Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    সিলেটে মসজিদ নিয়ে হিন্দু যুবকের কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য



    সিলেটের জকিগঞ্জে পবিত্র মসজিদ নিয়ে ফেসবুক কমেন্টে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মন্তব্যকারী যুবক দীপক বিশ্বাস (২৭) জকিগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমখারচক গ্রামের রায়মোহন বিশ্বাসের ছেলে। সে মৌলভীবাজার জেলার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে।

    জানা গেছে, জাতীয় একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত `সারাদেশে ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ, বসানো যাবে না মদ-গাজার আসর‘ শীর্ষক সংবাদের কমেন্ট বক্সে দীপক বিশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে গালি দিয়ে মুসলমানদের পবিত্র মসজিদকে `বাসর ঘর‘ হিসেবে আখ্যায়িত করে আপত্তিকর মন্তব্য করে।

    সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ওই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দীপকের মন্তব্যে শুধু জকিগঞ্জ নয়, পুরো সিলেট অঞ্চলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

    বিষয়টি জানতে পেরে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্নার নেতৃত্বে পুলিশ দীপকের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দীপক বিশ্বাস নিজের দোষ স্বীকার করে ফেসবুক লাইভে এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চায়। সে কান ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. জকিগঞ্জে মসজিদ নিয়ে কটূক্তি, যুবকের কানধরে ক্ষমা
    https://tinyurl.com/d9ww2rbu
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চারদের টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে: ইনকিলাব মঞ্চ মুখপাত্র




    ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ব্যক্তিদের টার্গেট কিলিংয়ের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।

    সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কীর্তিনখোলা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় লড়াই, লড়াই এবং লড়াই। তবে লড়াইয়ের পূর্বশর্ত হলো জ্ঞান অর্জন। বাংলাদেশের সূচনার ইতিহাস, হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাস জানতে হবে। কেবল হাসিনার তৈরি ন্যারেটিভে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।’

    শরিফ ওসমান হাদি আরো বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে সরকার চলছে পিছনের সরকার দিয়ে। এক বছর পার হলেও জুলাই গণহত্যার বিচার হয়নি। আসামিরা জামিনে বের হয়ে ভারতে পালাচ্ছে, আর বিচার প্রত্যাশীরা হাহাকার করছে। আমরা একটি বিপ্লব করতে ব্যর্থ হয়েছি, আসলে সেটি কেবল একটি গণঅভ্যুত্থানেই সীমাবদ্ধ ছিল।’

    মিডিয়ার একপেশে আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গুমের শিকার কিংবা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগীদের কোনো টক-শোতে ডাকা হয় না। বরং ডাকা হয় সেসব ব্যক্তিকে, যারা সরকারের ন্যারেটিভকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।’

    তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ আমাদের শেষ মরণ কামড় দিতে আসছে। এই লড়াইয়ে আমরা পরাজিত হলে আমাদের পরিণতি হবে সিপাহী বিপ্লবীদের মতো। আর জয়ী হলে ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বিদায় জানাতে পারব।’


    তথ্যসূত্র:
    ১. ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চারদের টার্গেট কিলিংয়ের ষড়যন্ত্র চলছে: হাদি
    https://tinyurl.com/fp3v696w
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালানো পুলিশ কর্মকর্তা এখন ফেনীর ওসি; ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে আ.লীগ নেতাদের



      জুলাই আন্দোলনে ফেনীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান এখন ফেনী মডেল থানার ওসি। চেয়ারে বসে সদম্ভে জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দিচ্ছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। চালিয়ে যাচ্ছে মামলা বাণিজ্য। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় জুলাইযোদ্ধারা। এমন পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

      সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, জুলাইয়ে কারফিউ চলাকালে আন্দোলন দমনে তৎকালীন ডিবি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান ফেনী শহরের ইসলামপুর ও ট্রাংক রোডের বড় মসজিদের সামনে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর কয়েক মাস পরই এ অপরাধের শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে ফেনী মডেল থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এরপর থেকেই সে মামলা বাণিজ্যসহ জুলাইয়ের খলনায়ক ও হত্যা মামলার আসামিদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।

      চলতি বছরের ২৫ জুন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয় ফেনী পৌরসভার চাড়ীপুর এলাকার আজিজুল হককে। সে ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফেনী মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী জুলাইযোদ্ধার করা মামলার আসামি।

      গত ২৯ জুলাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ফেনীর এক জুলাইযোদ্ধার পরিচয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগের সূত্র ধরে গণমাধ্যম-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ফেনী মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ক্লিয়ারেন্সটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও আজিজুল হক ও তার পরিবারের কোনো সদস্য ডেলিভারি নিতে ভয়ে থানায় যায়নি।

