Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি || ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    পাবনায় ভারতের নাগরিক হয়েও সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এক হিন্দু


    ভারতের নাগরিক হয়েও সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি পাবনা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও জালিয়াতি করে শ্বশুরের নামে লিজ নেওয়া সরকারি সম্পত্তি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

    অভিযুক্ত সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড হিসেবে সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লি, ৪৬৭ এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে। তবে পাবনা শহরের ২ ওয়ার্ডের বাসিন্দাও সে। সুখরঞ্জন চক্রবর্তীর ভারতীয় পরিচয়পত্রের তালিকাভুক্তির নম্বর ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ড নম্বর ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১।

    গত ৩১ আগস্ট এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশ সরকারের চাকরিবিধি উপেক্ষা করেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছে। অথচ সে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাগরিক। সেখানে জমিজমা কিনেছে। ফ্ল্যাট বাড়িও করেছে। তার স্ত্রী ও বড় ছেলে ভারতেই থাকে। ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতা পায়, এজন্য তাকে নিয়ে পাবনাতে থাকে। মাঝেমধ্যে ১৫দিন থেকে এক মাস ছুটি নিয়ে তারা ভারতে যায়। সুখ রঞ্জনের শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে সরকারি লিজ নেওয়া সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিজের নামে নেওয়ার চেষ্টা করছে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক
    -https://tinyurl.com/4fazm5jw
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    জবিতে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের হাতাহাতি



    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি কর্তৃক অবৈধ বাসস্ট্যান্ড ও দোকানপাট অপসারণের জন্য আয়োজিত আলোচনা সভায় চেয়ারে বসা নিয়ে শাখা ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

    সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটসংলগ্ন বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটের পাশে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল ও মাহামুদুল হাসানের অনুসারীরা।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান, সভাশেষে চেয়ারে বসার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হঠাৎ দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় রবিউল আউয়ালের গ্রুপের কয়েকজন জুনিয়র সদস্য মাহমুদুল হাসানের কলার ধরে ধাক্কা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মাহমুদুলের অনুসারীরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও উত্তেজনা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।

    তথ্যসূত্র:
    ১. জবিতে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
    https://tinyurl.com/y4s5fu8t
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হাসিনার পক্ষে জনমত গঠনের জন্য তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা র’


      ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতবছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। ভারতে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে এবং একের পর উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক এ সরকারপ্রধান। প্রায় সময়ই ‘বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে’ বলে নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে সে। তবে তার সে তর্জন-গর্জন এখন পর্যন্ত ‘কাগুজে বাঘ’ হিসেবেই দেখছে সচেতন নেতাকর্মী ও বিশ্লেষকরা।

      তবে এর মধ্যেও আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আবারও চাউর হচ্ছে ‘ষড়যন্ত্রতত্ত্ব’। দুর্গাপূজার পরই দেশে ফেরার লড়াইয়ে নামবে কলকাতায় থাকা আওয়ামী লীগের নিউটাউন শাখা। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরে শেখ হাসিনার গুম-খুনকে পাশ কাটিয়ে আবারও তাকে প্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত ভারত ও তার প্রক্সিগুলো। এ লক্ষ্যে সচল করা হচ্ছে আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন এজেন্সিকে। তাদের তৎপরতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ফ্যাসিবাদী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি সত্যিই দেশে ফিরছে? ভারতীয় মিডিয়ার একাংশ এবং কিছু বুদ্ধিজীবীর তৎপরতা এ জল্পনাকে আরো উসকে দিয়েছে।

      অভিযোগ উঠেছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (‘র’) মদতে হাসিনার পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলন। এ সম্মেলনের নেপথ্যে ভারতের ‘র’-এর সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে অংশ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় সারির কমিউনিস্ট নেতা গৌতম রায়। নিজ রাজ্যে তেমন গুরুত্ব না পেলেও, বারবার হাসিনার প্রশংসা করে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার চেষ্টায় থাকে গৌতম। তার একটি বইয়ের ভূমিকাও লিখেছে শেখ হাসিনা।

