Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৫ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ২০ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৫ সফর, ১৪৪৭ হিজরী || ২০ আগস্ট, ২০২৫ ঈসায়ী​

    চাঁদপুরে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে প্রবাসী যুবকের কটূক্তির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ


    চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাগদা গ্রামের মেহেদী হাসান অনন্ত নামের এক প্রবাসী যুবক তার নিজেস্ব ফেইসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটুক্তি করায় বিক্ষোভ মিছিল ও তার বসতঘর ভেঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট)বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে । সংবাদ পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    মেহেদী হাসান অনন্ত নাগদা গ্রামের আব্দুল হক বকাউলের ছেলে। সে বেলজিয়ামে থেকে তার ফেইসবুক আইডির লাইভে এসে এবং তার পেইজে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে কটুক্তি ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনায় বিভিন্ন মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে মতলব উপজেলা ইমাম উলামা ঐক্য পরিষদ খাদেরগাঁও ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার বিকেলে নাগদা আল ইকরা নুরানি ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন শুরুর পূর্বে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং তৌহিদী জনতা মেহেদী হাসান অনন্তের বাড়ীতে গিয়ে তাদের পরিত্যক্ত ঘরটি ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে নাগদা আল ইকরা নুরানি ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


    তথ্যসূত্র:
    ১. মতলবে প্রবাসী যুবক মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি করায় বিক্ষোভ মিছিল
    -https://tinyurl.com/mr3uvp3d
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    সাভার গণহত্যার নির্দেশদাতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাহুল চন্দ এখন ইউএনও




    জুলাই গণহত্যায় ঢাকার সাভারে প্রশাসনের যে কয়জন কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ। গুলি ও হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শাস্তি পাওয়ার কথা থাকলেও এখনো বহালতবিয়তে আছে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে আসা এই কর্মকর্তা। বর্তমানে ঝালকাঠির রাজাপুরে ইউএনও হিসেবে কর্মরত সে।

    এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও ভুক্তভোগীরা। তাদের আক্ষেপ, অন্তর্বর্তী সরকার বিচারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শাসনভার গ্রহণ করলেও প্রশাসনিক আওয়ামী দুর্বৃত্তরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরেই রয়ে গেছে। জুলাই বিপ্লবের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের এমন নির্ভার অবস্থা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানির শামিল।

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা রাহুল চন্দ জুলাই বিপ্লবের পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজাপুরে যোগদান করে। সাভারের ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুলাই বিপ্লব দমনে পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকায় অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে জড়িত ছিল এই রাহুল চন্দ। স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গেও তার ছিল দহরম-মহরম। রাহুল চন্দকে জুলাই বিপ্লব দমনের জন্য মাঠে পুলিশের সঙ্গে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে সক্রিয় দেখা গেছে। ছাত্র-জনতাকে হটাতে পুলিশ সদস্যদের সে নির্দেশনা দিয়েছে, এমন একাধিক ভিডিও গণমাধ্যমগুলোর হাতে এসেছে।

    গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। সে সময় অনেকের সঙ্গে নিহত হয় সাভার ডেইরি ফার্ম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আলিফ আহমেদ সিয়াম। ছেলেকে হত্যার অভিযোগে চলতি বছরের ৬ জুন সাভার থানায় মামলা করেন সিয়ামের বাবা বুলবুল কবির। মামলায় ৩২ জনকে আসামি করা হয়। এতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর ও রাহুল চন্দকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকামুখী লংমার্চে অংশ নিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে সিয়ামসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিছিলে অংশ নেয়। লংমার্চটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এলে দুপুর আনুমানিক ২টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় সিয়াম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুলিবিদ্ধ সিয়ামকে পাশের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট সে মারা যায়। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে দাফন করা হয়।

    জানতে চাইলে বুলবুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, মামলার অন্যতম আসামি ও গুলির নির্দেশদাতা তৎকালীন ইউএনও রাহুল চন্দকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করেনি। আমি তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

