Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৭ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ২০ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৭ রবিউল আখির, ১৪৪৭ হিজরি || ২০ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আসামে ‘অবৈধ স্থাপনা’র অভিযোগ তুলে মসজিদ সহ মুসলিমদের বাড়ি গুড়িয়ে দিল হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন


    ভারতের আসামের করিমগঞ্জে অবৈধ স্থাপনার অভিযোগ তুলে বুলডোজার দিয়ে অভিযান চালায় স্থানীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই অভিযান চালানো হয়। এসময় মুসলিমদের বাড়ী-ঘর, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও তে দেখা যায়। একটি বুলডোজার দিয়ে স্থানীয় মুসলিমদের বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসময় মসজিদসহ অনেক স্থাপনাও গুড়িয়ে দেওয়া হয়।



    চোখের সামানে নিজের বসতবাড়ি গুড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখে অসহায়ভাবে হাউ-মাউ করে কান্না করছিলেন ভুক্তভোগী মুসলিমরা।

    তথ্যসূত্র:
    1. https://tinyurl.com/2aruvhmz

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পটিয়ায় চিকিৎসকদের উদাসীনতায় হাসপাতালের জঙ্গলে সন্তান প্রসব করলেন নারী




    চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবহেলার কারণে এক প্রসূতি নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরও ডেলিভারি না করিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি হাসপাতালের পাশের জঙ্গলে সন্তান জন্ম দেন। গত ১৯ অক্টোবর হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটে।

    ঘটনাস্থলটি পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানার মধ্যেই। অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই এমন অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রসূতির সন্তান প্রসবের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পরও লেবার ওয়ার্ডের নার্সরা চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় নবজাতকের শরীরের অর্ধেক বেরিয়ে এলেও উপস্থিত চিকিৎসকরা ‘চিকিৎসা-সুবিধা নেই’ উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।

    রোগীকে যখন নিচে নামানো হচ্ছিল, তখন প্রসূতির অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে। চরম যন্ত্রণায় তিনি হাসপাতালের ভেতরেই একটি নির্জন ঝোপঝাড়ের দিকে গিয়ে সন্তান প্রসব করেন। এরপর তাদের সেখান থেকে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

    এমন মানবতাবর্জিত ঘটনার সংবাদ প্রকাশের পর চট্টগ্রামজুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। সময়মতো সেবা না দেওয়া, রোগী ফেরত পাঠানো আর দায়িত্ব এড়ানো এখন নিত্যদিনের ঘটনা।’


    তথ্যসূত্র:
    1. হাসপাতালের জঙ্গলে নারীর সন্তান প্রসব, তদন্ত কমিটি গঠন
    https://tinyurl.com/3wuubcb4
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বিমানবন্দরে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি



      শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা।

      তারা বলেছেন, বিমানবন্দরের এ দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

      বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ প্রমুখ। পরে নিট পোশাকশিল্পের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মুহাম্মদ হাতেমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ।

      তিনি বলেন, ‘ওই অগ্নিকাণ্ডের ফলে তৈরি পোশাক, মূল্যবান কাঁচামাল এবং নতুন ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল পুড়ে গেছে। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আগুনে যে পরিমাণ পণ্য নষ্ট হয়েছে, তা শুধু বর্তমান রপ্তানির ক্ষতি নয়, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সুযোগও ব্যাহত করবে।’

      বিজিএমইএ এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছে। সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে।

      ইনামুল হক খান বলেন, ক্ষতির পরিমাণ বিপুল হতে পারে, কেননা দিনে ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে শিগগিরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে বিজিএমইএ।

      এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ভেতরে ভয়াবহ চিত্র দেখেছি। পুরো ইমপোর্ট সেকশন পুড়ে গেছে। আমাদের অনুমান, ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) টাকার বেশি হতে পারে।’

      তথ্যসূত্র:
      1. শাহজালালে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি
      https://tinyurl.com/tu3kvvt9
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গুজরাটে ফেসবুকে ‘I love Muhammad’ লিখা পোস্টের জেরে মুসলিম-মালিকানাধীন দোকানপাট ও ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা




        গুজরাটের গান্ধীনগর জেলার বহিয়াল গ্রামে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টকে কেন্দ্র করে মুসলিম মালিকানাধীন একাধিক দোকান ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবকরা।

        ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে “I Love Muhammad” লেখা পোস্ট প্রকাশের পর। এর জবাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিতেশ ব্যাঙ্কার “I Love Mahadev” লিখে পাল্টা পোস্ট করে, এবং তা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নিজ ফলোয়ারদের উৎসাহিত করে। সেইসাথে মুসলিমদের ’শিক্ষা’ দেয়ার হুমকি দেয়।

        তার এই উসকানিমূলক পোস্ট হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানায়, এরপর উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবকরা দলবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও স্থাপনায় পাথর ছোড়ে, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

        পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশ জানায়, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও জনশান্তি বিঘ্নের অভিযোগে প্রায় ১০০ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. Tension in Gujarat Village Over VHP Leader’s Provocative Post, Shops Burnt
        https://tinyurl.com/466mswkz
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পুল‌ওয়ামা জেলায় হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের অভিযানের মাঝেই পুড়ে ছাই আর‌ও একটি মাদ্রাসা; স্থানীয়রা বলছেন পরিকল্পিত




          পুলওয়ামা জেলার বংগাম রাহমু এলাকায় দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে একটি তিনতলা মাদ্রাসা ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) এই ঘটনাটি ঘটে।

          কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার এই ভবনটি সকালের দিকেই আগুনে ঘিরে ফেলে। এই ঘটনায় কোনো মৃত্যু বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে মাদ্রাসার ভবনটি পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

          স্থানীয়রা এই অগ্নিকান্ডকে মোদী সরকারের ইসলাম-বিরোধী অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছেন, এই অভিযানের লক্ষ্য মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করা। মোদি সরকার প্রায়ই মাদ্রাসার পরিচালকদের কাছে পুনর্নির্মাণের অর্থ কোথা থেকে আসছে তা জিজ্ঞাসা করে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি করে পুনর্নির্মাণ বন্ধ করে।

          স্থানীয়রা বলছেন, এর আগেও একই কায়দায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। তারা বলছেন মুসলিমদের মাদ্রাসাগুলোকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এই অগ্নিকান্ড ঘটানো হয়েছে। এর আগেও যেসকল মাদ্রাসায় আগুন লেগে ধ্বংস হয়েছে সেগুলো হল:

          পুলওয়ামার প্যারিপোরার দারুল উলুম মাদ্রাসা।
          বরামুলার বোনিয়ারের ইসলামী মাদ্রাসা।
          শোপিয়ানের ইমামসাহিবের জামিয়া সিরাজ-উল-উলুম মাদ্রাসা।
          শ্রীনগরের মাদ্রাসা সাল-সাবীল-উল-সালিম মাদ্রাসা।

          একই ধরণের ঘটনার পুনারবৃত্তিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা বলছেন, বিজেপি-আরএসএস সরকার ‘নিরাপত্তা’ ও ‘নিয়ন্ত্রণ’- নীতির এর দোহাই দিয়ে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধ্বংস করার পরিকল্পিত চেষ্টা করছে।

          কাশ্মীরি মুসলিমরা আশঙ্কা করছেন, শুধু ভবন ধ্বংস করাই নয়—’নিরাপত্তা’ ও ‘নিয়ন্ত্রণ’ এই নীতির উদ্দেশ্য মাদ্রাসাগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শ্বাসরোধ করা। প্রথমে ভবন পুড়িয়ে দিয়ে, তারপর জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্রের হ্যারাসমেন্ট করে পুনর্নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া।


          তথ্যসূত্র:
          1. Fire guts another madrassa in IIOJK amid fears of Hindutva regime’s campaign
          https://tinyurl.com/4rvnk34e
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বিমান হামলা: শহীদ ৯৭ ফিলিস্তিনি



            গাজায় ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৭ ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৯ অক্টোবর) এক দিনেই ৪৪ জনকে শহীদ করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

            গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী ৮০ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। শুধুমাত্র রবিবারই (১৯ অক্টোবর) ২১টি বার চুক্তি ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়।

            বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ, বোমাবর্ষণ, ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্য করে হামলা, “আগুনের বেল্ট” সৃষ্টি এবং বেসামরিক নাগরিকদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।

            এছাড়াও, এসকল হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে সামরিক যান, ট্যাংক, রিমোট-নিয়ন্ত্রিত টার্গেটিং সিস্টেমযুক্ত ইলেকট্রনিক ক্রেন, যুদ্ধবিমান ও কোয়াডকপ্টার ড্রোন।

            গাজার সবগুলো প্রদেশেই এই যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, যা প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলি বাহিনী অস্ত্রবিরতি মেনে চলছে না এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হত্যা ও সন্ত্রাসের নীতি অব্যাহত রেখেছে।

            উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এক পরিকল্পনার ভিত্তিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়।

            তথ্যসূত্র:
            1. Israel kills 97 Palestinians in ceasefire violations: Gaza government
            https://tinyurl.com/mp5dwzr4
            2. 44 Palestinians killed by Israeli army gunfire and bombardment across Gaza since dawn today
            https://tinyurl.com/yhwda8mf
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানি খাতে এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি



              শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের রপ্তানি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা।

              ২০ অক্টোবর (সোমবার) রপ্তানি ও শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

              ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে শুধু ব্যবসায়ী নয়, সরকারও বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা নষ্ট হয়েছে এবং বাজার হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “শাহজালাল বিমানবন্দর দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের হৃৎপিণ্ড—এখানে এমন অঘটন আমরা আর দেখতে চাই না।”

              ইএবি নেতারা অভিযোগ করেন, শাহজালালের কার্গো হ্যান্ডলিং জোন দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হলেও এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। তারা প্রশ্ন তোলেন—এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অটোমেটিক ফায়ার ডিটেকশন ও প্রোটেকশন সিস্টেম ছিল কি না, বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার টিম কোথায় ছিল, এবং বাইরে থেকে ফায়ার সার্ভিস আসতে দেরি হলো কেন।

              সংগঠনের নেতারা বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (সিএএবি), কাস্টমস হাউস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স—এই তিন পক্ষই কার্গো টার্মিনালের দেখভাল করলেও কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। আগুনে তৈরি পোশাক, চামড়া, হিমায়িত মাছ, কৃষিপণ্য, ফলমূল, ফার্মাসিউটিক্যাল কাঁচামালসহ নানা রপ্তানি পণ্য পুড়ে গেছে। অনেক বিদেশি ক্রেতা অর্ডার বাতিল করেছেন এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


              তথ্যসূত্রঃ
              https://tinyurl.com/tu3kvvt9
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                নবীনবরণকে কেন্দ্র করে ভিক্টোরিয়া কলেজে অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫




                কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকালে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

                এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে।

                আহতরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মো. মাহিন ও মো. রিজভী প্রমুখ। তারা কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

                প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থী জিসান ও ফাহাদের সঙ্গে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী তানভীন ও সিফাতের বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে সিফাত ফাহাদের ওপর হামলা এবং জিসানকে মারধরের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ফাহাদ ও সিফাতের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।

                এ সময় সিফাত তার বহিরাগত বন্ধুদের ফোন দিলে তারা এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সিফাতও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে গুরুতর আহত পাঁচজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

                এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হতে পারে। তাদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

                এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষে পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যতটুকু জেনেছি আহতদের কেউ ভিক্টোরিয়া কলেজের নয়। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

                কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, নবীনবরণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে তারা পালিয়ে যান। এরপর নগরীতে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে।


                তথ্যসূত্র:
                1. ভিক্টোরিয়া কলেজে অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫
                https://tinyurl.com/4xmyt7a4
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মসজিদে প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে শিবিরের উপর যুবদলের হামলা: আহত ৪০



                  নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

                  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘কোরআন শিক্ষা ক্লাস’ চলাকালে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় জিডি করে ছাত্রশিবির। পরে প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেলে একই মসজিদে ‘দারসুল কোরআন’ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

                  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসরের নামাজের পর ‘দারসুল কোরআন’ শুরু হলে মসজিদে এ ধরণের কর্মসূচি নিয়ে নেয়াজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন আপত্তি তোলে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরে ছাত্রশিবির সদস্যরা অবস্থান নেন, আর বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও স্লোগান দিতে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় আটকে থাকা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মসজিদ থেকে উদ্ধার করা হয়।

                  ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান দাবি করেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কোরআন ক্লাসে বিএনপি হামলা চালিয়েছে। আমাদের ভাইয়েরা মসজিদে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে। মসজিদে বারবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

                  অন্যদিকে, নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল অভিযোগ করেন, নামাজ শেষে মসজিদ থেকেই হামলা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। মসজিদের ভেতর থেকে বারবার হামলা চালানো হয়েছে।

                  সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানায়, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. মসজিদে প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে বিএনপি-শিবিরের সংঘর্ষ, আহত ৪০
                  https://tinyurl.com/2av6amek
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X