Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১১ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৬ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১১ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৬ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    অভ্যুত্থানের এক বছর পরও নিহতের আসল সংখ্যা নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’; মিলছে না সঠিক হিসাব



    কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন। একদিকে সরকারের বল প্রয়োগ, অন্যদিকে ছাত্র জনতার অনড় অবস্থান। এর মধ্যেদিয়ে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আমলের। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো আন্দোলন ঘিরে এতো প্রাণহানি ও রক্তপাতের ঘটনা দেখা যায়নি। কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান ঘিরে ঠিক কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেটি নিয়েও নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কেননা, সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যে গেজেট তৈরি করেছে, তাতে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৮৪৪ জন। গেজেটে যাদেরকে ‘শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে সরকার।

    অন্যদিকে, এই আন্দোলন ঘিরে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রায় ১৪০০ জন। সরকারের তালিকা ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যায় এতটা পার্থক্য কেন সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সরকারের হিসাব বলছে, আন্দোলনে নিহত যে ৮৪৪ জনের নামে গেজেট করেছে সেখানেও কারো কারো নাম একাধিকবার এসেছে। সে কারণে তালিকায় কাঁটাছেড়াও করতে হচ্ছে।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী বলেছেন, ‘গেজেট আকারে তালিকা প্রকাশের পর আমাদের কাছে অভিযোগও এসেছে। যেগুলো আমরা তদন্ত করছি। এমন কিছু নাম গেজেট থেকে বাতিল হচ্ছে।’ জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও সরকারের তালিকায় এই তফাৎ নিয়েও দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।

    সরকারি গেজেটেও হচ্ছে কাঁটাছেড়া

    শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ গত বছরের ২১ ডিসেম্বর। সেই তালিকায় নিহতের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ৮৫৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ছিল তালিকায় ১১ হাজার ৫৫১ জন। ডিসেম্বরেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের কল্যাণ এবং যাবতীয় বিষয়াদির প্রশাসনিক দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরে গত ১৬ই জানুয়ারি নিহতদের তালিকা নিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    প্রকাশিত প্রথম গেজেটে সারাদেশের নিহত ৮৩৪ জনকে ‘শহীদ’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের নাম পরিচয়ও তুলে ধরা হয় সরকারি গেজেটে। এর প্রায় ছয়মাস পরে চলতি বছরের ৩০ জুন আবারো তালিকা হালনাগাদ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যেখানে নিহতের সংখ্যা ১০ জন বাড়িয়ে ৮৪৪ জনের নামের হালনাগাদ গেজেট প্রকাশ করা হয়। দুই দফায় গেজেট প্রকাশের পর সরকারের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে নিহতদের কারো কারো নাম দুইবার যুক্ত করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ অন্য হামলায় নিহত হলেও তাদের নাম এসেছে গেজেটে।

    গণঅভ্যুত্থানের প্রায় এক বছরের মধ্যেও কেন একটি নির্ভুল তালিকা প্রণয়ন করা গেলো না সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। গবেষক ও বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নিহত ও আহতদের তালিকা নিয়ে শুরু থেকে খুব তোরজোড় থাকলেও এখন ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে। এখন সঠিক তালিকা তৈরি করতে যত দেরি হবে তত শঙ্কা দেখা দেবে।’

    জাতিসংঘের রিপোর্টের সাথে পার্থক্য

    বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় বা ওএইচসিএইচআর’র এই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টে প্রায় ১৪০০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে রাইফেল ও শটগানের গুলিতে।

    এতে উল্লেখ করা হয়, এই সময়ে আরো হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ও র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী ১১ হাজার ৭০০ জনকে তখন আটক করা হয়েছিল। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু। জাতিসংঘের ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর প্রায় ৫ মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে।

    জাতিসংঘের তালিকায় যেখানে নিহতের সংখ্যা ১৪০০ জন, সেখানে সরকারি তালিকায় নিহতের সংখ্যা ৮৪৪ কেন, স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন সামনে আসছে। এর জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, সারা দেশের জেলা প্রশাসন, হাসপাতালগুলোর তথ্য নিয়ে তারা নিহতের হালনাগাদ তালিকা তৈরি করেছে। এছাড়া সরকারি গেজেটে শুধু সরকারি বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত আন্দোলনকারীদের নাম এসেছে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. সরকারি হিসাবেই চলছে কাঁটাছেড়া, অভ্যুত্থানের এক বছর পরও নিহতের আসল সংখ্যা নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’
    https://tinyurl.com/4vt45exb
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    রাতের আঁধারে আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সাবেক সেনা কর্মকর্তা



