে কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে, কেউ কেউ গোলাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, এসব কেন্দ্র মানবিক সাহায্যের নামে আসলে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুঝুঁকিতে ঠেলে দিচ্ছে।

    এই সংকটের মধ্যেও, গাজায় নিরপেক্ষভাবে কাজ করা জাতিসংঘ ও বেসরকারি সাহায্য সংস্থার কর্মীরাও নিরাপদ নন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করা কয়েকজন ফিলিস্তিনি কর্মীকে হত্যা করেছে।

    এই বাস্তবতা এতটাই নির্মম যে এখন মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদেই খাবার সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। আর যাচ্ছে একথা জেনেই যে হয়তো আর ফিরে আসা হবে না। ত্রাণ নিতে গিয়ে যদি গুলিতে মরতে হয়, তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—গাজা কি শুধু একটি ভূখণ্ড, নাকি পৃথিবীর বিবেকের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি?


    তথ্যসূত্র:
    1.Gaza: Over 400 Palestinians killed around private aid hubs, UN rights office says
    https://tinyurl.com/3zn246mu
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের বেঙ্গালুরুতে দুই মুসলিম যুবককে মারধর করলো হিন্দুত্ববাদীরা


    ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি এলাকায় মুসলিম হওয়ার কারণে দুই মুসলিম যুবকের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। হামলার সময় এক যুবককে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়।

    গত ২৫ জুন ‘মুসলিম মিরর’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইদিন বিকালবেলা জামির এবং তার বন্ধু ওয়াসিম একটি মাঠের কাছে হাঁটছিলেন। হঠাৎ করে মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদীদের একটি দল তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই হামলার পর জামির কোনোভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, ওয়াসিম আক্রমণকারীদের হাতে ধরা পড়েন এবং হিন্দুত্ববাদীরা তাকে নৃশংসভাবে মারধর করতে থাকে।

    ওয়াসিম তার ওপর হওয়া হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তারা আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছিল এবং যখন আমি ব্যথায় আল্লাহ বলে চিৎকার করি, তখন তারা রেগে যায় এবং আমাকে জয় শ্রী রাম বলতে বাধ্য করে।’

    এই নৃশংস হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Bengaluru: Muslim man and his friend assaulted by six men, forced to chant “Jai Shree Ram”
    https://tinyurl.com/mrz9haz5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ২০ মাসে ৩৫ হাজার হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল



      সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন নজিরবিহীনভাবে বিস্তৃত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে দেশটি ধারাবাহিকভাবে একাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েল। গত প্রায় দুই বছরে ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, ইরান ও ইয়েমেনে একের পর এক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

      যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রোজেক্ট’ (ACLED)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসী ইসরায়েল মোট ৩৫ হাজারেরও বেশি সামরিক হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিনেই হামলা হয়েছে ১৮ হাজার ২৩৫ বার। লেবাননে ১৫ হাজার ৫২০ বার, সিরিয়ায় ৬১৬ বার, ইরানে ৫৮ বার এবং ইয়েমেনে ৩৯ বার হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী দেশটি।

      বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব হামলা শুধু সামরিক আগ্রাসন নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য, নিরাপত্তা ও মানবিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

      গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি মানুষ। পশ্চিম তীরেও চলতি বছর জানুয়ারি থেকে বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়েছে বহু ভবন। নিহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার মানুষ, যার মধ্যে ২০০-এর বেশি শিশু রয়েছে।

      লেবাননের সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গত ২০ মাসে সংঘর্ষ হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৬০০ বার, যার ৮৩ শতাংশ হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এতে হাজার হাজার প্রাণহানি ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের তথ্য উঠে এসেছে।

      সিরিয়ায়, বিশেষ করে বাশার আল আসাদ সরকার পতনের পর থেকে, দখলদার ইসরায়েলি বিমানবাহিনী দেশটির বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে প্রায় ২০০ হামলা চালিয়েছে। এতে দেশটির সামরিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে ইরানের ৬১২ জন নাগরিককে হত্যা করে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

      ইয়েমেনের রাজধানী সানা, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আবাসিক এলাকাগুলোকেও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ইরানেও ব্যাপক বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী নেতানিয়াহুর সরকার।