    জুলাইযোদ্ধা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আন্দোলনের দিনগুলোয় সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক বরাবরই ছিল উত্তাল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ আর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের হামলার অগ্রভাগে দেখা যেত তৎকালীন ইউএনও রাহুল চন্দকে। আন্দোলনের দিনগুলোয় প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের মিটিংয়ের কথা বলে পুলিশ সদস্যদের নিজ কার্যালয়ে ডেকে বৈঠক করে আন্দোলন দমাতে সংঘবদ্ধ হয়ে সড়কে নামত সে। সঙ্গে থাকত ওই সময়কার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল নুর। সাভারে জুলাই আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা ছিল অর্ধশতাধিক। ওই সব হত্যাকাণ্ডে ঘুরেফিরে আসছে তৎকালীন ইউএনও রাহুল চন্দের নাম। ওই সময় সে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

    তথ্যসূত্র:
    ১. সাভার গণহত্যার নির্দেশদাতা রাহুল চন্দ এখন রাজাপুরের ইউএনও
    https://tinyurl.com/ye4d6k8p
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা যুবক এখন ছাত্রদল নেতা


      বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরে ভোট দেওয়া মো. আমান উল্লা আমান এখন ছাত্রদল নেতা। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরোধ ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

      জানা গেছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বিলদহর গ্রামে মো. আমান উল্লা আমান। সে ওই গ্রামের মো. আসাদ প্রাংয়ের ছেলে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি, মিটিং-মিছিলে দেখা গেছে। সম্প্রতি সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. ইউসুফ আলীর ছবি দিয়ে ব্যানার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে।

      ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে সেই ছবি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আমান। সে এখন আবার সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মো. ইউসুফ আলীর ছবি দিয়ে ব্যানার করে প্রচার করছে।


      তথ্যসূত্র:
      ১. প্রকাশ্য নৌকায় ভোট দেওয়া আমান এখন ছাত্রদল নেতা
      https://tinyurl.com/pdhzur77
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        অভ্যুত্থানের ০১ বছর পার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আওয়ামীপন্থী বিচারকরা, ইস্কন নেতা থেকে ছাত্রলীগ বহালতবিয়তে রয়েছে অনেকে



        গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগে আওয়ামী মদতপুষ্ট দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগী বিচারকরা এখনো বহালতবিয়তে রয়েছে। সামান্য কিছু অদলবদল আর অবসরের ফাঁকে পার পেয়ে যাচ্ছে এদের বেশিরভাগ।

        দলকানা এসব বিচারকের বিরুদ্ধে রয়েছে বিগত ১৬ বছরে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম ও রিমান্ড অনুমোদনের পাহাড়সম অভিযোগ। রয়েছে দলীয় পরিচয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রাইজ পোস্টিং বাগিয়ে নেওয়ার ঘটনা। অভ্যুত্থানের এক বছরেও এসব বিচারক সম্পর্কে নেই কোনো তদন্ত বা শাস্তি।

        শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসন টিকিয়ে রাখতে সহায়তাকারী এসব বিচারককে বাদ দেওয়ার দাবি ওঠে অভ্যুত্থানের পরপরই। গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া উচ্চ আদালতের দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করে। পরে সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে ৩০ সেপ্টেম্বর বার ভবনের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ২৯ জন দলীয় দুর্নীতিবাজ বিচারপতির তালিকা প্রকাশ করে তাদের পদত্যাগের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। ১৬ অক্টোবর জুডিশিয়াল ক্যু চেষ্টার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করা হয়। ওই ঘটনার পর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পদত্যাগ করে। এরও কয়েক মাস পর বিচারপতি খিজির হায়াতকে ১৮ মার্চ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২২ মে অপসারণ করা হয়।

        অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর অতিক্রান্ত হলেও বেঞ্চ ফেরত বাকি অভিযুক্ত বিচারপতিদের বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে এখনো তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। এ তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউই কিছু বলতে পারছে না। আর অভ্যুত্থান-পরবর্তী আরো যে চিহ্নিত ২৯ জন বিতর্কিত বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছিল, তাদের বিষয়ে কোনো ধরনের তদন্তের উদ্যোগের কথা জানা যায়নি।

