Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৩ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৩ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    ভারতে বাংলা ভাষায় কথা বলতেও ভয়: নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন


    মায়ের ভাষায় কথা বলার কারণে ভারতে সাম্প্রতিক অভিযানে বিপদে পড়ছেন বাংলাভাষীরা। গত চার মাসে তিনটি রাজ্যে প্রায় ৯ হাজার বাংলাভাষীকে আটক করে অস্থায়ী বন্দিশালায় রাখা হয়েছে। আর অন্তত দুই হাজার বাংলাভাষীকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিস্থিতি এতটা বেগতিক যে মানুষজন বাংলায় কথা বলতে ভয় পাচ্ছে।

    সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে কথিত সন্ত্রাসী হামলার পর অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয় ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত করেছে ভারত সরকার। বিশেষ করে, লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে বাংলায় কথা বলা মানুষজন। যদিও ভারত কাশ্মীরে হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে, তবে ভারতের টার্গেটে পরিণত হয়েছে বাংলাভাষী মুসলিমরা।

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সরকারি ভাষা বাংলা। এখানের কোটি কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। সম্প্রতি ভারত সরকার কয়েক হাজার ভারতীয় বাংলাভাষীকে আটক বা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাদের বেশির ভাগ মুসলিম, এবং তারা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কয়েক দশক ধরে এ রাজ্যের তরুণরা কাজের জন্য ভারতের অন্যান্য বড় শহরে যাচ্ছেন।

    ভারতের অভিযোগ, কয়েক লাখ অনিবন্ধিত বাংলাদেশি ভারতে বাস করে। দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে তারা বৈধ বা অবৈধভাবে যাতায়াত করেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

    গত জুলাই থেকে রাজধানীর নয়াদিল্লির উপশহর গুরুগ্রামের কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গুরুগ্রাম পুলিশ কয়েকশ মানুষকে আটক করেছে। এদের মধ্যে অনেকের ভারতে বৈধভাবে বসবাসের নথি রয়েছে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অভিযান শুরু হওয়ার পর কয়েকশ গরিব বাংলাভাষী মানুষ পুলিশি হয়রানির ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়েছে।

    গুরুগ্রামে আটক-সংক্রান্ত মামলা নিয়ে কাজ করা আইনজীবী সুপান্থ সিনহা বলেন, শহর ছেড়ে পালানোর সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি। অভিযান চালানো চারটি রাজ্যের এক ডজন মুসলিম ও হিন্দু বাংলাভাষী জানান, তারা সরকারি এই অভিযানের ভয়ে আছেন।

    অভিজিৎ পাল (১৮) বলেন, তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে গুরুগ্রামে গিয়েছিলেন। যখন তার বস্তিতে অভিযান চালানো হয়, তখন পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখান। এর পরও তাঁকে পাঁচ দিন আটকে রাখা হয়। সমাজকর্মীরা তার ভারতীয় নাগরিকত্বের পক্ষে পুলিশকে অতিরিক্ত নথি সরবরাহ করার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের আটক হওয়ার ভয়ে তিনি গুরুগ্রাম ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন। এখন বেকার। তিনি বলেন, ‘আমি আবার ধরা পড়ার ভয়ে আছি। কারণ আমি বাংলায় কথা বলি।’

    সাইফ হাসনাত ও প্রণব ভাস্করের লেখা নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক লাখ ভারতীয় আছে, যাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি নেই। মানবাধিকার গোষ্ঠী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সরকার এ অভিবাসন অভিযান চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত এপ্রিলের কথিত সন্ত্রাসী হামলাকে দেশটির মুসলিমদের ওপর পদ্ধতিগত নিপীড়নের হাতিয়ার করে তুলেছে।

    এ হামলার পর থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় রাজ্যগুলোতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বা বাংলাভাষী মুসলিমকে আটক করা হয়েছে।

    রাজ্য পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গুজরাটে অন্তত ৬,৫০০, কাশ্মীরে ২,০০০ এবং রাজস্থানে প্রায় ২৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজস্থানে মে মাসে তিনটি নতুন অস্থায়ী বন্দিশালা তৈরি করা হয়েছে।

    ভারত থেকে বাংলাদেশে বহিষ্কৃত মানুষের সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারত এই সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।

    হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারায় কয়েক ডজন মানুষকে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত। সংস্থাটির এশিয়াবিষয়ক উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু মূলত দরিদ্র মুসলিম অভিবাসী শ্রমিক।