      বিশ্লেষকরা বলছেন, দখলদার ইসরায়েলের এই আঞ্চলিক সামরিক অভিযান বিস্তার মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের কাছে থাকা অত্যাধুনিক মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম, বিশেষ করে যুদ্ধবিমানগুলো আগ্রাসনের বড় শক্তি হিসেবে কাজ করছে।


      তথ্যসূত্র:
      1.Israel has launched nearly 35,000 attacks across five countries over the past 20 months.
      https://tinyurl.com/3n8y6cjk
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদার বসতকারীদের হামলা: শহীদ ৩ ফিলিস্তিনি



        দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার কাছে কফর মালেক শহরে দখলদার ইসরায়েলি বসতকারীদের ভয়াবহ হামলায় অন্তত তিন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ২৪ জুন, মঙ্গলবার রাতে এই হামলা চালানো হয়।

        প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শতাধিক ইসরায়েলি বসতকারী সংঘবদ্ধভাবে কফর মালেক শহরে প্রবেশ করে। তারা স্থানীয় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বাড়িঘর এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় গুলি ছোঁড়া হয়, এতে ঘটনাস্থলেই তিন ফিলিস্তিনি শহীদ হন।

        ফিলিস্তাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (PRCS) জানিয়েছে, “এখন পর্যন্ত আমাদের দল অন্তত সাতজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।”

        পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও গাড়ির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে বাসিন্দারা তাঁদের জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

        স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা বসতকারীদের ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
        একজন ফিলিস্তিনি বাসিন্দা বলেন: “আমরা পুলিশ বা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো সুরক্ষা পাইনি। বরং তারা বসতকারী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা দিচ্ছিল।”

        গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারী সন্ত্রাসীদের হামলা বেড়ে গেছে। গাজা ও ইরান নিয়ে দখলার ইসরায়েল যে সামরিক আগ্রাসনে লিপ্ত, তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে পশ্চিম তীরেও দখলদারিত্ব ও সহিংসতা তীব্র হয়েছে।

        ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, “সন্ত্রাসী ইসরায়েল নীরব সম্মতি দিয়ে এই অপরাধগুলোকে উৎসাহিত করছে।”


        তথ্যসূত্র:
        1.Israeli settlers raid West Bank town, troops kill 3 Palestinians
        https://tinyurl.com/5n6w62x2
        2. 3 Palestinians said killed during settler raid; IDF says troops returned fire at gunmen
        https://tinyurl.com/4uu9f4dj
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          যুবলীগ নেতা পেল ‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বাস্থ্য কার্ড




          ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বাস্থ্য কার্ড পেয়েছে মো. তাঁরা মিয়া (৪৫) নামের এক যুবলীগ কর্মী। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় বিব্রত উপজেলা প্রশাসন।

          ২৪ জুন বিকেলে গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণকালে এই ঘটনা ঘটে।

          বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন.এম. আবদুল্লাহ আল মামুন।

          এ ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন উপজেলার মশাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হাসান চমক ফকির। তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বাস্থ্য কার্ড পাওয়া তাঁরা মিয়া যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। সে সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের ছবি সাটিয়ে মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছে। তার ফেইসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অসংখ্য ছবি রয়েছে। মূলত গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রাকিয়াপুড়া এলাকায় তার ভাইয়ের অসাবধানতাবশত চোখে লাঠির আঘাতে আহত হয়। কিন্তু এখন তাকে জুলাই যোদ্ধা বলা হচ্ছে।


          তথ্যসূত্র:
          ১. যুবলীগ নেতা পেলেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বাস্থ্য কার্ড
          https://tinyurl.com/y8tzfs6k
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গাজায় একদিনে আরও ১০০ ফিলিস্তিনি শহীদ



            ২৫ জুন, বুধবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ১০০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ। শহীদদের মধ্যে শিশু ও ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীরাও রয়েছেন। ২৬ জুন, বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

            বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় বুধবার দিনভর চালানো সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১০০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ। শহীদদের মধ্যে অনেকেই খাদ্য ও মানবিক সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল ও সংবাদ সংস্থাগুলোর চিকিৎসা সূত্র।

