Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৪ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৪ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    আসামে স্কুলে শিক্ষার্থীরা কুরআন তেলাওয়াত করায় প্রিন্সিপাল বরখাস্ত




    মুসলিম শিক্ষার্থীরা সকালের প্রার্থনায় কুরআন তেলাওয়াত করার ভারতের আসাম রাজ্যের বঙ্গাইগাঁও জেলার একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা সামনে আসতেই মুসলিম সমাজে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছে, মুসলিম এলাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের কুরআন পড়া কোনো অপরাধ নয়।

    গত ১৮ আগস্ট আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্স-এ (টুইটার) জানায়, বঙ্গাইগাঁওয়ের পশ্চিম ভদ্রাওঁ নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    জানা যায়, স্কুলটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় মুসলিম শিশুরা নিয়মিত কুরআন পাঠ করতো। কিন্তু রাজ্য সরকার এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ব্যবস্থা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্সে লিখেছে, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা স্কুলে কোনো ধরনের মৌলবাদ ঢুকতে দেব না।’

    মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে আপত্তি জানাচ্ছেন। তাদের বক্তব্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা কুরআন পড়লে সেটি স্বাভাবিক ধর্মীয় অনুশীলন। কেউ কেউ বলেছেন, ছোটবেলায় তারা নিজেরাও স্কুলে হনুমান চালিশা বা অন্যান্য ধর্মীয় গান পড়েছেন, কিন্তু তখন সেটিকে কখনো ‘হিন্দু মৌলবাদ’ বলা হয়নি। তাহলে কেবল মুসলিম শিশুদের কুরআন পড়া কেন অপরাধ হিসেবে দেখা হবে?

    উল্লেখ্য যে, প্রতিনিয়ত হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ও দমন পীড়নমূলক আচরণ করা হচ্ছে। মুসলিমদের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক সহ সকল ধরণের অধিকার সংকীর্ণ করে দিচ্ছে।
    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমদের নিধন করা ও তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক করাই যেন প্রশাসন ও উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Assam: Principal suspended for Quran recitation during school’ assembly prayer
    https://tinyurl.com/4fvw5s9f
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ক্ষুধায় ২৬৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু, গাজায় প্রাণহানি ছাড়াল ৬২ হাজার


    অবরোধ, দুর্ভিক্ষ ও অব্যাহত হত্যাযজ্ঞ—গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর নেমে এসেছে এক অমানবিক পরিস্থিতি। বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় মৃত্যুর মিছিল কমপক্ষে ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে, এর বাইরে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন অসংখ্য মৃতদেহ ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে আছে কিংবা রিপোর্ট করা হয়নি তাই প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। ১৮ আগস্ট, সোমবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে সোমবার অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন এবং অপুষ্টিজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন আরও পাঁচজন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৪৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যায় কমপক্ষে ৬২ হাজার চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময়ে মোট আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩০ জন।

    দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করছে। সোমবার খাদ্য ও ওষুধ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ২৭ জন নিহত এবং ২৮১ জন আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১,৯৬৫ ফিলিস্তিনি সহায়তা নিতে গিয়ে নিহত এবং ১৪,৭০১ জন আহত হয়েছেন।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার একদিনে অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে পাঁচজন প্রান হারিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১১২ জন শিশু।

    দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নির্মম অবরোধের কারণে গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দা চরম খাদ্য সংকট, পানির অভাব এবং চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে দিয়েছে যে, অন্তত ৩২০,০০০ শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার। গাজার হাসপাতালগুলোতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে, এবং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করছেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Gaza death toll passes 62,000 as Israel continues to target civilians, aid seekers
    -https://tinyurl.com/3rv4ad5k
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় সাংবাদিকদের উপর ইসরায়েলি গণহত্যা: দুই বছরে ২৩৯ জন সংবাদকর্মী শহীদ


      গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নির্মম হামলায় আরও এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে গাজার রাজধানী গাজা সিটির সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের বোমা হামলায় শহীদ হয়েছেন তরুণ সাংবাদিক ইসলাম আল-কৌমি। এ ঘটনায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শহীদ সাংবাদিকের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২৩৯ জনে।

      গাজার গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কাজ করতেন ইসলাম আল-কৌমি। এই হত্যাযজ্ঞ শুধু একজন ব্যক্তির মৃত্যু নয়—এটি ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগ্রামের তথ্য-সত্যকে নীরব করে দেওয়ার এক ষড়যন্ত্র। দখলদার ইসরায়েল যে নৃশংসভাবে সাংবাদিকদের হত্যা করছে তা প্রমাণ করে যে এটি নিছক কোনো সামরিক ভুল নয় বরং সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

      অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা কমপক্ষে ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল মানুষ হত্যা নয়, গাজা এখন খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্কবার্তা দিলেও পশ্চিমা শক্তিগুলো নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে।

      বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এরই মধ্যে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞকে আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
      সাংবাদিক ইসলাম আল-কৌমির মৃত্যু আমাদের সামনে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিল যে, ফিলিস্তিনের লড়াই কেবল ভূমি দখলের বিরুদ্ধে নয়, বরং সত্যের কণ্ঠস্বর রক্ষার লড়াই। গাজার প্রতিটি সাংবাদিক যেন একেকজন শহীদ যোদ্ধা—তাদের কলম, তাদের ক্যামেরা, তাদের প্রাণ উৎসর্গিত হচ্ছে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Israeli army kills another Palestinian journalist in Gaza, death toll rises to 239
      https://tinyurl.com/4tb7tjbh
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার আন্দোলন থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্ৰেফতার


        বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে চলা ছাত্র আন্দোলন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন আল সুহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

        মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্ৰেফতার করা হয়। সুহান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী।

        পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, হোসাইন আল সুহানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


        তথ্যসূত্র:
        ১.স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পদ্মা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার নিচে, কমেনি জনদুর্ভোগ



          চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও এর আশপাশের নদীগুলোর পানি কমলেও এখনো পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমে ১৮ আগস্ট (সোমবার) বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি নামার গতি ধীর হওয়ায় এখনো সদর উপজেলার আলাতুলী ও নারায়ণপুর ইউনিয়ন এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর ও মনাকষা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। ফলে এসব এলাকার মানুষ এখনো চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।

          চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব গণমাধ্যমকে জানান, ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমে সোমবার বিপদসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

          টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের দলে পদ্মায় পানি বাড়ায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং দুই হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। এদিকে দীর্ঘদিন পানিবন্দি থাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়, চুলকানি ঘা এবং হেপাটাইটিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেলে এ রোগগুলো মহামারির আকার ধারণ করতে পারে।

          এছাড়া সময় মতো ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সে অঞ্চলে এখনো বন্ধ রয়েছে অর্ধ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


          তথ্যসূত্র:
          ১.বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি, বন্ধ অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
          -https://tinyurl.com/2kt2bm7w
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘র’ নিয়ন্ত্রিত এনএসআই-এর নাম ‘এনএসজি’, নিয়োগ দেওয়া হয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আ.লীগ স্বজনদের




            বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর অভ্যন্তরে ২০০৯ থেকে ২০২৪-এ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। গত কয়েক বছরে সংস্থাটিতে ছাত্রলীগ ক্যাডার, আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং ভারত অনুগতদের ব্যাপকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে যে কোনো সময় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

            ২০০০-২০০১ ব্যাচের ১৩ কর্মকর্তার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) মনজুরের সহযোগিতায় চলতে থাকে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ে ‘র’-এর পছন্দমতো লোক নিয়োগ।

            নিয়োগের পর এসব কর্মকর্তার মধ্য থেকে ‘র’-এর বাছাই করা কিছু কর্মকর্তাকে ভারত থেকে বিশেষ গোয়েন্দা ট্রেনিং করিয়ে আনা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিপুলসংখ্যক এনএসআই কর্মকর্তাকে কয়েক দফায় ‘র’ ভারতে প্রশিক্ষণ করিয়ে এনে এনএসআই’র গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন নিশ্চিত করে। ‘র’ এনএসআইর মাধ্যমে তাদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর আহমেদের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বিটিভির সংবাদ পাঠিকা শিরিন শিলা ও ডিজির যৌথ মালিকানায় একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে এবং টিঅ্যান্ডটি বোর্ড থেকে ‘আইজিডব্লিউ’ লাইসেন্স নেয়।

            এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের আড়ালে ‘র’-কে সুবিধা দেওয়া হয় এবং অবৈধ কার্যকলাপ আড়ালের লক্ষ্যে গুলশান টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সুইচিং ও মিটারিং সিস্টেম বাইপাস করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দায়সারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় যার কার্যক্রম আজ পর্যন্ত অজানাই রয়ে গেছে। জানা গেছে, নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ও কার্যকরী তথা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে টিঅ্যান্ডটির বেশিরভাগ টেকনিক্যাল স্থাপনা গোপনে সংযুক্ত করে তা ‘র’-এর গোপন অপারেশনের কাজে ব্যবহার করা হয়। সামগ্রিক বিষয়টির গোপনীয়তার স্বার্থে এনএসআইর সিনিয়র পদে সশস্ত্র বাহিনী থেকে ‘র’-এর পছন্দ ও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রেষণে কিংবা সরকারি চুক্তিতে এবং বিধিবহির্ভূত বা সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দুইয়ের সমন্বয়ে এনএসআই চলে যায় ‘র’-এর পুরোপুরি দখলে। বিষয়টি কার্যকর করার জন্য মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মনজুর আহমেদকে প্রথমে দুই বছরের চুক্তিতে এবং পরে তার চুক্তি পুনরায় একসঙ্গে তিন বছরের জন্য নবায়ন করা হয় অর্থাৎ তাকে এক নাগাড়ে পাঁচ বছর চুক্তিতে মহাপরিচালক রাখা হয়, যা এনএসআই’র ইতিহাসে নেই। এটা ‘র’-এর এনএসআই দখল ও তাদের অবস্থান সুসংহত করার নীলনকশার অংশ।