      ওসির ইশারায় ডিএসবি সদস্য ফাহিম ছৈয়ালকে দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি পলাতক আসামি আজিজুল হক মনোনীত এক ব্যক্তিকে ফেনী ইউনিভার্সিটির গেটে যাত্রী ছাউনির নিচে পৌঁছে দেয়। অভিযোগকারীর দাবি, ঘটনাটি জানার পর প্রথমে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলামকে অবগত করেন তিনি। এতে তার ওপর উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় সে। একপর্যায়ে ওসি শামসুজ্জামানকে বাদীর মুঠোফোন নম্বর ও ছবি পাঠিয়ে অপর একজনের মাধ্যমে ডেকে এ ব্যাপারে চুপ থাকতে বলে কিছু উপহার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তা গ্রহণ না করায় থানার কম্পিউটার অপারেটর কামরুলের মাধ্যমেও কিছু টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ওসি।

      পরে তথ্য-প্রমাণসহ বাদী এ ব্যাপারে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ পাঠায়। এরপর সেখান থেকে প্রথমে তাকে সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি বরাবর অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হলেও কিছুক্ষণ পর অভিযোগটি প্রিন্ট করে হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পুটআপ দেওয়া হয়েছে বলে তাকে জানানো হয়।

      তার দাবি, এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপের মুখে হেডকোয়ার্টারের অসাধু কাউকে দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভার থেকে ওই ক্লিয়ারেন্সটি সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগে ফেনী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়। যাতে করে তারা অভিযোগটি ভুয়া প্রমাণ করতে পারে।

      বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক সেটিও হেডকোয়ার্টারকে লিখিতভাবে জানিয়ে রাখে অভিযোগকারী ওই জুলাইযোদ্ধা। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি আজিজুল হক ওই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি ব্যবহার করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সার্ভার থেকে তার ক্লিয়ারেন্সটিও সরিয়ে নেওয়া হয়।

      বিষয়টি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভারে না থাকলেও ফেনী মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বৈষম্যবিরোধীদের মামলার আসামি আজিজুল হকের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি ঠিকই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্ভারে রয়ে গেছে। যার প্রমাণ এরই মধ্যে গণমাধ্যম-এর হাতে এসেছে।

      ওই অভিযোগকারী গণমাধ্যমকে জানান, এর আগেও ফেনী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের আবুপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আলী মেম্বার ও পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের মৃত কাজী আমান উল্যাহর ছেলে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শরিয়ত উল্যাহ জুয়েল এবং সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের উত্তর চর দরবেশ গ্রামের আবু সুফিয়ানের ছেলে মো. জিয়াকে একইভাবে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হয়েছে।

      এছাড়া তৎকালীন ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বর্তমানে জেলার বোগদাদি তদন্ত কেন্দ্রে আছে। সে ৬ জুলাই ট্রাংক রোডে, ১৭ ও ১৮ জুলাই ইসলামপুর রোডে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায়। শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে নানাভাবে হুমকি দিয়েও আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিত।

      জানা যায়, বর্তমানেও তারা সবাই ফেনীতে থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে মামলা বাণিজ্যসহ জুলাই আন্দোলনকারীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:
      ১. জুলাইয়ের খলনায়ক এখন ফেনীর ওসি
      https://tinyurl.com/59dzcjp8
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        লক্ষ্মীপুরে অফিস খরচের নামে সিএনজি স্ট্যান্ডে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি; ধাওয়া দিল জনতা


        ​লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অফিস খরচের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রায়পুর থানার পাশে সিএনজি স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

        ‎গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, পৌর বিএনপির ১নম্বর ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির লস্কর ও ৪নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নুরুল হুদা নান্টু দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা তুলছে। এদিনও তারা টাকা তুলতে গেলে ক্ষুব্ধ চালক ও স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাদের ধাওয়া দিলে নেতারা সরে পড়ে।

        তথ্যসূত্র:
        ১. অফিস খরচের নামে চাঁদাবাজি, রায়পুরে ২ বিএনপি নেতা লাঞ্ছিত
        https://tinyurl.com/58swpz7e
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সিরিয়ায় ফের দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলা, দামেস্কের নিন্দা


          সিরিয়ার মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়া। এই বিমান হামলাকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

          ব্রিটেন-ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার গভীর রাতে হোমস ও উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ায় হামলা চালায় সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

          সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্বর ইসরায়েলি হামলাকে সিরিয়ার নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে।

          লাতাকিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যাওয়ার শব্দ শোনা গেছে। যদিও সেই হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

          গত ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে দখলদার ইসরায়েল সিরিয়াজুড়ে অনেকগুলো হামলা চালিয়েছে।

          সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুসারে, এই বছর সন্ত্রাসী ইসরায়েল সিরিয়ায় ৯৭টি হামলা চালিয়েছে। এরমধ্যে ৮৬টি বিমান হামলা এবং ১১টি স্থল অভিযান।


          তথ্যসূত্র:
          1Syria condemns attacks by Israeli warplanes on cities of Homs and Latakia
          https://tinyurl.com/2ez4ktf4
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দেশে ইলিশ সোনার হরিণ, ভারতে রপ্তানি অর্ধেক দামে


            বাজারে ইলিশ যেন এখন সোনার হরিণ। উচ্চমূল্যের কারণে নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে রুপালি ইলিশ। এতে মধ্যবিত্ত মানুষের ইলিশ কেনা যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন- যেন দেশের মানুষের পাতে ইলিশ ওঠাই এখন দায়। এমন পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে অর্ধেক দামে ভারতকে ইলিশ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছে সরকার।

            এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, দেশের সাধারণ মানুষ উচ্চমূল্যের কারণে ইলিশ কিনতে পারছেন না। সেখানে ভারতের দাদাদের কম টাকায় ইলিশ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে সরকার। তারা অভিযোগ করছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের মতোই এই সরকারও ভারতপ্রীতি দেখাচ্ছে। তাদের দাবি, কম টাকায় ভারতে নয়, দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সোমবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

            খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানান, খুচরা বাজারে এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ২৫০০-২৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি এক কেজি ওজনের বেশি সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৩০০০ টাকা বা তারও উপরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৭০০ টাকা।

            এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য সাড়ে ১২ ডলার অর্থাৎ প্রায় এক হাজার ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শর্তসাপেক্ষে দুর্গাপূজায় ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র ও মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।

            বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যারা সরকারের আহ্বান ছাড়াই আবেদন করেছেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদেরও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে।

            তথ্যসূত্র:

            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কাশ্মীরের কুলগামে ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে দুই যুবক শহীদ



              কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় ভারতীয় বাহিনীর অবরোধ ও তল্লাশি অভিযানের সময় দুই কাশ্মীরি যুবক শহীদ হয়েছেন।

              গত ৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গুদ্দর এলাকায় ভারতীয় সেনা, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) যৌথভাবে পরিচালিত তল্লাশি ও ঘেরাও অভিযানের সময় দুই যুবককে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করে। অভিযানে নিরীহ সাধারণ মানুষ ও শিশুদের ওপর নিষ্ঠুর বলপ্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

              স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযান কাশ্মীরিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের স্বাধীনতা ও মর্যাদা হরণ করার কৌশল হিসেবে চালানো হচ্ছে।

              অন্যদিকে, সংঘর্ষে একজন ভারতীয় সেনা জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেএসওজি) ও তিনজন সৈন্য আহত হয়েছেন বলে ভারতীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

              তথ্যসূত্র:
              1. Indian forces martyr two Kashmiri youth in Kulgam
              https://tinyurl.com/59zmut6t
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                কাশ্মীরের ২২টি এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ভারত



                দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরসহ ভারতের পাঁচ রাজ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে দখলদার ভারত।

                ৮ আগস্ট ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এই অভিযান শুরু করে। এনআইএ-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মিথ্যা ও বানোয়াট দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তদন্তের অংশ হিসেবে তারা জম্মু-কাশ্মীরের ২২টি এলাকা এবং ভারতের পাঁচটি রাজ্যে অভিযান পরিচালনা করছে।

                এনআইএ জানায়, তাদের প্রধান লক্ষ্য সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সক্রিয় সদস্য ও সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করা। এজন্য প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যদিও কোন নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই বড় পরিসরের অভিযান শুরু হয়েছে কি না তা এখনো স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।

                উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরে দখলদার ভারতীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারির সত্ত্বেও মুসলিমদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি অভিযান এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অভিযানে কিশোর ও তরুণদের আটক করা হয়, নারীদের হেনস্তা করা হয়। জিনিসপত্র ভাঙচুর ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজ নষ্ট করা হয়। এমনকি এসব অভিযানে কাশ্মীরিদের মেরে ফেলার ঘটনাও ঘটে থাকে।


                তথ্যসূত্র:
                1. NIA searches underway at 22 locations in five states
                https://tinyurl.com/599mdwjx
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X