Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    লাশ পোড়ানো নিন্দনীয়, মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় ব্যর্থ প্রশাসন: হেফাজতে ইসলাম


    রাজবাড়ীতে লাশ পোড়ানোকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান।

    শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।

    বিবৃতিতে তারা বলেন, কাবার আদলে ১২ ফুট উঁচু নুরাল পাগলার মাজার ও বেদী নির্মাণ, নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি ও নিজস্ব কালেমার প্রচলন ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক দিন ধরে রাজবাড়ীর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। নুরাল পাগলার পরিবারকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হন। এমনকি নুরাল পাগলার এসব অপকর্ম রোধে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তারা বৈঠক করে স্মারকলিপি দেন এবং প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলনও করেন। এতে তাদের ধৈর্যের পরিচয় পাওয়া গেলেও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা নুরাল পাগলার কথিত কাবার আদলে তৈরি কবর ভেঙে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেয়।

    তারা আরও বলেন, ইসলামে লাশ পোড়ানো নিষিদ্ধ। এটি মানবিক মর্যাদার প্রশ্ন। ইসলাম-প্রদত্ত এই মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। ফলে নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য কাজ। একটি অন্যায় রোধ করতে গিয়ে আরেকটি অন্যায় করার সুযোগ নেই। তবে আমরা মনে করি, রাজবাড়ীতে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার দল-মত নির্বিশেষে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রশাসন নুরাল পাগলার ব্যাপারে যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি বলেই এমন সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হতে পেরেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    হেফাজতের আমির ও মহাসচিব বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষার ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসন প্রায়ই করিৎকর্মার পরিচয় দেয়। বাম ও প্রগতিশীল ঘরানাও খুবই সরব থাকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এলে তাদের সবসময় নিষ্ক্রিয় ও নীরব দেখা যায়। এই বৈষম্য ইসলাম বিদ্বেষপ্রসূত বলে আমরা মনে করি। এমনকি একশ্রেণির বাম ও প্রগতিশীলদের নৈতিক সমর্থনের কারণে তাদের ঘরানার কেউ কেউ বিভিন্ন সময় আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর নামে কটূক্তি ও বিষোদ্গার করার দুঃসাহসও দেখিয়েছে। কিন্তু শত প্ৰতিবাদেও তাদের কোনো বিচার হয়নি। এই দীর্ঘ অবিচারের সঙ্কট নিরসনে সরকার এবং একইসঙ্গে বাম-প্রগতিশীল ঘরানার মুরুব্বিদেরও এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্ব শুধু আলেমদেরই নয়, তাদেরও রয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    ১.https://tinyurl.com/48sat6zd
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আরাকানে কৃষিকাজ ও মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আরাকান আর্মি


    মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বুথিডং এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলিমরা চরম সংকটের মুখোমুখি। বৌদ্ধ গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কৃষিকাজ ও মাছ ধরার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ফলে তাদের জীবিকা অর্জন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং মৌলিক খাদ্য ও প্রয়োজনীয়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আরাকান নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের কৃষি কার্যক্রমে অতিরিক্ত কর আরোপ করা হয়েছে এবং ফসলের একটি বড় অংশ মিলিশিয়াদের কাছে তুলে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এক বাসিন্দা বলেন, ‘এটা যদিও আমার নিজস্ব জমি হয়, তাও আমি স্বাধীনভাবে চাষ করতে পারি না। যদি কর বা ফসল না দিই, মিলিশিয়ারা শাস্তি দেয়। এভাবে বেঁচে থাকা অসম্ভব।’

    অনেক রোহিঙ্গাদের জীবিকার প্রধান উৎস মাছ ধরা হলেও বর্তমানে তা প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। মিলিশিয়া বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা নদী ও হ্রদগুলোতে মাছ ধরা থেকে তাদের বিরত রাখা হচ্ছে। আরেকজন গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, ‘আগে আমরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতাম, কিন্তু এখন আরাকান মিলিশিয়া সেটা অনুমতি দিচ্ছে না। আমাদের কাছে খাবার পাওয়ার আর কোনো উপায় নেই, আর কেউই আমাদের ক্ষুধায় মারা যাওয়ার কথা চিন্তা করে না।’

    এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বাজারে চাল, শাকসবজি ও মাছের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে, যা ক্ষুধা ও অপুষ্টির সমস্যা আরও প্রকট করে তুলছে। অনেক পরিবার এখন একবেলা খাবার খেয়ে বা ঋণ নিয়ে কোনোভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।

    প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুতির ইতিহাস অনেক পুরনো হলেও ইদানিংকালে তাদের উপর অত্যাচারের হার ভয়ংকরভাবে বেড়েছে। বিশেষকরে ২০২৩ সালের শেষ দিকে আরাকান আর্মি মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে উত্তর আরাকানের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয় এবং এরপর থেকে স্থানীয় মুসলিমরা সহিংসতা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Rohingyas struggle as farming and fishing restricted by Arakan militias
    https://tinyurl.com/9937x7t4
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও আ.লীগের পুনর্বাসনে দিল্লিতে সেমিনার আয়োজন করছে ভারত; আলোচক তিন আ.লীগ দালাল





      দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য দিল্লিতে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এটি শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।

      জুলাই বিপ্লবে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের পক্ষ থেকে গত এক বছর ধরে বাংলাদেশবিরোধী যেসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও বয়ান তুলে ধরা হয়েছে সেমিনারেও সেসব স্থান পাবে। দিল্লি ও ঢাকার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

      রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা দিল্লির এ অপতৎপরতাকে বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা আখ্যা দিয়ে বলছে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে পতিত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ খুঁজছে ভারত। দিল্লি বারবার ঢাকাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়বে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য জরুরি।

      জানা যায়, ওই সেমিনারের শিরোনাম ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক : নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব’। এটি আয়োজন করছে দিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক ‘গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স নিউজ’। সেমিনারে ভারতের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাংকে কর্মরত সামরিক-বেসামরিক আমলাদের পাশাপাশি চারজন বাংলাদেশি ‘রিসোর্স পার্সনও’ অংশ নিচ্ছেন, যা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। সেমিনারে আমন্ত্রিত বাংলাদেশি রিসোর্স পার্সনদের মধ্যে রয়েছে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, লেখক এবং শিক্ষাবিদ ড. আবুল হাসনাত মিল্টন, জুলাই বিপ্লবের পর পালিয়ে যাওয়া মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ এবং ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তারা সবাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশেষ সুবিধাভোগী এবং ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে সুপরিচিত।

      দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশি এই চার রিসোর্স পার্সন ভারতের ‘ডিপ স্টেট’-এর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ডিপ স্টেটের নীতিনির্ধারকরা চাচ্ছেন বাংলাদেশিদের দিয়েই বাংলাদেশবিরোধী বয়ান তুলে ধরতে।

      গত এক বছর ভারত তার বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় নিজেদের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, বুদ্ধিজীবী, মিডিয়াসহ অন্যান্য রিসোর্স ব্যবহার করেছে। তবে এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে তারা বাংলাদেশি রিসোর্স ব্যবহার করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু নির্যাতন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য দৃঢ় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের প্রয়োজনীয়তার মতো বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা করবে এই চার বাংলাদেশি।

      দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইকুইপমেন্ট ম্যানেজমেন্টের অতিরিক্তি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মনোরাজ সিং মান। বিশেষ আলোচক হিসেবে থাকবে মেজর জেনারেল (অব.) সুধাকর জী।

      সেমিনারের কনসেপ্ট নোটে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং সামরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সম্পর্ক এখন একটি বিশেষ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে সেমিনারে। কনসেপ্ট নোটে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনীল চৌহানের একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। জেনারেল চৌহান এতে বলেছে চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অভিন্ন স্বার্থ আগামী দিনগুলোতে ভারতের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। ‘এবার আমরা পূর্ব থেকে শুরু করব’—পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর এ বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে সেমিনারের কনসেপ্ট নোটে বলা হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তার পরবর্তী যুদ্ধ, যা বেশি দূরে নয়; সেটি বাংলাদেশ থেকে শুরু করবে। সুতরাং আগামী দিনের যুদ্ধে বাংলাদেশের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

