Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২০ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২০ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মাদ (ﷺ)’ লেখা পোস্টার প্রচার করায় ৪ হাজার মুসলিমের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২৬৫


    ‘আই লাভ মুহাম্মাদ (ﷺ)’ লেখা পোস্টার নিয়ে প্রচারণা চালানোর জেরে ভারতজুড়ে অন্তত ৪,৫০৫ জন মুসলিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটস’।

    গত ১০ অক্টোবর সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে মাওলানা তৌকির রাজা খানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ‘আমি মুহাম্মদ (ﷺ) ভালোবাসি’ লেখা পোস্টার প্রচারের পর থেকে মুসলিমদের ওপর ব্যাপক পুলিশি দমন ও প্রশাসনিক নিপীড়ন চালানো হয়েছে। মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জবাবে পুলিশ লাঠিচার্জ, গণগ্রেফতার ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং এই সব পদক্ষেপ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুলিশের ইচ্ছামতো করা হয়েছে।

    সংস্থাটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমি মুহাম্মদ (ﷺ) ভালোবাসি’ ব্যানারে যে বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং কেবল একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয়েছিল। মিছিলে কোনো স্লোগান, ভাঙচুর বা সহিংসতার ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু পুলিশ কোনো সতর্কতা ছাড়াই বলপ্রয়োগ করে, হঠাৎ লাঠিচার্জ করে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আটক করে।

    ঘটনার পর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং ৪৮ ঘণ্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    বিক্ষোভের দুই দিন পর প্রশাসন বেরেলির মাজার পাহলওয়ান মার্কেটের ৩২টি দোকান সিল করে দেয়, যা একটি নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কোনো নোটিশ বা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দোকানগুলো সিল করা হয়। স্থানীয় দোকানদারদের অভিযোগ, তারা নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতেন, কিন্তু প্রশাসন প্রতিশোধমূলকভাবে দোকানগুলো সিল করেছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বেরেলিতে অন্তত ৮৯ জন মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও অনেককে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, গ্রেফতারির কোনো মেমো দেয়া হয়নি, এফআইআরের কপি তাদের কাছে দেয়া হয়নি, আর পরিবারের সদস্যদের তাদের আত্মীয়দের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নাবালকও রয়েছে, তবে তাদের অবস্থান ও আইনি সহায়তা সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

    তদন্তদল আরও জানিয়েছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভবন ভাঙা এবং সম্পত্তি সিল করা। এসব কাজের বেশিরভাগই ইন্টারনেট বন্ধ থাকার সময়ই করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জবাবে প্রশাসন আক্রমণাত্মক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রেফতার, নোটিশ ও আইনি প্রক্রিয়ার নিয়ম উপেক্ষা করা হয়েছে, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এছাড়াও প্রতিবেদনে অবৈধভাবে আটক সকল ব্যক্তির মুক্তি, এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও অন্যায্য গ্রেফতারের জন্য দায়ী অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য যে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর বরেলির ইসলামিয়া গ্রাউন্ড মসজিদের সামনে মাওলানা তৌকির রাজার আহ্বানে হাজারেরও অধিক মুসলিম ‘আমি মুহাম্মদ (ﷺ) ভালোবাসি’ লেখা পোস্টার নিয়ে প্রচারণা চালানোর সময় পুলিশ অকারণেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে। ঘটনার পর পুলিশ ১০টি এফআইআর দায়ের করে। আটক করা হয় প্রায় ৫০ জন মুসলিমকে।

    বেরেলির পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। রাজ্যজুড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Over 4,000 Muslims booked, 200 arrested: Fact-finding report documents targeted crackdown after “I Love Muhammad” campaign
    https://tinyurl.com/bd9sn7yk
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মংডুতে আরাকান আর্মির চাঁদাবাজি: রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভাড়া ও আর্থিক অনুদান নেয়া হচ্ছে



    পশ্চিম আরাকান রাজ্যের মংডুতে বৌদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) রোহিঙ্গা মুসলিমদের থেকে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করতে শুরু করেছে। স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, আরাকান আর্মি মুসলিম মালিকানাধীন দোকান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করছে এবং মুসলিমদের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করছে।

