Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৬ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ২২ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৬ মুহাররম,১৪৪৭ হিজরী || ২২ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু



    রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে।

    আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে।

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায় , বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। ভবনটির নাম হায়দার হল বলে জানা যায়।

    এ ঘটনায় মোট কতজন হতাহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বেলা দুইটার কিছু পরে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লিমা খান গণমাধ্যমকে বলেন, আহত চারজনকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    ১.বিমানটি উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে বিধ্বস্ত, অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর

    -https://tinyurl.com/2zch3v34
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বর্বর ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় ক্ষুধায় একদিনে শহীদ ১৮ জন



    মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েলের বর্বর অবরোধের কারণে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রান সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। এ কারণে ২০ জুলাই, রবিবার গাজায় ক্ষুধা, পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিজনিত কারণে অন্তত ১৮ জন শহীদ হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    শহীদদের মধ্যে একটি চার বছর বয়সী শিশু রয়েছে, যার নাম রাজান আবু জাহের। সে চরম অপুষ্টি ও ক্ষুধার কারণে রবিবার প্রাণ হারায় বলে নিশ্চিত করেছেন দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

    এছাড়া রবিবার গাজাজুড়ে অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে ৮৫ জনকেই খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্ত ইসরায়েলি সেনারা।

    দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় শরণার্থীদের তাঁবু লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়, এতে এক শিশুসহ সাতজন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

    ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার খবরে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৮৯৫ জনে, আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৮০ জন। শহীদদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

    মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে ইউএনআরডব্লিউএ-এর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ওপর প্রায় ৭৪,০০০টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালায়, যার মধ্যে ৫,৫০০টি শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে বলে শনাক্ত হয় এবং ৮০০টি শিশু সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

    জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক অফিস জানিয়েছে, গাজার পরিবারগুলো ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা মোকাবিলা করছে, যেখানে শিশুরা ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে এবং কেউ কেউ সাহায্য পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুবরণ করছে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Updates: 18 in Gaza die from starvation in one day amid Israeli blockade
    https://tinyurl.com/4fkf948e
    2.In just 24 hours, 18 civilians in Gaza have died due to starvation
    https://tinyurl.com/ybajfu6v
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ছাড়াল



      দখলদার ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই পর্যন্ত বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে আহত হয়েছেন এক লাখ ৪২ হাজার ১৩৫ জন ফিলিস্তিনি।

      মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা বলছে, ২১ জুলাই, সোমবার গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩৪টি মরদেহ এবং এক হাজার ১৫৫ জন আহত ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহগুলোর মধ্যে চারটি আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল, যেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে।

      স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় এক হাজার ২১ জন নিহত হয়েছেন এবং ৬ হাজার ৫১১ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

      এই মুহূর্তে গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ নেই বললেই চলে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি নিতে পারছে না, কারণ শয্যা নেই, জ্বালানি নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং অন্যান্য সংগঠন একাধিকবার গাজাকে “বাসযোগ্যতার সীমার নিচে চলে যাওয়া অঞ্চল” হিসেবে বর্ণনা করেছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Gaza death toll exceeds 59,000 as Israel continues brutal war on Palestinians
      https://tinyurl.com/2s3mkdpu
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বর্বর ইসরায়েলি হামলার মুখে ডব্লিউএইচও কার্যালয়: ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা



        গাজায় দখলদার ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পবিত্র ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রায় দুই বছর ধরে চলমান ভয়াবহ আগ্রাসনে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল কেবল নিরস্ত্র শিশু-নারীকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং এখন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

        ২১ জুলাই, সোমবার দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)–র স্টাফ রেসিডেন্স ও প্রধান গুদামঘরে একাধিকবার হামলা চালায়। জাতিসংঘের এ সংস্থা জানায়, তিন দফা বিমান হামলায় রেসিডেন্স ভবনে আগুন ধরে যায়, যার ফলে নারী ও শিশুসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে।

        WHO-এর বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলি সেনারা স্টাফ রেসিডেন্সে ঢুকে পড়লে নারী ও শিশুদের গুলি ও গোলাবর্ষণের মধ্যে হেঁটে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। এসময় পুরুষ সদস্যদের হ্যান্ডকাফ পরিয়ে উলঙ্গ করে বন্দুকের মুখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দুইজন কর্মী ও দুই পরিবারের সদস্যকে আটক করে নিয়ে যায় দখলদার বাহিনী, যাদের মধ্যে একজনকে এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি।

