Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২০ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২০ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    অন্তঃসারশূন্য প্রতিবেদনের আড়ালে তথ্যচুরি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের, গচ্ছা গেছে ৫০০ কোটি টাকা





    দেশের পাঁচটি কয়লা ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির (সম্ভাব্যতা যাচাই) নামে রাষ্ট্রের পাঁচশত কোটি টাকা গচ্চা গেছে। খাতা-কলমে দেশি-বিদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠান ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ পেলেও মূলত কাজ সম্পন্ন করেছে ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষে বাংলাদেশের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় অন্তঃসারশূন্য প্রতিবেদন। যা থেকে এক পয়সারও উপকার হয়নি। কয়লা ক্ষেত্রগুলোর ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

    জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির প্রধান উৎস ছিল জ্বালানি খাত। আর এই কারণেই মন্ত্রণালয়টির দায়িত্ব নিজের কাছে রাখত পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্যাশিয়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করত তার জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। আর দেশের ভেতরের সব অপকর্ম সামলাত সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। কর্মকর্তা-কর্মচারী আর ঠিকাদার নামধারীদের সমন্বয়ে তিনটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত এই খাত। এর মধ্যে একটি সিন্ডিকেট ছিল বিপিসিতে, একটি পেট্রোবাংলায় আর অন্যটি বিদ্যুৎ বিভাগে। বিদ্যুতের পর সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয় পেট্রোবাংলার অধীনস্থ কোম্পনিগুলোতে।

    পেট্রোবাংলা সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, বর্তমানে দেশে ৫টি কয়লাক্ষেত্র রয়েছে। এগুলো দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া ও ফুলবাড়ি, রংপুরের খালাশপীর, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের দীঘিপাড়ায় অবস্থিত। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার এসব খনি থেকে কয়লা তোলার নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে। তবে বড়পুকুরিয়া ছাড়া আর কোনো খনি থেকেই কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।

    খাত সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ভারতের প্রত্যক্ষ সমর্থনে একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার পর, জ্বালানি খাত নিয়ে শুরু হয় লুটপাটের আয়োজন।

    প্রকল্পের নামে লুটপাটের পাশাপাশি খনিজ সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য-উপাত্ত ভারতের হাতে তুলে দিতে তৎপর হয় আওয়ামী সরকার। এরই অংশ হিসেবে কয়লাক্ষেত্র গুলোতে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এগুলোর পেছনে খরচ করা হয়েছে আনুমানিক পাঁচশত কোটি টাকা।

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬২ সালে আবিষ্কার হওয়া জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ কয়লাক্ষেত্রটি দেশের সবচেয়ে বড় ও গভীরতম ক্ষেত্র। যার মজুত ১০৫৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাইনিং অ্যাসোসিয়েটস প্রাইভেট লিমিটেডকে এর ফিজিবিলিটি স্টাডির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তিনটি কূপও খনন করে তারা। কাজের সুবিধার কথা বলে এ খনির বিস্তারিত তথ্য পেট্রোবাংলার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন কর্মযজ্ঞ চালালেও সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তা ছিল মনগড়া। কাজের সঙ্গে যার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, ফিজিবিলিটি স্টাডির নামে শুধু তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই ছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।

    দেশের একমাত্র সচল কয়লাখনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া। এটি আবিষ্কার হয় ১৯৮৫ সালে। এখানে কয়লার মজুত রয়েছে ৩৮৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। বড়পুকুরিয়ার বর্ধিতাংশের ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ পায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান জন্টিবয়েড। সহযোগী ছিল দেশীয় মজুমদার এন্টারপ্রাইজ। বাস্তবে থার্ড পার্টি হিসেবে কাজটি করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মহেশ্বরী মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড। তারা সমীক্ষার নামে চলমান কয়লাখনির পাশাপাশি বর্ধিতাংশের গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ভারত নিয়ে যায়। বাংলাদেশকে গছিয়ে দেয় ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্ট। যার ফলে বর্ধিতাংশে কোনো মাইনিং কাজ করা যাচ্ছে না।

    রংপুরের খালাশপীর কয়লাক্ষেত্রটি আবিষ্কার হয় ১৯৮৯ সালে। এখানে কয়লার মজুত ৬৮৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যার ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে হোসাফ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি দেশি কোম্পানি। কিন্তু সমীক্ষার রিপোর্ট এতটাই নিম্নমানের যে শেষ পর্যন্ত সরকার তা নেয়নি। পরে বিদেশি কোম্পানি আইএমসি গ্রুপ কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করে রিপোর্টটি মনগড়া ও কপি-পেস্ট বলে প্রমাণিত হয়।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেট্রোবাংলার একজন সাবেক পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে তথ্য-উপাত্ত পাচারের কাজ নির্বিঘ্ন করতে আওয়ামী লীগ সরকার আস্থা রেখেছিল পেট্রোবাংলার তখনকার জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী ডিএম জোবায়েদ হোসেন ও সাইফুল ইসলামের ওপর। এই দুই কর্মকর্তাই পেট্রোবাংলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিপু সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করত। এদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে সাইফুলকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি আর জোবায়েদকে সিনিয়রিটি লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দিয়ে মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানানো হয়। সম্প্রতি এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অন্তর্বর্তী সরকার সাইফুল ইসলামকে ওএসডি করলেও জোবায়েদ হোসেন এখনো বহাল রয়েছে।

    অভিযোগ রয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে ওই দুই কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানেই নামে-বেনামে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্পর্শকাতর খাতটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে গেছে ভারতে।

