Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৯ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৪ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৯ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৪ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    গাজায় অনাহার এবং অপুষ্টিতে ৯৪ শিশুসহ ১৮১ জনের মৃত্যু




    ৪ আগস্ট, সোমবার বর্বর ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় অনাহার এবং অপুষ্টিতে আরও ছয় জন শহীদ হয়েছে। এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহারের কারণে এখন পর্যন্ত ১৮১ জন শহীদ হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ জনই শিশু।

    এদিকে বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে গাজায় দখলদার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২১ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে।
    আল-আওদা হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং দখলদার ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে ৭ জন ত্রাণপ্রার্থী শহীদ এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছে।

    জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, রাফাহ শহরের উপকণ্ঠে আল-শাকুশ এলাকায় জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে এক নারীসহ দুজন শহীদ এবং ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

    গত সপ্তাহে দখলদার ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল যে, তারা কিছু এলাকায় যুদ্ধে ‌‘কৌশলগত বিরতি’ বাস্তবায়ন শুরু করবে যেন ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়। কিন্তু তারা হামলা স্থগিত করার কথা বললেও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন থেমে নেই।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৪ জন শিশুসহ আরও ১৮১ জন ফিলিস্তিনি অনাহার বা অপুষ্টিতে শহীদ হয়েছেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. At least 21 killed in Israeli attacks as six more die from hunger in Gaza
    https://tinyurl.com/tpdp42ju
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিম সন্দেহে হিন্দু মালিকের বেকারি পুড়িয়ে দিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা


    ভারতের মহারাষ্ট্রে এক হিন্দু ব্যক্তির বেকারিতে মুসলিম কর্মী নিয়োগের কারণে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে হিংসাত্মক উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ইসলামোফোবিয়ার বিপজ্জনক মাত্রা তুলে ধরেছে ঘটনাটি।

    গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে পুনে জেলার ইয়াভাত গ্রামে। উত্তর প্রদেশের কিছু মুসলিম কর্মচারী স্বপ্নিল আদিনাথ কদমের বেকারিতে কাজ করে। বেকারিটি একজন মুসলিম মালিকের বলে ভুয়া ধারণা থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী জনতা হামলা চালায়। এক মুসলিম যুবকের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এই হামলা চালানো হয়।

    তথ্য যাচাই না করেই একটি মসজিদের দিকে যাওয়ার পথে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে উচ্ছৃঙ্খল জনতা বেকারিতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। এতে টিনের ছাদ ফুটো হয়ে যায়। এতেও থামেনি তারা। পরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হিন্দুত্ববাদীরা।

    বেকারির প্রকৃত মালিক স্বপ্নিল কদম জানিয়েছে, উচ্ছৃঙ্খল জনতা ভিত্তিহীন সন্দেহ এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণার বশবর্তী হয়ে হামলা করেছে। তারা চিৎকার করে বলছিল, আমি কেবল আমার কর্মীদের কারণেই নাকি মুসলিম।

    এই ঘটনা ভারতে হিন্দুত্ববাদী মৌলবাদের উদ্বেগজনক মাত্রা প্রকাশ করেছে। দেশটিতে কেবল মুসলিমরাই নয়, এমনকি কিছু হিন্দুরাও মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে মেলামেশার জন্য নির্যাতনের শিকার হয়। বিজেপি-আরএসএসের প্রোপাগান্ডা কীভাবে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি করেছে আবারও তার প্রতিফলন দেখা গেল। কেবল সন্দেহ এবং ঘৃণা থেকে জীবন ধ্বংস করা হচ্ছে।

    স্থানীয় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি আশঙ্কা করছে, ভারতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ক্রমবর্ধমান মুসলিম-বিরোধী মনোভাব সামাজিক সম্প্রীতিকে বিপন্ন করে তুলছে। পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনাগুলি একটি বিপজ্জনক পথে ঠেলে দিচ্ছে, যেখানে মোদির সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনীতির উদ্দীপ্ত অন্ধ সাম্প্রদায়িক ঘৃণা নিজ দেশের নাগরিকদের গ্রাস করতে শুরু করেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Hindu man’s bakery torched over false claim of Muslim ownership
    -https://tinyurl.com/mtmunyth
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল-আকসা দখলের হুমকি ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর


      মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ আবারও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের আগ্রাসী হুমকির মুখে। পশ্চিম তীর এবং পুরো জেরুজালেমের উপর পূর্ণ দখলদারিত্ব আরোপের ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইসলামী ঐতিহ্য ও আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোকে পাশ কাটিয়ে এই ঘৃণ্য পদক্ষেপ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর জন্য এক চরম উদ্বেগের বার্তা বহন করছে।

      ৩ আগস্ট, রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইসরায়েল কাটজ দাবি করে, ‘তিসা বা’আভের দিন, দ্বিতীয় টেম্পল ধ্বংসের দুই হাজার বছর পর, পশ্চিম দেওয়াল এবং টেম্পল মাউন্ট (আল-আকসা) আবারও ইসরায়েলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে।’

      সে ওই পোস্টে আরও দাবি করে, ‘ইসরায়েলকে ঘৃণাকারীরা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে এবং আমরা জেরুজালেম, পশ্চিম দেওয়াল এবং আল-আকসা মসজিদে আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করে যাব।’

      এর আগে, ৩ আগস্ট, রবিবার আল-আকসা প্রাঙ্গনে প্রার্থনা করে বিতর্ক উস্কে দেয় ইসরায়েলের আরেক সন্ত্রাসী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরবসহ কয়েকটি মুসলিম দেশ। রয়টার্স জানিয়েছে, আল-আকসা পরিদর্শনের সময় বেন গাভিরের সঙ্গে অন্তত এক হাজার ৫০ জন ইহুদি ছিল।

      এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আল-আকসা প্রাঙ্গণের ঐতিহাসিক ‘স্থিতাবস্থা’ ব্যবস্থার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জর্ডান সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশাধিকার থাকলেও, তাদের প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ। এই চুক্তির প্রতি অবজ্ঞা করে সম্প্রতি ৩ আগস্ট রবিবার, দখলদার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে প্রার্থনা করে।

      আল-আকসা মসজিদের ওপর ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের এই নতুন আগ্রাসন কেবল একটি ভূখণ্ড দখলের প্রচেষ্টা নয়, এটি বিশ্ব মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অস্তিত্ব ও অনুভূতির ওপর সরাসরি হামলা। দখলদার ইসরায়েলের এ ধরণের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এই অবৈধ রাষ্ট্রটি শান্তি ও সহাবস্থানের ন্যূনতম নীতিও মানতে প্রস্তুত নয়।


      তথ্যসূত্র:
      1. Israel minister who led prayers at a controversial holy site has a record of provocative actions
      https://tinyurl.com/3sd38898
      2. Far-right Israeli minister prays at Jerusalem’s most sensitive holy site, breaching decades-old agreement
      https://tinyurl.com/mryk95uf
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা পূরণে অপ্রয়োজনে ব্যয় ৩৩২ কোটি টাকা



        পতিত আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ব্যক্তিগত অভিপ্রায়’ পূরণে কেনা হয় রাজধানীর পুরান ঢাকার ‘রোজ গার্ডেন’ নামে বাড়িটি। বাড়িটি কিনতে রাষ্ট্রকে গুনতে হয় ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে শতকোটি টাকা মূল্যের বাড়িসহ গুলশানের এক বিঘা জমির মালিকানা ছাড়তে হয় সরকারকে।

        বাড়িটি কেনা, দলিল ও অর্থ পরিশোধ থেকে শুরু করে পরতে পরতে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টা জানিয়েছে, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছাপূরণে সরকারি ক্রয় আইনসহ প্রচলিত তিনটি আইন ও বিধি লঙ্ঘন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এ-সংক্রান্ত নথি আমরা যতই পর্যালোচনা করছি, ততই বিস্মিত হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতার নজিরবিহীন অপপ্রয়োগ করে।

        গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি বাড়ি কেনা ও বিনিময়ে আরেকটি বাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রচলিত সব আইন ও বিধি-বিধান ভঙ্গ করা হয়েছে।

        গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে ‘পুরাকীর্তি’ দেখিয়ে রাষ্ট্রের ৪০০ কোটি টাকার বেশি গচ্চা দেওয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহমেদ ও মোহাম্মদ শহীদ উল্লা খন্দকার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। এছাড়া অর্থছাড়ের সময় এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয় পলাতক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বাড়িটি কেনার পর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে নিয়ে নেয় তৎকালীন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বাড়িটি কেনার সময় নথিতে রোজ গার্ডেন হিসেবে দেখানো হলেও আসলে এটি ছিল ‘রশিদ মঞ্জিল’। বাড়ির মূল মালিক হুমায়ূন রশিদের নাম অনুসারে নামফলকেও রশিদ মঞ্জিল লেখা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

        হাসিনার ইচ্ছাপূরণে মন্ত্রীদের ভূমিকা

        গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৮ সালের শুরুতে শেখ হাসিনা নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে রোজ গার্ডেন নামের বাড়িটি সরকারের অনুকূলে অধিগ্রহণের নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনাপত্রে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বাড়িটি ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) গঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। হাসিনার এমন অভিপ্রায় তুলে ধরে কাজী আব্দুর রকিবের মালিকানাধীন বাড়িটি অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়ে ওই বছরের ৪ এপ্রিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে একটি পত্র দেয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

        গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-১০ বাড়িটি কেনার বিষয়ে ২৫ পৃষ্ঠার একটি নথি (নোট শিট) তৈরি করে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা সারসংক্ষেপ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হলে হাসিনা তাতে তাৎক্ষণিকভাবে অনুমোদন দেয়।

        বাড়িটির দামের বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ওই সময়কার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, যেহেতু এটি ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি, তাই এর প্রকৃত মূল্য যাচাই করার জন্য সরেজমিন যাই। সেখানে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও খোঁজ নিয়ে বাড়িটির দাম ১০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বাড়িটির মালিকদের সঙ্গে এভাবেই কথা চূড়ান্ত হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগকে পাশ কাটিয়ে মন্ত্রী আনিসুল হকের হস্তক্ষেপের বিবরণ তুলে ধরা হয় নথিতে। সেই সঙ্গে ১০৫ কোটি টাকার বাড়ি ৩৩২ কোটি টাকা দিয়ে কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে। টাকা ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত সবগুলো আইন লঙ্ঘন করে। এক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার কথা তুলে ধরা হয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নোটের সারসংক্ষেপে। দফায় দফায় বাড়িটির দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে পলাতক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিশেষ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নথিতে।

        দফায় দফায় বাড়ে বাড়িটির দাম

        বাড়িটি কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর এর দাম নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও আশপাশের এলাকা ও অন্যান্য জমির দাম পর্যালোচনা করে বাড়িটির দাম ১০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা হতে পারে বলে প্রতিবেদন দেয়। পরবর্তীতে বাড়িটির মালিকের আপত্তি ও তার অমতের কথা উল্লেখ করে দাম ২১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ধার্য করা হয়।

        বাড়িটি কেনার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ২৪ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ পাঠায়। শেখ হাসিনা ওই সারসংক্ষেপ অনুমোদন করে বাড়িটি কেনার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৩৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বাড়ির মালিককে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে উল্লেখ করে গুলশানের ১১৬ নম্বর রোডের সিইএস (এ)-৮-এর ১১ নম্বর হোল্ডিংয়ের এক বিঘা (২০ কাঠা) আয়তনের সরকারি বাড়িটি বরাদ্দের নির্দেশ দেয়। তবে বাড়ির মালিককে ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ২১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ধার্য করার পর ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়ে নথিতে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