        WHO মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছে, “আমাদের সহকর্মীদের মুক্তি ও সব কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা। এই ধরনের হামলা শুধু বেআইনি নয়, বরং পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার সামিল।”

        WHO আরও জানায়, এর প্রধান গুদামঘর, যা একটি নির্ধারিত ‘নিরাপদ এলাকা’র ভেতরে ছিল, তাও হামলার শিকার হয়। হামলায় সেখানে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে, ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

        এদিকে সোমবারই দেইর আল-বালাহ শহরের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে প্রথমবারের মতো ট্যাংক নিয়ে প্রবেশ করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার মসজিদ ও ঘরবাড়িতে গোলাবর্ষণে অন্তত তিনজন শহীদ হন এবং বহু মানুষ আহত হন।

        প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রায় সমগ্র গাজার জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. WHO says Israeli military attacked staff residence in Gaza
        https://tinyurl.com/53cwrdwb
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          অভিযোগ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ‘চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ’ হওয়ায় মুম্বাইয়ে ট্রেন বিস্ফোরণ মামলার ১২ মুসলিমকে বেকসুর খালাস



          ভারতের মুম্বাইয়ে ২০০৬ সালের ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় দণ্ডিত ১২ মুসলিমকে ১৮ বছর পর বেকসুর খালাস দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আদালত রায়ে জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে।

          বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৫ সালে বিচারকরা অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু ২১ জুলাই (সোমবার), মুম্বাইয়ের হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ পূর্ববর্তী রায় বাতিল করে দেয়, রায়ে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ‘চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ’ হয়েছে।

          ২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বাইয়ের পশ্চিম রেলপথের লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১৮৯ জন নিহত হন এবং আহত হন আরও আট শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

          ঘটনার প্রায় ৯ বছর পর ২০১৫ সালে বিশেষ আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তবে ২১ জুলাই (সোমবার), বম্বে হাই কোর্টের দুই বিচারপতি—আনিল কিলোর ও শ্যাম চাঁদক—রায় বাতিল করে বলেন, ‘যথাযথ প্রমাণের ঘাটতির কারণে সাজা বাতিল করা হলো।’ যদিও এখনো পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়নি।

          দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তারা হলেন কামাল আনসারি, মোহাম্মদ ফয়সাল আতাউর রহমান শেখ, এহতেশাম কুতুবউদ্দিন সিদ্দিকি, নাভিদ হুসেন খান ও আসিফ খান।

          আর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সাতজন হলেন তানভীর আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আনসারি, মোহাম্মদ মাজিদ মোহাম্মদ শফি, শেখ মোহাম্মদ আলি আলম শেখ, মোহাম্মদ সাজিদ মারগুব আনসারি, মুজাম্মিল আতাউর রহমান শেখ, সোহেল মাহমুদ শেখ ও জমীর আহমেদ লতিফুর রহমান শেখ।

          এই মামলায় ওহিদ শেখ নামের আরও একজন ৯ বছর কারাভোগের পর আগেই খালাস পেয়েছিলেন।

          ২০১৫ সালের বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ও রাজ্য সরকার—উভয় পক্ষই উচ্চ আদালতে আপিল করলেও শুনানি বছরের পর বছর ঝুলে ছিল। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গঠিত হয় বিশেষ বেঞ্চ।

          আসামিদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ও ওড়িশা হাই কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি ড. এস. মুরলিধর। তিনি বলেন, ‘এই মামলা প্রমাণের ভিত্তিতে নয়, বরং জনচাপ ও মিডিয়ার প্রচারে পরিচালিত হয়েছে। মিডিয়া ট্রায়ালের কারণে শুরু থেকেই অভিযুক্তদের ‘জঙ্গি’ হিসেবে সমাজ চিহ্নিত করে।’

          তিনি আরো বলেন, ‘১৮৯ জনের প্রাণহানির ঘটনায় সন্দেহ নেই এটি মর্মান্তিক। কিন্তু বিনা অপরাধে ১২ জন মানুষ ১৭-১৮ বছর ধরে জেল খেটেছে। এখন তারা নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাদের জীবন আর স্বাভাবিক নয়। পরিবার, সমাজ, কর্মজীবন—সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে।’

          ড. মুরলিধর আদালতে বলেন, ‘একবার কাউকে ‘জঙ্গি’ তকমা দিলে সমাজ আর সম্মান দেয় না। খালাস পেলেও কেউ আর তার জীবনে ফিরতে পারে না। এই মানুষগুলোর জন্য পুনর্বাসনের কোনো রাষ্ট্রীয় নীতি নেই—এটাই সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।’


