Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১২ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ০৮ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১২ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ০৮ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজার শিশুদের জীবন-মৃত্যুর লড়াই: অপুষ্টিতে ভুগছে হাজারো নবজাতক



    দখলদার ইসরায়েলের অবরোধে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। চলমান যুদ্ধ, বিমান হামলা ও কঠোর অবরোধের কারণে গাজার লাখো মানুষ আজ মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত। বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ।

    ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজায় এখন শিশুরা চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এমনকি বহু মা এতটাই অপুষ্টিতে ভুগছেন যে, সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছেন। এতে অসংখ্য নবজাতক শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে।

    ৭ জুলাই, সোমবার এক বিবৃতিতে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জানায়, গাজায় সহায়তা প্রবেশে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বাধার কারণে হাজার হাজার শিশু প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছাতে পারছে না, ফলে তারা ধীরে ধীরে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে রাখায় শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ত্বকের রোগসহ নানা প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিচ্ছে নবজাতকদের মধ্যে। মাতৃদুগ্ধ না পাওয়ায় তারা অপুষ্টির শিকার হয়ে দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

    চলমান আগ্রাসনে বহু মা নিহত হয়েছেন বা আহত হয়ে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। আবার যারা জীবিত আছেন, তাদের অনেকেই চরম অপুষ্টিতে ভুগছেন। পর্যাপ্ত খাদ্য না পাওয়ায় তাদের শরীরে দুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সন্তানদের দুধ খাওয়াতে পারছেন না। শিশুরা না খেয়ে কাতরাচ্ছে কিংবা দূষিত পানি ও বিকল্প উৎস থেকে খাওয়ায় মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন গাজার কোন না কোন অঞ্চলে শিশুর মৃত্যু ঘটছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. ‘Thousands of babies in Gaza lack proper nutrition’: UNICEF chief
    https://tinyurl.com/23n6wwz3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতীয় দম্পতিকে বাংলাদেশি বলে পুশইন করল দিল্লি পুলিশ: দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন


    বাংলা ভাষায় কথা বলেন এই ‘অপরাধে’ দিল্লিতে বসবাসকারী পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক দম্পতি ও তাদের পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে জোরপূর্বক সীমান্তে পুশইন করেছে দিল্লি পুলিশ।

    ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদন এই তথ্য প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়, গত ১৮ জুন রাজধানী দিল্লির রোহিণী এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে ২৬ বছর বয়সী দানিশ শেখ, তার স্ত্রী ২৪ বছর বয়সী সোনালী খাতুন এবং তাদের ছেলে সাবিরকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করছেন, বৈধ পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ থাকা সত্ত্বেও কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    সোনালী খাতুনের চাচাতো বোন রোশনি বিবি, যিনি দিল্লিতেই থাকেন, তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের সঙ্গে দেখা করে তাদের বৈধ পরিচয়পত্র, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র দেখিয়েছি। পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে যাচাই করে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কয়েকদিন পর জানানো হয় তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের বলা হয় যেন এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করি। এবং এই বিষয়ে আরও কোনও পদক্ষেপ নিলে আমাদের একই পরিণতির হুমকি দেয়।’

    রোশনি আরও জানান, কিছুদিন আগে সোনালী অন্য একজনের ফোন থেকে যোগাযোগ করে জানান, তারা বর্তমানে ঢাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির সাহায্যে কোনোমতে বেঁচে আছেন।

    এই ঘটনার শিকার শুধু দানিশ ও সোনালী নন। রোশনি বলেন, তাদের গ্রামের আরও তিনজনকে একই সময়ে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করে সীমান্ত পার করে দেওয়া হয়েছে।

    এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও মহারাষ্ট্রে কাজ করা সাতজন বাঙালি শ্রমিককে বিএসএফ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হস্তক্ষেপে তাদেকে ভারতে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

    এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলেন বলেই ভারতের বৈধ নাগরিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হয়রানি ও জাতিগত বৈষম্যের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।’

    তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সব তথ্য হাতে এসেছে। আমরা আইনত পদক্ষেপ নিচ্ছি। আদালতের মাধ্যমে দানিশ ও সোনালীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’ সেইসঙ্গে তিনি দেশবাসীকে এ ধরনের অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান।

    এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলা ভাষাভাষীদের প্রতি এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ শুধু সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনই নয়, বরং এক ভয়ংকর রাষ্ট্রীয় প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়।