        অভিযুক্ত এসব বিচারপতির মধ্যে রয়েছে জিয়াউর রহমানকে ‘ডাকাত’ হিসেবে গালি দেওয়া, জুলাই বিপ্লবে পুলিশকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশদাতা কিংবা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা বিচারপতিরাও। আছে আওয়ামী দলীয় ক্যাডার তালিকায় নিয়োগ পাওয়া নাঈমা হায়দার, যার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রকাশ্য দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ। আছে আওয়ামী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম। আরো আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনের মামলার প্রধান আসামি রুহুল কুদ্দুস বাবু। প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা ও ভাঙচুরে অভিযুক্ত এই বিচারপতি।

        দলীয় কোটায় নিয়োগ পাওয়া কট্টর আওয়ামীপন্থি বিচারপতি জেবিএম হাসান। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে উপরোক্ত কারো বিরুদ্ধেই কোনো ধরনের তদন্তের খবর পাওয়া যায়নি।

        নিম্ন আদালত

        উচ্চ আদালতের চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিম্ন আদালতে। কখনো সাবেক ছাত্রলীগ, কখনো আনিসুল হক বা তার বান্ধবী তৌফিকা করিমের সঙ্গে যোগসাজশের ভিত্তিতে কিংবা কামরুল ইসলামের লোক পরিচয়ে বিগত দেড় যুগ ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত বিচারকদের সবাই রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

        ঢাকার সাবেক সিএমএম জুলফিকার হায়াত। আওয়ামী লীগের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সচিব গোলাম সরওয়ারের প্রিয়ভাজন হিসেবে পরিচিত ছিল। সে ঢাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আইন কমিশন, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের মতো লোভনীয় পদগুলোয় কাজ করেছে। সিএমএম ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে থেকে দলীয় ঘনিষ্ঠতার সুবাদে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্ত কামিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা আদিলুর রহমান খানকে দুই বছরের সাজা দিয়ে হাসিনা সরকার কর্তৃক পুরস্কার হিসেবে সচিব গোলাম সরওয়ারের আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে সফরসঙ্গী হয়। অথচ বহু বিচারক পুরো চাকরিজীবনে একবারও বিদেশ সফর পায়নি।

        আসসামস জগলুল হোসেন, নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। সে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের ঘনিষ্ঠ এবং সাবেক সচিব গোলাম সরওয়ারের প্রিয়ভাজন হওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে নারায়ণগঞ্জের জেলা জজ পদ বাগিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রীর সঙ্গে যোগসাজশের ভিত্তিতে অবাধে দুর্নীতির মামলাসহ অন্যান্য মামলায় জামিন দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জুলাই আন্দোলনের সময় অন্যায়ভাবে ছাত্রদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল সে। এতকিছুর পরও বর্তমানে সে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

        ঢাকার সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত চৌধুরী। চরম দুর্নীতিবাজ এই বিচারক আইনমন্ত্রীর চেম্বারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় আওয়ামী আমলে গাজীপুরসহ বিভিন্ন লোভনীয় পোস্টিং বাগিয়ে নেয়। ওই সময় তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার জামিন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

        ঢাকার সাবেক সিএমএম হাফিজুর রহমান। সিএমএমের দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আইনমন্ত্রীর চেম্বারের তৌফিকা করিমের সঙ্গে এসব অর্থের ভাগবাঁটোয়ারা করে বারবার রাজধানী ঢাকায় পোস্টিং বাগিয়ে নেয় সে। সে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাসহ বিডিআর হত্যা মামলারও ট্রায়াল করেছিল।

        হাসিবুল হক, সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট ছিল। অত্যন্ত ধূর্ত ও বর্ণচোরা হিসেবে পরিচিত ও সাবেক ছাত্রলীগার। আইনমন্ত্রীর বান্ধবী তৌফিকা করিমের ফরমায়েশমতো জামিন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আন্দোলনরত ছাত্রদের রিমান্ড মঞ্জুরসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তায় অভিযুক্ত। দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকার শান্তিনগরসহ কয়েকটি জায়গায় তার একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গেছে। বিলাসবহুল জীবনযাপন করা এই বিচারক জুলাই-আগস্টের পর ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে দোসরদের অবাধে জামিন দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতকিছুর পরও বর্তমান সরকারের সময়ও সে পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছে।

