Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৫ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ৩১ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৫ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ৩১ জুলাই, ২০২৫ ঈসায়ী​

    জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়কে লাল কার্ড দেখিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ



    ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়কে লাল কার্ড দেখিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মূল্যবোধের স্বার্থে ঢাকায় স্থাপিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন অবিলম্বে বাতিল করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তারা। বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক ‘লালকার্ড সমাবেশ’ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়কে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

    সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মনে করি- জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধুনিক ভার্সন। এটি দেশে অবস্থান করলে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল হবে। মূল্যবোধ নষ্ট হবে। সমকামিতার মত জঘন্য বিকৃতি ও অপরাধকে বৈধতা দেয়া হবে। পতিতাবৃত্তির নামে নারী নিপীড়ন ও নারী পাচারকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা হরণ হবে। এককথায়, দেশের মানুষের সাথে এক ধরণের আদর্শিক কনফ্লিক্ট (সংঘাত) তৈরি হবে।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ উপস্থিত হয়েছি জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের সাথে সরকার যে চুক্তি করেছে, লাল কার্ড দেখানোর মাধ্যমে সেটি বাতিলের দাবিতে। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে- বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থাকবে না।

    শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সরকার কারো সাথে আলোচনা না করে বিদেশী পরামর্শে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করে দেশের নানান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে বিদেশীদের হাতে দিয়ে দিতে চাইছে। এখন আবার ‘নন ডিসক্লোজার এ্যাগ্রিমেন্ট’ এর নামে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানী-রপ্তানীসহ দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বকে আমেরিকার কাছে বিকিয়ে দিতে চাইছে! অথচ এদেশের ছাত্রজনতার জুলাইয়ের রক্তাক্ত আন্দালনটি ছিল ফ্যসিবাদ ও ভারতীয় তথা বৈদেশিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি- সরকার জুলাইয়ের আকাক্সক্ষাকে বাদ দিয়ে দেশকে আবারো বৈদেশিক আধিপত্যবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সংস্কারের নামে দেশকে আমেরিকানাইজেশন করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তারই অংশ!

    সমাবেশ থেকে ৩ দফা দাবী পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো – ১. জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অফিসের অনুমোদন বাতিল করতে হবে। ২. অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান করে অর্থাৎ সরকার এলজিবিটিকিউ বা সমকামিতা ও পতিতাবৃত্তিকে সমর্থন করে না- শিক্ষার্থীদেরকে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। ৩. আমেরিকার সাথে ‘নন ডিসক্লোজার এ্যাগ্রিমেন্ট’ নামক অধিনতামূলক গোপন চুক্তি করা যাবে না।


    তথ্যসূত্র:
    ১. ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড
    https://tinyurl.com/4k47yvpr
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীতে তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য সঙ্কট: গাজার আগ্রাসনে প্রায় ৫০ আত্মহত্যা



    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীতে মানসিক স্বাস্থ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গাজা আগ্রাসন শুরুর পর অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সেনা আত্মহত্যা করেছে। ৩০ জুলাই, বুধবার ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মোট ১৭ জন সেনা আত্মহত্যা করেছে, যাদের মধ্যে ৭ জন গাজা যুদ্ধ শুরুর পরপরই নিজেদের জীবন শেষ করে। আর ২০২৪ সালের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত আরও ২৪ জন সেনা আত্মহত্যা করেছে। সামগ্রিকভাবে যুদ্ধকালীন সময়ে প্রায় ৫০ সেনা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।

    হারেৎজের প্রতিবেদনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় ভয়াবহ ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে মনোরোগ চিকিৎসক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, এবং সমাজকর্মীদের সংকট এতটাই প্রকট যে, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরা বহু সেনা বা দায়িত্বরত সদস্য সময়মতো চিকিৎসা পাচ্ছে না।

