Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৫ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৮ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৫ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ০৮ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তি ইউআইইউ এর এক শিক্ষার্থীর



    ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কটূক্তি করেছে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- (UIU) এর এক শিক্ষার্থী। ইসলাম ধর্ম এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কটূক্তির দায়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই কটূক্তিকারীর নাম মোনসের আলী।

    বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, UIU শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোনসের আলীকে (শিক্ষার্থী আইডি নম্বর: ০১১২২৩০৮৫৬) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মোনসের আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগে সেকেন্ড ট্রাই-সেমিস্টারে পড়ালেখা করছে। সে উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকায় এক ছাত্রাবাসে থাকে। সেখানে তার একজন রুমমেটকে সে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, পবিত্র কোরআন ও ধর্ম নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করতো! তার রুমমেটকেও নাস্তিকতায় বিশ্বাসী করতে চেষ্টা চালাতো! রুমমেট এসব নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে শাতিম মোনসের আলীর এমন আলোচনা ও কটূক্তি রেকর্ড করে। তাতে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। সেই অডিও রেকর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) মোনসের আলীকে ক্যাম্পাসে গণপিটুনী দেয়। পরবর্তীতে মোনসের আলীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    সেসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুই দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমটি, অতি দ্রুত অভিযোগ ওঠা শিক্ষার্থী মোনসের আলীকে স্থায়ী বহিস্কার করতে হবে ও আইনের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয় দাবি ছিল, অতি দ্রুত ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখানোর মতো কোনো আয়োজন করতে হবে এবং ওই দিন সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।

    তথ্যসূত্র:

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ৩২৫ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিবৃতি: কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষই কুরআন অবমাননার জন্ম দিয়েছে



    নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন অবমাননার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩২৫ জন শিক্ষক। ৮ অক্টোবর (বুধবার)’ তারা এ বিবৃতি প্রদান করেন।

    বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কুরআনুল কারিম অবমাননার জঘন্য ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থী সচেতনভাবে এবং আত্মতৃপ্তির ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ কুরআন পদদলিত করেছে ও নিজেই ভিডিও ধারণ করে তা প্রচার করেছে। এটি কেবল ধর্মীয় অবমাননা নয়— এটি একাডেমিক ও নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করা এক ঘৃণ্য অপরাধ।’

    তাঁরা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশের অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরোক্ষভাবে ইসলাম চর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক এক্টিভিটির (যেমন স্পোর্ট, ইয়োগা, সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং ইত্যাদি) জন্য নির্দিষ্ট এক্সপার্ট বা কোচ নিয়োগ দেওয়া হলেও মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত নামাজের স্থানে ইসলামিক স্কলার বা ইমাম নিয়োগ তো অকল্পনীয় বিষয়ের মতো। ‘প্রেয়ার রুম’ নামে একটা কমন স্পেস থাকে, যেখানে থিউরিটিক্যালি যে কোনো ধর্মাবলম্বী উপাসনা করতে পারে। একদিকে ক্লাসে হাদিস বা ইসলামী চিন্তার উদাহরণ আনায় শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে এলজিবিটি বা জেন্ডার আইডেন্টিটির মতো আইনবিরোধী ও সমাজবিধ্বংসী কনসেপ্ট পড়ানো হচ্ছে।’

    ‘এই প্রেক্ষাপটে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ভয়াবহ কুরআন অবমাননার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা একটি কাঠামোগত ইসলামোফোবিয়ার প্রতিফলন। ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকলেও ধারণকৃত ভিডিওতে কার্যকরভাবে কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি— যা প্রশাসনিক ও নৈতিক ব্যর্থতার সুস্পষ্ট প্রমাণ।’

    তাঁরা আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি। ইতোপূর্বে রাখাল রাহা কর্তৃক ইসলাম অবমাননার প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি, উল্টো Cyber Security Ordinance, ২০২৫-এ ধর্ম অবমাননার শাস্তিকে কমিয়ে আনা হয়েছে। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেবিল নামক একজন চরমপন্থী ট্রান্সজেন্ডার ইসলামী মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের জন্য দুইজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে হত্যার হুমকি ও উস্কানি দেয় এবং এই ধারা সে অব্যাহত রেখেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি কোনো কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এই রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক অব্যবস্থা ও নীরবতা ইসলামবিদ্বেষীদের আরও দুঃসাহসী করে তুলেছে।’