        ঢাকার সাবেক দুর্নীতিবাজ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত রয়েছে। বিগত সময়ে সে নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা দাবি করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে। এখন নিজেকে ছাত্রদলের নেতা হিসেবে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে সরাসরি গোপনে আইনজীবীদের চেম্বারে গিয়ে টাকার লেনদেন করত বলে ব্যাপক অভিযোগ আছে।

        নরসিংদীর সাবেক জেলা জজ জুয়েল রানা শুধু সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জুনিয়র হিসেবে পরিচিত বিপ্লবের সঙ্গে খাতির থাকার কারণে নরসিংদী জেলা জজ পদ বাগিয়ে নেয়। বিপ্লবের মাধ্যমে সারা দেশে তদবির বাণিজ্যসহ ঘুষ দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকা এ বিচারকের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ধরনের তদন্তের কথা জানা যায় না।

        নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নোয়াখালীর বিচারক আবদুর রহিম ফেনী জেলার সিজেএম থাকাকালে আওয়ামী এমপি নিজাম হাজারীর ঘনিষ্ঠতা অর্জন করে প্রচুর অবৈধ অর্থ কামানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার স্ত্রীও জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌস ঢাকার বিভিন্ন পদে কাজ করাকালে নির্লজ্জভাবে ঘুষ গ্রহণ করত বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা দুজন বিপুল সম্পদের মালিক এবং তাদের দুই সন্তান কানাডায় পড়াশোনা করছে বলে জানা গেছে। এরাও বর্তমানে বহালতবিয়তে আছেন।

        মুন্সী মশিয়ার রহমান, বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ঢাকায় কর্মরত। আওয়ামী লীগের দোসর এই কর্মকর্তা চট্টগ্রামের সিজেএম থাকাকালে চট্টগ্রাামের বিভিন্ন জুডিশিয়াল কিলিংকে বৈধতা দেয়। সে কুষ্টিয়ার জেলা জজ, নারায়ণগঞ্জের জেলা জজ ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবেও কর্মরত ছিল। নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের দায়িত্ব পালনকালে আনিসুল হকের মাধ্যমে নিয়োগ ও জামিন বাণিজ্য করে প্রচুর টাকার মালিক হয়েও বর্তমানে ধরাছোঁয়ার বাইরে ও বহালতবিয়তে আছে।

        চট্টগ্রামের চিফ জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম। বাড়ি গোপালগঞ্জ থাকায় সে ধরাকে সরা জ্ঞান করত। আইন মন্ত্রণালয়ের ডিএস হিসেবে কাজ করাসহ ঢাকার লোভনীয় পদে ছিল। চট্টগ্রামে সীমাহীন দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে এখনো চট্টগ্রামের সিজিএমের দায়িত্বে আছে।

        অসীম কুমার দে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ। কয়েক মাস আগে তাকে মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হলেও অদৃশ্য কারণে তার পছন্দসই জেলায় পোস্টিং দেওয়া হয়। সে ইসকন নেতা, নারী ও অর্থ কেলেংকারি নিয়ে বিচারাঙ্গনে পরিচিত। তার বদলিতে মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গেছে।

        এএইচএম মাহমুদুর রহমান ২০২৩ সালে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও তার কথিত বন্ধু আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম নকীবের সুপারিশে ভোলা জেলায় জেলা জজ হিসেবে বদলি হয়ে আসে। ইতঃপূর্বে সে ভোলায় যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে চাকরি করে গেছে। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার জেলা জজ বদলি করা হলেও সে আছে বহালতবিয়তে।

        সম্প্রতি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো বিকাশ কুমার সাহার অন্যতম আস্তাভাজন হিসেবে পরিচিত আপিল বিভাগের সাবেক রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান। উচ্চ আদালতে হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এই কর্মকতাও ৫ আগস্টের পর বহালতবিয়তে আছে।

        জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগের সময় সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে যারা উচ্চ আদালতের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল, ৫ আগস্টের পরও তাদের অনেকেই স্বপদে ক্ষমতা নিয়ে রয়েছে।