            আনাদোলু বলছে, গাজার পূর্বাংশে শাজাইয়া এলাকায় দুটি বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে। এই ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার নেৎজারিম করিডোরে সহায়তা নিতে গিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আটজন শহীদ হয়েছেন।

            দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের পশ্চিম অংশে তিনজন সহায়তা প্রত্যাশীকে গুলি করে শহীদ করা হয়েছে। পশ্চিম গাজা শহরে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় নয়জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজন শিশু। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

            গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এক ফিলিস্তিনি বাড়িতে গোলাবর্ষণে একজন মা ও তার দুই সন্তানসহ পাঁচজন শহীদ হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-নাজলায় দুটি বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

            কেন্দ্রীয় গাজার দেইর আল-বালাহ শহর ও নুসাইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় ১০ জন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

            খান ইউনুসের পূর্ব অংশের আবাসান শহরে একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে সহায়তা নিতে আসা দুইজনসহ পাঁচজন শহীদ হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকায় ওমারি মসজিদের কাছে মানুষ জড়ো হওয়ার সময় এক বিমান হামলায় দুইজন শহীদ হয়েছেন।


            তথ্যসূত্র:
            1. Gaza live: Israel kills 100 Palestinians since dawn on Wednesday
            https://tinyurl.com/3w3f3axb
            2. Israeli army kills 100 Palestinians in Gaza, including aid seekers
            https://tinyurl.com/2uv9hnv2
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কাশ্মীরে মুসলিমদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী



              অধিকৃত কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় ভারতীয় বাহিনী মুহাম্মদ আমিন শাহ নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে সন্ত্রাসী অভিযান চালিয়েছে। জানা গেছে, মুহাম্মদ আমিন শাহ জামায়াতে ইসলামির সদস্য। দখলদার বাহিনী তাকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তুলে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর কালো আইনের আওতায় তার বাড়িতে এ অভিযান চালিয়েছে।

              গত ২৫ জুন কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস এক প্রতিবেদনে জানায়, অভিযানের সময় দখলদার প্রশাসন ব্যাপক সেনা মোতায়েন করে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে। এরপর ভারতীয় পুলিশ বাহিনী জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে এবং সম্পূর্ণ বাড়ি তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন ধর্মীয় বই, মোবাইল ফোন, ব্যক্তিগত নথিপত্র এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করে।

              ভারতীয় পুলিশ বাহিনী পরে একটি বিবৃতিতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং দাবি করে যে, এটি ইউএপিএ-র অধীনে চলমান একটি তদন্তের অংশ ছিল। পুলিশ আরও দাবি করেছে যে, এই অভিযানটি জামায়াতে ইসলামির সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল।

              উল্লেখ্য যে, ভারতীয় বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় এমন অভিযান চালাচ্ছে। দখলদার বাহিনীর এসব পদক্ষেপ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মধ্যে আরও অস্থিরতা এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং ওই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে।


              তথ্যসূত্র:
              1. Indian police raid Jamaat-e-Islami member’s residence in Kupwara
              https://tinyurl.com/wufzrxs8
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সদ্য শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় বসতেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ ০৬ শিক্ষার্থী; পরিবারে শোকের ছায়া



                বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। রাজধানীসহ সারাদেশের কলেজগুলোতে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি আর অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখতে প্রবেশ করবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। কিন্তু এই পরীক্ষার দিনেই কিছু চেয়ার অদৃশ্য এক শূন্যতায় ভরে আছে। সেসব চেয়ারে বসার কথা ছিল ছয় তরুণের—আবদুল্লাহ বিন জাহিদ, মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফাইয়াজ), শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ, আফিকুল ইসলাম সাদ, মারুফ হোসেন এবং মো. আব্দুল আহাদ সৈকত। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাদেরও। কিন্তু তারা কেউ নেই।

                গত বছরের জুলাইয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দাবিতে অভ্যুত্থান চলাকালে আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এ ছয় শিক্ষার্থী। কেউ নিহত হয়েছেন জুলাইয়ের মাঝামাঝি, কেউ আগস্টের শুরুতে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুর কিছুদিন আগে ফেসবুকে লিখে গিয়েছেন বর্ণময় বিদায়বার্তা। আর আজ, তাদের সহপাঠীরা পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে চোখের পানি মুছেছে। কারণ বন্ধুরা নেই। আছে কেবল তাদের গল্প, কিছু স্মৃতি, কিছু না-পাওয়া।