        প্রকৃতপক্ষে রোজ গার্ডেনের মালিক মৃত কাজী আব্দুর রকিবের পরিবার কত টাকা বুঝে পায়, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। আব্দুর রকিবের স্ত্রী ও তিন সন্তানের নামে বরাদ্দ দেওয়া গুলশানের বাড়িতে সরেজমিনে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেখানে একটি ডেভেলপার কোম্পানি নির্মাণকাজ করছে। ডেভেলপার কোম্পানির মাধ্যমে জমির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।


        তথ্যসূত্র:
        ১. হাসিনার ইচ্ছাপূরণে গচ্চা ৩৩২ কোটি টাকা
        https://tinyurl.com/7bhhw87z
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ: রাজনীতি ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আল জাজিরার ডকুমেন্টারি


          সাম্প্রতিককালে ভারত থেকে বাংলাভাষী মুসলিমদের ব্যাপকহারে বহিষ্কার করা হচ্ছে, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হচ্ছে, আটক করে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হচ্ছে। মুসলিমদের ওপর এই দমন-পীড়নের পেছনে রয়েছে ভারতের উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির দীর্ঘদিনের মুসলিমবিদ্বেষী রাজনীতি এবং গণমাধ্যমে মুসলিমদের ‘শত্রু’ হিসেবে উপস্থাপনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পিত প্রচারণা। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় সম্প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে, কীভাবে এবং কেন ভারতের মুসলিমরা নির্যাতনের এবং দেশ থেকে বিতাড়নের শিকার হচ্ছেন।

          ভারতে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের মুসলিমবিদ্বেষী রাজনৈতিক বক্তব্য এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে যেভাবে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, তাকে খুবই উদ্বেগজনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো এই সমস্যার একটি বড় অংশীদার।

          ভারতে মুসলিমদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন করা হচ্ছে, বিশেষ করে বাঙ্গালি মুসলিমদের। তাদের শুধু ঘর থেকেই নয়, দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। এর শুরু ছয় বছর আগে। ভারতের নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি হালনাগাদের কাজ শুরুর পর থেকে। তখন ভারতে জন্ম, বড় হওয়া ও নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও সেই তালিকায় অনেকেরই নাম উঠেনি, অথবা উঠানো হয়নি। এর সূত্র ধরে তাদের প্রতিবেশি বাংলাদেশে গণহারে বিতাড়ন করছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

          এখন থেকে এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার মুসলিমদের সাথে অমানবিক আচরণ করছে, বিশেষ করে যারা বাঙালি। তাদেরকে বলা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী। বেশিরভাগ ভারতীয় গণমাধ্যমে এই সংখ্যালঘুদের সংখ্যাগুরু হিন্দুদের জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এটা বিজেপির বৃহত্তর রাজনৈতিক লক্ষ্যের একটি; তারা এটা করছে আইনের দোহাই দিয়ে। এজন্য তারা বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জীকে ব্যবহার করছে।

          প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১০ বছরের বেশি সময়ের শাসনে, ভারতের মুসলিমদের সাথে অভ্যন্তরীণ শত্রুর মতো আচরণ করা হচ্ছে। আসামে কথিত অবৈধ অভিবাসী ধরার অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে বাঙালি মুসলিমদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান আসাম ছাড়িয়ে অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে ভারতজুড়ে মুসলিমদের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

          সংবাদমাধ্যম স্ক্রলের রাজনৈতিক সম্পাদক শোয়েব দানিয়াল আল জাজিরাকে বলেন, কোন বাঙালি যদি মুসলিম ধর্মাবলম্বী হন, তাহলে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়, তাকে পুলিশের কাছে নাগরিকত্ব প্রমাণ দিতে হয়। অনেকে সময় পুলিশ তাদের নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়। এ কারণে অনেক ভারতীয় মুসলিমকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য আতঙ্কে মুম্বাই, গুজরাট, উড়িষ্যা থেকে অনেক বাঙালি শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসছে।