        তথ্যসূত্র:
        ১. পার পেয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী মদতপুষ্ট বিচারকরা
        https://tinyurl.com/4r2nz7b5
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিউরোসায়েন্সে ভর্তি ১৬৭ জনের বেশিরভাগেরই মাথার খুলি ছিল না: চিকিৎসকের জবানবন্দি


          রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়। তাঁদের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না। বুধবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দিতে এ কথাগুলো বলেন।

          গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় পলাতক শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ১৩তম সাক্ষী হিসেবে মাহফুজুর রহমান এই জবানবন্দি দেন। শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

          সাবেক আইজিপি মামুন ইতিমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছে। পাশাপাশি সে এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হয়েছে।

          জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলি ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের বেশির ভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। তাঁদের মধ্যে চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়।’

          গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের প্রায় ৩৩টি অস্ত্রোপচার নিজে করেছেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো বুলেট ও পিলেট আহত আন্দোলনকারীদের শরীর থেকে বের করেছি। অনেকগুলো গুলি ও পিলেট রোগীরা চেয়ে নিয়ে যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা জব্দ তালিকামূলে দুটি পিলেট এবং একটি বড় বুলেট ও আরও একটি গোলাকার বুলেট জব্দ করেছে।’

          জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) লোকেরা এসে নতুন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করার জন্য তাঁকে চাপ দেয়।

          মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘(ডিবি) বলে, আপনি অতি উৎসাহী হবেন না, আপনি বিপদে পড়বেন। তারা আরও বলে, যাঁদের ভর্তি করেছেন, তাঁদের রিলিজ করবেন না—এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমরা কৌশলে ভর্তি রেজিস্ট্রারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে রোড অ্যাক্সিডেন্ট বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করি।’

          জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, উপরোক্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা। তার নির্দেশ কার্যকরকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এবং যারা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে নিহত ও আহত করেছেন, তাঁদের বিচার ও ফাঁসি চান তিনি।


          তথ্যসূত্র:
          ১. নিউরোসায়েন্সেসে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না
          https://tinyurl.com/8s2pmv4s
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গাজায় দুই বছরে প্রায় ১৯ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল


            গাজায় গত দুই বছরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ হাজার ৮৮৫ জনই শিশু। জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা, ইউএনআরডব্লিউএ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, বর্তমানে গাজায় শিশুদের জন্য আর কোন জায়গাই নিরাপদ নয়।

            ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, দখলদার ইসরায়েল প্রয়োজনীয় সাহায্য এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় গাজায় ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় স্কুলগুলো গাজায় লাখ লাখ মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।

            জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোও হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। গাজার কোন জায়গাই শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়।’ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

            ইউনিসেফের বরাত দিয়ে ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত পাঁচ মাস ধরে, প্রতি মাসে গড়ে ৫৪০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। ১৯ আগস্ট, মঙ্গলবার বর্বর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর জাতিসংঘের এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

            এদিকে, ২০ আগস্ট, বুধবার ভোর থেকে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরমধ্যে কমপক্ষে আটজন ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। এরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল সমর্থিত জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গত মে মাস থেকে কমপক্ষে দুই হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।


            তথ্যসূত্র:
            1. Israel has killed nearly 19,000 children in Gaza war as strikes intensify
            https://tinyurl.com/4ukep4wz
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু


              ২০ আগস্ট, বুধবার ভোর থেকে গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারা যান আটজন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদুলু।

              এক প্রতিবেদনে আনাদুলু জানায়, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে সাহায্যের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে আটজন মারা যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

              চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, পশ্চিম গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন। একই শহরের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি তাঁবুতে আরেকটি হামলায় শিশুসহ আরো চারজন নিহত হয়েছেন।

              এছাড়া, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী দক্ষিণ সাবরা পাড়ায় একটি বাড়িতে গোলাবর্ষণ করেছে, এতে দুই শিশু নিহত এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নারী এবং তার দুই শিশু মারা যায়।