                ছয় বন্ধু ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। একই পাড়ায় থাকায় বন্ধুত্বের বন্ধন ছিল অটুট। পড়েছে আলাদা কলেজে, তবে প্রতিদিন দেখা হতো। পরীক্ষা সামনে আসায় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন একসঙ্গেই। কিন্তু আজ, তাদের একজন, আবদুল্লাহ বিন জাহিদ নেই। তার মা ফাতেমাতুজ জোহরার চোখে এখনও জলের ধারা। বললেন, ‘ওর কলেজ থেকে পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে আমাকে ডেকেছিল। আমি যাইনি। মনে হচ্ছিল, সহ্য করতে পারব না।’ আবদুল্লাহ শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। মৃত্যুর তিন মাস পর ছিল তার ১৭তম জন্মদিন। বড় ছেলের মৃত্যুর ১৪ দিনের মাথায় ছোট ছেলে মাহমুদুল্লাহ বিন জিসানের কোলন ক্যানসার ধরা পড়ে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ হৃদ্‌রোগে মারা যান ফাতেমার স্বামীও। এখন তিনি থাকেন উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে। চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘ওর পাঁচ বন্ধু লামিম, হাসান, সালেহীন, রাকিব ও মেহেদি ফোন করে অনেক কেঁদেছে। বলেছে, খালাম্মা দোয়া করবেন। ওদের মুখেই যেন আমার ছেলেকে খুঁজে পাই।’

                ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডাকনাম ফাইয়াজ। ফেসবুকে তার নাম ছিল ‘ফারহান ফাইয়াজ’। সেই নাম এখন হয়ে উঠেছে জুলাই অভ্যুত্থানের এক প্রতীক। ১৮ জুলাই আন্দোলনের সময় তার বুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মারা যান ঘটনাস্থলেই। বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া জানালেন, ‘ছেলেটা গবেষক হতে চেয়েছিল। বিদেশে পড়ালেখা শেষে দেশে ফিরে গবেষণা করতে চেয়েছিল।’ মঙ্গলবার তিনি কলেজে গিয়ে ছেলের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আনতে গিয়েছিলেন। মন ভার হয়ে আসে তার। বলেন, ‘রাতে ওর বন্ধুরা ফোন করে বলে—আঙ্কেল, ফারহান থাকলে আজ পা ছুঁয়ে সালাম করত, দোয়া চাইত। আমরাও আপনার সন্তান। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

                মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে ৪ আগস্ট শহীদ হন শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ। ছিলেন বিএএফ শাহীন কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী। স্কাউট সদস্য আহনাফকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্কাউটস ‘গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। তার মা পুরস্কার হাতে নিয়েই কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন—আজ ও বেঁচে থাকলে পরীক্ষার হলে যেত। আহনাফের বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পরীক্ষার সময় এসেছে, বুকটা আরও বেশি খালি লাগছে। ছেলের রেজিস্ট্রেশন কার্ডটা এখন শুধু যন্ত্রণার স্মৃতি।’

                মারুফ হোসেন—যার বয়স ছিল ১৯ বছর। ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। সেই থেকেই তাকে নিয়ে পরিবার ছিল শঙ্কিত। এরপর বরিশালে নানা বাড়িতে রাখা হয়। কাজীরহাট একতা ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার তার এইচএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ জুলাই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন তিনি। তার মরদেহ পাওয়া যায় তিন দিন পর, অর্ধগলিত অবস্থায়। বাবা মো. ইদ্রিস বলেন, ‘ও ছিল আমার বন্ধু। কবরস্থান থেকে বলা হয়েছে ১০ লাখ টাকা না দিলে কবরটা রাখবে না। আর ওর মা ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