    আরাকান নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আরাকান আর্মি কর্তৃক মংডুর সকল দোকান মালিককে একটি বৈঠকে ডেকে বলা হয় যে, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বদলে এখন থেকে দোকানের ভাড়া সরাসরি আরাকান মিলিশিয়াদের দিতে হবে।

    এক দোকান মালিক জানান, ‘তারা আমাদের বলেছে, যারা পালিয়ে গেছে তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত, এবং যদি আমরা তাদের ভাড়া পাঠাই, তবে তার মানে আমরা সন্ত্রাসীদের সমর্থন করছি। তাই তারা আমাদের আরাকান মিলিশিয়াদের ভাড়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।’

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

    উত্তর মংডুর খোলার বিল গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, স্থানীয় প্রশাসক আরাকান আর্মির জন্য ‘তহবিল অনুদান’ হিসেবে প্রতিটি মুসলিম পরিবার থেকে ১০০,০০০ কিয়াত সংগ্রহ করছে। যদিও এই পরিবারগুলো বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের জীবিকা চালানোর জন্য তারা কষ্টকর কাজের সঙ্গে সংগ্রাম করছে।

    এক রোহিঙ্গা জানান, ‘আমরা অত্যন্ত দরিদ্র, এখানে আমরা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি, তবুও আমাদের থেকে ১,০০,০০০ কিয়াত চাওয়া হচ্ছে।’ অপর এক নারী বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের সাহায্য করার বদলে, তারা আমাদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। আমরা হতাশ ও ভীত বোধ করছি।’

    তথ্যসূত্র:
    1. Arakan Militias Extort Rohingya and Forcibly Collect Shop Rents in Maungdaw
    https://tinyurl.com/sv7ykjt5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় বন্দি বিনিময় শুরু, প্রথম ধাপে ৭ জনের মুক্তি



      হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হয়েছে। হামাস জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে। ১৩ অক্টোবর, সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে আইসিআরসি।

      ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল১২ জানায়, সাতজন জিম্মিকে আইসিআরসি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি।

      দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালেই মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের আনা হবে। ইতোমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

      সূত্র জানায়, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন, আবার অনেককে গত ৭ অক্টোবরের পর বাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করেছিল দুর্বৃত্ত ইসরায়েলি হানাদার বাহিনী।

      হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক বন্দি অত্যন্ত অবসন্ন, ওষুধ ও খাবারের অভাবে দুর্বল।

      তবে এখন পর্যন্ত কে কে মুক্তি পাচ্ছেন, সেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবার সংবাদকর্মীদের জানায়, তারা বারবার জানতে চেয়েছেন প্রিয়জনদের নাম তালিকায় আছে কিনা, কিন্তু কোনো নিশ্চিত তথ্য তারা পাননি।

      তথ্যসূত্র:
      1. LIVE: First 7 Israeli captives released by Hamas in Gaza
      https://tinyurl.com/5ytnpzhy
      2. First seven Israeli hostages released from Gaza, sources say
      https://tinyurl.com/mps5naxa
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফিলিস্তিনি আলোচিত সাংবাদিক সালেহ আলজাফারাওয়ি নিহত



        ফিলিস্তিনি আলোচিত সাংবাদিক সালেহ আলজাফারাওয়ি (২৮) গাজা সিটিতে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা সিটির আল-সাব্রা এলাকায় হামাস ও স্থানীয় দুগমুশ গোত্রের সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সালেহ গুলিবিদ্ধ হন।

        প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সালেহ আলজাফারাওয়ির দেহ একটি ট্রাকের পেছনে পড়ে আছে, তার গায়ে ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট। আল-জাজিরার ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা সানাদ ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

        আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ বছর বয়সী আলজাফারাওয়ি যুদ্ধের সময় উত্তর গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত হন। তিনি গাজার ভেতর থেকে যুদ্ধের খবর প্রচার করে ব্যাপক পরিচিতি পান এবং নিজের কাজের কারণে দখলদার ইসরায়েলের কাছ থেকে বহুবার হুমকি পেয়েছিলেন।

