Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    আ.লীগ আমলে দায়িত্বরত পুলিশের সাবেক ডিআইজি গ্রেফতার



    মেহেরপুরের সাবেক এসপি ও পুলিশের সাবেক ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।



    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর শুক্রবার দিনগত রাতে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে গ্রেফতার নাহিদুল ইসলামকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ছমির উদ্দিনের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে মূল আসামি মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার ও সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা রয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    ১. সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেফতার
    https://tinyurl.com/mr26k3k5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা: একই পরিবারের ১৪ জনসহ ৬৫ ফিলিস্তিনি শহীদ



    ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল আবারও গাজার বেসামরিক মানুষদের ওপর অমানবিক হামলা চালিয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবারের সারাদিনব্যাপী বিমান ও কামান হামলায় অন্তত ৬৫ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে একই পরিবারের ১৪ জন সদস্যও রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, শুধু গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলেই শহীদ হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল এবং শরণার্থী শিবির।

    গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় বহু ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানান, গাজার পূর্বাঞ্চলজুড়ে বিস্ফোরণ আর গোলাবর্ষণের এক ভয়ংকর রাত কাটিয়েছে মানুষ।

    সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে সুলতান পরিবারের ওপর। গাজার আত-তুয়াম এলাকায় নিজেদের ঘরে থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি বোমায় একসাথে প্রাণ হারান পরিবারের ১৪ জন সদস্য। হামাস এক বিবৃতিতে এই হত্যাযজ্ঞকে “সুসংগঠিত যুদ্ধাপরাধ” আখ্যা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বিশ্বশক্তিগুলোর নীরব সমর্থনকে এই গণহত্যা চলমান রাখার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেছে।

    এছাড়া গাজার দারাজ এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া মানুষও হামলার শিকার হয়ে পুনরায় রাস্তায় নেমে পড়তে বাধ্য হয়েছেন।

    অন্যদিকে, এখনো অন্তত ১৩ লাখ মানুষ গাজা সিটি ও উত্তরে অবস্থান করছে। ইসরায়েল তাদের দক্ষিণে চলে যেতে চাপ দিচ্ছে, অথচ দক্ষিণের “মানবিক এলাকা” নামে পরিচিত খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি অঞ্চলও এখন অমানবিক পরিস্থিতির শিকার। এখানে পানি, খাদ্য ও ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নেই। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, “পরিবারগুলো এখানে এসে আবার ফিরেও যাচ্ছে, কারণ কোথাও নিরাপত্তা বা মর্যাদার সাথে বাঁচার পরিবেশ নেই।”

    জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICEF) জানিয়েছে, মাত্র এক মাসেরও কম সময়ে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাধ্য হয়ে উত্তরের ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এ স্থান ইতোমধ্যে জনাকীর্ণ, ফলে নতুন আগত শরণার্থীদের জন্য আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই।


    তথ্যসূত্র:
    1. Israel kills 56 Palestinians in Gaza, most of them desperately seeking aid
    https://tinyurl.com/kk4r58yv
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পুলিশের মাসিক ভোজসভায় যুবলীগ সভাপতি


      পুলিশের মাসিক ভোজসভায় দাওয়াতি মেহমান হিসেবে যোগ দেয় যুবলীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন বেপারী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সচেতন মহলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনা।

      শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা দক্ষিণ থানার ডাইনিং রুমে এ ঘটনা ঘটে।

      জানা যায়, পুলিশ প্রতি মাসেই একবার ভোজের আয়োজন করে। এবারের ভোজ সভায় থানার পুলিশ সদস্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন আমন্ত্রিত ছিল। সভায় দাওয়াতি মেহমান হিসেবে উপস্থিত হয়ে ভোজে অংশ নেয় নাওডোবা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোক্তার বেপারী। এ সময় কেউ একজন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সচেতন মহলে তৈরি হয় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনা। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা জানত না যে মোক্তার বেপারী আওয়ামী লীগ নেতা।


      তথ্যসূত্র:
      ১. পুলিশের ভোজসভায় যুবলীগ সভাপতি
      https://tinyurl.com/5epe2hc8
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মৌলভীবাজার সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে পুশ ইন করলো বিএসএফ



        ​মৌলভীবাজারের বড়লেখার বড়াইল সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নারী-শিশুসহ ২০ জন রোহিঙ্গা মুসলিম ও এক তৃতীয় লিঙ্গের বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাতু বিওপির বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে।

        আটকদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ১২ জন শিশু। তবে বিজিবি এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। পুলিশও জানিয়েছে, বিজিবি থানায় কাউকে হস্তান্তর করেনি।

        স্থানীয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে আতুয়া গ্রামের মূল সড়ক দিয়ে শাহবাজপুর বাজারমুখী ২১ জনকে পায়ে হেঁটে যেতে দেখে গ্রামবাসী। তারা বিষয়টি উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদকে জানায়। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয়- বিএসএফ বড়াইল সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। এরপর বিজিবি এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।