      সেমিনারে আমন্ত্রিত রিসোর্স পার্সনদের আলোচনার বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যম-এর কাছে। দক্ষিণ এশিয়ার গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে শক্তিশালী, দৃঢ় এবং জনকেন্দ্রিক ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর—এই বিষয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশি সাংবাদিক বদরুল আহসান। সে আওয়ামী সুবিধাভোগী একজন ভারতপ্রেমী সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত। বদরুল আহসান দ্য ডেইলি স্টার, এশিয়ান এইজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছে। সে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ভারতীয় গণমাধ্যমে নিয়মিত লেখে। সে শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োগ্রাফি লিখেছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বদরুল আহসান লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

      গত এক বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বিষয়ে আলোচক হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে ড. আবুল হাসনাত মিল্টনকে। সে লেখক এবং শিক্ষক হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে সে ইউটিউবার হিসেবে অনেক বেশি পরিচিত। গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া মিল্টন এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসে ইউটিউবের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত। সে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে চলেছে। সে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন কঠোর সমালোচক। ড. ইউনূস সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি আনসার বাহিনীতে পরিণত করেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করে সে। ‘শেখ হাসিনা : দক্ষিণ এশিয়ার এক অসাধারণ নেতা’ শিরোনামে একটি বইও লিখেছে সে।

      সেমিনারে সাবেক রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদের জন্য আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে—বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান এবং ভারত-বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ সম্পর্ক। ফ্যাসিবাদের দোসরখ্যাত সাবেক এই কূটনীতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নেয়। সে সময় সে মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিল। শেখ হাসিনার পতনের পর তাকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশে না ফিরে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেয়। ওই পোস্টে সে বলে, ড. ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে এখন নৃশংসতা চলছে। এ ব্যাপারে বিশ্বের নীরবতা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই পোস্ট দেওয়ার পর সে মরক্কো থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে যায়। পরে অন্তর্বর্তী সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে।

      সেমিনারে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের আলোচনার বিষয়—বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। দিল্লির ‘ডিপ স্টেট’-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই আইনজীবী ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের এজলাস ভাংচুরের অন্যতম হোতা। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের জন্য রিটকারীদের একজন সে। আওয়ামী সুবিধাভোগী এই বিতর্কিত আইনজীবী ২০২৪ সালের ‘ডামি নির্বাচনে’ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিল। ২০০৯ সালে তাকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করে দিল্লি।

      বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এটাকে কোনোভাবেই সেমিনার বলা ঠিক হবে না। এটা স্পষ্টভাবে বাংলাদেশবিরোধী একটা প্রোপাগান্ডা। ভারত এখন আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত চাপের মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দিল্লির মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের বৈরী আচরণের ব্যাপারে এখন বিশ্ববাসী জানে।

      তথ্যসূত্র:
      ১. দেশে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে ‘নতুন ছক’ ভারতের
      -https://tinyurl.com/4ujnpypd
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় ৫১ বছরে প্রায় ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু


        মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ দীর্ঘদিন ধরে একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বিশেষ করে নিজেদের অনুগত না হওয়া কোনো দেশকে শায়েস্তা করার জন্য পশ্চিমারা প্রায়ই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়।

        সম্প্রতিক এক গবেষণায় পশ্চিমাদের এই ‘মোক্ষম হাতিয়ারে’ বেঘোরে প্রাণ হারানো তৃতীয় বিশ্বের মানুষের একটি পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

        সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

        পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে আল-জাজিরায় যৌথভাবে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক জেসন হিকেল, ম্যাকুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সের ফেলো ডিলান সুলিভান এবং ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক ওমর তাইয়্যেব।

        তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ বহুদিন ধরেই একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এর মাধ্যমে তারা গ্লোবাল সাউথের এমন সব সরকারকে শাস্তি দিতে বা ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে, যারা পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীন পথ খুঁজতে চেয়েছে এবং প্রকৃত অর্থে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।

        গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণ বলতে সাধারণত সেই দেশগুলোকে বোঝানো হয়, যেগুলো তুলনামূলকভাবে কম উন্নত বা উন্নয়নশীল এবং প্রধানত এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।

