Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৩ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৬ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৩ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৬ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী

    গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে এ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েলের ১১৫২ দখলদার সেনা নিহত


    গাজা যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গত দুই বছরে নিহত হয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের এক হাজার ১৫২ ইহুদিবাদী সেনা। দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত নিহতদের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে আসে।

    ৬ অক্টোবর, সোমবার টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছে- সেনা সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, শিন বেত গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও বেসামরিক নিরাপত্তাকর্মীরা।

    নিহতদের বেশির ভাগই গাজা ভূখণ্ড, লেবানন ও পশ্চিম তীরে সংঘর্ষে প্রাণ হানয়। এদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশের বয়স ছিল ২১ বছরের নিচে। তাদের বেশিরভাগই বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবায় কর্মরত ছিল। অন্যদিকে, ১৪১ জনের বয়স ছিল ৪০ বছরের বেশি।

    যদিও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বহুগুণ বেশি কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ বরাবরের মত এ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে আসছে।

    দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত সংখ্যা গোপন করলেও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্রে জানা গেছে যে গাজায় ইহুদিবাদী সৈন্যদের মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোও স্বীকার করেছে যে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ও ইসলামিক জিহাদের প্রতিরোধ কৌশল তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. 1,152 security personnel killed 7, Defense Ministry data shows the toll of war
    https://tinyurl.com/zvnp7st3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ (ﷺ) ব্যানার লাগানোর কারণে ৫ জন গ্রেপ্তার



    ভারতে উত্তর প্রদেশের মাওয়ানা এলাকায় ‘আই লাভ মুহাম্মাদ’ (ﷺ) লেখা ব্যানার টাঙানোর কারণে পাঁচজন মুসলিম গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ।

    জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর রাতে শহরের প্রধান চৌরাস্তা এলাকায় ‘আই লাভ মুহাম্মাদ’ (ﷺ) লেখা একটি ব্যানার টাঙানো হয়। এ ঘটনায় পরের দিন সকালে কিছু স্থানীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ‘জনসাধারণের ক্ষতির জন্য সহায়ক বক্তব্য দেওয়ার’ অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে এবং পাঁচজন মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করে।

    হিন্দুত্ববাদী পুলিশের অভিযোগ, ‘মাওয়ানার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অনুমতি ছাড়াই পোস্টারটি লাগানো হয়েছিল। উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলে এবং উত্তেজনা রোধ করে। এ ঘটনায় সবাইকে গ্রপ্তার করা হয়েছে, আরও তদন্ত চলছে। অন্য কেউ এ ঘটনায় জড়িত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

    এ ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।


    তথ্যসূত্র:
    1. 5 arrested for putting up ‘I love Prophet Muhammad’ poster in Uttar Pradesh’s Meerut
    https://tinyurl.com/4932duhm
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বর্বর ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৯০ শতাংশ এলাকা এখন ধ্বংসস্তূপ


      ​২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় কমপক্ষে ২০ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েল। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯ হাজার ৪৫০ জনের বেশি শিশুর লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

      বিবৃতিতে বলা হয়, ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা ধ্বংস করেছে এবং ৮০ শতাংশেরও বেশি এলাকা দখল করেছে। আর এসব হামলা চালাতে দখলদার বাহিনী আনুমানিক দুই লাখ টন বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে।

      এতে আরো বলা হয়, দুই বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে এক হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসা কর্মী, ১৪০ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা সদস্য এবং ২৫৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

      এছাড়া অনাহার এবং স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংসের কারণে গাজায় প্রায় ১২ হাজার গর্ভবতী নারীর গর্ভপাতের খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নারী নিহত হয়েছেন।

      গাজার ৩৮টি হাসপাতাল, ৯৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ১৯৭টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস বা অকার্যকর করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

      বিবৃতি অনুযায়ী বর্বর ইসরায়েলি হামলায় ৮৩৫টি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে এবং ১৮০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তিনটি গির্জায় আক্রমণ করা হয়েছে, ৪০টি কবরস্থান ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং সমাধিস্থল থেকে দুই হাজার ৪৫০টিরও বেশি লাশ চুরি করা হয়েছে।

      এতে বলা হয়েছে যে প্রায় দুই লাখ ৬৮ হাজার আবাসন ইউনিট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে, এক লাখ ৪৮ হাজার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক লাখ ৫৩ হাজার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে দুই লাখ ৮৮ হাজারের বেশি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

      এছাড়া, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

      তথ্যসূত্র:
      1. Shocking Figures: Two Years of Genocide Leave Gaza 90% Destroyed
      https://tinyurl.com/y9fte8xv
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দীর্ঘ নির্যাতনের পর ২১ রোহিঙ্গাকে মুক্তি দিল আরাকান আর্মি, শিশুসহ দুজনের মৃত্যু



