Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    ‘নারায়ে তাকবীর’ কে কটাক্ষ করে ‘নারায়াণ তাকবীর’ স্লোগান দিল ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী



    ‘নারায়ে তাকবির’ ধর্মীয় স্লোগানকে ‘নারায়ণ তাকবির’ বলে কটাক্ষ করেছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম খান ও মাহমুদুল হাসান অর্ণব।

    গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতের প্রথম প্রহরে এক ভিডিও বার্তায় তারা এ কটাক্ষ করে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

    জানা যায়, মাসুম খান ইংরেজি বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী এবং মাহমুদুল হাসান অর্ণব ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। মাহমুদুল হাসান অর্ণব ঢাকা কলেজের শহীদ রুমি সংসদ ও ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি (ডিসিডিএস)-এর সঙ্গে যুক্ত।

    ভিডিওর শুরুতে মাসুমকে “নারায়ণ তাকবির” বলতে শোনা যায়। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থী ভিপি পদে জয়ী প্রার্থীদের তিরস্কার করে বলেন, “আপনাদের নারায়ণ তাকবির সহযোগে অভিনন্দন। কাল থেকে ঢাবিতে শর্টস পরে যাওয়া নিষিদ্ধ, রগের যত্ন নেন বেশি কইরা।”


    তথ্যসূত্র:
    ১. নারায়ে তাকবির স্লোগানকে কটাক্ষ করে ‘নারায়ণ তাকবির’ দিয়েছে ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী
    -https://tinyurl.com/2t2c5svk
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    খুনি ভাড়া করে কৃষকদল নেতাকে হত্যা করে বিএনপি নেতা, টাকা শোধ না করায় তথ্যফাঁস খুনি দীপঙ্করের




    কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম খুনে জড়িত এক সময়ের দুর্ধর্ষ চরমপন্থি দল নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির ক্যাডার দীপঙ্কর মল্লিকের সশস্ত্র অনুসারীরা। দীপঙ্কর ভারতে বসে এ কার্যক্রম তদারক করে। আর এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে চুক্তি করে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে পদ স্থগিত) আসাদুজ্জামান জনি। চুক্তি অনুযায়ী ১২ লাখ টাকার পুরোটা না পেয়ে এসব তথ্য ফাঁস করে কমিউনিস্ট পার্টির ওই ক্যাডার।

    নিহত তরিকুল ছিল নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি। মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে সে খুন হয়। এর পেছনে আরেকটি কারণ স্থানীয়দের মুখে মুখে উচ্চারণ হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের পর বিএনপি নেতা জনি নওয়াপাড়ার একের পর এক বেসরকারি নৌঘাট দখল করে। এছাড়া সহযোগীদের নিয়ে চালাতে থাকে চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ নানা অপকর্ম। এসব কাজের বিরোধিতা করত সার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা তরিকুল। ঘের নিয়ে বিরোধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে জনি।

    তরিকুল হত্যার তদন্তে নেমে পুলিশ এসব তথ্য পেয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তাধীন বিষয় হওয়ায় পুলিশের কোনো কর্মকর্তা এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

    গত ২২ মে অভয়নগরের ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের ঘরে একদল সন্ত্রাসী গুলি চালায়। তারা কুপিয়ে ও মাথা থেঁতলে হত্যা করে তরিকুলকে। নিহতের ঘেরটির অবস্থান ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে।

    দীর্ঘদিনের মাছের ঘের ব্যবসায়ী তরিকুল তার জলাশয়ের আকার বাড়ানোর পরিকল্পনা করায় স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে বিরোধ হয়। ওই বিরোধ মীমাংসা এবং আশপাশের কিছু জমি ঘেরে অন্তর্ভুক্ত করার টোপ দিয়ে ডহর মশিয়াহাটির পিন্টু ওইদিন তাকে ফোন করে ডেকে নিয়েছিল। কিছু সময়ের মধ্যে পিন্টুর ঘরেই তরিকুলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

    গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, তরিকুলকে হত্যা করা হয় চরমপন্থি ক্যাডার দীপঙ্করের তত্ত্বাবধানে। অভয়নগরের আন্ধা গ্রামের মৃত গণেশ মল্লিকের ছেলে দীপঙ্কর একসময় নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান মনোরঞ্জন গোসাই ওরফে মৃণাল এবং দলটির আরেক নেতা শৈলেন বিশ্বাসের সংস্পর্শে এসে অন্ধকার জগতে পা রাখে। মৃণাল-শৈলেন ও তাদের সশস্ত্র অনুসারীরা একসময় যশোর-খুলনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মূর্তিমান আতঙ্ক ছিল।

    নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র ক্যাডার দীপঙ্কর তার কিছু অনুসারী নিয়ে সশস্ত্র গ্যাং গড়ে তোলে। দীপঙ্কর বেশির ভাগ সময় ভারতে থাকে। সেখান থেকে অভয়নগর, মণিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ জলাবদ্ধ এলাকায় ঘের মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ওপর ছড়ি ঘোরায়। এমনকি খুন-খারাবির জন্য ভাড়াও খাটে তার অনুসারীরা।

    আলোচিত তরিকুল হত্যা মামলার বাদী রফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলে, দীপঙ্কর তাকে ফোন করে তরিকুল হত্যার দায় স্বীকার করে। এ অপারেশনের জন্য দীপঙ্করকে ১২ লাখ টাকার কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী ভারতে বসে দীপঙ্কর তার সশস্ত্র ক্যাডারদের নির্দেশনা দিয়ে তরিকুলকে খুন করায়। অভয়নগরের ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিন্টু, দিলীশ্বর বিশ্বাসের ছেলে দীনেশ, কার্তিকের ছেলে দুর্জয়, সুজিত বিশ্বাসের ছেলে সাগর বিশ্বাস, নিরঞ্জনের ছেলে অজিত, বিকাশ বিশ্বাসের ছেলে পল্লব, বিনয় বিশ্বাসের ছেলে গজো ওরফে পবন, নিরাপদ মণ্ডলের ছেলে অতীত মণ্ডল, রাজঘাটের জাকির কোরাইশির ছেলে আকরাম আকতার কোরাইশি পাপ্পু, বনগ্রামের মৃত বেনজীরের ছেলে মাসুদ পারভেজ সাথী, যশোর সদরের রামনগর এলাকার সিদ্দিক খানের ছেলে ফিরোজ খান এবং তাদের সহযোগীরা হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়।


    তথ্যসূত্র:
    ১. যশোরে কৃষক দল নেতা হত্যায় বিএনপি নেতা
    https://tinyurl.com/bdfws2rs
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন শহীদ



      ১২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাজা অঞ্চলে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতাল ও চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। শহীদদের মধ্যে অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

      এই হামলায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাজা সিটির আল-তাওয়াম এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর একটি হামলায় ১৪ জন শহীদ হন। একই দিনে, জাবালিয়া আল-নাজলা এলাকায় পৃথক হামলায় ৪ জন শহীদ ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পশ্চিম গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত পরিবারদের একটি তাবু লক্ষ্য করে হামলায় ২ জন শহীদ হন।

      এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনিস এলাকায় মানবিক সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ২ জন নিহত হন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির শেইখ রাদওয়ান এলাকায় পূর্ববর্তী হামলায় আহত আরও ২ জন মারা যান। স্থানীয় হাসপাতাল ও চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বর্বর ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে গাজায় ৬৪,৭০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। অব্যাহত হামলা, খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট এবং ধ্বংসযজ্ঞের ফলে সাধারণ মানুষ এক মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

      তথ্যসূত্র:
      1. Today’s death toll rises to 42
      https://tinyurl.com/34k3a6a6
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজায় ত্রাণ নিরাপত্তার দায়িত্বে “ক্রুসেডার” প্রতীকধারী ইসলাম-বিদ্বেষী মার্কিন বাইকার গ্যাং