                মো. আব্দুল আহাদ সৈকত (১৭) ছিলেন ঢাকা কমার্স কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সৈকত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে অংশ নেন বাবার সঙ্গে। বিকেল সাতটার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজের সামনে মাথায় গুলি লেগে শহীদ হন তিনি। তার বাবা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক ঘণ্টা বেঁচেছিল। আমি ছিলাম পাশে। কিন্তু কিছুই করতে পারিনি। আমার ছেলে ডাক্তার হতে চেয়েছিল, আজ তাকে কেবল কবরে দেখতে পারি।’

                আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) ছিলেন সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। ৫ আগস্ট ধামরাইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ৮ আগস্ট মৃত্যু হয় তার। ফ্রিল্যান্সিং করে পরিবারের জন্য কিছু করতে চাওয়া সাদ ছিল গ্রাফিক ডিজাইনে পারদর্শী। মৃত্যুর আগের দিন, ৪ আগস্ট তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘যে দেশের ইতিহাস রক্ত দিয়ে শুরু হয়েছে, ওই ইতিহাস আবার লিখতে রক্তই লাগবে।’ সাদকেও আহনাফের মতো মঙ্গলবার ‘গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। তার বাবা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেটা এখনো চোখের সামনে ভাসে। নিজের ডিজাইনে আন্দোলনের পোস্ট বানিয়ে ফেসবুকে দিত। পরিবারকে সাহায্য করতে চাইত।’

                পরীক্ষার এই দিনটি কারও কাছে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর, কারও কাছে শোকের বার্তা। কেউ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে কলম হাতে, কেউ দাঁড়িয়ে থেকেছে সন্তানের কবরের পাশে। কেউ পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে, আর কেউ শুধুই তাকিয়ে থেকেছে ছেলের ছবির দিকে। এইচএসসি পরীক্ষায় তারা নেই, কিন্তু তাদের জায়গাটা শূন্য নয়—ভরা আছে হাজারো অশ্রু, অটুট বিশ্বাস আর রক্তের ইতিহাসে।


                তথ্যসূত্র:
                ১. বেঁচে থাকলে তারাও আজ এইচএসসি পরীক্ষায় বসত
                https://tinyurl.com/3jjspkxz
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  বর্বর ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননে দুই জন নিহত


                  যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে দখলদার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারো লেবাননের শান্তিপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে রক্ত ঝরিয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে আজ ২৬ জুন, বৃহস্পতিবার ভোরে দুটি পৃথক ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন দুই নিরীহ মানুষ।

                  লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, প্রথম হামলাটি চালানো হয় দক্ষিণ লেবাননের শাকরা ও বারাশিত শহরের মাঝামাঝি এলাকায় একটি বুলডোজার লক্ষ্য করে। এই হামলায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক কর্মী। কিছু সময় পর দ্বিতীয় ড্রোন হামলা চালানো হয় বেইত লিফ নামক শহরে একটি মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে, যেখানে আরও একজন নিহত হন।

                  যদিও ২০২৩ সালের নভেম্বরে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তথাপি সেই চুক্তিকে অমান্য করে চলছে বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসন। গত কয়েক মাস ধরেই লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে নিয়মিত ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল, যেখানে নিহত হচ্ছেন লেবাননের সাধারণ মানুষ।

                  এ ধরনের অব্যাহত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পেছনে পশ্চিমা রাষ্ট্র, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সমর্থন এক বিশাল ভূমিকা পালন করছে। ইসলামবিদ্বেষী পশ্চিমাদের এ নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বই দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে আরও হিংস্র করে তুলছে।

                  ইসলামি ভূখণ্ড ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষের নির্লজ্জ আগ্রাসন এবং পশ্চিমাদের প্রকাশ্য সহযোগিতা—আজ তা আর কোনো কল্পনা নয়, বরং বাস্তব ও প্রতিদিনকার চিত্র। লেবাননের সীমান্তে রক্তপাত, গাজার গৃহহীন মানুষ, কিংবা পশ্চিম তীরে শিশু হত্যার পেছনে রয়েছে একই নির্মমতা—ইহুদিবাদী ইসরায়েল এবং তার মিত্র ইসলামবিদ্বেষী পশ্চিমা শক্তিগুলো।

                  তথ্যসূত্র:
                  1.Two killed in separate Israeli attacks on Lebanon
                  https://tinyurl.com/5jxa5cy2
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X