Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৭ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ০৩ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৭ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ০৩ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফটসহ বহু প্রতিষ্ঠান



    গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলের চলমান দমন-পীড়ন ও গণহত্যায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইসব বহুজাতিক কর্পোরেশন সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের দখলদার নীতিকে সহায়তা করছে।

    ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন ফ্রান্সেসকা আলবানিজ নামে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ। তার নতুন প্রতিবেদনটি আগামীকাল ৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার জেনেভায় একটি সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

    প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, প্রতিবেদনে ৪৮টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে গণহত্যায় সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট, গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি আলফাবেট এবং বহুজাতিক কোম্পানি অ্যামাজনও রয়েছে। এই কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র ফিলিস্তিনে দখলদারিত্বেই জড়িত না, এগুলো গাজার গণহত্যাতেও সহায়তা করছে। এসব কোম্পানি সহযোগিতা করছে বলেই সন্ত্রাসী ইসরায়েল এখনও গণহত্যা চালিয়ে যেতে পারছে।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। দখলদার রাষ্ট্রটিকে এ যুদ্ধবিমান সরবরাহে আটটি দেশের কমপক্ষে ১ হাজার ৬০০ কোম্পানি জড়িত। এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন। তবে এই যুদ্ধবিমানের বিভিন্ন অংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তৈরি হচ্ছে। ইতালির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো এসপিএকে সামরিক খাতের প্রধান সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাপানের ফ্যানুক করপোরেশন অস্ত্র তৈরির লাইনে ব্যবহৃত রোবট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।

    তথ্য সরবরাহ করে দখলদার ইসরায়েল শক্তি যোগাচ্ছে মাইক্রোসফট ও অ্যামাজন : ফিলিস্তিনিদের ওপর নজরদারি ও তাদের চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য প্রয়োজনীয় বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সরকারের ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট এবং অ্যামাজন ইসরায়েলকে তাদের ক্লাউড এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে প্রায় পুরোপুরি প্রবেশাধিকার দিয়েছে, যা ইসরায়েলের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নজরদারির ক্ষমতা বাড়িয়েছে।

    গোয়েন্দা নজরদারিতে সহায়তা করছে আইবিএম ও পালান্টির টেকনোলজিস: যুক্তরাষ্ট্রের আইটি প্রতিষ্ঠান আইবিএম ইসরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা সদস্যদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, দেশটির অভিবাসন ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষের বায়োমেট্রিক ডেটাবেজ পরিচালনার দায়িত্বও পালন করছে।

    নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের সহযোগিতা আরও বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম পালান্টির টেকনোলজিস। এ প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি বাহিনীকে ‘স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের’ সক্ষমতা সম্পন্ন ভবিষ্যদ্বাণীমূলক নজরদারি প্রযুক্তি দিয়েছে, যার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় এবং ‘ল্যাভেন্ডার’, ‘গসপেল’, ‘হোয়্যার’স ড্যাডি’ এর মতো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু তালিকা তৈরি করা হয়।

    দখলদারিত্বে ভূমিকা রাখছে ক্যাটারপিলার, এইচডি হুন্দাই ও ভলভো গ্রুপ : বহু প্রতিষ্ঠান বেসামরিক প্রযুক্তি তৈরি করলেও সেগুলো ‘ডুয়াল-ইউজ টুল’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, অর্থাৎ একইসঙ্গে সেগুলো দখলদারিত্ব বজায় রাখতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটারপিলার, লিওনার্দোর মালিকানাধীন রাডা ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ, দক্ষিণ কোরিয়ার এইচডি হুন্দাই এবং সুইডেনের ভলভো গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধ বসতি স্থাপন এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে ইসরায়েলকে।

    সন্ত্রসী ইসরায়েলকে অর্থ জোগাচ্ছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি: জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রেজারি বন্ডও গাজায় চলমান যুদ্ধের অর্থ জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বের বড় বড় ব্যাংক, যেমন ফ্রান্সের বিএনপি পারিবাস এবং যুক্তরাজ্যের বার্কলেস সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ঋণ সংকট সামাল দিতে অর্থায়নে এগিয়ে এসেছে।

    জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে মানবাধিকার লঙ্ঘন এড়ানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য কোম্পানি এবং তাদের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে পারে।


    তথ্যসূত্র:
    1. UN report lists companies complicit in Israel’s ‘genocide’: Who are they?
    https://tinyurl.com/3vbp9w3v
    2. US accuses UN expert of ‘economic warfare’ over report on companies aiding Israeli occupation
    https://tinyurl.com/2jak8pun
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক কে শহীদ করল সন্ত্রাসী ইসরায়েল


    ০২ জুলাই, বুধবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. মারওয়ান সুলতান শহীদ হয়েছেন। গাজা সিটির নিজ বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি শহীদ হন। এ হামলায় তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডা. সুলতান ছিলেন এক নিবেদিত চিকিৎসক, যিনি যুদ্ধের কঠিন সময়ে মানবিকতার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে হত্যা ‘চিকিৎসা খাতের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত অপরাধ’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

    নিহত ডা. সুলতানের মেয়ে লুবনা আল-সুলতান বলেন, ‘একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরাসরি তার ঘরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। বাড়ির অন্য সব ঘর অক্ষত থাকলেও কেবল তার ঘরটিই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি শুধু যুদ্ধকালে রোগীদের পাশে দাঁড়াতেন।‘

    এদিকে গাজার খান ইউনিসের কথিত ‘নিরাপদ এলাকা’ আল-মাওয়াসির একটি তাঁবুতে বিমান হামলা চালায় সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে পাঁচজন শহীদ, আহত হয়েছেন আরও অনেকে— যাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল।

    মাহা আবু রিজক নামে শহীদদের এক স্বজন বলেন, ‘তারা ভেবেছিল এখানে নিরাপদে থাকবে। কিন্তু মারা গেল। তারা কী দোষ করেছিল?’


    তথ্যসূত্র:
    1. Gaza hospital director killed in Israeli strike, Hamas-run health ministry says
    https://tinyurl.com/3kcb8vpu
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পশ্চিম তীরে কিন্ডারগার্টেন থেকে ৭০ শিশুকে আটক করেছে দখলদার ইসরায়েল



      দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে একটি কিন্ডারগার্টেনে হামলা চালিয়ে ৭০ জনেরও বেশি শিশুকে আটক করেছে।

      ফিলিস্তিনি ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ৭০ জনেরও বেশি শিশু গ্রীষ্মকালীন একটি আয়োজনে যোগ দেওয়ার সময় হেবরনের অবরুদ্ধ এলাকায় শুহাদা স্ট্রিট কিন্ডারগার্টেনে দখলদার বাহিনী হামলা চালায়।

      প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী কিন্ডারগার্টেনে বেশ কয়েকজন কর্মীকেও আটক করে এবং তাদের ফোন ভেঙে দেয়। যার ফলে ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
      যখন গ্রীষ্মকালীন শিশু ক্যাম্প চলছিল, তখন হঠাৎ করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা সেখানে ঢুকে পড়ে। ক্যাম্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল অবরুদ্ধ ও হতাশাগ্রস্ত শিশুদের কিছু আনন্দ দেওয়া।

      এই প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের একটি নিরাপদ স্থান, যেখানে তারা কিছুটা নির্মল সময় কাটানোর সুযোগ পায়। এখন সেটিকেই লক্ষ্য বানিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। এর মাধ্যমে স্পষ্টতই বোঝা যায়—ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল শুধু ভূখণ্ড নয়, শিশুদের নিষ্পাপ শৈশব পর্যন্ত কেড়ে নিতে চায়।

      এই কিন্ডারগার্টেনটি হেবরনের “H2” এলাকাতে অবস্থিত। অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে দখলদার ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এখানে প্রতিরাতেই কারফিউ, প্রবেশ ও বাহিরের সময় নির্ধারিত করে দেয় সেনারা। ফিলিস্তিনিদের স্বাভাবিক চলাফেরার সুযোগ নেই।

      বিশ্লেষকদের মতে, শিশুদের আটক করে ইসরায়েল মূলত পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ভয় ঢুকিয়ে দিতে চায়। এটি একটি গভীর মানবাধিকার লঙ্ঘন। অথচ, তথাকথিত “মানবাধিকার রক্ষাকারী” পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘ আজ রহস্যজনকভাবে নীরব।