            এনএসআইর ভেতরে ‘র’ নিয়ন্ত্রিত আরো একটি গোপন এনএসআই সৃষ্টি করা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। ‘র’-এর অনুগত জনবল সময়ের বিবর্তনে এমন এক অবস্থানে এসেছে যে, বর্তমানে তারা এনএসআই’র অতিরিক্ত পরিচালক পদ থেকে শুরু করে সব পদ ও গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য পদে দাপটের সঙ্গে পদায়িত। তাদের প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য নিয়োজিত আছে সশস্ত্র বাহিনী থেকে প্রেষণে, সরকারি ও বেসরকারি চুক্তি এবং অবৈধ পন্থায় তথাকথিত নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের বেতন-ভাতাদি ‘সোর্স মানি’ থেকে মেটানোর পাশাপাশি তাদের জন্য গাড়ি, ড্রাইভার নিয়োগ ও সিকিউরিটি গার্ডও সোর্স মানি থেকে দেওয়া হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে এনএসআই সিকিউরিটি গার্ড সংক্ষেপে ভারতের সঙ্গে মিল রেখে বলা হয় ‘এনএসজি’।

            এনএসআইতে ২০০০-২০০১ ব্যাচের ১৩ কর্মকর্তা, যারা এইচটি ইমামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক আদেশে নিয়োগপ্রাপ্ত তারা এবং ২০১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের ব্যাপারে ‘র’ সব সময় তৎপর ছিল এবং এখনো রয়েছে। ২০১২ সালের ব্যাচটি নেওয়ার পর এনএসআইতে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭, ২০২২ ও ২০২৩ মোট পাঁচটি ব্যাচ যোগদান করে। এদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগের পদধারী ক্যাডার এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও বিভিন্ন বাহিনীতে আওয়ামী কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন। ২০০০-২০০১ ব্যাচের চিহ্নিত ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে পরিচিত দুজন যুগ্ম পরিচালক পরবর্তী সময়ে তাদের ভাই-ভাতিজাসহ মোট ১৪২ জন আত্মীয়-স্বজনকে এনএসআইতে চাকরির ব্যবস্থা করিয়েছে।

            পলাতক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ভাতিজি নাহরিন চৌধুরী ২০২২ সালে লিখিত পরীক্ষায় ফেল করা সত্ত্বেও তাকে এনএসআই’র সহকারী পরিচালক পদে চাকরিতে নেওয়া হয়। একই বছর তার স্বামী রুবাইয়েত ইমাম শোভনকেও সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেওয়া হয়। এই দুজনকেই স্ট্র্যাটেজিক শাখায় পদায়ন করা হয়। তার আরেক ভাতিজি তাহসিনা নাহলিন খানকে ২০২২ সালে এনএসআইতে চাকরি দেওয়া হয়। ২০২০ সালে এনএসআই নিয়োগ পরীক্ষায় পলাতক লে. জেনারেল (অব.) মুজিবের ভাতিজি ফারিয়া জামান মিশিতা মুজিবের গাড়িতে করে এসে বিকেলের পরীক্ষা সকালে দিয়ে চাকরি পায়। মিশিতার স্বামী আসিফ ইবনে রশীদকেও একই বছর একই পদে চাকরি দেওয়া হয়। রশীদ ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে কর্মরত ছিল।

            গণমাধ্যমে জেনারেল মুজিবের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে তাকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ফেনীতে বদলি করা হয়। নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজের (২০১৪) ছেলে আবিদ রাব্বি মো. মুতাসিম বিল্লাহ ২০১৮ সালে এনএসআইতে উপপরিচালক হিসেবে চাকরি পায়। সে স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালাইসিস বিভাগে কর্মরত। নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে এখন মামলা চলমান রয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মেয়ে ফারাহ ফয়েজকে ২০২৩ সালে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেওয়া হয়। এখন ফারাহ প্রশাসনিক বিভাগে কাজ করছে। তাকে ২০২২ সালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালে তাকে স্থায়ী করা হয়। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজের চাচাতো ভাই আল আমিনকে ২০২০ সালে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেওয়া হয়। তাকে সাতক্ষীরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেনারেল আজিজের অনুরোধে সে সময় তার আত্মীয় আরো ১১ জনকে এনএসআইয়ের চাকরিতে নেওয়া হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নাতি অনিক কামাল ও কামরুল হাসান ২০২০ সালে সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করে।

            এনএসআইর নিয়োগ প্রক্রিয়া ধ্বংস হয় শেখ হাসিনার প্রথম আমলের শেষ সময় ২০০১ সালে। তখন থেকেই ছাত্রলীগ ক্যাডারদের ঢোকানো শুরু হয়।


            তথ্যসূত্র:
            ১.‘র’ নিয়ন্ত্রিত এনএসআই-এর নাম ‘এনএসজি’, নিরাপত্তা হুমকিতে বাংলাদেশ
            -https://tinyurl.com/mppbkpea
            zz0.c2seoz9yvjqzz

            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X