              দক্ষিণ-পূর্ব গাজা শহরের জেইতুনে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় একই পরিবারের আরো চারজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলায় ভবনটিতে আগুন ধরে যায়।

              ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান শরণার্থী শিবিরের বেশ কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালালে এক শিশুসহ আরো পাঁচজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হন।


              তথ্যসূত্র:
              1. Children among 33 killed, dozens injured in Israeli attacks across Gaza Strip
              -https://tinyurl.com/474hzd3y
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                দুই শিক্ষককে সমকামী সন্ত্রাসীদের হুমকি : ৭৩ শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীর উদ্বেগ



                ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসকে সিলেটের মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকামী ট্রান্স জেন্ডার সন্ত্রাসী সাহারা চৌধুরী কর্তৃক প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী ৭৩ জন নাগরিক।

                মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অবিলম্বে ড. সরোয়ার ও উৎস -কে হত্যার হুমকি দেওয়া সাহারা চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
                বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা নিম্নসাক্ষরকারীগণ সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, গত ১১ আগস্ট রাতে সাহারা চৌধুরী নামের একজন শিক্ষার্থী ‘এন্টার্কটিকা চৌধুরী’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসকে উদ্দেশ্য করে দুটি কার্টুন ক্যারিকেচার প্রকাশ করা হয়। উক্ত কার্টুনে তাদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই শিক্ষক সাহারা চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন।

                উল্লেখ্য, সাহারা চৌধুরীর একটি মেনিফেস্টো অনলাইনে পাওয়া যাতে সাহারা চৌধুরী পাশ্চাত্যের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির আদলে সন্ত্রাসবাদকে নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

                আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, এ ঘটনার পর কিছু শিক্ষকসহ ১৬২ জন নাগরিক একটি বিবৃতি দিয়েছেন যেখানে তারা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানানোর পরিবর্তে হুমকির শিকার দুই শিক্ষককে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। এই ঘৃণ্য ভিক্টিম ব্লেমিং ভয়াবহ মবতন্ত্রের সবকটি লক্ষণ বহন করে।

                ড. সারোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসের নিরাপত্তা অবিলম্বে নিশ্চিত করা ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদানের দাবি করেন বিবৃতিদাতাগণ।

                বিবৃতি দেয়া শিক্ষকগণ:

                ১.ড. হাসান মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, কাতার

                ২. আনিসুর রহমান, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার, ইলি লিলি & কোম্পানি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৩. ড. হেলাল মোহাম্মদ খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচিং প্রফেসর, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৪. ড. ফারুক ভূঁইয়া, অ‍্যসিস্ট‍্যান্ট প্রফেসর, ইউনিভার্সিটি অফ সাসেক্স, যুক্তরাজ্য

                ৫. ড. ফরহাদ হোসেন, অ‍্যসিস্ট‍্যান্ট প্রফেসর, সোফিয়া ইউনিভার্সিটি, জাপান

                ৬. ড. সিব্বির আহমেদ, পোস্ট ডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব ভারজিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র

                ৭. ড. আরীফুল হক, ইউনিভার্সিটি অফ হিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র

                ৮. ড. মোঃ রাফিউল বিশ্বাস, পোস্টডক্টরাল গবেষক, হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়, কাতার

                ৯. ড. রাশেদুল ইসলাম, পোস্টডক্টরাল রিসার্চার, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান

                ১০. ড. এস এম নাসির উদ্দিন, গবেষক, হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটি, কাতার

                ১১. ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট

                ১২. তাইয়িব আহমেদ, পিএইচডি গবেষক এবং ইন্সট্রাক্টর, কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র ১৩. নুসরাত সুবাহ্ বিনতে সাখাওয়াত, পিএইচডি গবেষক, ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়া

                ১৪. মীর শাব্বির হাসান, পিএইচডি গবেষক, জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র

                ১৫. মুহাম্মাদ উবায়দুল হক, একাডেমিক অফিসার, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য

                ১৬. সুমাইয়া রাবেয়া, রিসার্চ ফেলো, ইউনিভার্সিটি টঙ্কু আব্দুল রহমান, মালয়েশিয়া

                ১৭. মুসান্না গালিব, বিজনেস এনালিস্ট, টেক্সাস এ এন্ড এম ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