      এই বর্বর হামলা প্রমাণ করে—ইসরায়েল কেবল একটি দখলদার রাষ্ট্রই নয়, বরং একটি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী শক্তি, যারা ফিলিস্তিনি শিশুদের শৈশব, শিক্ষা, মানসিক স্থিতি—সবকিছু ধ্বংস করতে চায়। এমন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে অব্যাহতভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ইসলাম বিদ্বেষী প্রশাসনগুলো, যারা মুখে “মানবাধিকার” বললেও বাস্তবে ইসরায়েলি বর্বরতার পৃষ্ঠপোষক।


      তথ্যসূত্র:
      1. Israeli forces storm Hebron kindergarten, withhold nearly 70 Palestinian children
      https://tinyurl.com/mrymuh3m
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        “বিশ্ব সন্ত্রাসের যৌথ প্রকল্প”: ইসরায়েল-মার্কিন অস্ত্র চুক্তির আড়ালে ফিলিস্তিনি গণহত্যা



        ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে দখলদার ইসরায়েলের বর্বর সামরিক অভিযানে সরাসরি সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইতোমধ্যেই কমপক্ষে ২২.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। এই বিশাল অঙ্কের ব্যয় শুধুমাত্র ইসরায়েলকে দেওয়া নিরাপত্তা সহায়তা নয়, বরং ইয়েমেনসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক কর্মকাণ্ডের অর্থনৈতিক বহরও এর অন্তর্ভুক্ত।

        তথ্যসূত্র অনুযায়ী, কেবল ইসরায়েলকে সরাসরি দেওয়া সামরিক সহায়তা হিসেবেই আমেরিকা ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে, যা ১৯৫৯ সালে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সামরিক অনুদান শুরুর পর থেকে এক বছরে সর্বোচ্চ সহায়তা। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে গাইডেড বোমা কিট, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ও সরাসরি অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা সহায়তা।

        সন্ত্রাসী ইসরায়েলের আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু অস্ত্র ও অর্থই সরবরাহ করছে না, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সরাসরি সামরিক অভিযানে যুক্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষত ইয়েমেনের ওপর চালানো হামলা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক অভিযানগুলোর একটি হয়ে উঠেছে — যা ২০১৬-২০১৯ সালের আইএসবিরোধী বোমাবর্ষণের পর সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধাভিযান। এই অঞ্চলিক মার্কিন সামরিক অভিযানের ব্যয় ৪.৮৬ বিলিয়ন ডলার, যা মূল ২২.৭৬ বিলিয়নের অংশ।

        এছাড়া মার্কিন আগ্রাসনের প্রভাব পড়ছে বিশ্ববাণিজ্যেও। ইয়েমেন উপকূল ও রেড সি এলাকায় হুথি প্রতিরোধের কারণে বহু বাণিজ্য জাহাজ বিকল্প পথ ধরতে বাধ্য হচ্ছে বা উচ্চ প্রিমিয়ামে বীমা নিতে হচ্ছে। এর ফলে সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২.১ বিলিয়ন ডলার।

        এই বিপুল ব্যয়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের এক অজানা স্বার্থ জড়িয়ে আছে। মার্কিন সরকার প্রকাশ্যেই বলছে, ইসরায়েল ও মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পুরোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখতে তারা ইসরায়েলকে নিয়মিত অস্ত্র ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে যাবে।

        এই তথাকথিত “সামরিক সহায়তা” মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শিল্পকে চাঙ্গা রাখার কৌশল। আর এর শিকার হচ্ছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি মুসলমানরা, যাদের ওপর প্রতিনিয়ত বোমা, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নাম করে চালানো হচ্ছে গণহত্যা।

        ইসরায়েলকে “অস্ত্র দিয়ে হত্যাকাণ্ডে মদদদাতা” হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বুলি আজ পুরোপুরি ভণ্ডামিতে পরিণত হয়েছে। গাজার শিশু, মা, বৃদ্ধ— কেউই রেহাই পাচ্ছে না এই ইসলামবিদ্বেষী অভিযানের হাত থেকে।