    আমির শেখ (২১) পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজস্থানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তার চাচা আজমাউল শেখ বলেন, পরিচয়পত্র এবং জন্মসনদ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ভাতিজাকে গত জুনে আটক করে। তিন দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    গত জুনের শেষ দিকে পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী ডেনিশ শেখকে (২৭) প্রসূতি স্ত্রী ও ছেলেসহ (৮) আটক করা হয়। তিনি বলেন, পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার পর জঙ্গলে ফেলে দেয়। হেঁটে বাংলাদেশে যেতে বলে। ভারতে তাদের পরিবারের কয়েক দশকের পুরোনো জমির নথি এবং ভারতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।

    ইমরান হোসেন (৬০) বলেন, ভারতীয় পুলিশ তার গুজরাটের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার চোখে পট্টি বেঁধে মারধর করে। পাঁচ দিনের নৌকাযাত্রার পর তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি রাতে ঘুমাতে কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন ঘুমানোর চেষ্টা করি, তখন মানুষের কান্নার শব্দ শুনতে পাই।’

    বিজেপি নেতারা রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। এটা ভারতের বহু ধর্ম-ভাষা-জাতি পরিচয়কে হুমকির মুখে ফেলছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জুলাইয়ে এক্সে ‘জনসংখ্যার এক উদ্বেগজনক পরিবর্তন’ সম্পর্কে সতর্ক করে। সে বলেছে, তার রাজ্য ‘সীমান্ত পেরিয়ে মুসলিম অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’ গড়ে তুলেছে।

    আসামে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মুসলিম। বাংলাভাষী পরিচয় এখানকার বহু পুরোনো সমস্যা। রাজ্যের সর্বশেষ বহিষ্কার অভিযানে হিমন্ত শর্মা ১৯৫০ সালের আইনের কথা উল্লেখ করেছে। এর মাধ্যমে রাজ্যটি বিচার ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করেছে।

    আসামে নাগরিকত্ব নিয়ে চলা মামলা নিয়ে গবেষণা করা আইনজীবী মহসিন ভাট বলেন, ‘এটা একেবারে ভয়ংকর।’

    আসামে বসবাসকারী ধানচাষি মালেক অস্টার জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি ভাবছেন কীভাবে তার মাকে বন্দিশালা থেকে মুক্ত করবেন। তার মাকে গত জুনের প্রথম দিকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। মায়ের অবস্থান সম্পর্কে তাঁকে কিছু জানায়নি। তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও রেশন কার্ড আছে। কিন্তু পুলিশ সেগুলো গ্রহণ করেনি। আমরা জানি না কেন।’

    তিনি আরও জানান, তার পরিবার কখনো বাংলাদেশে যায়নি। অন্যান্য বাংলাভাষীর মতো তিনিও ক্রমেই নিজেকে বহিরাগত মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘এই অভিযানের কারণে আমি বাইরে গেলে বাংলায় কথা বলতে ভয় পাই।’


    তথ্যসূত্র:
    1. In India, Immigration Raids Detain Thousands and Create a Climate of Fear
    https://tinyurl.com/4ymrd3dt
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা থামছেই না, শহীদ প্রায় ৬২ হাজার



    ​ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে গাজা ভূখন্ডে শহীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ১৭ আগস্ট, রবিবার গাজায় ত্রাণের সন্ধানে গিয়ে ৩৮ জনসহ বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। একই দিনে অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ১৮ আগস্ট, সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

    বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ১৭ আগস্ট, রবিবার হাসপাতালগুলোতে ৫৭ জনের মরদেহ পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন আরও ২২৬ জন। এ নিয়ে গাজায় বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬২ হাজারে। আহতের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮৬। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বহু মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে আছে, কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

    মানবিক সহায়তা সংগ্রহের সময়ও সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনাদের হামলা অব্যাহত রয়েছে। রবিবার ত্রাণের লাইনে গুলিতে ৩৮ জন নিহত এবং ১৩২ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৮ জনে এবং আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪২০ জনেরও বেশি।