                ১৮. রাসেল মোহাম্মদ, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, জাপান

                ১৯. শামসুল চৌধুরী, এডুকেশনাল কনসালট্যান্ট, ডেনমার্ক

                ২০. মিনহাজুল আবেদীন, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক

                ২১. মুহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব সাস্কাচুয়ান, কানাডা

                ২২. শরীফ আব্দুল বাছেদ, পিএইচডি গবেষক, লাইপজিগ ইউনিভার্সিটি, জার্মানী

                ২৩. মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, আঙ্কারা ইউনিভার্সিটি, তুরস্ক

                ২৪. মোহাম্মাদ তালহা, রিসার্চ ফেলো, সিজিসিএস

                ২৫. হাসান মাহমুদ, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, কানাডা

                ২৬. ইশফাক ফারহান সিয়াম, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, কাতার

                ২৭. রুবাইয়া মাহজাবিন, ইউনিভার্সিটি অব মিলান, ইতালি

                ২৮. মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া

                ২৯. ফারহান সালেহ রাফিদ, আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক, কাতার

                ৩০. মো. ওবায়দুল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৩১. আবরার মোহসিন সামিন, রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার, যুক্তরাষ্ট্র

                ৩২. আবরার আবির, কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি, কাতার

                ৩৩. শেখ তাশরীফ উদ্দিন, ওকলাহোমা স্টেইট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৩৪. মুহাম্মদ আশরাফ আলী, রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট, নর্থ ক্যারোলাইনা এ এন্ড টি স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৩৫. শেখ মুযযাম্মিল হোসেন, আলবুখারী ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া

                ৩৬. আবু ইউসুফ, পিএইচডি গবেষক, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান

                ৩৭. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অফ মন্ট্রিয়াল, কানাডা

                ৩৮. এনামুল হক, লেকচারার, ফেনী ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ

                ৩৯. মো: মনিরুল ইসলাম, পিএইচডি ফেলো, সুকুবা ইউনিভার্সিটি, জাপান

                ৪০. হযরত আলী, লেকচারার, খাজা ইউনুস আলী ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ

                ৪১. মো. আবু ছালেহ, পিএইচডি গবেষক, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান

                ৪২. সাবিত হোসেন, মুহাম্মদিয়া ইউনিভার্সিটি অফ জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, এনএসটিসি রিসার্চ ফেলো, তাইওয়ান

                ৪৩. মোহাম্মদ ইশরাক, ইন্ডেপেন্ডেন্ট রিসার্চার

                ৪৪. মো. আবুল হাসান, পিএইচডি গবেষক, HSE ইউনিভার্সিটি, রাশিয়া

                ৪৫. ইয়াছিন আরাফাত, দিল্লি ইউনিভার্সিটি, ভারত

                ৪৬. তারিক মাহমুদ, ডেপুটি ডাইরেক্ট, ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক সোশ্যাল ফাইন্যান্স

                ৪৭. খান মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব, ইয়েনি সাফাক মিডিয়া নেটওয়ার্ক, তুরস্ক

                ৪৮. আলিয়ার মির্জা, আলবায়রাক মিডিয়া নেটওয়ার্ক, তুরস্ক

                ৪৯. শাহরিয়ার কামাল, পিএইচডি গবেষক, নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান

                ৫০. মো. মমিনুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক, হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান
                ৫১. মোহতাসিম হাফিজ, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি কাতার

                ৫২. মো. গোলাম মর্তুজা, পিএইচডি গবেষক, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া

                ৫৩. আহসান হাবিব, পিএইচডি গবেষক, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৫৪. মো. মাহাদী হাসান, রিসার্চ অ্যাসিসট্যান্ট, ইউনিভার্সিটি অব মালয়া, মালেয়শিয়া

                ৫৫. আহমাদ তকী, ডক্টোরাল রিসার্চার, ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৫৬. মো. রাকিবুল হাসান, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইউনিভার্সিটি অব লুইজিয়ানা অ্যাট লাফায়েত, যুক্তরাষ্ট্র