          তথ্যসূত্র:

          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা



            ২২ জুলাই, ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ ও বেদনাবিধুর এক দিন। টানা তিনদিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ রেখে জনগণকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল শেখ হাসিনার সরকার। এর মাঝেই গণহত্যা চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। পাশাপাশি ছিল ধরপাকড় ও লাশ গুম। কারফিউ সামান্য শিথিল হলেও রাজধানীসহ সারা দেশে; বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেনা, পুলিশ ও সাদা পোশাকধারীদের দমন-পীড়ন চলতে থাকে। যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ অন্তত ২১ জন নিহত হন। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী, মাদরাসাছাত্র, বিক্ষোভকারী ও সাধারণ পথচারীদের ওপর চালানো হয় গুলি, গ্রেপ্তার ও চরম নির্যাতন। ঢাকায় দেখা যায়, স্বজনের লাশ খুঁজতে পথে পথে ছুটছিলেন মানুষ, হাসপাতালে ছড়িয়েছিল রক্তাক্ত দেহ।

            সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সার্কুলার জারি করলেও আন্দোলনকারীরা ওই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেন। রাতে কারফিউ শিথিলের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে ২৪ জুলাই দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত করা হয়। ঢাকা ও গাজীপুর জেলা ও মহানগর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী এলাকায় এ সময়সীমা কার্যকর ছিল। ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তৎকালীন আওয়ামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ ঘোষণা দেয়।
            সেদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র তানজিম সিজন গুলিবিদ্ধ হন। বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের অভিযানের সময় তার মাথায় ছররা গুলি লাগে। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি মেসে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ পুলিশ জানালা দিয়ে গুলি ছোড়ে এবং তা তার মাথায় লাগে।

            ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ধাপে ধাপে চালু করা হয়। ২২ জুলাই অগ্রাধিকারভিত্তিতে আংশিক চালুর পর ২৪ জুলাই থেকে সম্পূর্ণরূপে চালু করা হবে বলে জানানো হয়।

            সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকায় বড় ধরনের গ্রেপ্তারের ঘটনা না ঘটলেও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতা ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চলছিল। বিভিন্ন স্থানে অভিযান, গ্রেপ্তার এবং সহিংসতার ফলে ২৩ জুলাইও বেশকিছু মানুষ নিহত হন।

            এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস উপায়ে দমনের পর তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর জন্য উল্টো বিএনপি-জামায়াতকে সরাসরি দায়ী করেছিল। সে বলেছিল, এই রাজনৈতিক জোট সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং পরিকল্পিতভাবে দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সে এসব কথা বলে।

            সে আরও বলে, ‘জামায়াত-শিবির পেছন থেকে সারা দেশে নাশকতা চালিয়েছে আর বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। এবার কাউকে সহজে ছাড় দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ইতোমধ্যে তা শুরু হয়েছে।’

            সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ জারি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন এবং সেনাবাহিনী ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা।

            সে বলে, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি উপস্থাপন করছিল। তারা আমাদের সবচেয়ে সংবেদনশীল শ্রেণি। আমরা চেয়েছি তাদের কোনো ক্ষতি না হোক। সহিংসতা শুরু হলে তারাই বলেছে, তারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এবং নিন্দাও জানিয়েছে। আন্দোলনের ছায়াতলে থেকে বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশের সম্পদ, স্থাপনাগুলো এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে সুপরিকল্পিত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।’

            সেদিন ব্যবসায়ী নেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে একবাক্যে সমর্থন জানিয়েছিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিল।

            রক্তাক্ত যাত্রাবাড়ী

            ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা তিন শতাধিকে পৌঁছায়। এর মধ্যে অনেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকরা। ওই গণহত্যা ছিল শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের নির্মম নিদর্শন।

            চলমান ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠা যাত্রাবাড়ী এলাকা পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ২২ জুলাই সেনাবাহিনী ও পুলিশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল-চিটাগাং রোড পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়।

            ২২ জুলাই বিকালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সরেজমিন যাত্রাবাড়ী পরিদর্শনে যায়। তাদের সঙ্গে ছিল পুলিশের বিশেষ শাখার তৎকালীন প্রধান মনিরুল ইসলাম, র‍্যাব মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ এবং ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

            সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলে, এই সহিংসতায় যারা অংশ নিয়েছে, তাদের প্রতিটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আইনের আওতায় এনে জবাবদিহি করানো হবে।

            তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে, ‘ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা এসে এখানে ঘাঁটি গেড়েছে। পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে হত্যা করতে অর্থ লেনদেন হয়েছে। তবে এখন রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