    যেসব ইউনিট ‘নিহত সেনাদের মরদেহ শনাক্তে’ কাজ করে, সেখানকার সদস্যদের মধ্যে মানসিক ট্রমা এবং পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার অনেক বেশি। সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, প্রতি মাসেই শত শত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সেনাকে পুনর্বাসন শাখায় ভর্তি করাতে হচ্ছে।

    দখলদার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৮৯৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ছয় হাজার ১৩৪ জন আহত হয়েছে। যদিও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বহুগুণ বেশি কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ বরাবরের মত এ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে আসছে। এমনকি অনেক পরিবার দাবি করছে, নিহত সেনার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।


    1. Nearly 50 Israeli soldiers commit suicide since Gaza war: Report
    -https://tinyurl.com/y2j2dxjt
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দিল্লিতে ‘জিন্স জিহাদ’-এর অভিযোগ তুলে মুসলিম দর্জিদের ব্যবসা বন্ধ করল প্রশাসন


      সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিল্লির খ্যালা এলাকায় ‘জিন্স জিহাদ’-এর অভিযোগ তুলে মুসলিম দর্জিদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লির শিল্পমন্ত্রী ও স্থানীয় বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসা।

      গত ৩০ জুলাই ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে খ্যালা ও আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছিল একটি জমজমাট জিন্স প্রস্তুত শিল্প। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হাজার হাজার মুসলিম দর্জি এখানে কাজ করতেন। এই শিল্পে হিন্দু ও শিখ ব্যবসায়ীরাও যুক্ত ছিলেন। ২০২১ সালে সরকারিভাবে খ্যালাকে একটি শিল্পাঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়।

      কিন্তু ২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে মন্ত্রী সিরসা দাবি করতে শুরু করে যে, এই শিল্পে ‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী’ কাজ করছে এবং মুসলিমরা পরিকল্পিতভাবে এলাকা থেকে হিন্দু ও শিখদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটিকে সে ‘জিন্স জিহাদ’ বলে উল্লেখ করেছে। তার এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে।

      এরপর থেকেই খ্যালা ও আশপাশের এলাকায় ‘অবৈধ ব্যবসা’র নামে শুরু হয় দোকান বন্ধের অভিযান। অভিযানে বহু ছোট-বড় জিন্স কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে কয়েক হাজার দরিদ্র মুসলিম শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। অনেকেই বাধ্য হয়ে তাদের নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। কিছু ব্যবসায়ী ভয়ে নিজেরাই কারখানা গুটিয়ে ফেলেছেন।

      এ ঘটনায় এই মন্ত্রী দাবি করেছে যে, সে এলাকার নিরাপত্তা ও নিয়ম শৃঙ্খলার স্বার্থেই কাজ করছে। স্থানীয় বহু বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী বলছেন, এটি একটি সাম্প্রদায়িক প্রচার, যার বাস্তব ভিত্তি নেই। স্থানীয় শিখ ও হিন্দু বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মুসলিমদের সঙ্গে বহু বছর ধরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করছেন এবং কখনও কোনো সমস্যা হয়নি। একজন শিখ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই শিল্পের জন্যই এলাকার সম্পত্তির দাম বেড়েছে। এখানে কারও সঙ্গে আমাদের সমস্যা নেই।’

      জিন্স প্রস্তুতকারক আবিদ খান নামে একজন জানিয়েছেন, আগে যেখানে ১৫,০০০-এর বেশি শ্রমিক কাজ করতেন, এখন সেখানে মাত্র কয়েকশ’ শ্রমিকও নেই। যারা রয়ে গেছেন, তাদের কাজ প্রায় প্রতিদিনই বন্ধ থাকে সরকারি পরিদর্শনের কারণে। বদায়ুঁনের দর্জি শানু খান বলেন, ‘এখানে আর কাজ নেই, ধাবাগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমাকে নয়ডা গিয়ে কাজ খুঁজতে হবে।’ আরেক দর্জি আমান পাঠান বলেন, ‘ওরা যা খুশি বলতে পারে, কারণ ওরাই তো ক্ষমতায়।’

