Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৩ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৮ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৩ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ০৮ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    আলোচিত ১৩ হত্যায় নেতৃত্ব দানকারী কসাই খ্যাত পুলিশ কর্মকর্তাকে উচ্চপদে পদায়ন করলো অন্তর্বতী সরকার




    ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের একান্ত অনুগত ছিল পুলিশ কর্মকর্তা হামিদুল আলম মিলন। দলীয় সন্ত্রাসীর মতো সেবা দিয়েছে পুরো আওয়ামী আমলে। শুধু ২০১৩ সালেই তার নেতৃত্বে ১৩ নিরীহ আন্দোলনকারীকে হত্যার অভিযোগ আছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে হয়েছিল ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)। দেড় বছর পর তাকে আবার উচ্চ পদে পদায়ন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    বুধবার (০৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ৬২ নম্বর সিরিয়ালে রংপুর রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে সংযুক্ত করা হয় ‘কসাই এসপি’ খ্যাত এই কর্মকর্তাকে।

    মিলনের খুন-খারাবি ও অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে চলতি বছর সংবাদ প্রকাশ করে প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো। গত ৩ মার্চ ‘অতিরিক্ত ডিআইজি মিলনের নেতৃত্বে ১৩ নেতাকর্মী হত্যা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরও টনক নড়েনি প্রশাসনের।

    জানা গেছে, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিসিএস দিয়ে পুলিশে ঢুকে সারদায় ট্রেনিং করার পর আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতায় আলোচিত ডিবি হারুনের সঙ্গে তার এই ব্যাচমেটেরও চাকরি চলে যায়।

    এর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের ফিরিয়ে আনে। ২০১৩ সালে সে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) ছিল। ওই সময় আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদির মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করায় তার নেতৃত্বে ১৩ নিরীহ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    এর পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দাপটের সঙ্গে তিনি ফ্যাসিবাদী আমলে থেকেছেন পুলিশ সুপার হিসেবে দিনাজপুর, মেহেরপুর ও চট্রগ্রামে। ফ্যাসিস্টের অনুগত হিসেবে ভূষিত হয় বিপিএম, পিপিএম পদবিতে। ২০২৩ সালে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

    ২০২৪ সালে সর্বশেষ ফ্যাসিস্টের শেষ নির্বাচনে বগুড়ার সারিয়াকান্দি সোনাতলা আসন থেকে তার স্ত্রী শাহাজাদী লিপি ব্যাপক অর্থ খরচ করে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালায়। নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয় সে। তার পক্ষে সরকারি চাকরিরত অবস্থায়, সরকারি গাড়ি ব্যবহার এবং প্রভাব বিস্তার করার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ওএসডি করা হয় মিলনকে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. কসাই-খ্যাত এসপি হামিদুলকে রংপুর রেঞ্জে পদায়ন
    https://tinyurl.com/2nc9vvwc
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    নওগাঁ জেলার দুই সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৮ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ



    নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে ফের শিশুসহ ১৪ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা (বিএসএফ)। শুক্রবার (০৮ আগস্ট) ভোর রাতে উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত এলাকার সাতআনা গ্রাম থেকে তাদের আটক করেন বিজিবির সদস্যরা। আটককৃতরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং নড়াইল ও যশোর জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

    বিজিবি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কালুপাড়া বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার রুপন চাকমার নেতৃত্বে একটি টহল দল শুক্রবার ভোরে সীমান্ত পিলার ২৭১/১-এস থেকে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতআনা গ্রামের একটি আমবাগানে বাংলাদেশি ১৪ জন নাগরিককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এরা কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পরে মুম্বাই শহরে পুরুষ ৪ জন রাজমিস্ত্রি এবং মহিলা ৭ জন বাসাবাড়িতে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ (সিআইডি) তাদের আটক করে।

    অপরদিকে, নওগাঁর সাপাহার সীমান্ত দিয়ে ভারতে বসবাসকারী ৪ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় বিএসএফ।

    সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ২৪৬/২-এস থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের কাছ থেকে ১৬ বিজিবি টহল দলের সদস্যরা তাদের আটক করে সাপাহার থানায় সোপর্দ করে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. সাপাহার সীমান্তে শিশুসহ চারজনকে পুশইন
    https://tinyurl.com/mrvw8kyf
    ২. ধামইরহাটে সীমান্তে ১৪ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ
    https://tinyurl.com/59ub7rwh
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কলকাতায় পার্টি অফিস খুলেছে বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ


      কলকাতা লাগোয়া উপনগরীটাতে শয়ে শয়ে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, রাত-দিন লাখ লাখ মানুষের ভিড় সেখানে। ব্যস্ত এই এলাকায় একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে এমন কয়েকজন যাতায়াত করছে, যাদের কয়েক মাস আগেও সেখানে দেখা যেত না। ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করে, এমন বেশিরভাগই চেনে না এই নবাগতদের, চেনার কথাও নয়। তবে এদের অনেকেই মাত্র এক বছর আগেও বাংলাদেশের সব থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিল। তারা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতা। তারা যে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটিতে যাতায়াত করছে কয়েক মাস ধরে, সেখানেই ‘দলীয় দফতর’ খুলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

      এর আগে, ২০২৪ সালের পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছে, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দফতরের কাজকর্ম চালাত নিজেদের বাসাবাড়িতেই। বড় বৈঠকগুলো অবশ্য করতে হত কোনো রেস্তোরাঁ বা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করে। সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট ‘পার্টি অফিস’-এর দরকার ছিল বলে বিবিসিকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা।

      বাণিজ্যিক পরিসরটির পেছনের দিকের ভবনটির ৮ তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সার দিয়ে বাণিজ্যিক সংস্থার দফতর। করিডোরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। শুধু বাইরে কেন, পাঁচশো বা ছয়শো স্কোয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে। কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি কোথাও নেই ঘরটির বাইরে বা ভেতরে।

      গত বছরের পাঁচ আগস্টের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেক শীর্ষ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীই কলকাতা বা তার আশপাশের অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে।

      এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও চলে এসেছে ভারতে। মাস ছয়েক আগে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছিল যে অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র সহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় দুশো জন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছে।


      তথ্যসূত্র:
      ১. কলকাতায় ‘পার্টি অফিস’ খুলে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম, চলছে কীভাবে
      -https://tinyurl.com/yeysp2mw
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীর নিয়ে লেখা ২৫টি বই নিষিদ্ধ করলো দখলদার ভারত




        কাশ্মীরে কাশ্মীর নিয়ে লেখা ২৫টি বই নিষিদ্ধ করেছে দখলদার ভারত। এইসব বইয়ের লেখকরা ভারত, কাশ্মীর ও বিশ্বজুড়ে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। নিষিদ্ধঘোষিত বইগুলোর মধ্যে বুকার পুরস্কারজয়ী ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায়ের বইও রয়েছে।

        গত ৭ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মুসলিম মিরর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের দিল্লি-শাসিত স্বরাষ্ট্র দপ্তর ২৫টি বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এইসব বইকে ‘সন্ত্রাসবাদকে গৌরবান্বিত’ ও ‘ভারতের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদে উসকানিমূলক’ বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

        নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা কিছু বই হলো: অরুন্ধতী রায়ের ‘আজাদি’, এজি নূরানির ‘দ্য কাশ্মীর ডিসপিউট ১৯৪৭-২০১২’, ভিক্টোরিয়া স্কোফিল্ডের ‘কাশ্মীর ইন কনফ্লিক্ট’ এবং ক্রিস্টোফার স্নেডেনের ‘ইন্ডিপেডেন্ট কাশ্মীর’, সুমন্ত্র বোস, হাফসা কানজোয়াল, অনুরাধা ভাসিন, রাধিকা গুপ্তা, এসার বতুল, আথার জিয়া, পঙ্কজ মিশ্র, হ্যালি ডুশিনস্কি, মোনা ভান, পিয়ত্র বালসেরোভিচ এবং আগনিস্জকা কুশেভস্কার বইও নিষিদ্ধের আওতায় পড়েছে। এছাড়া ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গ্রন্থগুলিও তালিকায় রয়েছে- মাওলানা আবুল আ’লা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহ-এর ‘আল জিহাদ ফিল ইসলাম’ এবং ইমাম হাসান আল-বান্না রাহিমাহুল্লাহ-এর ‘মুজাহিদ কি আজান’।