    দিনাজপুরের দীঘিপাড়ার ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ দেওয়া হয় জার্মানির দুই কোম্পানি মিবরাগ কনসালটিং ইন্টারন্যানাল জিএমবিএইচ ও ফুপরো জার্মানি ল্যান্ড জিএমবিএইচ এবং অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি আরপিএম গ্লোবালকে। প্রতিষ্ঠানগুলো এ কাজের জন্য দক্ষ নয়। তাদের সঙ্গে ছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান ভেনাস। জার্মান ও অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি কাজ পেলেও মূলত সাব কন্ট্রাক্টে কাজটা শেষ করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মহেশ্বরী মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড। এরপর যে প্রতিবেদন দেওয়া হয় সেটি ছিল কপি-পেস্ট করা। বিতর্কিত এই রিপোর্টের কারণে সম্ভাবনাময় খনিটিতে মাইনিং কাজ শুরু করা যায়নি এখনো। অথচ তথ্য-উপাত্ত চলে গেছে ভারতে।

    এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে আবিষ্কৃত দিনাজপুরের ফুলবাড়ি কয়লাখনিতে মজুত কয়লার পরিমাণ ৩৮৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এখানকার ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ দেওয়া হয় এশিয়া এনার্জিকে। কিন্তু গণঅসন্তোষের কারণে তা শেষ করা যায়নি।

    পেট্রোবাংলা সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, ফিজিবিলিটি স্টাডির যেসব রিপোর্ট পাওয়া গেছে, তা দিয়ে খনি উন্নয়ন সম্ভব নয়।

    তথ্যসূত্র:
    ১.ফিজিবিলিটি স্টাডির নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা
    -https://tinyurl.com/58xmptej
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    এবার পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করতে দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের নতুন কৌশল


    পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত করার কৌশল নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েল। সর্বশেষ, বিতর্কিত ই’ওয়ান বসতি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় জেরুজালেম ও মা’আলে আদুমিম বসতিকে সংযুক্ত করে ৩ হাজার ৪০১টি নতুন বাসস্থান নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সরকার। ১৫ আগস্ট, শুক্রবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    প্রতিবেদনে অনুযায়ী, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীরের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

    দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের উগ্র-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী ও বসতি বিষয়ক নীতি নির্ধারক বেজালেল স্মোট্রিচ ঘোষণা দিয়েছে, ই’ওয়ান প্রকল্প ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে চিরতরে সমাধিস্থ করবে।” সে স্বীকার করে যে, এই বসতি সম্প্রসারণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বাইরে একতরফা দখলকে স্থায়ী করবে।

    ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ দখলদারিত্বের নতুন ধাপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি নেতারা আশঙ্কা করছেন, নতুন বসতি স্থাপনের ফলে হাজারো বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হবে এবং পশ্চিম তীরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংযোগ ভেঙে পড়বে।

    জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বহু মানবাধিকার সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে ই’ওয়ান প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে, কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইন ও চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করে। ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দুই দশকের বেশি সময় প্রকল্পটি স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান দখলদার ইসরায়েলি সরকার একে পুনরুজ্জীবিত করেছে।

    পরিকল্পিত এলাকা অধিকৃত পশ্চিম তীরকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে দেবে, ফলে পূর্ব জেরুজালেমকে বেথলেহেম ও রামাল্লার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে সংলগ্ন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গঠন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিকল্পনা শুধুমাত্র ভৌগোলিক বিভাজনই নয়, বরং ফিলিস্তিনি জনগণের স্বশাসন, চলাচল ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এর ফলে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Israel appears set to approve highly controversial 3,400-home West Bank settlement
    https://tinyurl.com/ntv9shyc
    2. Israeli settlement plans will ‘bury’ idea of Palestinian state, minister says
    https://tinyurl.com/72cjb29t
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজার জেইতুনে তিন দিনে ৩০০-এর বেশি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল দখলদার ইসরায়েল



      ফিলিস্তিনের গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নৃশংস হামলা অব্যাহত রয়েছে। ১১ আগস্ট, সোমবার থেকে শুরু করে গত তিন দিনে জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ৩০০-এর বেশি বেসামরিক বাড়িঘর ধ্বংস করেছে, যার বেশিরভাগই পাঁচ তলা বা তার বেশি উঁচু ভবন। এই হামলায় বহু নিরপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে।

      গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান,দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কোনো পূর্বসতর্কতা ছাড়াই এই হামলা চালিয়েছে এবং বিস্ফোরকের তীব্রতা আশেপাশের ভবনগুলোকেও ধ্বংস করেছে। অনেক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে যখন বাসিন্দারা ভেতরে অবস্থান করছিলেন, ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধারে যাওয়া সিভিল ডিফেন্স টিমগুলোকেও ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।

      বাসাল জানান, এ ধ্বংসযজ্ঞ সন্ত্রাসী ইসরায়েলের চলমান দখল পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেইতুন বর্তমানে গাজা সিটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একটি। ইসরায়েলের এই সামরিক আগ্রাসন গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

      ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৬১,৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা বারবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর প্রমাণ পেশ করেছে। অ্যামনেস্টির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশে বাধা দিয়ে তাদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

      ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নৃশংসতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফিলিস্তিনিদের উপর চলমান অত্যাচার শুধু একটি জাতির বিরুদ্ধে অপরাধ নয়, বরং সমগ্র মানবতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। গাজায় চলমান গণহত্যা ও বেসামরিক জনগণের উপর চালানো হামলা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সমর্থন ও সহায়তার কারণে এই গণহত্যা দিনের পর দিন চলমান আছে, এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।


      তথ্যসূত্র:
      1. Israel destroys over 300 homes in Gaza’s Zeitoun neighborhood in 3 days
      https://tinyurl.com/5y6c8snw
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X