Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫০ ফিলিস্তিনি শহীদ



    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত একদিনে (৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার) ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। ১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, যখন বিশ্বের দৃষ্টি কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলার দিকে ছিল, ঠিক তখনই মঙ্গলবার গাজায় অব্যাহত বোমা হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দক্ষিণ গাজায় ত্রাণের জন্য জড়ো হওয়া ৯ জন ফিলিস্তিনিও ছিলেন। দখলদার ইসরায়েল গাজাবাসীকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেও ইসরায়েল সেখানেও আক্রমণ তীব্র করেছে।

    ফিলিস্তিনের ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে, গাজার বন্দর এলাকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারের একটি অস্থায়ী তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া, যুদ্ধবিমান একাধিক আবাসিক ভবন, আল-মুখাবারাত এলাকার চারটি বাড়ি এবং গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিমের জিদান ভবনে হামলা চালায়। দেইর আল-বালাহর তালবানি এলাকায় আরেকটি বাড়ি ধ্বংস করা হয় এবং তুফাহর আজ-জারকা অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণে দুইজন তরুণ নিহত হন।

    আল জাজিরার ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা সানাদ একটি ভিডিও যাচাই করে জানিয়েছে যে, দেইর আল-বালাহতে ইবন তাইমিয়া মসজিদে ইসরায়েলি হামলার সময় প্রচণ্ড আলোর ঝলক দেখা যায়। এর আগে গত সোমবার ইসরায়েল নতুন করে এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়ে জানায় যে, গাজা সিটির জামাল আবদেল নাসের সড়কের একটি ভবন ও তার আশপাশের তাঁবু খালি না করলে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। বাসিন্দাদের তথাকথিত ‘মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে দাবি করা দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় যেতে বলা হয়।

    তবে আল-মাওয়াসিতেও ইসরায়েল বারবার বোমা হামলা চালিয়েছে। বছরের শুরুতে যেখানে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ ছিল, সেখানে এখন ৮ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ অস্থায়ী তাঁবুতে গাদাগাদি করে বসবাস করছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি আল-মাওয়াসিকে ‘ক্ষুধার্ত ও হতাশ ফিলিস্তিনিদের বিশাল ক্যাম্প’ বলে বর্ণনা করেছে। সে বলেছে, ‘গাজায় কোথাও নিরাপদ নয়, এমনকি কথিত মানবিক অঞ্চলেও নয়। দুর্ভিক্ষের সতর্কতা শোনা হচ্ছে না।’

    ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ‘গাজা সিটি জ্বলছে, মানবতা নিশ্চিহ্ন হচ্ছে।’ সংস্থাটি জানায় যে, মাত্র ৭২ ঘণ্টায় ২০০টিরও বেশি অ্যাপার্টমেন্ট থাকা পাঁচটি উঁচু ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ৩৫০টিরও বেশি তাঁবু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে প্রায় ৭ হাজার ৬০০ মানুষ খোলা আকাশের নিচে মৃত্যুভয়, ক্ষুধা এবং অসহনীয় গরমে দিন কাটাচ্ছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার শিশু।


    তথ্যসূত্র:
    1. Israel kills over 50 in Gaza; Qatar calls Israeli attack ‘state terror’
    https://tinyurl.com/4duwe44k
    2. Gaza aid flotilla says boat struck by drone at Tunisian port
    https://tinyurl.com/28zb2fa9
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে ইসরায়েলি আগ্রাসন, এক মাসে ৬ দেশে হামলা



    মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের পরিধি ক্রমেই বিস্তৃত আকার ধারণ করছে। এরই অংশ হিসেবে গত এক মাসে অন্তত ছয়টি আরব দেশে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। কাতারের রাজধানী দোহায় সাম্প্রতিক হামলার ঘটনাটি তারই সর্বশেষ উদাহরণ।

    দীর্ঘ দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিদিনই বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। নিয়মিত হামলা করছে লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেনেও। এরই মধ্যে, ৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার তিউনিসিয়ায় গাজামুখী মানবিক সহায়তার বহরকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

    অঞ্চলজুড়ে ধারাবাহিক এই হামলার কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বিকেলে দোহায় আচমকা সন্ত্রাসী হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তাদের এই হামলার লক্ষ্যবস্তু যারা ছিলেন, তারা ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন। হামাসের একটি সূত্র আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    ইহুদিবাদী ইসরায়েলের এ হামলায় দু’জন নিহত হয়েছেন।

    এই ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে কাতার। কাতারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশটি এই হামলাকে সর্বোচ্চ কঠোরভাবে নিন্দা জানাচ্ছে।

    তিনি বলেন, এই অপরাধমূলক হামলা সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিনিষেধের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কাতার ও সেখানে বসবাসরত জনগণের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।


    তথ্যসূত্র:
    1. Hamas leadership survived Israel’s assassination bid in Doha: Official
    https://tinyurl.com/ybeev8nw
    2. Gaza aid flotilla says boat struck by drone at Tunisian port
    https://tinyurl.com/28zb2fa9
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলা: লক্ষ্য হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়



      কাতারের রাজধানী দোহায় বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। বর্বরোচিত এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, যারা মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

      আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বিমান বাহিনী কয়েকটি যুদ্ধবিমান থেকে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এতে লক্ষ্যবস্তু ভবনসহ আশপাশের অন্তত ১২টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

      ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কানের মতে, কাতারে হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হত্যাকাণ্ড ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে পরিচালনা করেছে।

      দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাবি করেছে যে, তারা হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে। তবে হতাহতদের পরিচয় বা অবস্থা এখনও স্পষ্ট নয়।

      স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আল আরাবিয়া জানিয়েছে যে, হামলার সময় হামাসের উচ্চপদস্থ নেতা খলিল আল-হাইয়াহ, জহির জাবারিন, খালিদ মেশাল এবং নিজার আভাদাল্লাহ ভবনে ছিলেন।

      এদিকে আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে যে, খলিল আল-হাইয়াহ নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল এবং উচ্চপদস্থ সকল নেতা দোহায় ইসরায়েলের হত্যাকান্ড মিশন সফলভাবে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এই হামলায় খলিল আল-হাইয়াহ’র ছেলে এবং তার অফিস ম্যানেজার শহীদ হয়েছেন।

      কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত” আখ্যা দিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বলা হয়েছে এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।


      তথ্যসূত্র:
      https://tinyurl.com/ysxyr8aa
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X