Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ৫ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ৫ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    কাশ্মীরে দুই মুসলিম যুবককে হত্যা করলো দখলদার ভারতীয় বাহিনী


    অধিকৃত কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই কাশ্মীরি যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।

    ২৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের বরাতে জানা যায়, কুপওয়াড়া জেলার কেরান এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযানের সময় এই দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    বিচারবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করার জন্য ভারতীয় বাহিনী নিহতদের ‘জঙ্গি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের এক নির্মম নিদর্শন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Indian troops martyr two Kashmiri youth in Kupwara fake encounter
    https://tinyurl.com/ya5rkh95
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ‘ধর্ষণকাণ্ড’ নিয়ে খাগড়াছড়িতে গভীর ষড়যন্ত্র, ইন্ধন দিচ্ছে দেশি ও বিদেশি অপশক্তি



    খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড চলছে। এ ঘটনার দায় কোনো তদন্ত ছাড়াই বাঙালিদের ওপর চাপানো হচ্ছে। আন্দোলনের নামে তিনদিন ধরে চলছে তাণ্ডব।

    সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যানবাহনে হামলার পাশাপাশি দেদারসে কাটা হচ্ছে গাছ। সড়ক অবরোধ করে স্থবির করে দেওয়া হয়েছে জনজীবন। হেনস্তা করা হচ্ছে পর্যটকদের। এতে ধর্ষণের অভিযোগ ও বিষয়টি ঘিরে আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

    গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা শহরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক মারমা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন ভোরে সদর থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজনের নামে মামলা করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরীকে আটকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে তিনজন।

    ঘটনা ঘটার সময় দাবি করা হয় ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা। এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় চয়ন শীলের ছবি মোবাইল ফোনে নিয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাহাড়ি কয়েক যুবক। তারা চয়নদের বাড়িতে গিয়ে হানা দেয় এবং ভাঙচুর চালায়। পরিবার থেকে তাদের জানানো হয়, চয়ন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের সুইডিশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ে। সে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে কাপ্তাই চলে যায় এবং তখন থেকে সেখানেই অবস্থান করছে। এরপর হানা দেওয়া পাহাড়ি যুবকরা চয়নের ছোট ভাই শয়ন শীলকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং ২৪ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। বর্তমানে তাকে ছয়দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে। এমনকি তার বাবা যে দোকানে কাজ করতেন, সেখান থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

    নানামুখী ষড়যন্ত্র

    ধর্ষণের অভিযোগ ও বাঙালি তরুণের বাড়িতে হানা দেওয়া নিয়ে যখন ধীরে ধীরে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে, সেখানে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দাবিতে তুমুল আন্দোলনের নামে নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে একাধিক মহল। এতে সবচেয়ে বেশি ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে। এছাড়া উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক একটি চক্র ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা বলছেন, ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়কে অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে।

    গোয়েন্দা সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে দিতে খরচ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। মূলত কয়েকটি চক্র গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর মামুন হত্যার জেরে সংঘটিত খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় তিনজনের মৃত্যুর বর্ষপূর্তির দিন থেকে পুরো জেলাকে উত্তপ্ত করার নানা ফন্দি করছিল।

    সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ

    শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর )কিশোরীকে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় আহূত সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের শুরু থেকে পিকেটাররা ছিল মারমুখী। জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা কেটে যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়াসহ পর্যটকদের নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরে পিকেটার ও স্থানীয় বাঙালি যুবকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল ও গুলতি নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর পর জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জন্য পাহাড়িরা বাঙালিদের আর বাঙালিরা পাহাড়িদের দায়ী করছে। হামলায় উভয়পক্ষের কতজন আহত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না হলেও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ১২ জন চিকিৎসার জন্য যান বলে জানা গেছে।

    স্বনির্ভর বাজার, মহাজনপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এবং বিকাল ৩টা থেকে গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

    স্থানীয় বাঙালিদের অভিযোগ, তারা প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। অথচ পাহাড়িদের সঙ্গে নতজানু ও তোষামোদি করে মাথায় চড়িয়েছে।

    আটক শয়ন কি আসলে অপরাধী

    ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীল প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা খাগড়াছড়ি সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় ঘটনার সময় রাত ৯টায় উল্লেখ করলেও গণমাধ্যম-এর হাতে আসা কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে শয়নকে রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত খাগড়াছড়ি বাজারে বিভিন্ন দোকানে পূজার কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।

    এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দীঘিনালার ৯ মাইলে কৃত্রিকা ত্রিপুরা নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুকে হত্যার পরও বাঙালিরা ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগ করে পরিস্থিতি উপ্তপ্ত করে তোলা হয়েছিল। আন্দোলনের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশকে বাধ্য করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে দুই বাঙালির স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল। পরে পিবিআইয়ের তদন্তে স্বগোত্রীয়রা জড়িত বলে প্রমাণ হয়।

    তথ্যসূত্র:
    ১.খাগড়াছড়ি ফের উত্তপ্ত সক্রিয় বিশেষ মহল
    -https://tinyurl.com/48rt3yhp
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অবরুদ্ধ গাজায় আরো এক সাংবাদিক কে হত্যা করল দুর্বৃত্ত ইসরায়েল



      ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে আবারও ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার হলেন এক সাহসী সাংবাদিক। ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার দেইর আল বালাহ শহরে বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহীদ হন প্যালেস্টিনিয়ান ইনফরমেশন সেন্টার (পিআইসি)-এর সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-দাইয়া। গাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে সত্যের দলিল বিশ্বকে জানানোই ছিল তাঁর অপরাধ। এই নিয়ে পিআইসি’র তিনজন সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করল সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

      স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আবু আরিফ সড়কের একটি তাবুতে আশ্রয় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ আল-দাইয়া। সেই তাবুকে লক্ষ করেই বর্বর হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। নৃশংস এই ইসরায়েলি হামলায় মুহূর্তেই শহীদ হন মোহাম্মদ আল-দাইয়া। তিনি ছিলেন পিআইসি’র আরবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভাগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। যুদ্ধ, রক্তপাত আর ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও তিনি নির্ভীকভাবে গাজা থেকে সংবাদ পৌঁছে দিচ্ছিলেন বিশ্বকে।

      পিআইসি এক বিবৃতিতে জানায়, “আল-দাইয়া শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সত্যের আলো ছড়াতে অটল ছিলেন। তাঁর হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে—ইসরায়েলি দখলদাররা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা করছে, যেন কেউ তাদের অপরাধ লিপিবদ্ধ করতে না পারে।”

      গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান গণহত্যায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা এখন ২৫২-এ দাঁড়িয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি নিছক ভুল আক্রমণ নয়; বরং এটি সত্যকে স্তব্ধ করা এবং গণহত্যার চিত্র আড়াল করার একটি সুস্পষ্ট কৌশল।

      আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন IFJ এবং একাধিক গবেষণা প্রতিবেদনে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে, গাজার যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী আগ্রাসনে পরিণত হয়েছে। এ বছরের এপ্রিলে আলজাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী সাংবাদিকদের পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু করছে। এরই অংশ হিসেবে ২৫ আগস্ট খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে “ডাবল-ট্যাপ” হামলায় একসাথে পাঁচ সাংবাদিককে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্ত ইসরায়েল।

      মোহাম্মদ আল-দাইয়ার শাহাদাত ইঙ্গিত দেয়, সত্য উচ্চারণের প্রতিটি প্রচেষ্টা ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্রের কাছে ভয়ের কারণ। সাংবাদিকদের উপর এই ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞ আসলে এক ভয়ঙ্কর বার্তা—যে কণ্ঠ সত্য প্রকাশ করবে, সেই কণ্ঠকে চিরতরে রুদ্ধ করা হবে। কিন্তু আল-দাইয়া ও শত শত শহীদ সাংবাদিক প্রমাণ করে গেছেন—রক্তে লেখা সত্য কখনো মুছে যায় না, বরং তা আগামী প্রজন্মের কাছে প্রতিরোধ আর সত্যের অমর দলিল হয়ে থাকে।

      তথ্যসূত্র:
      1. Gaza journalist Mohammed al-Daya martyred in Israeli strike, PIC mourns
      https://tinyurl.com/83fd5bnx
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজায় ‘নিরাপদ’ ঘোষিত একই এলাকায় ১৩৩ বার হামলা, নিহত ১৯০৩



        গাজায় কথিত ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চলেই’ বারবার ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলায় ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে স্থল অভিযান আরও তীব্র করেছে দখলদার সেনারা।

        গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, দুর্বৃত্ত ইসরায়েল জোর করে গাজা সিটি থেকে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে এসব এলাকাকে ‘নিরাপদ’ বলে প্রচার করছে। অথচ গত ১১ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় অন্তত ১৩৩ দফা হামলায় ১ হাজার ৯০৩ জন নিহত হয়েছেন, যা গাজার মোট প্রাণহানির প্রায় ৪৬ শতাংশ। সংস্থাটির দাবি, এসব হামলা প্রমাণ করে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের সরাসরি টার্গেট করছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

        এদিকে, গাজা সিটিতে চলমান বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র গোলাবর্ষণের জেরে জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল থেকে ১০৭ রোগী ও সব চিকিৎসক-কর্মীকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বহু আগে থেকেই সংকটে থাকা গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন অ্যানাস্থেসিয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো মৌলিক ওষুধ নেই। ক্ষুধার্ত চিকিৎসকেরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের কিছু হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু থাকলেও উত্তর দিক থেকে আসা আহতদের ঢল নামায় সেখানে চরম চাপ তৈরি হয়েছে।

        আল-আকসা হাসপাতালের চিকিৎসক খলিল দিগরান জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা শিশুদের একমাত্র বিশেষায়িত রান্তিসি হাসপাতালকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করেছে। তিনি সতর্ক করেছেন, হামলা অব্যাহত থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

        তথ্যসূত্র:
        1. Nearly half of Gaza war deaths reported in areas Israel called ‘safe’
        https://tinyurl.com/27pm2ks3
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি গণহত্যা: শহীদের সংখ্যা ছাড়াল ৬৫ হাজার ৯২৬