        প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০-এর দশকে গড়ে প্রায় ১৫টি দেশ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। এসব নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া, শিল্প খাত অস্থিতিশীল করা এবং সংকট তৈরি করে রাষ্ট্র ভেঙে ফেলা।

        এরপর থেকে একতরফা নিষেধাজ্ঞার ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ১৯৯০ ও ২০০০-এর দশকে গড়ে প্রায় ৩০টি দেশ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। আর এখন, ২০২০-এর দশকে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০টিরও বেশি—যা গ্লোবাল সাউথের বিশাল অংশকে জড়িয়ে ফেলেছে।

        নিষেধাজ্ঞার মানবিক মাশুল ভয়াবহ। ১৯৯০-এর দশকে ইরাকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে দেখা দেয় ব্যাপক অপুষ্টি, খাবার পানির সংকট, ওষুধ ও বিদ্যুতের ঘাটতি। সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ চরম অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এক বছরেই নিষেধাজ্ঞার কারণে অতিরিক্ত ৪০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।

        গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু জড়িত। ১৯৯০-এর দশকের কিছু বছরে এ সংখ্যা মিলিয়নের ঘর ছাড়ায়। কেবল ২০২১ সালেই নিষেধাজ্ঞার কারণে মারা গেছেন ৮ লাখেরও বেশি মানুষ।

        গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞার কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতদের (গড়ে প্রায় ১ লাখ) চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের অর্ধেকের বেশি শিশু ও বৃদ্ধ, যারা অপুষ্টি ও বিভিন্ন রোগে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ২০১২ সালের পর থেকে নিষেধাজ্ঞায় শুধু শিশু মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখের বেশি।

        পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যই হলো ক্ষুধা ও বঞ্চনা তৈরি করা—এটি দুর্ঘটনাজনিত পরিণতি নয়। এর প্রমাণ মেলে ১৯৬০ সালের এপ্রিলের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক নথিতে। সেখানে কিউবার বিপ্লব ও ফিদেল কাস্ত্রোর জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, কিউবার অর্থনীতি দুর্বল করতে ‘অর্থ ও সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া’, ‘মজুরি কমানো’ এবং ‘ক্ষুধা, হতাশা ও সরকারের পতন ঘটানো’ জরুরি।

        গবেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো যদি আরও স্বাধীন পথে হাঁটতে চায়, তবে তাদের নিজেদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ‘প্রতিক্রিয়া’ বা পাল্টা আঘাত থেকে তারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে। সার্বভৌম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিকভাবে জরুরি নয়, বরং একটি নৈতিক কর্তব্যও। বছরে অর্ধমিলিয়নের বেশি মানুষকে হত্যা করে পশ্চিমা আধিপত্য টিকিয়ে রাখা মানবতার জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।


        তথ্যসূত্র:
        1. US and EU sanctions have killed 38 million people since 1970
        https://tinyurl.com/36svkmcc
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে ইসলাম গ্রহণ করায় উগ্র হিন্দু গোষ্ঠীর রোষানলের শিকার এক পরিবার


          ভারতের হরিয়ানার নুহ এলাকায় একটি হিন্দু পরিবারের পাঁচ সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এর ফলে উগ্র হিন্দু গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং থানায় মামলা দায়ের করেছে।

          ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য অবজারভার পোস্ট জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নুহ জেলার মারোরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী পরিবারটির সদস্যরা হলেন- ৪৫ বছর বয়সী রাজমিস্ত্রি চেতরাম (বর্তমানে মোহাম্মাদ), তার স্ত্রী রেখা (বর্তমানে রুখসার), এবং তাদের তিন সন্তান। পরিবারটি জানিয়েছে, তারা স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

          ইসলাম গ্রহণের পর চেতরামের ভাই সতবীর নাগিনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, দাবি করে যে পরিবারটি চাপের মধ্যে ইসলাম গ্রহণ করেছে। তবে চেতরাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, এবং হলফনামায় জানিয়েছেন যে তারা ইসলামের সৌন্দর্যে প্রভাবিত হয়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