            ২২ জুলাই পর্যন্ত শত শত বিক্ষোভকারীকে হত্যার পাশাপাশি হাজার হাজার আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারফিউ ঘোষণা করে নাগরিকের স্বাধীনতা দমন করা হয় এবং ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে দেশকে কার্যত অচল করে দেওয়া হয়। সরকারি বাহিনীর বেপরোয়া গ্রেপ্তার, নির্বিচার দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার, মামলা ও গুমের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়।

            দেশের বিভিন্ন জেলায় র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনা ও আনসার বাহিনীসহ সরকারের ভয়াবহ নিপীড়নে হাজার হাজার মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কুমিল্লাসহ প্রায় সব জেলায় মামলা ও গ্রেপ্তার চলে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরাও গুম ও গ্রেপ্তারের শিকার হন।

            বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম সরকারি বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। তাকে অপহরণ করে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। পরে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় ডিবির সদস্যরা।

            জনগণের মৌলিক অধিকার ও তথ্যপ্রবাহের স্বাধীনতা উলঙ্গভাবে উপেক্ষা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্সরশিপ আরোপ করে শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রকে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল।


            তথ্যসূত্র:

            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, আহত ১৬৫: আইএসপিআর



              রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন হয়েছে।

              মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

              আইএসপিআরের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।

              এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। এর বাইরে গুরুতর আহত ৭৮ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

              সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে, যার বেশিরভাগই শিশু। এ ঘটনায় আজ দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।


              তথ্যসূত্র:


              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                বর্বর ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় ক্ষুধার্ত আরও এক শিশু শহীদ



                ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসন, অবরোধ ও সহায়তা-সংকট মিলিয়ে মানবিক বিপর্যয় দিনে দিনে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সর্বশেষ ঘটনায় ৪ বছর বয়সী রেজ্জান আবু জাহির অপুষ্টিজনিত জটিলতায় শহীদ হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকেরা বলছেন—দীর্ঘ ক্ষুধা ও তীব্র পুষ্টিহীনতা এই মৃত্যুর মূল কারণ।

                ২২ জুলাই, সোমবার প্রকাশিত বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও সরকারি সংবাদমাধ্যম ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ইসরায়েল আরোপিত মানবিক সহায়তা অবরোধের ফলে খাদ্য ও চিকিৎসা প্রবাহ প্রায় থমকে যাওয়ায় গাজার শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি বিস্ফোরক হারে বাড়ছে।

                একই দিনে গাজাজুড়ে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন, অন্তত ১১ জন নিহত হন সহায়তার জন্য লাইনে অপেক্ষার সময়। এদিনই ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দক্ষিণ ও পূর্ব দেইর আল-বালাহ এলাকায় প্রথমবারের মতো ঢুকে পড়ে, সংকটাপন্ন বেসামরিক অঞ্চলগুলোকে সরাসরি সংঘর্ষের মুখে ঠেলে দেয়।

                ওয়াফা জানায়, রেজ্জান আবু জাহিরকে গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন—দীর্ঘদিনের খাদ্যঘাটতি, পুষ্টিহীনতা ও তার জটিলতায় তার মৃত্যু হয়েছে। শুধু এই এক পরিবার নয় হাসপাতালে শত শত ছোট-বড় রোগী ক্ষুধা, দুর্বলতা ও অপুষ্টির চিকিৎসার অপেক্ষায়—কিন্তু পর্যাপ্ত শয্যা, ওষুধ বা পুষ্টি-সহায়তা নেই। অনুমান করা হচ্ছে গাজায় বর্তমানে প্রায় ১৭ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে, শারীরিক ক্ষয়ের পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত—অনেক শিশু ট্রমা, উৎকণ্ঠায় ভুগছে।

                জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ আগেই সতর্ক করেছে মার্চ থেকে জুন—মাত্র তিন মাসে—পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের অপুষ্টির হার দ্বিগুণ হয়েছে, যার পেছনে প্রধান কারণ মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হওয়া।

                ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৯,০২৯ জন শহীদ এবং ১,৪২,১৩৫ জন আহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ ইসরায়েলে হামলায় আনুমানিক ১,১৩৯ জন শহীদ এবং ২০০-র বেশি মানুষ বন্দী হন—সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হওয়া সংঘাত এখন আঞ্চলিক মানবিক দুর্যোগে রূপ নিয়েছে।

                তথ্যসূত্র:
                1. Baby and child die from malnutrition in Gaza
                https://tinyurl.com/2zwhrct6
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X