        গাজায় মানবিক ত্রাণ বিতরণের নামে চলছে এক ষড়যন্ত্র। ক্ষুধার্ত মানুষের দীর্ঘ সারি, বিশৃঙ্খলা আর গুলির শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে আরেকটি অজানা কাহিনি—ত্রাণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক কুখ্যাত বাইকার গ্যাংয়ের সদস্যরা, যাদের ইতিহাস রক্তাক্ত ইসলামবিদ্বেষে ভরা। বিবিসির সাম্প্রতিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ‘ইনফিডেলস মোটরসাইকেল ক্লাব’ নামের এই গ্যাংয়ের বহু সদস্য এখন গাজার নিরাপত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে বসে ভয়াবহ গণহত্যা চালাচ্ছে।

        ইনফিডেলস মোটরসাইকেল ক্লাব ২০০৬ সালে ইরাক যুদ্ধ থেকে ফেরা মার্কিন সেনাদের দ্বারা গঠিত হয়েছিল। তারা নিজেদের “আধুনিক ক্রুসেডার” মনে করে এবং প্রতীক হিসেবে ক্রুসেডার ক্রস ব্যবহার করে। গ্যাংটি অতীতে রমজান মাসে শূকর ভোজের আয়োজনসহ প্রকাশ্যে ইসলামবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড করেছে। তাদের ফেসবুক পেজেও নিয়মিত ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। গ্যাংটির নেতা জনি ‘ট্যাজ’ মালফোর্ড একজন সাবেক মার্কিন সেনা সদস্য, যাকে অতীতে ঘুষ ও মিথ্যা বিবৃতি দেয়ার অপরাধে শাস্তি পেতে হয়েছিল। এখন এই ব্যক্তিই ‘কান্ট্রি টিম লিডার’ হিসেবে গাজাতে ইউজি সলিউশনস-এর ঠিকাদারির নামে ভয়াবহ গণহত্যা চালাচ্ছে।

        গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) একটি বিতর্কিত সংস্থা যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনপুষ্ট। এই সংস্থাটি জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর পরিবর্তে কাজ করছে। জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতি জাতিসংঘের মানবিক নীতিমালার লঙ্ঘন করছে। ইউজি সলিউশনস নামক একটি বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদার সংস্থা জিএইচএফ-এর ত্রাণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। এই সংস্থাটি এই ইসলামবিদ্বেষী ক্লাবের সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছে। ইউজি সলিউশনস গণহত্যা চালানোর জন্যে প্রতিদিন একজন কর্মীকে প্রায় ৯৮০ ডলার এবং টিম লিডারদের ১,৫৮০ ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক দিচ্ছে।

        মার্কিন মুসলিম সিভিল রাইটস সংগঠন সিএআইআর-এর সহকারী পরিচালক এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল বলেছেন, “ইনফিডেলস এমসিকে গাজায় ত্রাণ নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া, আর সুদানে কু ক্লাক্স ক্ল্যানকে দায়িত্ব দেওয়া একই ব্যাপার।” তার মতে, এর ফলে সহিংসতা বাড়বে, আর গাজায় ইতিমধ্যেই তা ঘটছে।

        গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় কুখ্যাত বাইকার গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়োগ কেবল মানবিক সহায়তা প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, বরং ক্ষুধার্ত মানুষের দুর্দশাকে আরও গভীর করেছে। যখন নিরীহ নারী-শিশু জীবন বাঁচাতে ছুটে আসছে, তখন তাদের সামনে দাঁড়াচ্ছে ঘৃণা ও সহিংসতার প্রতীক হয়ে ওঠা ইসলামবিদ্বেষী কিছু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে কেবল গণহত্যার মাধ্যমে মুসলিম নিধন অভিযান ছাড়া আর কি আশা করা যেতে পারে।


        তথ্যসূত্র:
        1. Anti-Islamic US biker gang members run security at deadly Gaza aid sites
        https://tinyurl.com/2vberjvu
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X