                ৫৭. মো. সুয়াইব হাসান, সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ, শেলটেক কনসাল্টেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড

                ৫৮. এন এইচ এম আরাফাত, পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব টলেডো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

                ৫৯. আল মাহফুজ, পিএইচডি গবেষক, ফ্লুরিডা টেক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

                ৬০. ফুয়াদ আল আবীর, পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা-বার্মিংহাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

                ৬১. কাজী জহিরুল ইসলাম, মেরসিন ইউনিভার্সিটি, তুরস্ক

                ৬২. আব্দুল মুহাইমিন, গ্র‍্যাজুয়েট স্টুডেন্ট, বিলকেন্ত ইউনিভার্সিটি, তুরস্ক

                ৬৩. শেখ মো. সাজেদুল করিম, রিসার্চ ফেলো, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক সায়েন্স, হ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটি, ভার্জিনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

                ৬৪. তাহমিদ ফায়েক, আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

                ৬৫. তাহমিদুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ

                ৬৬. নাজিব আব্দুল্লাহ, আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

                ৬৭. জুয়াইরিয়া বিনতে আনোয়ার, ইকনোমিক এনালিস্ট, বাংলাদেশ

                ৬৮. তাসনিম বিনতে মাকসুদ, ইউনিভার্সিটি অফ হিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র

                ৬৯. মো. মোজাহিদুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক, যুক্তরাষ্ট্র

                ৭০. মো. মাইনুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক, টেক্সাস এ & এম ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

                ৭১. মো. তৌফিকুর রহমান, ব্যাংকার, বাংলাদেশ

                ৭২. মো. হাবিবুর রহমান, পিএইচডি স্টুডেন্ট, হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটি, কাতার

                ৭৩. জুনাইদ আলমামুন, পিএইচডি স্টুডেন্ট, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র


                তথ্যসূত্র:

                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  কাশ্মীরে আরও দুই মুসলিম ব্যক্তির সম্পত্তি জব্দ করলো দখলদার ভারত


                  ভারতের দখলীকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ইসলামাবাদ (বর্তমানে অনন্তনাগ) এবং বারামুল্লা জেলায় আরও দুই কাশ্মীরি নাগরিকের কৃষিজমি জব্দ করেছে দখলদার প্রশাসন।

                  কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের বরাতে জানা গেছে, ভারতীয় দখলদার বাহিনী কথিত বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে গত ১৯ আগস্ট বিজবেহারার গুড়ি এলাকায় আদিল হুসেন থোকার নামে এক ব্যক্তির একটি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। একইদিন বারামুল্লা জেলার আসিফ মকবুল দার ও মুহাম্মদ মকবুল দার নামে দুই ভাইয়ের থাকা ৩ কানাল ১৮ মারলা কৃষিজমিও জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

                  ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা (অনুচ্ছেদ ৩৭০) বাতিল করার পর থেকে কাশ্মীরজুড়ে জমি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের হার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়ানো এবং জমি থেকে উচ্ছেদ করে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা দমন করতে চাচ্ছে দখলদার ভারত।

                  উল্লেখ্য যে, এর আগেও জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় শতাধিক ব্যক্তির জমি ও সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে, যা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। তবে কথিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, যা তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. Indian police attach property of two more Kashmiris in IIOJK
                  https://tinyurl.com/y6jsja29
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    কাশ্মীরে নিজের গুলিতে নিজেই আহত ভারতীয় সেনা


                    কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে দায়িত্ব পালনের সময় দুর্ঘটনাবশত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিজেই আহত হয়েছে এক ভারতীয় সেনা সদস্য।

                    ১৯ আগস্ট কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ১৮২ নম্বর ইউনিটের কনস্টেবল নারোটে গনপত তার ডিউটিরত অবস্থায় নিজের অস্ত্র থেকে হঠাৎ গুলি ছোড়ে, যা সরাসরি তার শরীরে লাগে।

                    ঘটনার পরপরই তাকে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজৌরি সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত সেনার অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন।


                    তথ্যসূত্র:
                    1. Indian trooper injured in accidental firing in Poonch
                    https://tinyurl.com/2zpphfyn
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment

                    Working...
                    X