      স্থানীয় হিন্দু ব্যবসায়ী শ্রিকান্ত পোদওয়াল জানিয়েছেন, তিনি খ্যালা এলাকায় কখনও বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা শ্রমিক দেখেননি। তিনি জানান, ‘সবাই উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা দরিদ্র মানুষ।’


      তথ্যসূত্র:
      1. ‘Jeans jihad’: How Delhi’s industries minister shut down a booming, Muslim-dominated garment hub
      https://tinyurl.com/3ycjuy3d
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজায় একদিনে ৭১ জন ত্রাণপ্রার্থীকে শহীদ করল দখলদার ইসরায়েল



        যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ আনতে গিয়ে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। ৩০ জুলাই, বুধবার ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৭১ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিজনিত কারণে মারা গেছে আরো সাতজন।

        গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার উত্তর গাজায় প্রবেশকারী ত্রাণ ট্রাকগুলো জিকিম ক্রসিং পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৫১ জন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৪৮ জনের বেশি মানুষ।

        নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে তথাকথিত মোরাগ করিডোরের কাছে সাহায্যের জন্য আসা আরো ২০ জন শহীদ হয়েছেন।

        গত মে মাসের শেষের দিকে অভিযান শুরু করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দখলদার ইসরায়েল সমর্থিত জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ স্থান পরিণত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে। জিএইচএফ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

        গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টিতে ৮৯ জন শিশুসহ ১৫৪ জন মারা গেছেন। যার বেশিরভাগই মারা গেছেন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে। জাতিসংঘ বলছে, মৌলিক মানবিক চাহিদা মেটাতে গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন। গত চার দিনে মাত্র ২৬৯টি ট্রাক ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে।


        1. More than 70 aid seekers killed as starvation worsens in Gaza
        -https://tinyurl.com/3skr4frv
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আরও দুই কাশ্মীরি যুবককে শহীদ করেছে ভারতীয় বাহিনী


          কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় তথাকথিত একটি নিরাপত্তা অভিযানের সময় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে আরও দুই কাশ্মীরি যুবক শহীদ হয়েছেন।

          কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের খবরে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুলাই জেলার কাসিলিয়ান ও আশপাশের এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় দখলদার বাহিনী দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই অভিযান চলমান ছিল। ভারতীয় বাহিনী দাবি করেছে যে, ওই দুই যুবক একটি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।

          স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীর দাবি নাকচ করে জানিয়েছেন, নিহত যুবকরা নির্দোষ ছিলেন এবং কোনো সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন না। তাদের অভিযোগ, এটি ছিল একটি ‘সাজানো হত্যা’।

          রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার সংসদে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে চলমান বিতর্ক এবং রাজনৈতিক চাপ থেকে দৃষ্টি সরাতেই এই ধরনের ভুয়া এনকাউন্টারের আশ্রয় নিচ্ছে।

          উল্লেখ্য যে, এ ঘটনার মাত্র দু’দিন আগে, শ্রীনগরের দাচিগাম এলাকায় আরও একটি সাজানো সংঘর্ষে তিন কাশ্মীরি যুবককে হত্যা করে ভারতীয় বাহিনী।


          তথ্যসূত্র:
          1. Indian forces martyr two more Kashmiri youth in Poonch
          https://tinyurl.com/mubfyn5u
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়ন করছে আরাকান আর্মি



            মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে দেশটির জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

            প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় রোহিঙ্গাদের চলাচলে কারফিউ আরোপ, বাড়ি-ঘর লুটপাট, খামারে জোরপূর্বক শ্রম, আটক ও নির্যাতন এবং জোরপূর্বক তাদের বাহিনীতে ভর্তি করানো হচ্ছে।

            ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর কয়েকটি এলাকা দখল করে আরাকান আর্মি। শুরুতে তারা অংশগ্রহণমূলক ও ন্যায় শাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে রোহিঙ্গারা আরও কঠোর নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে। সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক এলেইন পিয়ারসন বলেন, ‘আরাকান আর্মিও এখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মতোই বৈষম্যমূলক ও দমনমূলক নীতি অনুসরণ করছে।’

            বুথিডং থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, তাদের অনুমতি ছাড়া মাছ ধরা, কৃষিকাজ বা বাড়ির বাইরে চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। খাদ্য সংকট এত তীব্র ছিল যে, মানুষ একে অপরের কাছে ভিক্ষা করে জীবনযাপন করত।

            সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জমি, গবাদিপশু, মাছ ধরার সরঞ্জাম এবং কবরস্থানও দখল করেছে। একাধিক গ্রামবাসীর ভাষ্যে, ধানক্ষেতে দাফনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

            এক রোহিঙ্গা জনান, ‘গত এক বছরে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ পাঁচবার আশ্রয় বদলাতে হয়েছে। গ্রাম থেকে গ্রামে যাতায়াতের জন্য আরাকান আর্মির অনুমতিপত্র প্রয়োজন, যা খুবই কম দেওয়া হয়।’ রোহিঙ্গারা জানান, বুথিডংয়ের গ্রামগুলোর মধ্যে যাতায়াতের জন্য এক দিনের অনুমতির দাম প্রায় ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ কিয়াট (১.৪০-২.৪০ মার্কিন ডলার) এবং অনুমতিপত্রে আরাকান সেনাবাহিনী বা তাদের রাজনৈতিক শাখার স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।

            তারা আরও জানান, ‘আরাকান সেনাবাহিনী কারফিউ জারি করেছে। কারফিউ চলাকালে কাউকে বাড়ির বাইরে পেলে সঙ্গে সঙ্গে ধরে নিয়ে যায়, তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায় না।’

            এক রোহিঙ্গা শ্রমিক বলেন, ‘আমি আরাকান আর্মির দেওয়া যেকোনো কাজ করতাম। প্রথমে তারা অর্ধেক বেতন দিত, পরে একেবারেই বেতন দেয়া বন্ধ করে দেয়।’

            তিনজন রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, তারা তাদের সন্তানদের, যাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল তাদেরকে আরাকান সেনাবাহিনীর জোরপূর্বক নিয়োগ থেকে রক্ষা করতে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।

            ৬২ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধ জানান, এপ্রিল মাসে কিন তাউং গ্রামের প্রশাসক তার ছেলেকে জোরপূর্বক আরাকান আর্মিতে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করে। তারা জোর করে যোগ দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছিল, আমি প্রতিনিয়ত ভয় পেতাম। ওরা দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে। আমার ছেলে ভয় পেয়ে ৪৫ দিন আগে গ্রাম ছেড়ে পালায়, তারপর থেকে সে নিখোঁজ।

            আরাকান আর্মি ছেলেকে না পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে এবং আরও দুজনের সঙ্গে ৩৫ দিন ধরে আটক রাখে। তিনি জানান, ‘তারা আমাকে নিয়মিত মারধর করত। শেষে আমি প্রতিশ্রুতি দেই যে, আমার ছেলেকে তাদের কাছে নিয়ে যাব, তখন তারা আমাকে মুক্তি দেয়। পরবর্তীতে আমি আত্মগোপনে চলে গেলে আরাকান আর্মি আমার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশে পালানো ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না।’

            ২০২৪ সালের মে মাসে নগা ইয়াত চাউং গ্রাম থেকে জোরপূর্বক শ্রমের জন্য অপহৃত এক ১৯ বছর বয়সী রোহিঙ্গা যুবক পাঁচ মাস আরাকান সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রায়শই সামনের সারিতে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে পাঠানো হতো। প্রতিবাদ করলে মারধর ও উপহাসের শিকার হতাম। আমরা কেন সমানভাবে আচরণ পাচ্ছি না জানতে চাইলে তারা ‘বাঙালি কালার’ বলে ডাকে, এই শব্দটি তারা মুসলিমদের গালি দেয়ার জন্য ব্যবহার করে।