    এছাড়া রবিবার অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ শিশু রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অনাহার-সম্পর্কিত মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৫৮ জনে, যার মধ্যে শিশু ১১০ জন। মন্ত্রণালয় বলছে, চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পর ২৪ লাখ মানুষের জন্য ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Israel pounds Gaza City, kills at least 57 across Gaza Strip
    -https://tinyurl.com/2tpn37mv
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভিডিও || ভারতের উত্তরাখণ্ডে মুসলিম বৃদ্ধকে নির্যাতন করল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা, দাড়ি কেটে দেওয়ার হুমকি




      ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পৌরি গড়ওয়াল জেলায় রিজওয়ান নামে এক মুসলিম বৃদ্ধকে কোন কারণ ছাড়াই মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে তিন উগ্র হিন্দুত্ববাদী। এ সময় মুসলিম ব্যক্তিকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে জোর করা হয়, পাশাপাশি তার দাড়ি কামিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।

      ১৮ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুকেশ ভাট, মনীশ বিষ্ট এবং নবীন ভাণ্ডারি নামের তিন ব্যক্তি রিজওয়ান নামের এক বৃদ্ধ মুসলিমকে চড়-থাপ্পড় মারছেন, অশালীন ভাষায় গালাগাল করছেন এবং তাকে অপমান করছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, হামলাকারীরা রিজওয়ানকে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করছেন।

      ভিডিওতে এক হামলাকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে হিন্দুদের শাসন চলে, বল জয় শ্রীরাম।’

      আরেক হামলাকারী হুমকি দিয়ে বলে, তোমরা হালাল করে কাটো, আমরা তোমাদের ঝটকা করে কাটব। (যেভাবে তোমরা পশু কাটো, সেভাবেই আমরা তোমাদের কাটব, তবে সেটা ধীরে নয়, এক আঘাতে)। একপর্যায়ে তারা ব্লেড আনার কথা বলে রিজওয়ানের দাড়ি কামিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।

      এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ভয়ভীতি প্রদর্শনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

      ভিডিওটি দেখুন:



      ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:
      https://archive.org/details/in-uttar...ted-18-08-2025


      তথ্যসূত্র:
      1. Elderly Muslim Man Assaulted, Forced to Chant ‘Jai Shri Ram’ in Uttarakhand; Three Arrested
      https://tinyurl.com/bdkbmvfw
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভিডিও || ভারতের স্বাধীনতা দিবসের নাটকে বোরকাপরা মুসলিম মেয়েদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন



        ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভবনগরের কুম্ভারওয়াডা স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি নাটকে বোরকাপরা মুসলিম মেয়েদের ‘জঙ্গি’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

        গত ১৭ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর জানায়, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে স্কুল কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা একটি নাটকে ছোট ছোট মেয়েদের বোরকা পরিহিত অবস্থায় জঙ্গি চরিত্রে উপস্থাপন করা হয়। নাটকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে মঞ্চস্থ হয়। পরবর্তীতে নাটকের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

        সমালোচকদের অভিযোগ, নাটকটি শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি অপমানজনক নয়, বরং এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো সংবেদনশীল জায়গায় ইসলামফোবিয়া ও ঘৃণা ছড়ানোর একটি স্পষ্ট নিদর্শন।

        স্থানীয় বাসিন্দা শাহিদ খান বলেন, ‘এটি কোনো নাটক নয়, এটি বিষ। স্বাধীনতা দিবসের মতো দিনে, যেখানে একতা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়ার কথা, সেখানে মুসলিমদের জঙ্গি হিসেবে দেখানো অত্যন্ত দুঃখজনক।’

        একজন অভিভাবক ফাতিমা বানু বলেন, ‘এ ধরনের উপস্থাপনা কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি সমাজে বিভাজন তৈরির একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ।’

        নাটকের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর দেশব্যাপী নানা মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন বিতর্কিত ও বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো কেন অনুমোদন পায়?

        অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর ইকবাল আনসারি বলেন, ‘যখন পাঠ্যবইতেই পক্ষপাত লক্ষ্য করা যায়, তখন এমন নাটকও আশ্চর্যজনক নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পরবর্তী প্রজন্ম এর থেকে কী শিখবে?’