    নরসিংদীর বৃহত্তম উপজেলা রায়পুরার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ স্কুল মাঠে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের লোকজনকে দেওয়া হচ্ছে এ প্রশিক্ষণ। রাতের অন্ধকারে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, সায়দাবাদ স্কুলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জসিম উদ্দিন এবং নজরুল ইসলাম।

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সপ্তাহের প্রায় প্রতি রাতেই চলে এ প্রশিক্ষণ। বিশেষ করে রাত যখন গভীর হয় তখনই সরব হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনা ও ককটেলের শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমকে জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিরীহ মানুষের বাড়িতে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও বাড়িঘরে লুটপাটের কারণে সায়দাবাদ গ্রামটি ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নতুন করে অস্ত্রের প্রশিক্ষণের কারণে তাদের মনে সন্দেহের দানা বাঁধছে।

    গণমাধ্যমের বরাতে আরও জানা যায়, এ চরাঞ্চলে সংঘর্ষ টিকিয়ে রাখতে গোপনে বিভিন্ন স্থানে চলে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হানিফ মাস্টার ও এরশাদ নামে দুই ব্যক্তি কিছুদিন পরপর এ এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি হানিফ মাস্টারের ছায়াতলে থেকে রায়পুরার চরাঞ্চল শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সায়দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম এলাকায় আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে ৫ আগস্টের পর নিজ নামে গড়ে তোলে সন্ত্রাসী বাহিনী। গত বছরের ২২ আগস্ট এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহ আলম বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় প্রতিপক্ষ এরশাদ গ্রুপের এক গৃহবধূ ও নবম শ্রেণির ছাত্রসহ ছয়জন।

    আরও জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা দখলসহ নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার খবর প্রচার হতে থাকলে সায়দাবাদ গ্রামে শাহ আলম বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর এতেই নিয়মিত অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতা ও শাহ আলম বাহিনীর প্রধান শাহ আলম, যুবলীগের কথিত ডা. জসিম উদ্দিন, ইকবাল, সালাউদ্দিন, যুবলীগের ইউনুস, শিপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের রহিম, সেলিম, হারুন, আরমান, ছাত্রলীগের রনি, মাহফুজ, বাবুসহ ৪০-৫০ জন। এসব ব্যক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে নাশকতা চালাতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয়দের দাবি, গত বছর নরসিংদী কারাগার ভেঙে আসামি পলাতক ও অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত কিছু আসামি এ এলাকায় থাকতে পারে। তাদের মাধ্যমে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র এ এলাকায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানিসহ নিরীহ মানুষের জানমালের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এজন্য যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।


    তথ্যসূত্র:
    ১. রাতের আঁধারে আওয়ামীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ সাবেক সেনা কর্মকর্তার
    -https://tinyurl.com/mvdsy98f
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ধারা ৩৭০ বাতিলের ছয় বছর: কাশ্মীরে গণহত্যা আর দমন-পীড়নের নির্মম ইতিহাস


      ​ভারতের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫/এ ধারা বাতিল করার পর থেকে গত ছয় বছরে ভারতীয় অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সামরিক দমন-পীড়নের মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নির্বিচারে আটক, নির্যাতন, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং বেসামরিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ, সেবা প্রদানে অস্বীকৃতি এবং তীব্রতর ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযানসহ নানাভাবে এই দমন-পীড়ন চলছে।

      বিজেপি সরকারের নৃশংস এই পদক্ষেপের ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট, মঙ্গলবার কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের গবেষণা বিভাগ একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ভারতীয় বাহিনী এই সময়ের মধ্যে ২১ জন মহিলা এবং ৪৪ জন ছেলে সহ ১ হাজার ৩০ জন কাশ্মীরিকে শহীদ করেছে। ভুয়া এনকাউন্টার বা পুলিশ হেফাজতে ২৭৪ জন কাশ্মীরি প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- এপিএইচসির জ্যৈষ্ঠ নেতা মুহাম্মদ আশরাফ সেহরাই, আলতাফ আহমেদ শাহ এবং গোলাম মুহাম্মদ বাট। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশ কর্তৃক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী এবং শোকাহতদের উপর গুলি, ছররা গুলি এবং টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপ সহ নৃশংস শক্তি প্রয়োগের ফলে অন্তত ২ হাজার ৫৫১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