        সাম্প্রতিক এই রিপোর্টটি আরও একবার স্পষ্ট করে দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে থাকা সম্পর্কটি কেবল কূটনৈতিক নয়, বরং এটি সন্ত্রাসের একটি যৌথ প্রকল্প, যার লক্ষ্য একটাই— ইসলামের শক্তিকে ধ্বংস করা।

        ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও তার পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার এ অমানবিক ব্যয় ও সমর্থন শুধু ফিলিস্তিনিদের ওপরই আগ্রাসন নয়, বরং এটি গোটা মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্বের ওপরই এক সুপরিকল্পিত যুদ্ধ। মুসলিমবিশ্ব যদি এখনো চুপ থাকে, তবে কাল হয়তো শিকার হবে আরও বহু দেশে নিরীহ মুসলমানরা।


        তথ্যসূত্র:
        1. United States Spending on Israel’s Military Operations and Related U.S. Operations in the Region, October 7, 2023-September 30, 2024
        https://tinyurl.com/3wppwkx6
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বাংলাদেশে জাতিসংঘের সমকামী দূত নিয়োগ; সমকামী পার্টনারসহ থাকার জন্য চাওয়া হয়েছে আ্যগ্রিমো


          জাতিসংঘের মনোনীত নতুন দূতকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। বাংলাদেশে জাতিসংঘের পরবর্তী আবাসিক সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কূটনীতিক একজন সমকামী। বর্তমানে পাপুয়া নিউগিনিতে কর্মরত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রিচার্ড এস হাওয়ার্ডকে বাংলাদেশে নতুন দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

          বিশ্বজুড়ে সমকামিতার প্রসারে এটিই জাতিসংগঘের গৃহীত প্রথম পদক্ষেপ নয়। আরো বহু জায়গায় সমকামিতার প্রসারে জাতিসংগঘের জড়িত থাকার অভিযোগ এবং প্রমাণ রয়েছে। ফিলিস্তিন, কাশ্মীরসহ বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বর্বরতা থামাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারলেও বিভিন্ন মুসলিম অঞ্চলে সমকামিতার মত জঘণ্য অপরাধের প্রসারে কখনো কসুর করেনি সংস্থাটি। এমনকি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাযায় জাতিসংঘের UNRWA ( United Nations Relief and Works Agency) কতৃক পরিচালিত স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে সমকামি মতবাদ প্রচারের অভিযোগ ওঠেছিল, জর্ডানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও এ্যক্টিভিস্ট ডাক্তার ইয়াদ কুনাইবী এসবের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে এ্যক্টিভিজম করে আসছেন।

          এই নিয়োগের বিষয়টি ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে বাংলাদেশকে জানিয়ে অ্যাগ্রিমো চাওয়া হয়েছে। রিচার্ড হাওয়ার্ড তার সমকামী পার্টনারকে নিয়েই বাংলাদেশে আসতে চায় বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। এই নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। একটি মুসলিমপ্রধান দেশে একজন সমকামীকে কীভাবে জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান তার দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়, তা নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা।

          আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা জাতিসংঘের এই নিয়োগে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, একজন সমকামীকে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্তের আগে এখানকার সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল। রিচার্ড হাওয়ার্ড যদি বাংলাদেশে জাতিসংঘের দূত হিসেবে আসেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. এম শহীদুজ্জামান এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেছেন, জাতিসংঘ কীভাবে এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়, তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, জাতিসংঘের উচিত এই বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল করা। জাতিসংঘ এটা না করলে বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে রিচার্ড হাওয়ার্ডের অ্যাগ্রিমো প্রত্যাখ্যান করা।

          জাতিসংঘের এই বিতর্কিত নিয়োগ এবং রিচার্ড হাওয়ার্ডের অ্যাগ্রিমো অনুমোদনের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কূটনীতিক গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটি নিয়ে অবশ্যই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

          ড. এম শহীদুজ্জামান গণমাধ্যমকে আরও জানান, একজন সমকামী হিসেবে রিচার্ড হাওয়ার্ড তো বাংলাদেশে এলজিবিটি প্রমোট করার চেষ্টা করবে। এটা তো আমাদের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর ইস্যু। আমাদের সামাজিক রীতিনীতি এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম পরিপন্থী। বাংলাদেশে এই বিতর্কিত নিয়োগ নিশ্চিতভাবেই অস্থিরতা তৈরি করবে। আর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে সরকার। একবার ভেবে দেখুন, এটাকে ইস্যু করে যদি ইসলামি দলগুলো রাস্তায় নামে, তাহলে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে।

