Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১২ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১২ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

    কোরআন অবমাননাকারী অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না করলে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’র হুঁশিয়ারি হেফাজতে ইসলামের



    নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

    এক বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, ভাইরাল ভিডিওতে তার অঙ্গভঙ্গি, কথাবার্তা ও উগ্রতা দেখে কোনোভাবেই তাকে পাগল মনে হয়নি, বরং মনে হয়েছে—এ ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সে ঘটিয়েছে। অপূর্ব পালের এই জঘন্য অপরাধের পেছনে দেশি-বিদেশি কোনো এজেন্সির সম্পৃক্ততা থাকলে তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

    রোববার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান। অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না করলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।

    বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার জঘন্য দৃশ্য দেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী নিজেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে কুরআন অবমাননার ভিডিওচিত্র প্রচার করে আরো বড় অপরাধ করেছে। এতে বোঝা যায়, এ কাজ সে সজ্ঞানে করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি করছি। এর আগে ক্লাসে হাদিস উল্লেখ করায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করেছিল। অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার ঘটনায় এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও আসতে হবে।

    তারা বলেন, ইসলাম ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অবমাননা ঘটলেই ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধৈর্যের সবক শেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। আমরা অতীতেও বারবার ন্যায়বিচারের আশায় ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু শেষে আর বিচার হয়না। এমনকি কুৎসিত ভাষায় ধর্ম অবমাননাকারী রাখাল রাহা ও কবি সোহেল হাসান গালিবের ক্ষেত্রেও আমরা ধৈর্যের সঙ্গে আইনের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তাদের কোনো বিচার হয়নি। ধৈর্য ও শান্তির মুলো ঝুলিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে বারবার প্রতারণা করা হয়েছে। ফিলিস্তিন থেকে বাংলাদেশ—একই চিত্র!

    হেফাজত নেতারা আরও বলেন, আমরা আর প্রতারিত হতে চাই না। ধর্ম অবমাননা রোধ করতে হলে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করার কোনো বিকল্প নেই। সরকার কুরআন অবমাননাকারী অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না করলে আমরা দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে ঢাকা অভিমুখে লং মার্চের ডাক দিতে বাধ্য হবো। আমরা যথেষ্ট ধৈর্য দেখিয়েছি। আর ছাড় দেওয়া যাবে না।


    তথ্যসূত্র:
    ১.কুরআন অবমাননাকারী অপূর্ব পালের অঙ্গভঙ্গি দেখে তাকে পাগল মনে হয়নি: হেফাজত
    -https://tinyurl.com/2euxyajr
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে: শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ


    ​নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা, এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের স্বনামধন্য আলেমেদ্বীন শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ। ৫ অক্টোবর, রবিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানান তিনি।

    নিন্মে শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ’র উক্ত পোস্ট সম্পূর্ণ তুলে ধরা হল-

    শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ লিখেন,
    “নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কুরআন পদপিষ্ট করার ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, সবারই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।

    কেউ কেউ অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্বেও অনেক ইসলাম অবমাননাকারীকে মানসিক রোগী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

    কথা হলো, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে!

    তাছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে!

    মনে রাখতে হবে, ক্লাসে হাদিসের উদাহরণ আনায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ইতোপূর্বে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ কুরআন অবমাননার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

    তাই বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এমন কুলাঙ্গার ছাত্রকে প্রশ্রয় দেয়ার অপরাধে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।

    এদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে এটা কোনোভাবেই হতে দেয়া যায় না।

    অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর সুস্পষ্ট উস্কানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

    পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি—অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

    নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।”

    উল্লেখ্য, ৪ অক্টোবর (শনিবার) অপূর্ব পাল নামে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মালাউন শিক্ষার্থী ক্লাস রুমের বাহিরে শিস বাজাতে বাজাতে কোরআন পায়ের নিচে রাখে এবং লাথি দিয়ে ভিডিও করে। এঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পর তাকে সাময়িক সাসপেন্ড করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    তথ্যসূত্র
    https://tinyurl.com/2p9jvc7a
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় লন্ডনে গ্রেফতার প্রায় ৫০০



      লন্ডনের ট্র্যাফালগার স্কোয়ারে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর সমর্থনে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ নীরব বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রায় ৫০০ মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪ অক্টোবর, শনিবারের তাদের গ্রেফতার করা হয়। ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনকে সমর্থন জানানোর অভিযোগে এই গণগ্রেফতার ঘটলেও সমালোচকরা বলছেন, এটি মূলত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করার নগ্ন প্রচেষ্টা।

      শনিবার বিকেলে হাজারো মানুষ ট্র্যাফালগার স্কোয়ারে সমবেত হয়ে গাজার নিহত শিশুদের নাম উচ্চারণ করে শোক ও সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—“আমি গণহত্যার বিরোধী, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি।” বিক্ষোভটি ছিল নীরব ও শান্তিপূর্ণ। তবুও ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে মুহূর্তেই কঠোর অভিযান শুরু হয়।

      বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৮৮ জনকে আটক করা হয়েছে। সবচেয়ে কনিষ্ঠ গ্রেফতারকৃতের বয়স ১৮ এবং প্রবীণের বয়স ৮৯। এর বাইরে আরও কয়েকজনকে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে ব্যানার টানানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

      সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর একটার কিছুক্ষণ পরেই প্রথম গ্রেফতারটি ঘটে। ওই সময় বসে থাকা বিক্ষোভকারীরা প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড লিখছিলেন।

      গ্রেফতার অভিযানের সময় অনেকে শান্তভাবে বসে থাকা সত্ত্বেও পুলিশ বল প্রয়োগ করে তাদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে বসে থাকা মানুষদের এভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া লজ্জাজনক এবং অমানবিক।”

      ব্রিটেন সরকার জুলাই মাসে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। অভিযোগ করা হয়েছিল, সংগঠনটির সদস্যরা সামরিক স্থাপনায় অনধিকার প্রবেশ ও ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছে। তবে অনেকের মতে, প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকে স্তব্ধ করা এবং সরকারের নীতির বিরোধী কণ্ঠকে আইন দিয়ে দমন করা।

      গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে প্রশ্ন উঠছে—শান্তিপূর্ণভাবে বসে থাকা মানুষদের শুধুমাত্র ব্যানার বা পোস্টারের কারণে গ্রেফতার করা হলে তা কতটা ন্যায়সঙ্গত। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লন্ডনের গণগ্রেফতার শুধু একদিনের ঘটনা নয়—এটি সরকারের স্বাধীন কণ্ঠরোধ নীতির একটি প্রতীকী দৃষ্টান্ত। এটি সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দমননীতির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

      তথ্যসূত্র:
      1. Nearly 500 arrested at Palestine Action protest in London
      -https://tinyurl.com/5bsddn8k
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বুথিডংয়ে রোহিঙ্গা যুবককে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করল সন্ত্রাসবাদী আরাকান আর্মি



        আরাকান রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপে এক মুসলিম যুবকের শিরশ্ছেদ করা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম আবু তাহের (২৪)। তিনি বুথিডং টাউনশিপের ‘বাগোনি নাহ টাউং ইওয়া’ গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাকে গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘কিন চাং’ গ্রামে বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির এক সদস্য আটক করেছিল, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর শিরশ্ছেদ করা লাশ উদ্ধার করা হয়।

        প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ৩ অক্টোবর আরাকান নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আবু তাহেরকে আটক করেছিলো ‘অং নাইং ও’ নামে এক সদস্য, সে আরাকান আর্মির বুথিডং মিলিশিয়া প্রশাসন ঘাঁটি সেকশন ৬-এ কর্মরত। স্থানীয়ভাবে ‘অং নাইং ও’ কুখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।

        আবু তাহেরের পরিবার জানিয়েছে, তিনি পেশায় মোটরসাইকেল ট্যাক্সিচালক ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি কাজের উদ্দেশ্যে ‘নিয়াউং চাং’ গ্রামে গিয়েছিলেন, কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন তার বাবা-মা মিলিশিয়া ঘাঁটিতে খোঁজ নিতে গেলে সন্ত্রাসবাদী আরাকান আর্মির কর্মকর্তারা তাকে আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাহেরের আটক হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

        স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সন্ত্রাসী ‘অং নাইং ও’ তিনজন রোহিঙ্গা পুরুষকে জোর করে আবু তাহেরের লাশ একটি ধানক্ষেতে কবর দিতে বাধ্য করে। পরে তার মোটরসাইকেলটি ‘কিন চাং’ গ্রামে উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীরা জানান, ‘অং নাইং ও’ সন্ত্রাসবাদী আরাকান আর্মির সবচেয়ে নিষ্ঠুর সদস্যদের মধ্যে অন্যতম।

        এই ঘটনার দুই দিন পর, ২৩ সেপ্টেম্বর, ‘ঙা বি চাং’ গ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এক রোহিঙ্গা ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার থেকে ৭ লক্ষ কিয়াত (প্রায় ১৬০ মার্কিন ডলার) ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে এক রাখাইন নারী হস্তক্ষেপ করলে তাঁকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিয়াত ফেরত দেওয়া হয়।

        তবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পরে সন্ত্রাসবাদী আরাকান আর্মির দুজন সদস্য ‘গু দা বিন’ ও ‘ঙা বি চাং’ গ্রামে গিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের হুমকি দেয়, যার ফলে এলাকায় রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাহীনতা আরও বেড়েছে।

        উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদী মিলিশিয়া গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বুথিডং টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তারপর থেকে এ অঞ্চলে বসবাস করা রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নিপীড়ন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।