          ভারতের গণমাধ্যমগুলো নাগরিকত্ব প্রমাণের এই প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করে সংবাদ প্রচার করছে। ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিনের সম্পাদক বৈষ্ণা রয় বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা মুসলিমদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না।’

          সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা পরান গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই হিন্দু। আর সেখানে ১৪ শতাংশ মুসলিম। সরকারের নাগরিকপঞ্জি প্রকল্প তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছে।’

          মুসলিমদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে সুবিধা হয়। মুসলিমরা হিন্দুদের জন্য হুমকি, এটা বলে রাজনীতিবিদরা সংখ্যাগুরু হিন্দুদের মগজ ধোলাই করছেন। একটি দেশ যেখানে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন হিন্দু; সেখানে তাদের এই কৌশল দারুণভাবে কাজ করে।

          বিজেপির এই রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশটির গণমাধ্যম। দেশটিতে চার শতাধিক সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। এগুলো বেশিরভাগই নির্ভর করে সরকারের বিজ্ঞাপনের ওপর। আর এ কারণে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারকে সমর্থন করতে একে অপরের সাথে পাল্লা দেয় চ্যানেলগুলো। প্রচার করে বিজেপির মুসলিম বিদ্বেষী নীতি: ‘মুসলিমরা হিন্দুদের জন্য হুমকি।’

          তবে অভিযোগ প্রমাণ করতে গেলে, তা আর ধোপে টেকে না। বৈষ্ণা রয় বলেন, ‘হিন্দুরা অবশ্যই সংখ্যাগুরু। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে, শিক্ষায় সবক্ষেত্রে হিন্দুরা এগিয়ে। কাজেই হিন্দুরা হুমকির মুখে এটা একেবারেই ভুল ধারনা।’

          শোয়েব দানিয়াল বলেন, ‘যদি ২৪ ঘণ্টা একই জিনিস প্রচার করা হয়, তাহলে কেউ কেউ তো তা অবশ্যই বিশ্বাস করবে। মূলধারার গণমাধ্যমগুলো পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলেছে।’

          বুলডোজার দিয়ে মুসলিমদের বাড়ি, মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসাম, দিল্লি, মুম্বাই সব জায়গাতেই মুসলিমরা এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এসব বাড়ি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার কোন আইনী বৈধতা বেশিরভাগ সময়েই থাকে না। মুসলিমদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াকে হিন্দুরা ন্যায়বিচার বলে মনে করছে।

          শোয়েব জানান, ‘মৌলিক আইনী সুবিধা পাচ্ছেন না মুসলিমরা। তাদের গণহারে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষ ভারতের রাজনীতির একটা অংশ।’

          রাজনীতি বিষয়ক সাংবাদিক ফাতিমা খান বলেন, এই ‘বুলডোজার জাস্টিস’ গণমাধ্যম খুব দ্রুত গ্রহণ করেছে এবং তা প্রচার করছে এটা খুবই হতাশাজনক।

          পরান গুহ ঠাকুরতা বলেন, এই বুলডোজার এখন হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Inside India’s expulsion of Bengali Muslims
          https://tinyurl.com/47cfr469
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় একদিনে ১১৭ জন শহীদ, আহত ৮৬৬


            গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নির্মম হামলা ও অবরোধে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩ আগস্ট, রবিবার ইসরায়েলি হামলায় ১১৭ জন শহীদ এবং ৮৬৬ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ৬০,৮৩৯ জন ফিলিস্তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন, যার মধ্যে ১,৪৮৭ জন খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।

            ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার বর্বর ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া, ১০,৫৭৮ জন আহত হয়েছেন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিবর্ষণের ফলে। মার্চ ১৮, ২০২৫ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের গণহত্যা তীব্রতর করার পর থেকে ৯,৩৫০ জন নিহত এবং ৩৭,৫৪৭ জন আহত হয়েছেন।