          উল্লেখ্য, রিচার্ড এস হাওয়ার্ড জুনিয়র একজন ফুলব্রাইট স্কলার এবং তিনি পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তার গবেষণার অন্যতম মূল বিষয় লিঙ্গসমতা। ৩০ বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই সমকামী কূটনীতিক ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে পাপুয়া নিউগিনিতে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এর আগে সে নেপালে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর, থাইল্যান্ডে আইএলওর সিনিয়র আবাসিক বিশেষজ্ঞ, চীনে অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।


          তথ্যসূত্র:
          ১. ঢাকায় জাতিসংঘ মনোনীত দূতকে নিয়ে অস্বস্তি
          https://tinyurl.com/mukn8zc5
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের কারাগারে মুসলিমদের উপর অমানবিক নির্যাতন



            ভারতের অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী কাশ্মীরি রাজনৈতিক কর্মী ও যুবকরা চরম অমানবিক আচরণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ধর্মীয় নিপীড়ন এবং চিকিৎসা অবহেলার মতো ঘটনার অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে।

            গত ২ জুলাই কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোয়াবগাহ সোপোরের বাসিন্দা এবং বারামুল্লা সাব-জেলের ইনচার্জ বরকত দার দীর্ঘদিন ধরে বন্দীদের পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ আদায় ও দুর্ব্যবহার করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, সে দরিদ্র ও স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরি পরিবারের নারীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং তাদের ফোন নম্বর দিতে চাপ দেয়।

            একাধিক পরিবার জানিয়েছে, প্রিয়জনের সঙ্গে মাত্র একটি সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়ার জন্য তাদের গয়না কিংবা গবাদিপশু বিক্রি করতেও বাধ্য হতে হয়েছেন।

            জানা গেছে, বরকত দারের পরিকল্পনায় ৩০০-রও বেশি কাশ্মীরি যুবককে বারামুল্লা থেকে জম্মু অঞ্চলের কোট ভালওয়াল, আমফালা, পুঞ্চ, রাজৌরি ও উধমপুরের মতো দূরবর্তী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে বন্দীদের পরিবারগুলোর আর্থিক ও মানসিক দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

            পুঞ্চ জেলার বন্দীরা জানান, ডিএসপি খালিদ আমিন মুসলিম বন্দীদের ধর্মীয় অনুশীলনে বাধা দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সে বন্দীদের জোর করে দাড়ি কাটাতে বাধ্য করছে এবং কারাগারে কুরআন তেলাওয়াত নিষিদ্ধ করেছে। হুরিয়ত কর্মী জিয়া মুস্তাফার হেফাজতে মৃত্যুতেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানা গেছে।

            জম্মুর কোট ভালওয়াল জেল থেকে উঠে এসেছে চিকিৎসা অবহেলার মর্মান্তিক চিত্র। বিজেপি-ঘনিষ্ঠ মেডিকেল অফিসার পালি থাপার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে রাজনৈতিক বন্দীদের চিকিৎসা না দিয়ে তাদের উপর রাজনৈতিক বিশ্বাস ত্যাগ করার চাপ প্রয়োগ করছে।

            প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত দুই বছরে চিকিৎসার অভাবে আটজন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা না পেয়ে আরও অনেক বন্দী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি রিয়াসির এক বন্দী জেলে মারা যান এবং আরেকজন, মুহাম্মদ আইয়ুব মীর, বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।


            তথ্যসূত্র:
            1. Human rights violations, brutal conditions of prisoners in IIOJK jails: report
            https://tinyurl.com/mrbw8exp
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আসামে বুলডোজার অভিযানে ৭০০ বাড়ি ধ্বংস, শত শত মুসলিম পরিবারের জীবনে বিপর্যয়



              আসামের গোয়ালপাড়া জেলার হাসিলা বিল এলাকায় প্রশাসনের বুলডোজার অভিযানে ৭০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে শত শত মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন একে ‘অবৈধ বসতি উচ্ছেদ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, স্থানীয়দের মতে এটি মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে পরিচালিত একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন।

