Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ৭ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ৭ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    ট্রাম্পের ষড়যন্ত্রকে সমর্থন, পশ্চিমাদের হাতে গাজা কে তুলে দিতে চায় পাকিস্তান



    গাজার তীব্র সংকটের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ পয়েন্টের পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়ে মুসলিম বিশ্বকে অবাক করেছে। এই পরিকল্পনা, যা মূলত ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক এবং সার্বভৌম অধিকারকে বিলুপ্ত করে, দখলদার ইসরায়েল এবং পশ্চিমাদের আধিপত্যকে আরও সুসংহত করার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে, তার প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন মুসলিম বিশ্বের সাথে এক বড় প্রতারণা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

    প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ তার সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছে, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য উত্থাপিত ২০ পয়েন্টের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনতে সহায়ক হবে।” কিন্তু পশ্চিমের এই পক্ষপাতমূলক পরিকল্পনা কি বাস্তবে মুসলিম জনগণের জন্য শান্তি আনবে, না কি পশ্চিমাদের জুলুমের কাছে আত্মসমর্পণ করবে তা ত স্পষ্ট।

    গাজা অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শক্তির হস্তক্ষেপ মুসলমানদের স্বাধিকারকে চরমভাবে সংকুচিত করবে। পাকিস্তান কেন এমন একটি পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে, যা মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করে, তা বিশ্লেষণ করতে গেলে, এর পিছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সহজেই ধরা পড়ে।

    এটি নিছক একটি কূটনৈতিক গাণিতিক সমীকরণ নয়; বরং স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা। ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানানো মানে মুসলিম বিশ্বের শত্রুদের হাতে গাজা অঞ্চলের ভবিষ্যত তুলে দেওয়া, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

    ২০২৩ সাল থেকে গাজায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন চলেছে, যাতে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। প্রায় পুরো গাজা অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং সেখানে খাদ্যসংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা মূলত গাজার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শাসন ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের নামে, মুসলমানদের উপর একটি নতুন আঘাত।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো গাজায় পশ্চিমের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এমন একটি পদক্ষেপকে সমর্থন জানানো—বিশ্ববাসীর কাছে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যকে আরও বেশি পরিষ্কার করে তুলছে যে তারা কি এখন মুসলমানদের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছে, নাকি পশ্চিমাদের কৌশলকে সমর্থন করে মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Pakistan welcomes Trump’s plan to end Gaza war
    https://tinyurl.com/4zcdt5uc
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ০৫ আগস্টের পর জিয়াউলের নেতৃত্বে খুনি হাসিনার কয়েক হাজার কল রেকর্ড ও বিভিন্ন ধরনের ফুটেজ মুছে ফেলে এনটিএমসি


    ​জুলাই বিপ্লবের শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনা পলায়নের পর তার কয়েক হাজার কল রেকর্ড ও বিভিন্ন ধরনের ফুটেজ মুছে ফেলে জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। শেখ হাসিনার চারটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে এসব কলের রেকর্ড নেওয়া হয়। পরে এনটিএমসির মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের নির্দেশে হাসিনার এসব কল রেকর্ড মুছে ফেলা হয়। এমনকি সে ফোনগুলোর মালিকানার তথ্যও মুছে ফেলে শেখ হাসিনার অনুগতরা।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা জানান গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, জিয়াউল আহসানের নির্দেশের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় এনটিএমসি সদস্যরা নিজেদের জিম্মায় নিয়ে রেকর্ডগুলো মুছে ফেলে। তবে আইটি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    তানভীর হাসান জোহা জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) স্পর্শকাতর তার বার্তাগুলো এনটিএমসি সদস্যরা নিয়ে যায়। এসব কল রেকর্ড মুছে ফেলার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু ঊর্ধ্বতন সদস্য জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব আলামত উদ্ধার করা গেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে অনেকের যোগসূত্র বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    এদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমগীর ২৯ সেপ্টেম্বর, (সোমবার) ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, জুলাই গণআন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার নির্দেশে তিন লাখ রাউন্ডের বেশি গুলি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই পুলিশ ব্যবহার করে প্রায় এক লাখ রাউন্ড গুলি। তিনি বলেন, তদন্তকালে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাওয়া এক চিঠির মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতার ওপর ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলিসংক্রান্ত ২২৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পাই। যাতে দেখা যায় এলএমজি, এসএমজি, চাইনিজ রাইফেল, শটগান, রিভলবার, পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করে শুধু ঢাকা শহরে ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড এবং সারা দেশে তিন লাখ পাঁচ হাজার ৩১১ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয় ।

    সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতারিরোধী অপরাধের মামলায় ৫৪তম এবং শেষ সাক্ষী হিসেবে এ জবানবন্দি দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর। জবানবন্দির শুরুতে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কয়েকটি ভিডিও আইসিটিতে প্রদর্শন করা হয়।


    তথ্যসূত্র:
    ১.৫ আগস্ট হাসিনার কয়েক হাজার কল রেকর্ড মুছে ফেলে এনটিএমসি
    -https://tinyurl.com/38nuaha7
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X