          ফিলিস্তিনিদের রক্তে রঞ্জিত গাজায় ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ৯২৬ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

          আলজাজিরা জানিয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৮২ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৬৫ জন, ফলে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৩ জনে। বাস্তবে এই সংখ্যা আরও ভয়াবহ, কারণ হাজারো মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপ আর রাস্তায় পড়ে আছে—উদ্ধারকর্মীরা ইসরায়েলের লাগাতার হামলার কারণে তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছে না।

          মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নতুন করে ৩০০ জন শহীদের পরিচয় শনাক্ত করার পর তাদের নাম সরকারি রেজিস্ট্রিতে যোগ করা হয়েছে। প্রতিদিনের মতোই মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিরা নতুন করে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের বর্বরতার শিকার হচ্ছেন। শনিবার সহায়তা নিতে গিয়ে দখলদার সেনাদের গুলিবর্ষণে ১৭ জন শহীদ ও ৮৯ জন আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে এভাবে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৫৬০ জন, আহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৭০৩ জনেরও বেশি।

          ১৮ মার্চ থেকে সন্ত্রাসী ইসরায়েল আবারও চুক্তিভঙ্গ করে নির্বিচার বোমাবর্ষণ শুরু করেছে, যা জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিকে পদদলিত করেছে। শুধু মার্চের পর থেকেই শহীদ হয়েছেন অন্তত ১৩ হাজার ৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭৪২ জন ফিলিস্তিনি।

          তথ্যসূত্র:
          1. More than 82 Palestinians killed in attacks as world turns on Israel
          https://tinyurl.com/mput4smp
          2. Gaza death toll nears 66,000 as Israeli attacks continue unabated
          https://tinyurl.com/2p9umsd7
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            খাগড়াছড়িতে উগ্র উপজাতিদের দেশ বিরোধী তৎপরতা, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভাংচুর-অগ্নিংযোগ, মেজরসহ আহত ১০ সেনা সদস্য


            খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা ভেঙে উপজাতিদের হামলায় মেজরসহ সেনাবাহিনীর ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে উপজাতিসহ কয়েকজন বাঙালি।

            রোববার(২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উপজেলার খাদ্য গুদাম এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপজাতিদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। এতে কয়েকজন নারী-পুরুষ তাদের ওপর চড়াও হয়।

            এক পর্যায়ে স্থানীয় রামেশু বাজার এলাকায় ভাড়াবাসায় পরিচালিত ভবনে শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা, যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় উপজাতিরা। পরে উপজাতিরা গুইমারা বাজারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় বাঙালিদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। এরপর উপজাতি-বাঙালিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
            সেখানে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে।

            উল্লেখ্য যে, উগ্র উপজাতি সন্ত্রাসীরা উপজাতি ধর্ষণের অভিযোগের নামে পাহাড়কে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।
            পাহাড়ের বেশ কয়েকটি মসজিদে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। সম্প্রতি তাদের অনেকেই বিভিন্ন আন্দোলনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানানোর জোর দাবি জানিয়েছে।


            তথ্যসূত্র:


            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ফটো রিপোর্ট || ভারতে আই লাভ মুহাম্মদ (ﷺ) কর্মসূচিতে পুলিশের ব্যাপক দমন-পীড়ন



              ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের অবমাননার বিরুদ্ধে ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য আয়োজিত ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ নামে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে নৃশংসভাবে দমন করেছে ভারতীয় পুলিশ।

              ২৬ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর বরেলির ইসলামিয়া গ্রাউন্ড মসজিদের সামনে মাওলানা তৌকির রাজার আহ্বানে হাজারেরও অধিক মুসলিম শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য একত্রিত হন। এ সময় তারা ‘আই লাভ মুহাম্মদ (ﷺ)’ এর প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত মুসলিমদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও ভিত্তিহীন পুলিশি মামলা দ্রুত বাতিল করার দাবি জানায়।

              কিন্তু শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ঘিরে পুলিশ অকারণেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে। এতে অসংখ্য মুসল্লী আহত হয়। আটক করা হয় প্রায় ৫০ জন মুসলিমকে। পাশাপাশি মাওলানা তৌকির রাজাকেও আটক করা হয়।

              ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইসলামিয়া গ্রাউন্ড মসজিদে হাজারো জনতা ‘আমি মুহাম্মদ (ﷺ) ভালোবাসি’ লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের বিশ্বাসের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছিলেন।

              প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের কানপুরে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মিছিলে ‘আই লাভ মুহাম্মদ (ﷺ)’ পোস্টার স্থানীয় হিন্দুত্ববাদীরা ভাঙচুর করে। এর ফলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভারতীয় পুলিশ স্থানীয় হাজারো মুসলিমের বিরুদ্ধে অন্তত ২১টি মামলা দায়ের করে।

              বেরেলির ইসলামিয়া গ্রাউন্ডে শান্তিপূর্ণভাবে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জের কিছু চিত্র:


              তথ্যসূত্র:
              1. ‘I Love Muhammad’ Row: Opposition Accuses UP Govt of Instigating Violence to ‘Hide Failures’
              https://tinyurl.com/3edm72bh
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X