            গাজার বিভিন্ন এলাকায় এখনও অনেক লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যা উদ্ধার করতে ফিলিস্তিনি রেসকিউ টিমগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলা, আর্টিলারি শেলিং এবং স্নাইপার ফায়ারের কারণে উদ্ধার কাজও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

            ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, গাজায় ৫০০-৬০০ ট্রাক খাদ্যসামগ্রী প্রতিদিন প্রয়োজন, কিন্তু ইসরায়েলের বাধার কারণে তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ৯৩ শিশু এবং ৮২ প্রাপ্তবয়স্ক অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।

            ইসরায়েলি সৈন্যরা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে গুলি চালিয়ে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মে ২৭ থেকে জুলাই ৩১ পর্যন্ত ৮৫৯ জন ফিলিস্তিনি খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সৈন্যদের হাতে শহীদ হয়েছেন।


            তথ্যসূত্র:
            1. Gaza: Hospitals receive 117 martyrs, death toll climbs to 60,839
            https://tinyurl.com/2mr9stjr
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে বিপুল মাছ-ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলে আটক



              বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল ভারতীয় ১৪ জেলে। এসময় অনুপ্রবেশের অপরাধে এফবি পারমিতা নামের ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ তাদের আটক করেন যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা বিষখালীর নৌসেনারা।

              জানা গেছে, রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ট্রলারটি বাগেরহাটের দিগরাজে নৌবাহিনীর মোংলা নৌঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রলারটিতে থাকা ইলিশসহ বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ নিলামে বিক্রি করা হবে।

              এবং ট্রলারসহ আটক জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হবে। এর আগে গত শনিবার রাতে (২ আগস্ট) তাদের আটক করা হয়।

              গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়। এর আগে গত ১৪ জুলাই বঙ্গোপসাগরের একই এলাকা থেকে এফবি ঝড় ও এফবি মঙ্গল চন্ডী নামে দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছিল নৌবাহিনী।


              তথ্যসূত্র:
              ১. বঙ্গোপসাগরে বিপুল মাছ-ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলে আটক
              https://tinyurl.com/yu4rf9c4
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সাতক্ষীরা সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী


                সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছররা গুলিতে শেখ আলমগীর হোসেন আলম (৩৫) নামের এক ঘের ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। সোমবার (০৪ আগস্ট) ভোরে সীমান্তবর্তী লক্ষীদাঁড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

                আহত আলমগীরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের শেখ সাঈদ হোসেনের ছেলে।

                আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান, বাড়ির পাশের কুমড়োর খালের ধারে শূন্যরেখা বরাবর তার একটি মাছের ঘের রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে ঘেরটি তলিয়ে যাওয়ায় সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ঘেরে নেট দিতে গেলে ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ছররা গুলি ছোড়ে। এতে তার মাথা, মুখ, ডান চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে।

                সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ বি এম আক্তার মারুফ গণমাধ্যমকে বলেন, আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে, তাকে ভর্তি করা হয়েছে।


                তথ্যসূত্র:
                ১. ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আহত
                https://tinyurl.com/duzpuy2y
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সাতক্ষীরা সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী



                  সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছররা গুলিতে শেখ আলমগীর হোসেন আলম (৩৫) নামের এক ঘের ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। সোমবার (০৪ আগস্ট) ভোরে সীমান্তবর্তী লক্ষীদাঁড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

                  আহত আলমগীরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের শেখ সাঈদ হোসেনের ছেলে।

                  আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান, বাড়ির পাশের কুমড়োর খালের ধারে শূন্যরেখা বরাবর তার একটি মাছের ঘের রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে ঘেরটি তলিয়ে যাওয়ায় সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ঘেরে নেট দিতে গেলে ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ছররা গুলি ছোড়ে। এতে তার মাথা, মুখ, ডান চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে।

                  সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ বি এম আক্তার মারুফ গণমাধ্যমকে বলেন, আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে, তাকে ভর্তি করা হয়েছে।


                  তথ্যসূত্র:
                  ১. ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আহত
                  https://tinyurl.com/duzpuy2y
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X