    তথ্যসূত্র:
    1. Birbhum couple working in Delhi detained by police as ‘Bangladeshi’ infiltrators
    https://tinyurl.com/3za69ej5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাশ্মীরে আবারও দুই ভারতীয় সেনার আত্মহত্যা



      দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরে আবারও দুই ভারতীয় সেনাসদস্য আত্মহত্যা করেছে। ৭ জুলাই, কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

      প্রতিবেদনে বলা হয়, দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের দুটি ভিন্ন স্থানে এ দুই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী দুই সেনাসদস্যের একজন ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘৫৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস’-এর সদস্য, এবং অপরজন ছিল ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের কনস্টেবল। দুজনই নিজ নিজ সার্ভিস রাইফেল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করে।

      এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে রাজৌরি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে শোলকি গ্রামে, কোম্পানি হেডকোয়ার্টারের ভেতরে। অপর ঘটনা ঘটে সাম্বা জেলার রামগড় এলাকায় একটি ফরোয়ার্ড পোস্টে।

      ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

      এর আগে, গত ১৭ জুনেও দুই ভারতীয় সেনাসদস্য আত্মহত্যা করে। পাঞ্জাব রাজ্যের চণ্ডীগড় শহরে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) এক কনস্টেবল বিষপান করে আত্মহত্যা করে। একই দিনে, দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিজ সার্ভিস রাইফেল দিয়ে নিজেকে গুলি করে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Two Indian soldiers commit suicide in IIOJK
      https://tinyurl.com/yzkfhmvw
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে



        যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। স্যান অ্যান্টোনিও শহরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের পর ৪ জুলাই, শুক্রবার ভোররাতে গুয়াদালুপ নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে এ বন্যা হয়। বন্যায় নদীঘেঁষা একাধিক এলাকা প্লাবিত হয় এবং বহু মানুষ পানির প্রবল স্রোতে আটকা পড়ে।

        পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনো উদ্ধারকারী দলগুলো কাদামাটিতে ঢেকে যাওয়া নদীর তীরে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও নতুন করে কারো জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। এর মধ্যেই ওই অঞ্চলে আরো বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ নামে একটি খ্রিস্টান বালিকাশিবির নিশ্চিত করেছে যে, তাদের অন্তত ২৭ জন শিক্ষার্থী ও কর্মী প্রাণ হারিয়েছে। এখনো ১০ জন মেয়ে শিক্ষার্থী এবং একজন ক্যাম্প কাউন্সেলর নিখোঁজ রয়েছে।

        অবিরাম বৃষ্টিপাত ও ভেজা মাটির কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। পানির ধাক্কায় বহু এলাকা এখনও বিচ্ছিন্ন, ফলে নিখোঁজদের খোঁজে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে বিশেষ সতর্কতায়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদেরা।

        মৃতদের মধ্যে ৮৪ জন কের কাউন্টির বাসিন্দা। যাদের মধ্যে ৫৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২৮ জন শিশু। কের কাউন্টি শেরিফের দপ্তর জানিয়েছে, ২২ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ জন শিশুর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।


        তথ্যসূত্র:
        1. Live Updates: Texas Flood Death Toll Tops 100 With More Rain to Fall
        https://tinyurl.com/mrpunbk4
        2. Death toll from catastrophic flooding in Texas over the July Fourth weekend surpasses 100
        https://tinyurl.com/y54ch7vn
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই শহীদ ১০৫ ফিলিস্তিনি




          ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি ও নৃশংস সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ ০৭ জুলাই, সোমবার বর্বর এই হামলায় আরও ১০৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫৬ জন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৭ জনেরও বেশি মানুষ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

          ৭ জুলাই (সোমবার), ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের অবরোধকবলিত গাজায় লাগাতার হামলায় নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গত একদিনে গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নতুন করে আরও ১০৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজা সিটি, খান ইউনুস, দেইর আল বালাহসহ বিভিন্ন এলাকায় এই মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

          স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এখনো বহু মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে এবং নিরাপত্তার অভাবে উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। ফলে বাস্তবে শহীদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

          এছাড়াও জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তি ভেঙে দিয়ে ১৮ মার্চ থেকে আবারও ব্যাপকহারে বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান শুরু করে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এই নতুন ধাপে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৬৪ জন শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২৪ হাজার ৫৭৬ জন।

          তথ্যসূত্র:
          1.Gaza: Hospitals receive 105 martyrs, death toll climbs to 57,523
          https://tinyurl.com/2esy6ndm
          2. Israeli bombing targets tent in Nuseirat camp, kills three civilians
          https://tinyurl.com/5n6d5reu
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X