            এইচআরডব্লিউ জানায়, চলমান সংঘাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি উভয়ই রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচার সহিংসতা চালিয়েছে। ২০২৪ সালের মে থেকে কক্সবাজারে নতুন করে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী নিবন্ধিত হয়েছেন, যাদের অনেকেই সহায়তা থেকে বঞ্চিত।

            সংস্থার মতে, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিলেও সেখানে নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি।


            তথ্যসূত্র:
            1. Myanmar: Arakan Army Oppresses Rohingya Muslims
            https://tinyurl.com/4dzs9haa
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              জমানো টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক; চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা




              বর্তমানে তীব্র তারল্য সংকটে দেশের কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়েও সংকট কাটাতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নিজেদের জমানো টাকা তুলতে গিয়ে পদে পদে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, কর্মকর্তাদের অসহযোগিতামূলক আচরণ এবং নানা অজুহাতে টাকা দিতে বিলম্ব করার মতো ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

              সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ই আগস্ট পতিত আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংকে আমানত তোলার হিড়িক পড়েছিল। তখন নগদ অর্থের সংকটে পড়ে ব্যাংকগুলো। সেই সংকট এখনো চলমান রয়েছে। এ কারণে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলন করতে পারছে না। এই ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হলেও সংকট পুরোপুরি কাটেনি। মূলত তারল্য সংকট এবং কিছু ব্যাংকের আর্থিক অনিয়মের কারণে গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাচ্ছে না। বিশেষ করে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে এই সংকট বেশি দেখা যাচ্ছে।

              এর আগে গত নভেম্বরে ব্যাংকে টাকার ক্রাইসিস হলে গ্রাহকদের প্রয়োজন ছাড়া টাকা না তোলার আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্ট মাসের পর তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ধার দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

              বিপাকে গ্রাহকরা: টাকা না পাওয়ায় সংসারের দৈনন্দিন কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাহকদের। চিকিৎসা ব্যয়, সন্তানের স্কুলের বেতন-ভাতা প্রদান নিয়ে গ্রাহকরা বিপাকে আছেন। কোনো কোনো ব্যাংকে তদবিরে পাঁচ/দশ হাজার টাকা মিললেও পরের সপ্তাহের আর মিলছে না। বেশ কিছু জায়গায় ব্যাংকের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকরা। কর্মকর্তারা ব্যাংকে আসতে ভয় পাচ্ছে। এ ছাড়া একাধিক ব্যাংকে গ্রাহক-কর্মকর্তা বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির মতো ঘটনাও ঘটেছে।

              ব্যাংকপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য আছে এমন অনেকে তদবির করে সামান্য টাকা তুলতে পারছেন। তবে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা পাচ্ছে না। মোটাদাগে তীব্র তারল্য সংকটে পড়েছে- গ্লোবাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, আইসিবি, ইউনিয়ন, এক্সিম, পদ্মা, ন্যাশনাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

              রাজধানীর বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সরেজমিনে গণমাধ্যমের রিপোর্টে উঠে এসেছে, টাকা না পেয়ে হতাশা আর বিরক্তি নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহককে কীভাবে সামলাবো বুঝে উঠতে পারছি না।

              মতিঝিলের এসআইবিএল’র লোকাল অফিসের সামনে গণমাধ্যমের কথা হয় কবিরুল ইসলাম নামে এক গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে আমি এসআইবিএলে সার্ভিস নিচ্ছি। কিন্তু এখন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা দেয় না। এ ছাড়া গ্রাহকদের সঙ্গে বাজে আচরণের অভিযোগ রয়েছে। কবির বলেন, একটু বসেন আসছি বলে ম্যানেজার চলে যায়। দুই ঘণ্টা পরে আসেন। আবার কোনো শাখায় ৩০ হাজার টাকার চেক নিয়ে গেলে ৫, ১০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেছে, আপাতত চলুন, আগামী সপ্তাহ থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এত মাস অতিবাহিত হলেও ঠিক হয়নি।