      প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে রেকর্ডকৃত হত্যাকাণ্ডের চেয়েও ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী হত্যাকাণ্ড এবং নৃশংসতার ঘটনা বেশি ঘটেছে। এতে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ভুক্তভোগীকে ভুয়া এনকাউন্টার এবং ভূখণ্ডজুড়ে সহিংস ঘেরাও এবং তল্লাশি অভিযানের আড়ালে হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে।

      অনেক যুবককে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে মুজাহিদিন বা প্রতিরোধ সংগঠনের স্থল কর্মী হিসেবে মিথ্যাভাবে চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত বেশিরভাগ যুবকের বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন (পিএসএ) এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এর মতো কঠোর আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে।

      প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ফলে ৭৬ জন নারী বিধবা এবং ২০৮ জন শিশু এতিম হয়েছে। সেনাবাহিনী, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিশেষ অপারেশন গ্রুপ এবং অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে ভারতীয় বাহিনী অধিকৃত অঞ্চল জুড়ে ২২ হাজার ৩৮৫টি ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে এবং বাড়িতে অভিযানের সময় ১ হাজার ১৬৫টিরও বেশি বাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়া ১৩৭ জন নারীকে শ্লীলতাহানি করেছে বা অপমান করেছে এবং তিন ডজনেরও বেশি নারী ও মেয়েসহ ২৯ হাজার ৫৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

      ২০১৯ সালে ভারতের অবৈধ পদক্ষেপের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে জীবন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল ভূখণ্ডের মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার পরিবর্তন করা এবং তাদের দীর্ঘস্থায়ী দাবিকে দুর্বল করা।

      সমগ্র অধিকৃত অঞ্চলটিকে কার্যকরভাবে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগে বা পরে হাজার হাজার হুরিয়ত নেতাকর্মী, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, নারী, ব্যবসায়ী, উলামা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং যুবকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অনেকেই এখনও জম্মু-কাশ্মীর এবং ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী রয়েছে।

      আরএসএস-অনুপ্রাণিত বিজেপি নেতৃত্ব এই অঞ্চলের মুসলিম পরিচয় মুছে ফেলতে চাইছে। পাঠ্যক্রম এবং ঐতিহাসিক আখ্যান বিকৃত করা হচ্ছে। অন্যদিকে কাশ্মীরি, উর্দু এবং ইংরেজির মতো স্থানীয় ভাষার বিনিময়ে হিন্দি এবং সংস্কৃত ভাষা প্রচার করা হচ্ছে।

      স্বাধীনতার পক্ষে থাকা কাশ্মীরিদের সম্পত্তি ইউএপিএ-র মতো কালো আইনের আওতায় জব্দ করা হচ্ছে যাতে তারা তাদের ন্যায্য সংগ্রাম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সামরিক শক্তির উপর ভরসা করে গড়ে ওঠা বিজেপি সরকার মুসলিম ভোটকে বিভক্ত করে বিজেপির হিন্দু প্রার্থীদের পক্ষে ভোটারদের পুনর্বিন্যাস করেছে।

      সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে প্রান্তিক করার চলমান প্রচেষ্টায় বিজেপি সরকার মিথ্যা অভিযোগে শতাধিক সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে এবং একই সাথে অ-রাষ্ট্রীয় প্রজাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। ফলে স্থানীয় জনগণ আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