          পরিবারের এই বক্তব্য সত্ত্বেও, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো নাগিনা থানার বাইরে প্রতিবাদ করেছে। তারা বৃহৎ সংখ্যায় জমায়েত হয় এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করেছে যে, তারা এলাকায় হিন্দুদের পরিকল্পিত ও সুসংগঠিত ধর্মান্তর ঘটাচ্ছে।

          এছাড়াও একটি পঞ্চায়েত বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী নেতারা প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন যে তারা যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় পরিবারটি নিরাপত্তার ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।


          তথ্যসূত্র:
          1. ‘We Accepted Islam Willingly’: Dalit Family in Haryana’s Nuh Converts to Islam; Police Case, Protests by Hindu Groups Follow
          https://tinyurl.com/4s663jct
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            যুক্তরাষ্ট্রে আবারো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২


            যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারের শহরতলিতে ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে। একটি ছোট বিমান শিল্প কার্যালয় পার্ক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

            ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) জানিয়েছে, বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই আবার বিমানবন্দরে ফিরছিল। এসময় ডেনভার শহরের সেন্টেনিয়াল বিমানবন্দরের ঠিক দক্ষিণে দুর্ঘটনা ঘটে।

            বিমানটি একটি কর্পোরেট অফিসের পার্কিং লটে বিধ্বস্ত হয়েছে। লাইভএ টিসি.নেটে পোস্ট করা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল অডিওতে শোনা যায় যে, একজন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক আগে বিমানটিকে উড্ডয়নের জন্য অনুমতি দিচ্ছিল।

            সাউথ মেট্রো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র ব্রায়ান উইলি জানায়, উদ্ধারকর্মীরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন তারা বিচ বিই৩৫ বিমানটিকে আগুনে জ্বলতে দেখে। ওই আগুন কাছের একটি ভবন এবং কিছু ডিজেল-চালিত জেনারেটরে ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, বিচ BE35 মডেলের বিমানটি সম্পূর্ণভাবে আগুনে পুড়ে গেছে।

            এর আগে ০৬ আগস্ট মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় একটি ছোট বিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানটিতে থাকা ৪ আরোহীর সকলেই মারা গেছে। উত্তর অ্যারিজোনার চিনলে বিমানবন্দর এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

            তথ্যসূত্র:
            1. 2 people die in small plane crash near suburban Denver airport
            https://tinyurl.com/52yszx69
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্ৰুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ০৮


              রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে আনন্দপুর এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

              স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বি এন পি নেতা ওয়াহিদ মোল্লা ও উজির আলীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় শহিদুল মাদবর (৪৫), মজনু সরকার (৫৫), শামীম সরকার (২৭), জাহাঙ্গীর সরকার (৩৫), নজরুল সরকার (৬৫), শরীফ মাদবর (৬৫), সোহেল (৩৫) ও লিটন (২৫)।

              এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

              স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এর আগেও কয়েক দফায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।


              তথ্যসূত্র:
              ১.মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮
              -https://tinyurl.com/46nv3ucd
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আলেপ্পোতে সন্ত্রাসী মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ড্রোন হামলায় দুই জন নিহত


                সিরিয়ায় আলেপ্পো বিমানবন্দরের কাছে ৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ড্রোন হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। দেশটির একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও এ হামলার খবর প্রকাশ করেছে।

                এএফপির একজন সংবাদদাতা বিমানবন্দরের কাছে একটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাড়ি দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন, যার চারপাশে বিস্ফোরকের ধাতব টুকরা ছড়িয়ে ছিল।

                এ ছাড়া সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পথে একটি বেসামরিক গাড়িকে ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংস্থাটি অন্তত একজন নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছে।

                অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা আলি আল-ইউসুফ এএফপিকে বলেন, গাড়িতে থাকা দুজন নিহত হয়েছেন।

                সন্ত্রাসী ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট সিরিয়ায় বারবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই জোট প্রায়ই সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে হামলা চালায়।


                তথ্যসূত্র:
                1. One killed in drone targeting vehicle near Syria’s Aleppo airport, SANA reports
                https://tinyurl.com/3wazx2y2
                2. Drone strike targets car on road to Aleppo International Airport in northern Syria
                https://tinyurl.com/etwajt5w


                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X