      শুধু সম্মেলন নয়, ডিজিটাল মাধ্যমেও হাসিনার পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গের একটি ওয়েব পোর্টাল নিয়মিত আওয়ামীপন্থিদের অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এর পরিচালক ধবল সরকার (নাম পরিবর্তিত) নাকি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা পেয়েছে। এছাড়া অসংখ্য ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সারকেও টাকা দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট করানো হচ্ছে।

      তবে এর মধ্যেও দিল্লিতে আওয়ামী লীগের নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের দিল্লিতে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে হাসিনার ঘনিষ্ঠ কলকাতার কিছু বুদ্ধিজীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী দিনে মিডিয়ায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কী ভূমিকা রাখবেন—তা নিয়ে আলোচনা করছেন। শোনা যাচ্ছে, পূজার পরই কলকাতার হাসিনাপন্থি বুদ্ধিজীবীরা এ বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। এর পেছনে ‘র’-এর পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে। এ কলকাতার বুদ্ধিজীবী ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পিডিএফ প্রচারে পুস্তক, নানা ধরনের ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:
      ১. হাসিনার পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা, নেপথ্যে ভারতের ‘র’
      https://tinyurl.com/yc8z8zyh

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আবু সাইদ হত্যার রিপোর্ট বদলানোর চাপ প্রয়োগ করে পদন্নোতি পায় তৎকালীন এসপি, এখনো বহাল তবিয়তে



        রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুলাই শহীদ আবু সাঈদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বদলানোর চেষ্টাকারীরা বহাল তবিয়তে থাকায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের মধ্যে অন্যতম রংপুর মেট্রোপলিটনের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) তৎকালীন এসপি আবু বক্কর সিদ্দিক। চিকিৎসককে রিপোর্ট বদলানোর জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো পুলিশের এই কর্মকর্তা বর্তমানে ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিসে কর্মরত। পেয়েছে এডিআইজি পদে পদোন্নতি।

        গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ । এরপর ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। সেখানে কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলামকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বদলানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায় আবু বক্কর । এর মাধ্যমে সে রিপোর্ট ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছে ওই চিকিৎসক। এর পরও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে সে এখনো বহাল আছে।

        গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, আবু বক্করকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার এডিআইজি হিসেবে প্রমোশন দেয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। পরে তাকে বদলি করে রংপুর রেঞ্জে এডিশনাল হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। এরপরও ছাত্র-জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকায় তাকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশ অফিসে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে।

        সম্প্রতি আবু সাঈদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরি করা ডা. রাজিবুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতকে তিনি বলেন, আমি ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করি। তার শরীরে অনেক পিলেট পাওয়া যায়। পিলেটবিদ্ধ হয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করি। মতামতসহ আমার করা রিপোর্ট তাজহাট থানার তদন্ত কর্মকর্তাকে দিতে গেলে তা গ্রহণ না করে নতুন রিপোর্ট লিখতে বলা হয়। এভাবে তিনবার আমার রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়নি।

        জবানবন্দিতে এ চিকিৎসক আরো বলেন, ৩০ জুলাই রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপালের রুমে রংপুর সিটির এসবির এসপি সিদ্দিক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মারুফ, রংপুর মেডিকেলের স্বাচিপ সভাপতি ড. চন্দন আমাকে তাদের মতো করে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দিতে চাপ দেয়। এ সময় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা রুমের বাইরে অবস্থান করছিল। ওনারা প্রথম থেকেই আমাকে বলে যে, আবু সাঈদের মাথায় ইনজুরি আছে সেটি ফোকাস করতে হবে। তারা আমাকে তাদের মতো করে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দিতে চাপ দেয় ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা আমাকে আবু সাঈদের বুলেট/পিলেট ইনজুরির পরিবর্তে হেড ইনজুরি ও নিউরোজেনিক শক লিখতে বলে। বলা হয়, তাদের মতো করে রিপোর্ট না দিলে আমার বিরুদ্ধে মামলা হবে। আমার বিষয়ে নাকি গোয়েন্দা রিপোর্ট আছে।

        পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বদলাতে একপর্যায়ে নানা প্রলোভন দেওয়া হয় উল্লেখ করে চিকিৎসক রাজিবুল বলেন, তারা আমাকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ঘুরে আসার প্রলোভন দেয়। আমি বলি, আমার পাসপোর্ট নেই। তখন তারা আমাকে স্ত্রী-সন্তানের নিয়ে দুই সপ্তাহ কক্সবাজারে ঘুরে আসার অফার দেয়। সবকিছুর ব্যবস্থা তারা করবেন বলে জানান। তবে আমি তাদের কথায় রাজি হইনি। আমি ভাইস প্রিন্সিপালকে বলি, আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার দৃশ্য টিভিতে লাইভ সম্প্রচার হয়েছে এবং তা সারা বিশ্ব দেখেছে। আমি যদি এই হত্যাকে হেড ইনজুরি বলে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেই তাহলে সারা বিশ্বের মানুষ চিকিৎসক সমাজকে ঘৃণার চোখে দেখবে।

        তাকে পেশাগত প্রলোভন দেওয়া হয় উল্লেখ করে চিকিৎসক রাজিবুল বলেন, ড. চন্দন আমাকে বলেন, নেত্রী তোমার ব্যাপারে কনসার্ন। তোমার ব্যাপার আমরা দেখব। পুলিশ যেভাবে চায় সেভাবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দাও। কিন্তু এতকিছুর পরেও আমি আমার জায়গা থেকে সরে যাইনি। সর্বশেষ দেওয়া পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আমি আবু সাঈদের শরীরে পিলেট ইনজুরির বর্ণনা দেই। তবে রিপোর্টে ‘গান শট’ শব্দটা লিখিনি।

        ওই চিকিৎসক আরো বলেন, আমার স্ত্রী ও দুটি সন্তান আছে। তখনকার ওই সরকার থাকলে এখন আমার কী হতো? আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য রিপোর্ট প্রদান করেছি। আমি আবু সাঈদ হত্যার নির্দেশ দাতাসহ জড়িতদের বিচার ও শাস্তি চাই।


        তথ্যসূত্র:
        ১. আবু সাঈদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বদলিয়ে পদোন্নতি পান এসপি আবু বক্কর
        https://tinyurl.com/34ys86mf
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কাশ্মীরে ৩০০’র বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন


          দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় প্রশাসনের দমননীতির বিরুদ্ধে খবর প্রচার করায় ডোডা, কিস্তোয়ার ও রামবান জেলায় অন্তত ৩০০’র বেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে দখলদার প্রশাসন। বিজেপি নিযুক্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

          গত ১৫ সেপ্টেম্বর কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ডোডা জেলার বিধায়ক মিরাজ মালিকের গ্রেপ্তার পর সেখানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ, বিজেপি-বিরোধী পোস্ট এবং পুলিশি দমন-পীড়নের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র তিন দিনের মধ্যে এসব অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

          জানা যায়, ফেসবুক, এক্স ও ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় আইটি সেলগুলো মাঠপর্যায়ে ছবি, ভিডিও ও সাক্ষাৎকার প্রচারকারী অসংখ্য অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে নজরদারি চালায় দখলদার প্রশাসন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কয়েকজন অ্যাকাউন্ট পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করারও সুপারিশ করা হয়েছে। এবং কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধের জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. 300 social media accounts blocked in Doda, Kishtwar and Ramban districts
          https://tinyurl.com/5n8huaha
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            জাবিপ্রবিতে হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ; ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ


            জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) আবাসিক হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে অন্য নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নেতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

            লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ দুজন মিলে সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইকরাম হোসেনের রুম (হল-২০৩ নম্বর) এ প্রবেশ করে। সেখানে একটি সিট দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে তারা।

            অভিযোগে ইকরাম হোসেন উল্লেখ করে, উক্ত সিটে আগে সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহান ও রাশেদ অবস্থান করত। বর্তমানে হলে নতুন করে কোনো সিট বরাদ্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সে সেখানে নতুন কাউকে উঠতে দিতে রাজি হয়নি। কিন্তু অভিযুক্তরা জোর করে সিএসই বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল সদস্য মো. জোবাইদ হোসাইনকে ওই সিটে তোলার চেষ্টা করন। এ সময় ইকরাম নিজের কিছু ব্যক্তিগত জিনিস সরাতে গেলে তাদের বাধা দেয়। ধমকাধমকি ও বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

            অভিযোগে আরও বলা হয়, তখন ছাত্রদল সদস্য জোবাইদ হোসাইন সিটের ওপর রাখা একটি ছুরি তুলে নিয়ে ইকরাম হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে উপস্থিত অন্যরা জোবাইদকে আটকে দেয় এবং পরে তাকে রুমের বাইরে নিয়ে যায়।


            তথ্যসূত্র:
            ১. হল সিট দখল নিয়ে ছাত্রদলের দুই নেতার সংঘর্ষ, ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
            https://tinyurl.com/3dwmt286
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গাজায় নির্মম গণহত্যা ঢাকতে আরও ২ সাংবাদিককে হত্যা করল বর্বর ইসরায়েল


              দিনে দিনে নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। গাজার বাড়িঘর থেকে শুরু করে শরণার্থী শিবির সর্বত্র‌ই চলছে নারকীয় তাণ্ডব। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সরকারি সংবাদমাধ্যম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় ১৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও দুই সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন, তারা হলেন ফটোগ্রাফার এবং ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার আইমান হানিয়া এবং সাংবাদিক ইমান আল-জামিলি।

              এর আগে সকালে গাজা সিটির নাসর এলাকায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-কুফি শহীদ হন। এদিকে, গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে।

              প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্র ও অস্থায়ী তাবুগুলোকে টার্গেট করে এ হামলা পরিচালিত হয়। সেখানে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-কুফি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। একই ঘটনায় শহীদ হন ফটোগ্রাফার ও সম্প্রচার প্রকৌশলী আয়মান হানিয়ে এবং সাংবাদিক ইমান আল-জামিলি।

              এদিকে, জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক আইরিন খান বলেছে, ‘ইসরায়েলকে কখনও ফিলিস্তিনে সাংবাদিক হত্যার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি। এই হত্যাকাণ্ড ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’

              জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সে ফিলিস্তিন অঞ্চল সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছে। এসময় আইরিন খান জানায়, ইসরায়েলি সেনাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতি একটি ‘অনুকূল পরিবেশ’ সৃষ্টি করেছে, যেখানে তারা তাদের মনমতো সব কিছু করতে পারে। সত্য প্রকাশে একমাত্র যাদের সাহস আছে সেই সাংবাদিকদের হত্যা করার সাহস তারা কোথায় পাচ্ছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে সাংবাদিক হত্যায় একটি ভয়ানক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

              গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলমান গণহত্যায় ইতিমধ্যে দুই শতাধিকেরও বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সাংবাদিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে সুরক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও দখলদার বাহিনী নিয়মিতভাবে সেই আইনকে পদদলিত করছে। সন্ত্রাসী ইসরায়েল মূলত সত্যের কণ্ঠরোধ এবং তাদের গণহত্যা গোপন করার উদ্দেশ্যেই সাংবাদিকদের হত্যা করছে।


              তথ্যসূত্র:
              1. Israel kills 2 more Gaza journalists
              https://tinyurl.com/3bu6e2ep
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X