    শিক্ষকবৃন্দ দাবি জানান, ‘ইউজিসিকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। নর্থ সাউথসহ সকল প্রাইভেট ভার্সিটির প্রশাসনিক কাঠামো ও একাডেমিক পরিবেশে বিদ্যমান ইসলামোফোবিক ধারা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত ও সংস্কার করতে হবে। সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্টের মতো ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধেও পলিসি গ্রহণ করতে হবে। মুসলিম শিক্ষার্থীদের সম্মানজনকভাবে নামাজ, ইসলাম চর্চা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে নির্ধারিত ইমামসহ মসজিদ বা স্বতন্ত্র ‘নামাজের ঘর’ নিশ্চিত করতে হবে।’

    তাঁরা বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানাচ্ছি— কুরআন অবমাননার ঘটনায় দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে ইসলামবিদ্বেষী প্রচার এবং মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেন শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করা হয় এবং রাষ্ট্র যেন ইসলামোফোবিক প্রবণতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে যথাযথ আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ নির্মূল করে সমাজে আস্থা ফিরিয়ে আনে।’

    বিবৃতিপ্রদানকারী ৩২৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের মধ্যে ৭৬ জন প্রফেসর, ৫২ জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ৮৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ১০৯ জন লেকচারার এবং ৫ জন অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর রয়েছেন।


    তথ্যসূত্র:


    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যাদের অর্থ-অস্ত্রে বছরের পর বছর ধরে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে দুর্বৃত্ত ইসরায়ে



      ​ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যামূলক আগ্রাসন তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে। এ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে শুধু শিশুই ২০ হাজারের বেশি। এ সময় ১২৫টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে বর্বর বাহিনী। সেখানে অনাহারে মারা গেছেন ৪৫৯ জন, যার মধ্যে ১৫৪ জন শিশু। গাজা উপত্যকার ৯২ শতাংশ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েল। এ ঘটনাকে জাতিংঘসহ বিশ্বসংস্থাগুলো গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে।

      এ হত্যাযজ্ঞে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়লেও ইসরায়েলকে এখনো অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে একাধিক দেশ ও প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান। ফলে গণহত্যার অভিযোগ সত্ত্বেও টিকে আছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যুদ্ধযন্ত্র।

      ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দখলদার ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির বড় অংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে। ইতালি ও যুক্তরাজ্যও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এর বাইরে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশকিছু সরবরাহকারী এবং ইসরায়েলের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প এই অস্ত্র সরবরাহ নেটওয়ার্ককে সচল রেখেছে। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এক পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, কীভাবে বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানিগুলো এখনো ইসরায়েলকে অস্ত্র জোগাচ্ছে।

      যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী ও রাজনৈতিক মিত্র। গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার ভেটো দিয়েছে তারা। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের মোট অস্ত্র আমদানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

      বর্তমানে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক সহায়তা ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৮ সাল পর্যন্ত চলবে। এর বড় অংশই মার্কিন সামরিক সরঞ্জামে খরচ করতে হয়। তবে এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মজুত থেকে বিশাল অস্ত্র সহায়তা পাঠিয়েছে। সংঘাতের প্রথম বছরই অন্তত ৬ বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, অনুমোদিত চুক্তিসহ এই পরিমাণ ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

      এর মধ্যে আছে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, শহর এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা উপযোগী সাঁজোয়া যান, স্পেয়ার পার্টস ও ডেস্ট্রয়ারসহ কয়েকটি বড় সরবরাহ। ২০২৫ সালের শুরুর দিকেই কংগ্রেস নতুন দুটি চুক্তি অনুমোদন করেছে—একটি ৮ বিলিয়ন ডলারের (বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ), আরেকটি ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের (বোমা, গাইডেন্স কিট, হেলফায়ার মিসাইল)। এগুলোর সরবরাহ ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে হবে।

      এসব সরবরাহে সক্রিয় মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্টগুলো—বোয়িং, লকহিড মার্টিন, রেথিয়ন, নর্থথ্রপ গ্রুম্যান, হানিওয়েল, কলিন্স এয়ারোস্পেস, জিই অ্যাভিয়েশন, প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি, মুগ ও এল ৩ হ্যারিস। তারা ইসরায়েলকে ফাইটার জেট, গোলাবারুদ, বিমান প্রযুক্তি ও সহায়ক ব্যবস্থা সরবরাহ করছে।

      ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর দুইটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে দখলদার ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

      জার্মানি: সিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসেছে জার্মানি থেকে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের বিপরীতে বার্লিন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে আছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত জার্মানি ৪৮৫ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। যদিও ২০২৪ সালে সরবরাহ কিছুটা কমেছে, তবে সামগ্রিকভাবে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে জার্মানি।

      প্রধান সরবরাহের মধ্যে আছে নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, টর্পেডো এবং রাইনমেটালের তৈরি ১২০ মিমি নির্ভুল ট্যাংক গোলা। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডার স্পাইজেলের তথ্যে বলা হয়েছে, এগুলো গাজায় স্থল অভিযানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ২০২৪ সালে রাইনমেটালের বিক্রি ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।

      এ ছাড়া আ্যাটলাস ইলেকট্রনিক ইসরায়েলের ডলফিন-ক্লাস সাবমেরিন রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে ইসরায়েলি কোম্পানি ভিসেন্স টেকনোলজিসের সঙ্গে। অন্যদিকে, বেসামরিক খাতও জড়িত। জার্মানির মার্সিডিজ বেঞ্জ তৈরি করছে ভারী ট্রাক, যা ইসরায়েলের মেরকাভা ট্যাংক বহন করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

      ইতালি: সিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের মোট অস্ত্র আমদানির ১ শতাংশ এসেছে ইতালি থেকে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ হালকা হেলিকপ্টার এবং ৪১ শতাংশ জার্মান ফ্রিগেটের জন্য নৌ কামান। ইতালি এফ-৩৫ প্রোগ্রামেও অংশ নিচ্ছে এবং উপাদান তৈরি করছে। আলত্রেকোনোমিয়ার এক তদন্তে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালি ৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানি করেছে ইসরায়েলে।

      যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের আগস্টে ব্রিটেন থেকে ইসরায়েলে ১ লাখ ১০ হাজার গুলি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে চ্যানেল ৪। ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য সরকার দখলদার ইসরায়েলের জন্য দেওয়া প্রায় ৩৫০টি অস্ত্র রপ্তানি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করে। কারণ ছিল, এগুলো গাজায় ব্যবহারের ‘স্পষ্ট ঝুঁকি।’ তবে বাকি অনেক লাইসেন্স বহাল ছিল, যার মধ্যে আছে নৌ প্ল্যাটফর্ম, প্রশিক্ষণ বিমান ও দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশ।

      অন্যান্য সরবরাহকারী: যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের বাইরে ইসরায়েল পাচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা। ফ্রান্সের সাফরান বিমান ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার হুনিড টেকনোলজিস সরবরাহ করছে ওয়্যারিং হারনেস ও ককপিট সিস্টেম।

      সব মিলিয়ে এই যুদ্ধ শুধু ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত এক অস্ত্র নেটওয়ার্ক। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু বাড়লেও এই নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

      তথ্যসূত্র:
      1. FACTBOX – 2 years of Gaza genocide: Where did Israel get its weapons?
      https://tinyurl.com/mtbdjetm
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ট্রাম্পের বোমা বর্ষণে নিষেধাজ্ঞার পরও গাজায় ২৩০ বার বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল, শহীদ ১১৮ ফিলিস্তিনি




        যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সত্ত্বেও গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ যেন থামছেই না। গাজায় টানা বিমান হামলায় গত ৪ অক্টোবর, শনিবার থেকে অন্তত ১১৮ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস।

        তাদের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ২৩০টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ১১৮ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। শহীদদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই। এর মধ্যে শুধু গাজা শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭২ জন।

        স্থানীয় সূত্র জানায়, হামলায় অন্তত ডজনখানেক পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে, যাদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো।

        বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নির্মম আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আহ্বান ও প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেওয়া সত্ত্বেও এই হামলা চালানো হচ্ছে।’

        গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে আহতের সংখ্যা চার শতাধিক ছাড়িয়েছে, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রী ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. Israeli attacks kill 118 people in Gaza since Saturday
        https://tinyurl.com/5n6fkpw7
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X