        জালিম ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বইগুলো ‘অভিযোগ, ভুক্তভোগী ব্যক্তির সংস্কৃতি এবং সন্ত্রাসবাদীদের বীর বানানোর ধারা’ তৈরি করে, যা ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং সেনাবাহিনীকে অপমান করে উগ্রপন্থা বাড়ায়। এইসব বইকে ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি বলেও উল্লেখ করা হয়।

        এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হাফসা কানজোয়াল বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন, তাদের কাছে এটা অবাক হওয়ার কিছু নয়’। তিনি বলেন, ভারতের দীর্ঘ দখলদারি শুরু থেকেই তথ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং কাশ্মীরবাসী— দু’পক্ষের কাছেই। তার নিজের বই ‘কলোনাইজিং কাশ্মীর: স্টেট-বিল্ডিং আন্ডার ইন্ডিয়ান অকুপেশন’-ও নিষিদ্ধ হয়েছে।

        ‘দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব কাশ্মীর আফটার আর্টিকেল ৩৭০’ বইয়ের লেখক অনুরাধা ভাসিনও ভারত সরকারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘সব বই-ই গবেষণালব্ধ। একটিও সন্ত্রাসবাদকে গৌরবান্বিত করে না। সরকারের মিথ্যা আখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করলেই যদি ভয় হয়, তাহলে সেই ভয়ই অনেক কিছু বলে দেয়।’

        উল্লেখ্য যে, গত কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মিরে বইয়ের দোকানে হানা, বই বাজেয়াপ্ত করার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীনগরের দোকানগুলো থেকে অন্তত ৬৬৮টি ইসলামি বই জব্দ করা হয়, যার বেশিরভাগই ছিল মাওলানা আবুল আ’লা মওদুদীর লেখা বই।

        বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ কাশ্মীরের বিতর্কিত ইতিহাস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিকল্প বয়ানগুলো দমন করারই অংশ।


        তথ্যসূত্র:
        1. Jammu and Kashmir bans 25 books for ‘radicalising youth, glorifying terrorism’
        https://tinyurl.com/3tjkp2m5
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজা দখলে নেতানিয়াহুর ‘ভয়ংকর পরিকল্পনা’ অনুমোদন করল দখলদার ইসরায়েল



          গাজায় বহু মাস ধরে চলমান গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রস্তাবিত গাজা সিটি দখল পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। ০৮ আগস্ট, শুক্রবার নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, দখলদার ইহুদি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) শিগগিরই গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেবে এবং একই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর জন্য সীমিত মানবিক সহায়তা বিতরণ করবে।

          এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রায় দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসাত্মক গণহত্যার মধ্যেই, যেখানে ইতিমধ্যে ৬১,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ০৮ আগস্ট, শুক্রবার ভোরে গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। নেতানিয়াহু বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেবে। তবে, এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল এয়াল জামির।

          নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছে, ইসরায়েল গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজা সিটির ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণকে জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে এবং সেখানে ব্যাপক স্থল অভিযান চালানো হবে। ইতিমধ্যে গাজার ৭৫% দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

          গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ইতিমধ্যে ২ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় দুর্ভিক্ষের এক চরম পর্যায় অতিক্রম করেছে, যেখানে ২০,০০০-এরও বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং ১৬ শিশু ইতিমধ্যে ক্ষুধার কারণে মৃত্যুবরণ করেছে। গাজা সিটিতে নতুন সামরিক অভিযান এই সংকটকে আরও গভীর করবে।

          ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের জন্য আরও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। ইতিমধ্যে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও বাস্তুচ্যুতির শিকার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর উপর এই নতুন সামরিক আগ্রাসন তাদের দুর্দশাকে আরও তীব্র করবে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Israeli Security Cabinet approves plan to take control of Gaza City: Prime Minister’s Office
          https://tinyurl.com/2rutvnke
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X