        আইনজীবী নাসিম আহমেদ বলেন, ‘একজন হিন্দু যদি অপরাধে জড়ায়, তাকে ‘অপরাধী’ বলা হয়; আর মুসলিম হলে সে ‘জঙ্গি’, এই বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের সমাজে ঘৃণার ভিত্তি তৈরি করছে।’

        ছাত্রনেতা আসলাম পাঠান মন্তব্য করেন, ‘এটি সেই গুজরাট নয়, যে গুজরাট মহাত্মা গান্ধীর শান্তির বার্তা বহন করে। আজকের গুজরাটে মুসলিম মেয়েদের জঙ্গি হিসেবে দেখানো হচ্ছে, এটি স্বাধীনতার মূল চেতনারই পরিপন্থী।’

        উল্লেখ্য, ভবনগরের এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি স্থানীয় বিতর্ক নয়, বরং এটি বৃহত্তর সামাজিক প্রবণতার প্রতিফলন। শিক্ষাঙ্গনে জাতীয়তাবাদের আড়ালে ঘৃণা ছড়ানো যেন ক্রমেই সাধারণ হয়ে উঠছে।

        ভিডিও দেখুন:



        ভিডিও লিংক:

        https://archive.org/details/muslim-g...sts-15-08-2025


        তথ্যসূত্র:
        1. Independence Day Play in Gujarat Sparks Outrage After Muslim Girls Portrayed as Terrorists
        https://tinyurl.com/2jhcwv79
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ট্রান্সজেন্ডার সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষকদের হত্যার হুমকি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ



          সম্প্রতি সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বহিষ্কৃত ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী সাফওয়ান চৌধুরি রেবিল কর্তৃক আলোচিত শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং আসিফ মাহতাব উৎসকে হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়। অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামী অ্যাক্টিভিস্টরাও এই হুমকিদাতার পক্ষে দাঁড়ায়। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

          সোমবার (১৮ আগস্ট ২০২৫) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বুদ্ধিজীবী চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ‘চবিয়ান দ্বীনি পরিবার’ এর ব্যানারে ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসকে হত্যার হুমকি ও এলজিবিটি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।

          এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যারা এলজিবিটি ও সমকামিতার মতো বিকৃত মতবাদ প্রচার করে, পাশ্চাত্য বিকৃত মতবাদের পক্ষে অবস্থান নেয়, মূল্যবোধের বিপক্ষে কাজ করে তারাই আজ বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে প্রতিষ্ঠিত। অন্যদিকে মূল্যবোধের পক্ষে কাজ করা, বিকৃতির প্রতিবাদ করা শিক্ষকগণকে কর্মক্ষেত্রে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দানে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমাদের সহকর্মীদের মাথা কেটে ফুটবল খেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর আমাদের বুদ্ধিজীবীরা ভাবছেন আমরা তো ভালোই আছি।’

          তিনি বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীদের যারা হুমকি দিয়েছে তাদেরকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সাথে অবিলম্বে এইসব হুমকিদাতাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

          মানববন্ধনে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও চবির ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বহিষ্কৃত ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী সাফওয়ান চৌধুরি রেবিল কর্তৃক বিশিষ্ট গবেষক আইইউবির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং জুলাইয়ের অগ্রসেনানী মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস স্যারকে হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়। কিছু তথাকথিত বিশিষ্ট নাগরিক আবার এই সন্ত্রাসী জঙ্গির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যা বিদ্যমান আইনে সুস্পষ্ট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ প্রশাসন এখনো নিষ্ক্রিয়। তাদের এই নিষ্ক্রিয়তা আমাদেরকে অবাক করছে। রাষ্ট্র কি তাহলে সমকামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে? আপনার সন্তান ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামী হলে আপনি মেনে নিবেন? আপনি মানলেও আমরা মানবো না। মূল্যবোধের পক্ষে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

          জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল পরিবার ব্যবস্থাকে টিকিয়ে সংগ্রাম করছি। আমাদের সংগ্রাম আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই। আমরা চাই না, আপনার সন্তান সমকামী বা ট্রান্সজেন্ডার হোক। আমরা চাই না, আপনার সন্তান এইচআইভিতে আক্রান্ত হোক। মূল্যবোধের পক্ষে সংগ্রামরত আমাদের দুই সম্মানিত শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎস স্যারকে এলজিবিটি সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়েছে। কিছু তথাকথিত বুদ্ধিপাপী আবার সেই সন্ত্রাসীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। প্রশাসনের নিরবতা আমাদের বিচলিত করছে।’

          মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চবি শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান, চবিয়ান দ্বীনি পরিবারের শূরা সদস্য শাহাদাত চৌধুরী ও মঈন উদ্দীন চিশতি সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।


          তথ্যসূত্র:


          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X