        কয়েক মাসের নৃশংস নির্যাতনের পর আরাকান উগ্রবাদী বৌদ্ধ মিলিশিয়া বাহিনী (আরাকান আর্মি) শিশুসহ ২১ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই দীর্ঘদিন ধরে চলা নির্যাতনের ফলে মারাত্মকভাবে আহত এবং অপুষ্টিতে ভুগছিল। তাদের মধ্যে ১০ বছর বয়সী এক শিশু এবং ৫০ বছর বয়সী এক পুরুষ নিহত হয়েছেন। আটক কেন্দ্রে নেয়ার সময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসবাদী আরাকান আর্মি তাদেরকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করে।

        গত ৫ অক্টোবর আরাকান নিউজ এজেন্সি জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত মে মাসে তারা বুথিডাং টাউনশিপের কাছে একটি জঙ্গলে বাঁশ সংগ্রহ করতে গেলে শিশুসহ ২৩ জনকে অপহরণ করা হয়। এরপর তাদের জোরপূর্বক মংডু অঞ্চলের এক আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

        বেঁচে ফেরা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিলিশিয়া সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করা ওই দুইজনের ওপর গুলি চালায়; শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়, আর পুরুষ ব্যক্তিটি গুলিবিদ্ধ হয়ে কিছুক্ষণ পর প্রাণ হারান।

        মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে, যেমন: নখ উপড়ানো, শরীরে আগুন দেয়া, বেদম পেটানো, এবং প্রায় অনাহারে রাখা হতো। এসব নির্যাতনের ফলে কয়েকজন শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

        স্থানীয় এক রোহিঙ্গা আরাকান নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘ওরা মুক্তির পর আমার সামনে দাঁড়ালে আমি প্রায় চিনতেই পারিনি। অনাহারের কারণে তাদের বুকের হাড় বেরিয়ে এসেছে। কিছু শিশুর অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হয়।’

        মুক্তির দুই দিন পর, বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি তাদের পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যান। তারা জানান, আরাকান মিলিশিয়ার শাসনের অধীনে জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

        আরাকান আর্মি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে তাদের বাড়িঘর দখল করা হচ্ছে, মূল্যবান সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, এবং তাদেরকে জোরপূর্বক বসতি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। এছাড়াও, প্রতিটি রোহিঙ্গা গ্রামে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে নিরাপত্তা চৌকির মাধ্যমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

        উল্লেখ্য যে, আরাকান আর্মি ২০২৩ সালের নভেম্বরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। বর্তমানে ১৭টি শহরের মধ্যে তারা ১৪টি দখল করে নিয়েছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. Arakan: 21 Rohingya Released After Brutal Torture; Child and Man Killed While Fleeing
        https://tinyurl.com/895rf72z
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ফের তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত লালমনিরহাটের ১০ ইউনিয়ন, পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবার


          উজানের ঢল ও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের আদিতমারী, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে অন্তত ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর আমন ধানের ক্ষেত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তা ও বাজারঘাট। নদীর পানি ঘরে ঢুকে বন্ধ হয়ে গেছে রান্নাবান্না, বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে ও বিদ্যালয়ে।

          রবিবার (৫ অক্টোবর) রাতে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সোমবার (০৬ অক্টোবর) সকাল থেকে পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। বর্তমানে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদীপাড়ের মানুষজন এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।


          তথ্যসূত্র:
          ১.তিস্তার পানিবৃদ্ধিতে লালমনিরহাটে প্লাবিত দশ ইউনিয়ন, পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবার
          -https://tinyurl.com/yvjta9te
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘ধর্মীয় দাঙ্গা লাগাতে’ ৭৯৩ মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি, ইন্ধন ছিল কিছু বুদ্ধিজীবীর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা



            স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

            রোববার (০৫ অক্টোবর )দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

            তিনি বলেন, এ ঘটনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

            পার্শ্ববর্তী দেশে দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে, অসুরের মুখের দাড়ি দেয়ার কাজটির মধ্যে তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।

            ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করেছিলো। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীদেরও ইন্ধন ছিলো।

            তথ্যসূত্র:
            ১.ধর্মীয় বিভেদ আনতে ৭৯৩ মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
            -https://tinyurl.com/3xju4xkf
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআনের অবমাননা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ, ইচ্ছাকৃত এবং উস্কানিমূলক: জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান



              এবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কোরআন অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। ৫ অক্টোবর (রবিবার) রাত ১২টায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে এই প্রতিবাদ জানান তিনি।

              জামায়াত আমীরের উক্ত পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হল-

              তিনি লিখেন,
              “নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল পবিত্র কুরআনুল কারিমের সাথে যে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করেছে, তাকে হালকাভাবে দেখার কোনো অবকাশ নেই। দেশকে অস্থিতিশীল ও বিশৃঙ্খলার দিকে যারা ঠেলে দিতে চায়, সেই পরিকল্পনার জঘন্য অংশ কিনা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানিমূলক এই কাজ করা হয়েছে — এটাই ধরে নিতে হবে।

              নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। এ ব্যাপারে যৌক্তিক ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে করে কোনো দুর্বৃত্ত ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের দুঃসাহস না দেখায়। দয়া করে কেউ এই দুষ্কৃতিকারীকে কৃত্রিমভাবে পাগল বানানোর চেষ্টা করবেন না। তার ফলাফল হিতে বিপরীত হতে পারে।”

              উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, ৪ অক্টোবর (শনিবার) অপূর্ব পাল নামে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মালাউন শিক্ষার্থী ক্লাস রুমের বাহিরে শিস বাজাতে বাজাতে কোরআন পায়ের নিচে রাখে এবং লাথি দিয়ে ভিডিও করে। এঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পর তাকে সাময়িক সাসপেন্ড করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

              তথ্যসূত্র
              https://tinyurl.com/4mcsja75
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের আস্তানায় অভিযানে ব্যাপক অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার


                খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (০৬ অক্টোবর )ভোর ৫টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলে সেনাবাহিনীর একটি অভিযানিক দল ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে।

                অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইউপিডিএফের শীর্ষ স্থানীয় গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা পালিয়ে যায়।

                সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

                পরবর্তীতে উক্ত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহৃত ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড এ্যামোনিশন, ১৫টি ব্যানার, ২টি ওয়াকিটকি চার্জার, ২টি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র এবং বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

                অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাহত করতে ইউপিডিএফ স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র ও ছাত্রীদের সেনা-বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করে।

                সোমবারের ঘটনাসহ বিগত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার নারী এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে।

                তথ্যসূত্র:
                ১.খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার
                -https://tinyurl.com/2vcxetes
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ময়মনসিংহে বেহেশত নিয়ে কটূক্তি কারী আওয়ামী দোসর, প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা


                  ময়মনসিংহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে উসকানিমূলক মন্তব্য করলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি আওয়ামী দোসর বিতর্কিত গ্রাফিক্স ডিজাইনার শামীম আশরাফ। শহরজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ এখনও নীরব ভূমিকা পালন করছে।

                  জানা যায়, ৬ আগস্ট (সোমবার) সকাল ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শামীম আশরাফ লিখে- ‘আমার স্ট্যাটাসের ভাষাগত বৈচিত্র্য ইচ্ছে করেই আনছি। আর দুয়েকদিন গালিময় স্ট্যাটাস দেখা যাবে। মাত্র দুয়েকদিন ধৈর্য ধরুন, প্লিজ। এরপর ভালো হয়ে যামু।’

                  এর দুই ঘণ্টা পরই আরেকটি পোস্ট দিয়ে এক মন্তব্যকারীকে রিপ্লাইয়ে সে বেহেশত (জান্নাত) নিয়ে চরম অকথ্য অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে! এই বক্তব্য ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের পবিত্র বিশ্বাসের প্রতি চরম অবমাননা হিসেবে দেখা দিয়েছে। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পর শহরজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

                  ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আলেম–ওলামারা বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে বিক্ষোভ করেছে। তাদের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলেই তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন- গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেন এখনো অভিযোগের অপেক্ষায় পুলিশ?

                  এ ব্যাপারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ মহানগরের সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত আনন্দিপুরী বিক্ষোভে বলেন, ‘ইসলাম ও বেহেশতকে জড়িয়ে যে ব্যক্তি বাজে মন্তব্য করেছে, তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় না আনলে ধর্মপ্রাণ জনতা নিজ উদ্যোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এর দায় সম্পূর্ণ প্রশাসনের।’

                  অনুসন্ধানে জানা গেছে, শামীম আশরাফ আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় ছিল। তার মালিকানাধীন ‘গ্রাফিটি’ নামের ডিজাইন প্রতিষ্ঠান থেকেই আওয়ামী লীগের অসংখ্য প্রচারণা, ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরি হতো, এখনও হয়। সে বিভিন্ন সময় আওয়ামী নেতাদের প্রশংসায় পোস্ট দিয়েছে এবং বিএনপি–জামায়াতবিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত ‘মুজিব শত কবিতাসূত্র’ বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইনও করে সেএবং এই বইটি প্রকাশের সাথে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। একটি গোয়েন্দা সংস্থা তার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিলেও এখনও তাকে আটক করা হয়নি।

                  বর্তমানে সরকার পতনের পর সে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার আশ্রয়ে রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গেই শামীম আশরাফ রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে এখন নতুন শক্তির সঙ্গে সখ্য গড়েছে।

                  ধর্মীয় উসকানিমূলক মন্তব্যের পর সাধারণ মানুষ, ধর্মীয় সংগঠন ও নেটিজেনরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন- ধর্ম, বিশ্বাস ও সমাজের স্থিতিশীলতার স্বার্থে উসকানিদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তারা বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, আইন ও ন্যায়ের ভিত্তিতে এমন অপরাধীর বিচার না হলে সামাজিক স্থিতি ও ধর্মীয় সহাবস্থান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


                  তথ্যসূত্র:

                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X