Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ ও ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ কোটা বাতিলের দাবি ইসলামী ঐক্যজোটের



    ৬৫ হাজার ৫০০-এর বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ এবং ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ কোটার মাধ্যমে শিক্ষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। একই সঙ্গে সংগীত ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটায় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি।

    রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দিয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ একটি পরিকল্পিত ধর্মবিমুখ নীতির বহিঃপ্রকাশ। এটি কার স্বার্থে, কার উদ্দেশে এবং কীসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে- তা জাতি জানতে চায়।

    তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে মৌলিক শিক্ষায় ভয়াবহ ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষানীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী। ইসলাম ধর্মে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত বাধ্যতামূলক করা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয় ধ্বংসের সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র।

    আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, গান শেখানোর পরিবর্তে শিশুদের নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে আলাদা ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ সময়ের দাবি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চারিত্রিক উন্নয়ন, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ধর্মীয় শিক্ষাই অপরিহার্য।

    দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে অধর্মের পথে পরিচালনা করার এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া প্রতিটি দেশপ্রেমিক ও ঈমানদার মানুষের কর্তব্য।

    তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তৃতীয় লিঙ্গ কোটার নামে শিক্ষাব্যবস্থায় সমকামিতার মতো এজেন্ডা প্রবেশ করানো হচ্ছে, যা সমাজে নতুন বিভাজন ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে।

    মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা, নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের স্বার্থে অবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় ইসলামী ঐক্যজোট রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. সংগীত শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি ইসলামী ঐক্যজোটের
    https://tinyurl.com/4x7cfs5b
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ঢাকা মেডিকেল কলেজের পলেস্তারা খসে পড়ে আহত রোগী


    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা (ইএনটি) বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদের একাংশের পলেস্তারা খসে পড়ে সালমা বেগম (৩৮) নামে এক রোগী আহত হয়েছেন। তিনি নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

    রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    আহত নারী সালমা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার কানের পর্দা ফেটে যায় গত মঙ্গলবার নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ওই ওয়ার্ডের সিট না থাকায় আমি বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছিলাম। রবিবার সকালে হঠাৎ আমার ওপরে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়লে আমার ডান পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পাই। আমাদের বাসা চকবাজার থানার নাজিম উদ্দিন রোড এলাকায়।

    তথ্যসূত্র:
    ১. ঢাকা মেডিকেলের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রোগী আহত
    -https://tinyurl.com/apb3s7xu

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে থানায় নির্যাতনের ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে মুসলিম কিশোর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে


      ভারতের গুজরাটের বোতাদ জেলায় নয় দিন ধরে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে ১৭ বছর বয়সী মুসলিম কিশোর আরিয়ান মাখিয়ালা। বর্তমানে অজ্ঞান অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

      ৮ সেপ্টেম্বর দ্য অবজারভার পোস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বোতাদ জেলার হারানকুই এলাকার বাসিন্দা আরিয়ান মাখিয়ালা দিনমজুর হিসেবে কাজ করে তার পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। গত ১৯ আগস্ট চুরির অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে এবং থানায় নির্যাতন চালায়, এ সময় থানায় তার দাদাকেও মারধর করা হয়।

      মাইনরিটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এমসিসি) জানায়, টানা নয় দিন ধরে পুলিশ আরিয়ানকে মারধর করেছে, যার ফলে তার পা, কোমর ও কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডায়ালাইসিসে আছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

      আরিয়ানের দাদা, দাদি ও বোনের ভিডিও সাক্ষ্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তারা অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ সদস্যরা আরিয়ানকে নির্মমভাবে প্রহার করেছে।

      এমসিসি-র আহ্বায়ক মুজাহিদ নাফিস বলেন, ‘এটি নতুন ঘটনা নয়। ২০২৩ সালে একই জেলায় কালু পদর্শি নামে এক মুসলিম যুবককেও পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সে ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে এবং বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতায় সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Gujarat: Muslim Teen Critical With Kidney Failure After 9 Days of Alleged Police Torture
      https://tinyurl.com/4d9kf859
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বাড়িয়েছে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী, বহু ভবন ধ্বংসসহ শহীদ ৬৫


        ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনে কমপক্ষে ৬৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং গাজা সিটির আরেকটি বহুতল ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। এতে হাজারো পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

        ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলায় ইসরায়েল গাজা সিটির কেন্দ্রীয় ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আঘাত হানে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, শুধু গাজা সিটিতেই অন্তত ৫০টি ভবন ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে ছিল আল-রুয়া টাওয়ার নামের পাঁচতলা একটি ভবন, যেখানে ২৪টি অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও একটি ক্লিনিক ছিল।

        ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া আল জাজিরাকে বলেন, “অবস্থা ভয়ঙ্কর, শত শত পরিবার এক রাতেই সবকিছু হারিয়েছে। বর্বর ইসরায়েল জোর করে মানুষকে দক্ষিণে সরাতে চাইছে, অথচ দক্ষিণেও নিরাপত্তা নেই।” সিভিল ডিফেন্স নিশ্চিত করেছে, আল-রুয়া টাওয়ারের হামলার পাশাপাশি কেবল ওই দিনেই উত্তর গাজায় অন্তত ৪৯ জন শহীদ হয়েছেন।

        আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে বর্বর ইসরায়েল হামলা চালায় আল জাজিরা ক্লাব এলাকা, সউসি টাওয়ার ও মুশতাহা টাওয়ারে। শনিবার ধ্বংস হওয়া ১৫ তলা সউসি টাওয়ারের এক পরিবার জানান, “আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, আধা ঘণ্টার মধ্যে ভবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়।” শুক্রবার ধ্বংস করা হয় ১২ তলা মুশতাহা টাওয়ার। এসব হামলায় বহু পরিবার গৃহহীন হওয়ার পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন।

        এদিকে দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছে, সেনারা “সন্ত্রাসী অবকাঠামো” ধ্বংস করছে। কিন্তু স্থানীয়রা জানান, এগুলো ছিল আবাসিক ভবন যেখানে সাধারণ মানুষ বসবাস করতেন। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ইসরায়েলের ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণায় বিশ্বাস করা যাবে না। কারণ দক্ষিণের খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করার পরও সেখানে একাধিকবার হামলা হয়েছে।

        সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, “প্রতি পাঁচ থেকে দশ মিনিট পরপর গাজা সিটিতে বিস্ফোরণ শোনা যাচ্ছে।” সাবরা, জেইতুন, শেখ রাদওয়ানসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ ও সরকারি স্থাপনায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণ চলছে। আল-ফারাবি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছিল, সেখানেও হামলায় অন্তত আটজন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের পর দখলদার ইসরায়েলি সেনারা ধারাবাহিকভাবে বোমাবর্ষণ করছে। এ কারণে ইতোমধ্যে ১ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


        তথ্যসূত্র:
        1. Israel intensifies Gaza City destruction, bombs another high-rise tower
        https://tinyurl.com/jya85tt9
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          দিল্লিতে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশকে ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ তকমা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের পুরনো মিথ্যা বয়ান



          ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ইসলামি জঙ্গিরা বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করেছে। এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিদেশি শক্তি। জুলাই-আগস্টের ঘটনা এবং পরবর্তী সময়ে হাজার হাজার সংখ্যালঘু হিন্দু ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

          আইএসআইএস’র মতো জঙ্গি সংগঠন এখন প্রকাশ্যে বাংলাদেশে তাদের তৎপরতা চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দুরা এখন বাংলাদেশে চরম নিরাপত্তাহীন ও অসহায় অবস্থায় আছে। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশ বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্ব এখন নীরব। চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিন্ন স্বার্থ ভারতের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।

          গত শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত বাংলাদেশবিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এসব বক্তব্য তুলে ধরে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক : নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে দিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গ্লোবাল স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স নিউজ।

          সেমিনারে বক্তারা বলে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ভারতকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ জরুরি। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

          দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইকুইপমেন্ট ম্যানেজমেন্টের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মনোরাজ সিং মান। সেমিনারে ভারতের সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্কে কর্মরত সামরিক-বেসামরিক আমলাদের পাশাপাশি চারজন বাংলাদেশি রিসোর্স পার্সন অংশ নেয় যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

          সেমিনারে আমন্ত্রিত বাংলাদেশি রিসোর্স পার্সনদের মধ্যে ছিলেন-সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, লেখক ও একাডেমিক ড. আবুল হাসনাত মিল্টন, জুলাই বিপ্লবের পর পালিয়ে যাওয়া মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তবে এ চারজনের কেউই সেমিনারে সশরীরে উপস্থিত ছিল না। তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়। এই চারজনের প্রত্যেকেই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিশেষ সুবিধাভোগী ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে সুপরিচিত। বাংলাদেশি এই চার রিসোর্স পার্সন ভারতের ‘ডিপ স্টেট’-এর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