        তথ্যসূত্র:
        ১. সীমান্তে ২১ জনকে পুশইন
        -https://tinyurl.com/5dsmeyat
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ জুলাই শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি: ইত্তিহাদুল উলামা




          প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি উপেক্ষা করে নাচ-গান শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া জুলাই শহীদদের প্রতি স্পষ্ট অবমাননা। ইন্টারিম সরকারের এই নিয়োগ কোমলমতি শিশুদের মধ্যে ধর্মহীনতা তৈরি করবে এবং তারা ইসলামী সভ্যতা ও তমদ্দুন এবং ধর্মীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সৎ নাগরিক ও নেতৃত্ব গড়ার পরিবর্তে এটি নৈতিক অবক্ষয় ও চরিত্রহীন নেতৃত্ব তৈরি করবে। তাদের মননে ব্রাহ্মণ্যবাদের কুফরি ছায়া পড়বে।

          ইত্তিহাদুল উলামা সাভার উপজেলার নির্বাহী কমিটির জরুরি পরামর্শ সভায় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা মিলনায়তনে উপস্থিত উলামায়ে কেরাম এসব কথা বলেন। ইত্তিহাদের মজলিসে শুরার সভাপতি ও জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীনের মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা আশিকুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন ইত্তিহাদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদীস হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী।

          তারা আরও বলেন, যেমুহূর্তে জাতির নতুন প্রজন্মের মধ্যে নানাবিধ চরিত্রহীনতা দেখা দিয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নাচ-গান শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা জাতির জন্য আত্মঘাতী। এই সময়ে প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে আদর্শ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। অথচ তা না করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সংগীত ও নৃত্য শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মূলত শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে অবক্ষয় ও অনৈতিক সমাজ গঠনে উৎসাহিত করছে।

          জুলাই শহীদরা এজন্য জীবন দেননি। অবিলম্বে এই নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। মাওলানা শাহেদ জহিরী ও মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজীর সঞ্চালনায় পরামর্শ সভায় বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আনোয়ার হোসাইন কাসেমী, মাওলানা সালীমুল্লাহ, মুফতি আব্দুল বারী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, মুফতি নুরুল আমীন, মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রশিদ ও মুফতি মুহিউদ্দিন।


          তথ্যসূত্র:
          ১. ‘গানের শিক্ষক নিয়োগ জুলাই শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি’
          -https://tinyurl.com/5h2bskb8
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা: একই পরিবারের ১৪ জনসহ ৬৫ ফিলিস্তিনি শহীদ



            ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল আবারও গাজার বেসামরিক মানুষদের ওপর অমানবিক হামলা চালিয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবারের সারাদিনব্যাপী বিমান ও কামান হামলায় অন্তত ৬৫ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে একই পরিবারের ১৪ জন সদস্যও রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, শুধু গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলেই শহীদ হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল এবং শরণার্থী শিবির।

            গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় বহু ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানান, গাজার পূর্বাঞ্চলজুড়ে বিস্ফোরণ আর গোলাবর্ষণের এক ভয়ংকর রাত কাটিয়েছে মানুষ।

            সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে সুলতান পরিবারের ওপর। গাজার আত-তুয়াম এলাকায় নিজেদের ঘরে থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি বোমায় একসাথে প্রাণ হারান পরিবারের ১৪ জন সদস্য। হামাস এক বিবৃতিতে এই হত্যাযজ্ঞকে “সুসংগঠিত যুদ্ধাপরাধ” আখ্যা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বিশ্বশক্তিগুলোর নীরব সমর্থনকে এই গণহত্যা চলমান রাখার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেছে।

            এছাড়া গাজার দারাজ এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া মানুষও হামলার শিকার হয়ে পুনরায় রাস্তায় নেমে পড়তে বাধ্য হয়েছেন।

            অন্যদিকে, এখনো অন্তত ১৩ লাখ মানুষ গাজা সিটি ও উত্তরে অবস্থান করছে। ইসরায়েল তাদের দক্ষিণে চলে যেতে চাপ দিচ্ছে, অথচ দক্ষিণের “মানবিক এলাকা” নামে পরিচিত খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি অঞ্চলও এখন অমানবিক পরিস্থিতির শিকার। এখানে পানি, খাদ্য ও ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নেই। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, “পরিবারগুলো এখানে এসে আবার ফিরেও যাচ্ছে, কারণ কোথাও নিরাপত্তা বা মর্যাদার সাথে বাঁচার পরিবেশ নেই।”

            জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICEF) জানিয়েছে, মাত্র এক মাসেরও কম সময়ে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাধ্য হয়ে উত্তরের ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এ স্থান ইতোমধ্যে জনাকীর্ণ, ফলে নতুন আগত শরণার্থীদের জন্য আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই।


            তথ্যসূত্র:
            1. Israel kills 56 Palestinians in Gaza, most of them desperately seeking aid
            https://tinyurl.com/kk4r58yv
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বহাল তবিয়তে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বদলাতে চাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা



              বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ও জুলাই ৩৬ আন্দোলনের মুখ্য কারিগর শহীদ জাতীয় বীর আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বদলানোর চেষ্টা করেছিল রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন এসবি শাখার এসপি আবু বক্কর সিদ্দিক।

              এ অভিযোগে রংপুরে ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।

              ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রকাশ্যে পুলিশ তাকে গুলি করে। পরে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রাজিবুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, তাকে একাধিকবার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বদলাতে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেয়া হয়েছিল।

              ড. রাজিবুল গণমাধ্যমকে জানান, রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে এসপি সিদ্দিক, মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মারুফ এবং স্বাচিপ নেতা ড. চন্দন তাকে মাথায় আঘাতজনিত মৃত্যুর তথ্য যুক্ত করতে চাপ দেয়। এমনকি বিদেশ ভ্রমণ ও পারিবারিক সুযোগ-সুবিধার প্রলোভনও দেয়া হয়। তবে তিনি সত্য বিকৃত না করে মূল রিপোর্টে শরীরে পাওয়া গুলির আঘাত এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

              রংপুর মেডিকেলের স্বাচিপ সভাপতি ড. চন্দন তাকে পেশাগত প্রলোভন দেয় উল্লেখ করে চিকিৎসক রাজিবুল ইসলাম বলেন, ড. চন্দন আমাকে বলে, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) তোমার ব্যাপারে কনসার্ন। তোমার ব্যাপার আমরা দেখব। পুলিশ যেভাবে চায় সেভাবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দাও।
              কিন্তু এতকিছুর পরেও আমি আমার জায়গা থেকে সরে যাইনি। সর্বশেষ দেয়া পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আমি আবু সাঈদের শরীরে পিলেট ইনজুরির বর্ণনা দেই। তবে রিপোর্টে ‘গান শর্ট’ শব্দটা লিখিনি। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে চিকিৎসক রাজিবুল ইসলাম।’

              ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অভিযোগ করেন, প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো সত্ত্বেও দোষীদের রক্ষা করতে পুলিশি মহল মামলাকে ভিন্নখাতে নিতে চেয়েছিল।

              তারা হুঁশিয়ারি দেন— এসপি আবু বক্কর সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আবারও আন্দোলনে নামবেন।


              তথ্যসূত্র:
              ১. শহীদ আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত বদলাতে চাওয়া সেই এসপি বহাল তবিয়তে
              https://tinyurl.com/yurws2cp
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                খুলনায় অবৈধভাবে কলেজের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ ইসকনের বিরুদ্ধে, নেপথ্যে চিন্ময়




                খুলনার কেশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের অভ্যন্তরে জায়গা দখল করে অবৈধভাবে অবস্থান করছে ইসকনের একটি অংশ। কলেজ প্রতিষ্ঠাতার দলিলে উল্লিখিত শর্ত লঙ্ঘন করে মন্দিরের সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার ক্ষুব্ধ করে তুলছে অন্যদেরকে। লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি নানা ইস্যুতে দু’পক্ষ প্রায়শই মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় বাড়ছে উত্তেজনা। ইসকন অনুসারীদের আমন্ত্রণে রাষ্ট্র্রদ্রোহ ও হত্যা মামলায় কারাবন্দী চিন্ময় এই প্রতিষ্ঠানে এসেছিল। পরিকল্পনা করেছিল সনাতন মহাসভা করার। যে কারণে কলেজ সংশ্লিষ্টরা দখলদার ইসকন অংশকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর আখ্যায়িত করে দেশে পরিকল্পিত অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির গুরুতর অভিযোগ এনেছে।

                নিজ ভূমিতে পরবাসীতে পরিণত হওয়া কেশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

                তাদের দাবি, খুলনা পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মহেন্দ্র কুমার ঘোষ ১৯৩৮ সালে দলিলের মাধ্যমে খুলনা পৌরসভার অনুকূলে সংস্কৃত কলেজ ও রাধা মাধব মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। দলিল অনুযায়ী ১০ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাহ্মণ হবে, যে একই সাথে রাধা মাধব মন্দিরের পূজারি হবে।

                তাদের দাবি, ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম ইসকন সদস্যরা খুলনায় আসে। মহানগরী খুলনায় তাদের থাকার কোন জায়গা না থাকায় সংস্কৃত কলেজে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১১ সালে নগরীর গল্লামারীতে ইসকনের নিজস্ব সম্পত্তিতে মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন হলে গেরুয়া পোশাকধারী সদস্যরা সেখানে চলে যায়। কিন্তু সাদা পোশাকধারী কতিপয় ইসকন সদস্য কলেজে অবস্থান নেয়। দাতার দলিলের শর্ত লঙ্ঘন করে কলেজ অধ্যক্ষকে রাধা মাধব মন্দিরের পূজা করতে না দিয়ে তারাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখে।


                তথ্যসূত্র:
                ১. ইসকনের দখলে কলেজের সম্পত্তি, চিন্ময়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ
                https://tinyurl.com/4pnxzz47
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X