        প্রসঙ্গত, হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী ও দুগমুশ গোত্রের সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে দুগমুশ গোত্রের ১৯ সদস্য এবং হামাসের ৮ যোদ্ধা নিহত হয়।

        উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০ জনের বেশি গণমাধ্যমকর্মী গাজায় নিহত হয়েছেন। যা সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. Prominent Palestinian journalist Saleh Al-Jafarawi killed
        https://tinyurl.com/mwzzh3br
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনি কৃষকদের ধরে নিয়ে গেল দখলদার সেনারা



          ১২ অক্টোবর, রবিবার অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। হেবরনের পশ্চিমে তারকুমিয়া শহরে নিজস্ব জমিতে জলপাই (জয়তুন) সংগ্রহের সময় তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

          ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযান ফিলিস্তিনের জাতীয় জলপাই সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ার ঠিক পরপরই সংঘটিত হয়। জাতীয় জলপাই সংগ্রহ কর্মসূচীর লক্ষ্য ছিল উপনিবেশবাদের মোকাবেলায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ভূমির অধিকার রক্ষা করা। কিন্তু ফসল ঘরে তুলতে না দিয়ে কৃষকদের আটক করে, জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং তাদের যানবাহন জব্দ করে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে একদিকে যেমন কৃষকের মৌসুমি ফসল হুমকির মুখে, অন্যদিকে সেই জমি অবৈধ ইহুদি উপনিবেশ সম্প্রসারণের নীলনকশায় অন্তর্ভুক্ত করার নতুন চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

          স্থানীয় সূত্র জানায়, তর্কুমিয়া শহরের বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত জলপাই বাগানগুলোতে প্রবেশ করতে গেলে ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি কৃষকদের বাধা দেয়। সেই জমির পাশেই রয়েছে অবৈধ ইহুদি উপনিবেশ আদোরা ও তেলেম। এই উপনিবেশগুলোর তথাকথিত “নিরাপত্তা রক্ষার” অজুহাতে সেনারা কৃষকদের গ্রেফতার করে এবং তাদেরকে হুমকি দেয় যে, যদি তারা জমিতে ফিরে আসে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

          ইসরায়েলি বাহিনী শুধু কৃষকদের বাধা দিয়েই থেমে থাকেনি, বরং তাদের যানবাহন জব্দ করে এবং দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে জমিতে প্রবেশের অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। বাস্তবতা হলো, এটি একটি সুপরিকল্পিত কৌশল—যার মাধ্যমে স্থানীয় আরবি মালিকানাধীন জমিগুলো ফাঁকা করে তাতে দখলদার বসতিস্থাপনকে সহজতর করা যায়।

          তর্কুমিয়া ও সোবা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই দখলদার বাহিনী ও উপনিবেশকারীদের আক্রমণের শিকার। স্থানীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই অঞ্চলে কৃষি জমি উজাড় করা, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া, এবং জলপাই গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনা নিয়মিত সংঘটিত হয়ে আসছে। এই সমস্ত কর্মকাণ্ড এক স্পষ্ট পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়—যেখানে ফসল নয়, বরং ভূমির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য।

          তর্কুমিয়ায় এ দৃশ্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি দখল ও নিপীড়নের ধারাবাহিক চিত্র। ফিলিস্তিনি কৃষকদের উপর এমন নিপীড়ন শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক ও অস্তিত্বগত এক আঘাত। জমির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা মানে, ভবিষ্যতের প্রজন্ম থেকে ইতিহাস, পরিচয় এবং অধিকার কেড়ে নেওয়া। এই সবকিছুই দখলদার ইসরায়েলের সংগঠিত এক আগ্রাসন এবং একটি সুনির্দিষ্ট উপনিবেশিক কাঠামোর অংশ। স্থানীয়রা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ড ফিলিস্তিনিদের জীবিকা ও ভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আরেকটি প্রচেষ্টা।


          তথ্যসূত্র:
          1. Israeli forces continue assaulting Hebron’s farmers as olive harvest season approaches
          https://tinyurl.com/y93pezcy
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X