        আরাকান আর্মি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, মূল্যবান সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, বহু পরিবারকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং প্রায় প্রতিটি রোহিঙ্গা গ্রামের প্রবেশদ্বার ও প্রস্থান পথে নিরাপত্তা চেকপোস্টের নামে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. Beheaded Body of Rohingya Motorcycle Driver Found After Arbitrary Arrest
        https://tinyurl.com/2jsyv8w3
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কর্ণাটকে হিন্দু গ্রামে জরিপ করতে গিয়ে মুসলিম শিক্ষিকা অপমানিত, গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে হিন্দুত্ববাদীরা


          ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের তুমকুরু শহরের কাছে একটি গ্রামে সরকারি জরিপ পরিচালনা করতে গিয়ে এক মুসলিম নারী শিক্ষিকা উগ্র হিন্দুদের দ্বারা হয়রানি ও অপমানের শিকার হয়েছেন। রেশমা নামে ওই শিক্ষিকা অনগ্রসর শ্রেণির জন্য স্থায়ী কমিশনের আওতায় আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত আদমশুমারি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।

          ভারতীয় গণমাধ্যম ক্লারিওন ইন্ডিয়া জানায়, গত ৪ অক্টোবর তিনি ভীমসন্দ্র গ্রামে জরিপের কাজ শুরু করলে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম শিক্ষিকার উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলে। গ্রামবাসীরা তাকে প্রশ্ন করে, ‘তুমি কেন হিন্দু বাড়িতে এসেছো?’ এবং তার পরিচয়পত্র দেখতে চায়। কেউ কেউ আরও কটূক্তি করে জানতে চায়, তিনি হিন্দুদের মুসলিম সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে এসেছে কিনা’।

          এরপর ক্রমবর্ধমান গালিগালাজ ও অপমানের মুখে তিনি গ্রামটি ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।

          সোশ্যাল মিডিয়ার বহু ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে, এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে ভারতে ধর্মীয় ঘৃণা সমাজের গভীরে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই রেশমার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেছেন, তার একমাত্র অপরাধ ছিল নিজের দায়িত্ব পালন করা।


          তথ্যসূত্র:
          1. Muslim Teacher Abused and Forced to Leave Village During Survey in Karnataka
          https://tinyurl.com/mt63wrnh
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কোরআন অবমাননায় ছাত্র জমিয়তের তীব্র নিন্দা


            নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির হিন্দু ছাত্র ‘অপূর্ব পাল’ কর্তৃক পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার ঘটনায় ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

            ৫ অক্টোবর, রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাআদ বিন জাকির এই নিন্দা জানান।

            তারা বিবৃতিতে বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এমন জঘন্য দুঃসাহস এই জাতির ঈমানী চেতনাকে উপহাস করার শামিল। এ ধরনের নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড কোনভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়।

            ছাত্র জমিয়ত নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছি,অপরাধীকে অবিলম্বে আইনের হাতে সোপর্দ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শাস্তির মুখে না ঠেলে বরং ‘সেইফ এক্সিট’ দিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই ভূমিকা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীনতাই নয় বরং দেশের মুসলমানদের ঈমানী আবেগ-অনুভূতির প্রতি প্রকাশ্য অবমাননা।

            ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে কোরআনের মর্যাদা রক্ষায় আমরা যেকোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।


            তথ্যসূত্র
            https://tinyurl.com/y87f8h6y
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মালাউন কর্তৃক পবিত্র কোরআন অবমাননা


              ৪ অক্টোবর (শনিবার) অপূর্ব পাল নামে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মালাউন শিক্ষার্থী ক্লাস রুমের বাহিরে বসে কুরআন পায়ের নিচে রেখে ভিডিও করে এবং লাথি দেয় এবং কুরআনের পৃষ্ঠাও ছিঁড়ে।

              অন্যান্য স্টুডেন্টরা তার এই ধৃষ্টতা দেখলে তার সাথে হাতাহাতি হয়। এরপর সিকিউরিটিরা তাকে সেইফ এক্সিট দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বাহির করে দেয়।

              এর আগেও এই মালাউন হিন্দু মসজিদে একদিন জুতা নিয়ে প্রবেশ করতে গেলে এবং ইমাম সাহেব নিষেধ করায় ইমাম সাহেবকে সুতরা নিয়ে মারতে যায়।
              নর্থসাউথ এর এক ছাত্রের দাঁড়ি ধরে টান দেয়ার অভিযোগ‌ও তার নামে উঠে এসেছে।
              কিছুদিন পর পর ইসলাম বিদ্বেষীরা দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিদ্রুপাত্মক ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য – আচরণ করে থাকে সেক্যুলার প্রশাসন বরাবরই এসব ইসলাম বিদ্বেষীদের গ্রেফতারের নামে সেইফ এক্সিট দিয়ে থাকে।
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X