              গত ১ জুলাই ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য অবজারভার পোস্ট জানায়, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার পর তীব্র গ্রীষ্ম ও বর্ষার প্রাক্কালে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বহু বাসিন্দা। এর মধ্যেই হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন ৬০ বছর বয়সী জৈতুন নিশা। স্থানীয়দের মতে, এ মৃত্যু বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি প্রশাসনের চরম অবহেলার প্রমাণ।

              গোয়ালপাড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ‘জমি দখলমুক্ত করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা বৈধ দাবিদার, তাদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে।’ তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পুনর্বাসনের কোনো প্রকৃত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

              অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেতা অনিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখানে বসবাসকারী মানুষের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করছে। অথচ এরা সবাই ভারতীয় নাগরিক, যাদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে।’

              তিনি প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তার অভাবেরও সমালোচনা করেন এবং জানান, বিশেষ করে শিশুদের জন্য পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

              স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যেসব বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মালিকদের কাছে বৈধ নাগরিকত্বের নথিপত্র থাকলেও প্রশাসন তাঁদের ‘অবৈধ দখলদার’ কিংবা ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

              চার সন্তানের মা ফাতিমা বেগম বলেন, ‘আমরা একদিনেই সবকিছু হারিয়েছি—আমাদের ঘরবাড়ি, জিনিসপত্র। আমার বাচ্চারা এখন গরম আর বৃষ্টিতে দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। আমরা কেবল মর্যাদা ও নিরাপত্তা চাই।’

              স্থানীয় স্কুল শিক্ষক ইমরান হুসেন মন্তব্য করেন, ‘এটি কেবল সম্পত্তির উপর আক্রমণ নয়, আমাদের পরিচয়ের উপরও আক্রমণ। আরও ক্ষতির আগেই আমরা চাই, কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শোনুক।’


              তথ্যসূত্র:
              1. Over 700 Muslim Homes Demolished in Assam’s Goalpara; Community Faces Crisis Amid Neglect
              https://tinyurl.com/ahbae7pn
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আরও ১১১ ফিলিস্তিনি শহীদ




                যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালে গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। ২ জুলাই, বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলা বর্বর হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত ইসরায়েল একদিনেই অন্তত ১১১ জন ফিলিস্তিকে শহীদ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

                শহীদদের মধ্যে ২৪ জন ছিলেন একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে, যারা খাবার সংগ্রহের অপেক্ষায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের সবাই ঘটনাস্থলেই শহীদ হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদেরকে চিকিৎসার জন্য আশপাশের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

                সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালকের বাসভবনে। হামলায় তিনি, তার স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা শহীদ হন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চিকিৎসা ব্যবস্থার নেতৃত্বে থাকা একজন গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসককে সপরিবারে হত্যা করাটা ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধ।

                একইদিনে উত্তর গাজার জবালিয়া ও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে হামলা চালানো হয় শরণার্থী শিবিরে এবং ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর। কথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষিত এসব এলাকাতেও ইসরায়েলি বিমান থেকে ছোড়া গোলা ও বোমায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের মৃত্যুতে স্থানীয়ভাবে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

                গাজা বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবে লাখ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতিদিনের বোমা হামলা ও ঘনঘন বিমান আক্রমণের ফলে গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আর এসব ধ্বংসের নিচেই চাপা পড়ে যাচ্ছে সহস্রাধিক মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি।


                তথ্যসূত্র:
                1. Updates: Israel attacks kill 111; Hamas says considering ceasefire proposal
                https://tinyurl.com/4pvvye2m
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সীমান্তে ঘাস কাটার সময় বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করলো বিএসএফ


                  চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহিম খলিল বাবু (২৯) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে এ ঘটনা ঘটে।

                  নিহত ইব্রাহিম খলিল বাবু চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চা দোকানি।

                  স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহিম মারা যায়। বিজিবির পক্ষ থেকে মরদেহ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে বলে জেনেছি।


                  তথ্যসূত্র:
                  ১.চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
                  -https://tinyurl.com/mwufwhp4
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X