              সম্প্রতি, ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখায় টাকা তুলতে গিয়েছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পেনশনের পুরো টাকা জমা করেছিলাম। তার সামান্য কিছু টাকা তুলতে এসেছিলাম। সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি, দুপুর দেড়টা বেজে গেলেও টাকা দেয়নি। কখনো বলছে সার্ভার ডাউন, কখনো বলছে ক্যাশে পর্যাপ্ত টাকা নেই। আমাদের নিজের টাকা তুলতেও যদি এত কষ্ট করতে হয়, তাহলে আর ব্যাংকে টাকা রেখে লাভ কী।

              পদ্মা ব্যাংকের মৌচাক শাখায় গণমাধ্যমের কথা হয় গ্রাহক নুরুজ্জামান সৈকতের সঙ্গে। তিনি ৫০ হাজার টাকা তুলতে এসেছেন। কিন্তু তাকে দেয়া হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, আমার একটা ছোট্ট ব্যবসা আছে। এখানে কয়েকজন কর্মীও রয়েছে আমার। ব্যাংকে টাকা থাকা সত্ত্বেও এখন তাদের টাকা দিতে পারছি না।

              জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ভোগান্তি: শুধু রাজধানী নয়, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক ব্যাংকের শাখাতেও টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা ঘুরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

              ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের নবাবগঞ্জের বান্দুরা শাখায় টাকা তুলতে না পেরে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় গ্রাহকদের। সুফিয়া বেগম নামের এক গ্রাহকের ১৫ লাখ টাকা জমা ছিল। সেই টাকা তুলতে গেলে তাকে ৫/১০ হাজার নিতে বলে ব্যাংক কর্মকর্তা। আনোয়ারা বেগম নামের আরেক গ্রাহকের আমানত ছিল ৮ লাখ টাকা। সেই টাকাও তুলতে পারেনি বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

              ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকটির মিরপুর শাখায় তার প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো আমানত ছিল। শাখা থেকে টাকা না পেয়ে তিনি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে লাখ খানেক টাকার মতো তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তাও ১০-২০ হাজার করে। একবারে টাকাগুলো পাননি।

              ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধি কমছে: দেশের ব্যাংক খাতে আমানত প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মে মাস শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৭৪ শতাংশ বেশি। মার্চ পর্যন্ত আমানত কমার তালিকায় ছিল ১১টি ব্যাংক, যা মে মাসে বেড়ে ১৬টিতে পৌঁছেছে।


              তথ্যসূত্র:
              ১. গ্রাহকের জমানো টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক
              -https://tinyurl.com/3dwvvjw3
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                নওগাঁ ও পঞ্চগড় সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ২৭ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ



                ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে। বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও নারী ৯ জন। তাদের বাড়ি যশোর, নওগাঁ, সিলেট, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

                বিজিবি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিএসএফ ১০ জনকে পুশ ইন করে। অপর দিকে একই রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ৭ জনকে পুশ ইন করা হয়। পরে বিজিবির ঘাগড়া ও ভজনপুর বিওপির টহল দল পৃথক অভিযানে ১৭ জনকেই আটক করে।

                পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পঞ্চগড় সদর সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন হওয়া ১০ জনকে বিজিবি থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। আপাতত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

                এদিকে নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর। তাদের মধ্যে দুজন যুবক ও আটজন নারী।


                তথ্যসূত্র:
                ১.পঞ্চগড় ও নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ২৭ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
                -https://www.ajkerpatrika.com/bangladesh/ajp9dc1lxyxny
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X