আলোচিত ১৩ হত্যায় নেতৃত্ব দানকারী কসাই খ্যাত পুলিশ কর্মকর্তাকে উচ্চপদে পদায়ন করলো অন্তর্বতী সরকার

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের একান্ত অনুগত ছিল পুলিশ কর্মকর্তা হামিদুল আলম মিলন। দলীয় সন্ত্রাসীর মতো সেবা দিয়েছে পুরো আওয়ামী আমলে। শুধু ২০১৩ সালেই তার নেতৃত্বে ১৩ নিরীহ আন্দোলনকারীকে হত্যার অভিযোগ আছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে হয়েছিল ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)। দেড় বছর পর তাকে আবার উচ্চ পদে পদায়ন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (০৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ৬২ নম্বর সিরিয়ালে রংপুর রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে সংযুক্ত করা হয় ‘কসাই এসপি’ খ্যাত এই কর্মকর্তাকে।
মিলনের খুন-খারাবি ও অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে চলতি বছর সংবাদ প্রকাশ করে প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো। গত ৩ মার্চ ‘অতিরিক্ত ডিআইজি মিলনের নেতৃত্বে ১৩ নেতাকর্মী হত্যা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরও টনক নড়েনি প্রশাসনের।
জানা গেছে, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিসিএস দিয়ে পুলিশে ঢুকে সারদায় ট্রেনিং করার পর আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতায় আলোচিত ডিবি হারুনের সঙ্গে তার এই ব্যাচমেটেরও চাকরি চলে যায়।
এর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের ফিরিয়ে আনে। ২০১৩ সালে সে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) ছিল। ওই সময় আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদির মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করায় তার নেতৃত্বে ১৩ নিরীহ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দাপটের সঙ্গে তিনি ফ্যাসিবাদী আমলে থেকেছেন পুলিশ সুপার হিসেবে দিনাজপুর, মেহেরপুর ও চট্রগ্রামে। ফ্যাসিস্টের অনুগত হিসেবে ভূষিত হয় বিপিএম, পিপিএম পদবিতে। ২০২৩ সালে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
২০২৪ সালে সর্বশেষ ফ্যাসিস্টের শেষ নির্বাচনে বগুড়ার সারিয়াকান্দি সোনাতলা আসন থেকে তার স্ত্রী শাহাজাদী লিপি ব্যাপক অর্থ খরচ করে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালায়। নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয় সে। তার পক্ষে সরকারি চাকরিরত অবস্থায়, সরকারি গাড়ি ব্যবহার এবং প্রভাব বিস্তার করার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ওএসডি করা হয় মিলনকে।
তথ্যসূত্র:
১. কসাই-খ্যাত এসপি হামিদুলকে রংপুর রেঞ্জে পদায়ন
– https://tinyurl.com/2nc9vvwc
Comment