          সেমিনারে ভারতীয় রিসোর্স পার্সনদের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) সুধাকর জি, ব্রিগেডিয়ার (অব.) নিলেশ ভানট, ড. নাগালক্ষ্মী রমন, লে. জেনারেল (অব.) সঞ্জীব ল্যাংগার, রাষ্ট্রদূত মঞ্জু শেঠ, লে. জেনারেল (অব.) পিসি নায়ার, ব্রিগেডিয়ার (অব.) ভিপি সিং প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেয়।

          জেনারেল চৌহান তার এক বক্তব্যে বলে, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিন্ন স্বার্থ আগামী দিনগুলোতে ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। ‘এবার আমরা পূর্ব থেকে শুরু করব পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর এই বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে সেমিনারের কনসেপ্ট নোটে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তার পরবর্তী যুদ্ধ যা বেশি দূরে নয়-সেটা বাংলাদেশ থেকে শুরু করবে। সুতরাং আগামী দিনের যুদ্ধে বাংলাদেশের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

          উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলাসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরে বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে । সেমিনারে অধিকাংশ বক্তাই সেই মিথ্যা বয়ানই তুলে ধরেছে।

          ব্রিগেডিয়ার (অব.) নিলেশ ভানোট বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মতো বিশ্ব মিডিয়াগুলো গত বছর জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করেছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে এসব মিডিয়া একেবারেই নীরব ছিল। আর সচেতনভাবেই তারা এটা করেছে।

          প্রফেসর ড. নাগালক্ষ্মী রমন তার বক্তব্যে বলে, বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা ভারতের সীমান্ত ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করছে। ২০০০ সালের পর বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেয়। শেখ হাসিনার সময়ে এটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          ১. দিল্লির সেমিনারে ইসলামি জঙ্গি কার্ড
          https://tinyurl.com/34x87yhw
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            রুয়েটে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার


            রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসাইন সাঈদকে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

            শিক্ষার্থীদের তীব্র আপত্তি ও শাস্তির দাবির পরও সাজ্জাদ একাধিকবার পুনরায় ক্লাসে যোগ দেয়ার চেষ্টা করে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সে আবার ক্লাসে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রুয়েট প্রশাসন তাকে মতিহার থানায় সোপর্দ করে। থানার একটি টিম ছাত্রকল্যাণ দপ্তর থেকে সাজ্জাদকে নিয়ে যায়।

            সাজ্জাদ ম্যাটেরিয়াল সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রুয়েট ছাত্রলীগের সুপার কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল সাজ্জাদ। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, হলে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন, হুমকি প্রদান এবং জুলাই হামলার বৈধতা দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

            উল্লেখ্য, সাজ্জাদসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের একাধিক নেতাকে রুয়েটে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।


            তথ্যসূত্র:
            ১. রুয়েটে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ আটক
            https://tinyurl.com/2hpwk7w5
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগে জামায়াতের নিন্দা; ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি


              নতুন প্রজন্মকে সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে প্রাথমিকে নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই আহ্বান জানান।

              বিবৃতিতে তিনি ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কোনো বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই। ফলে সমৃদ্ধ সিলেবাস থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দেশে সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা তৈরি হচ্ছে এবং তারা ধর্মীয় তাহযিব-তমুদ্দুন এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস-ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সৎ নাগরিক ও সৎ নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। তদুপরি ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি করে, যা সৎ আচরণের ভিত্তি গড়ে তোলে এবং এটি একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য। ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা না থাকলে সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ঘটবে এবং সৎ নাগরিক ও নেতৃত্ব তৈরি হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।”

              তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সঙ্গীত বা নৃত্য (গান বাজনা) শিক্ষার্থীর আবশ্যিক কোনো বিষয় হতে পারে না। ধর্মীয় বিষয়টি সব ধর্মের জন্যই অতি জরুরি বিষয়। তাই আমরা সরকার ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে বলতে চাই অবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।”

              তথ্যসূত্র:
              ১. প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জামায়াতের
              https://tinyurl.com/3un8dh35
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X