      ভারত কাশ্মীরে তার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নৃশংস কৌশল ব্যবহার করে চলেছে। ভারত কর্তৃক কাশ্মীরের উপর চাপিয়ে দেওয়া দমন-পীড়নের চিত্র ভয়াবহ ও গভীর উদ্বেগজনক। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে এই অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘন যেন নতুন স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আটক, নির্যাতন, ঘরবাড়ি ধ্বংস, নারীদের লাঞ্ছনা—এই সবই প্রমাণ করে যে কাশ্মীরিদের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের অধিকারকে রুদ্ধ করে ভারত সেখানে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখতে চাইছে।
      তবে অবিরাম নিপীড়ন সত্ত্বেও, জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে অবিচল রয়েছে। ভারতীয় বর্বরতা তাদের চেতনা দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Kashmir Under Siege: Years of Repression Since Article 370’s Revocation
      https://tinyurl.com/nhfecca7
      2. 5 YEARS AFTER REVOCATION OFARTICLE 370/35-A
      https://tinyurl.com/bdmmmapm
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের উপর ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের নির্মম নিষ্ঠুরতা



        ​ফিলিস্তিনের গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নির্মম অবরোধ ও হামলার কবলে পড়ে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে গত ৬ আগস্ট, বুধবার ভোরে একটি খাদ্য সহায়তা ট্রাক উল্টে গিয়ে কমপক্ষে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

        গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ট্রাকটিকে একটি পূর্বে বোমাবর্ষণকৃত ও অরক্ষিত রাস্তায় যেতে বাধ্য করায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের “পরিকল্পিত দুর্ভিক্ষ ও অরাজকতা” সৃষ্টির নীতি এর অংশ হিসেবে অভিহিত করেছে।

        গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্যবাহী ট্রাকটিকে একটি বিপজ্জনক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তায় যেতে বাধ্য করে, যেখানে আগে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছিল। রাস্তাটি মেরামত বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবহারে বাধ্য করা হয়, যা সরাসরি বেসামরিক নাগরিকদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে। ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা যখন ট্রাকের আশেপাশে জড়ো হয়েছিলেন, তখনই এটি উল্টে পড়ে এবং বহু মানুষ চাপা পড়ে নিহত হন।

        এই ঘটনাকে গাজার মিডিয়া অফিস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভিক্ষ ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া বলে উল্লেখ করে। তাদের মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে, ট্রাকগুলোকে অরক্ষিত ও ভিড়যুক্ত এলাকায় পাঠায়, যার ফলে প্রায়ই সহায়তা লুটপাটের শিকার হয় এবং বেসামরিক মানুষের জীবনহানি ঘটে।

        গাজায় ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও অবরোধ কেবল একটি ভূখণ্ডের ওপরই নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ জাতিকে ধ্বংস করার নীলনকশা। খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো মৌলিক চাহিদাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বই মুছে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা ও পশ্চিমা মদদ এই নৃশংসতাকে আরও উস্কে দিচ্ছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. 20 killed as aid truck overturns in central Gaza
        https://tinyurl.com/3kv6c35v
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদ আরও ৮৩ ফিলিস্তিনি, ভয়াবহ আকার ধারণ করছে দুর্ভিক্ষ



          গাজার বিভিন্ন স্থানে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৩ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ৮ শিশুসহ আরও মানুষ অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন। এছাড়া গাজায় শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বলেও সতর্ক করেছেন অনেকে।

          ৬ আগস্ট, বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

          প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৫৮ জনই ছিলেন সহায়তা প্রত্যাশী। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান।

          গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খুদারি জানান, জিএইচএফ-এর বিতরণ কার্যক্রম মে মাসে শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই একই ঘটনা ঘটছে। ফিলিস্তিনিরা খাবারের আশায় কেন্দ্রে যাচ্ছেন, আর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালাচ্ছে।

          তিনি জানান, উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিংয়ের কাছে একটি সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র থেকে আল-শিফা হাসপাতালে আনা আহতদের সংখ্যা অনেক বেশি। তাদের শরীরের যেসব অংশে গুলি লেগেছে তা চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত জটিল। অনেকের মাথা, গলা, বুকেও গুলি লেগেছে।

          এদিকে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

          ৭৫ বছর বয়সী সালিম আসফুর আল জাজিরাকে বলেন, আমি কয়েক মাস ধরে শুধু রুটি আর পানি খেয়ে বেঁচে আছি। আমার ওজন ৮০ কেজি থেকে এখন ৪০ কেজি হয়ে গেছে। আমার ছেলে আমাকে বাথরুমে নিতে সাহায্য করে। আমি রাফাহ থেকে খাবার আনতে কীভাবে যাবো? ২০ কিলোমিটার হাঁটব কীভাবে?

          গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৬ আগস্ট, বুধবার অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে প্রাণ গেছে ১৮৮ ফিলিস্তিনির, যার মধ্যে ৯৪ শিশু।

          জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, সোমবার গাজায় মাত্র ৯৫টি সহায়তাবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যেখানে দৈনিক কমপক্ষে ৬০০ ট্রাক প্রয়োজন সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৮৫টি ট্রাক প্রবেশ করছে।

          গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস আবারও সতর্ক করে বলেছে, সেখানে মানবিক বিপর্যয় আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমিত সংখ্যক সহায়তার বড় অংশই ইসরায়েলি বাহিনীর সৃষ্ট নিরাপত্তা বিশৃঙ্খলার সুযোগে লুট হয়ে যাচ্ছে— যা পরিকল্পিত নৈরাজ্য ও দুর্ভিক্ষ তৈরির অংশ।


          তথ্যসূত্র:
          1. Israeli forces kill more than 80 people across Gaza as starvation worsens
          https://tinyurl.com/zvfe4r4d
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ত্রাণের নামে আরব দেশগুলোর নির্মম প্রহসন, গাজায় নিক্ষিপ্ত খাবারে ছত্রাক ও প্লাস্টিক বর্জ্য



            যুদ্ধ, অবরোধ ও ক্ষুধার ভেতরেও বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গাজার মানুষ। সেই লড়াইয়ে সহায়তা হিসেবে আকাশপথে পাঠানো খাবারও এখন হয়ে উঠেছে অনিরাপদ ও বিষাক্ত। সম্প্রতি গাজাবাসীরা প্যারাসুট দিয়ে ফেলা খাদ্য সহায়তার প্যাকেটে কালো মোল্ড এবং প্লাস্টিক বর্জ্য দেখতে পেয়েছেন, যা খাদ্যকে সম্পূর্ণ অখাদ্য করে তুলেছে।

            ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ ইসরায়েলের অবরোধ ও যুদ্ধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পাঠানো খাদ্য সহায়তা গাজাবাসীর জন্য একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েলের পাঠানো খাদ্য সহায়তা গাজাবাসীর জন্য নতুন এক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্যারাসুট দিয়ে ফেলা কিছু খাদ্য প্যাকেটে কালো মোল্ডের আস্তরণ দেখা গেছে। এছাড়াও, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) এর কিছু সাইট থেকে সংগ্রহ করা আটার ব্যাগে প্লাস্টিক বর্জ্য ও অন্যান্য আবর্জনা মিশে থাকতে দেখা গেছে, যা খাদ্যকে সম্পূর্ণ অখাদ্য করে তুলেছে।

            এই ঘটনায় গাজাবাসীর ক্ষোভ আরও বেড়েছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এই ধরনের দূষিত খাদ্য সহায়তা পাঠানো হচ্ছে? এটি কি ইসরায়েলের পরিকল্পিত নিষ্ঠুরতা, নাকি অবহেলার ফল।

            এদিকে, GHF সাইটগুলোতেও সহায়তা বিতরণের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। এই সাইটগুলোতে সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই শতাধিক গাজাবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলি ও সহিংসতা এখানে নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন এই দূষিত খাদ্য সহায়তা গাজাবাসীর দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

            চোখের সামনে এইসব দৃশ্য দেখে হতবাক স্থানীয়রা বলছেন, অনেক বস্তায় থাকা আটা জমে গেছে কিংবা ছত্রাকে ঢেকে গেছে। কেউ কেউ এমনকি বস্তা খুলে ভেতরে প্লাস্টিকের টুকরো ও ময়লা আবিষ্কার করেছেন, যেগুলো কোনোভাবেই খাবারের সঙ্গে থাকার কথা নয়।

            খান ইউনিসের এক চিকিৎসক বলছেন “এটি কেবল ব্যর্থতা নয়, এটি বিপজ্জনক,”। তিনি সতর্ক করে বলেন, “ছত্রাকযুক্ত বা দূষিত খাবার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”


            তথ্যসূত্র:
            1. Video: Food aid dropped into Gaza contaminated with mould
            https://tinyurl.com/2sf8x2tf
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X