Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২রা জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২রা জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ইসলাম অবমাননা, বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের



    সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলাম ধর্ম ও নবি (ﷺ) কে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কূটুক্তি করে আসছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর নাম আবরার ফায়াজ। সে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের অমর একুশে হলের ছাত্র। এ ঘটনায় তাকে ব্যাচ থেকে বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি তুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    গত ২৪ অক্টোবর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২৮ তম ব্যাচ থেকে তাকে বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানানো হয়।

    জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অমর একুশে হলের ছাত্র আবরার ফায়াজ (রোল নং: ০৬, নিবন্ধন নং: ২০২২১১১১২) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ও নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের কিছু স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

    ছড়িয়ে পড়া ওই স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, আবরার ফায়াজ একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে মহান আল্লাহ, নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ), ইসলাম ধর্ম, নবী-রাসূলগণ এবং ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে অবমাননাকর ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছে।

    সে পবিত্র কুরআন নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে কুরআন পোড়ানোকে উপভোগ্য বলে উল্লেখ করেছে এবং সব ধর্মকে মূলগতভাবে সন্ত্রাসপ্রবণ আখ্যা দিয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর পোস্টে ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস ও প্রিয় নবী (ﷺ) এর স্ত্রীদের সম্পর্কে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছে।

    এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো আব্দুর রাজ্জাক জানায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। বর্তমানে আমাদের বিভাগে অধ্যয়নরত কয়েকটি ব্যাচ লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। আগামী সোমবার (২৭ অক্টোবর) এই বিষয়ে একটি বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রয়োজনবোধে তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    তিনি আরও জানায়, অভিযোগিত শিক্ষার্থী ২০২২ সালের দিকে সমবয়সী কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি ব্যক্তিগত গ্রুপে ইসলাম অবমাননা করেছিল। সে সময় সে নিজেকে স্বঘোষিত নাস্তিক বলে পরিচয় দিত। পরে, ২০২৪ সালে সে নিজেকে মুসলিম দাবি করে।


    তথ্যসূত্র:
    1. ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ঢাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবি সহপাঠীদের
    https://tinyurl.com/y4k7bmrj
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত



    হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও ভারতীয় এজেন্ট ইসকনের সহিংসতা, হত্যা, হুমকি, অপহরণ ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে তৌহিদী জনতা। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা মিছিল বের করে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান।

    জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তারা সাম্প্রতিক ধর্ষণ, গুম ও ইসলামবিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং ইসকন নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

    দাবি গুলো হলো- ১। গাজীপুর ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভিকটিমের প্রতি দোষারোপ বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের আচরণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখে এনে দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; ২। টঙ্গী এলাকার অপহরণ-হত্যা ও এ বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলকভাবে দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; ৩। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ’ ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণ রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে; ৪। মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও রক্ষা ব্যবস্থাসহ আইনি গঠন করতে হবে; ৫। ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে অগ্রণী যে ইমাম, সক্রিয় নাগরিক ও সংগঠনগুলো লড়াই করছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; ৬। ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

    রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন জুমার নামাজের পর বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বক্তারা বলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নামে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ‘অখণ্ড ভারত’ ঘোষণার দাবি তুলছে এবং অবৈধ অর্থপাচার, মুসলিম নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণসহ নানান অপরাধে লিপ্ত। বক্তারা বলেন, ইসকন ইসরায়েলি ধাঁচে দেশব্যাপী আস্তানা গড়ে তুলছে, তাদের কার্যক্রম অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।

    রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, আসাদগেট ও জিগাতলায়ও একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীরা ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

    এছাড়া দেশের আরও বেশ কিছু স্থানে প্রতিবাদ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে:

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): শুক্রবার ক্যাম্পাস থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘এই বাংলায় জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ইসকনের কাজ হওয়া উচিত ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা। কিন্তু তারা হিন্দুত্ববাদী কার্ড খেলে দেশ অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও তারা বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ইসকন নিষিদ্ধ, বাংলাদেশে কেন নয়? ইসকন শুধু মুসলিমদের নয়, হিন্দুদেরও শত্রু, তারা মানবতার শত্রু। তাই অবিলম্বে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি): শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিল বের করে জব্বার মোড়ে সমাবেশ করে।

    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি): শিক্ষার্থীরা ইবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আগের স্থানে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: শহীদ আলিফ হত্যার বিচার দ্রুত কার্যকর, গাজীপুরে মসজিদের খতিবকে গুম করে হত্যাচেষ্টা ও সারাদেশে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট ইসকনের নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘চবিয়ান দ্বীনি পরিবার’ নামের একটি সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

    রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) দুটি প্রতিষ্ঠানেই মুসলিম নারী ধর্ষণ, আলেম গুম ও ইসকনের অপতৎপরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়।

    গাজীপুর: ভারতের হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন, গাজীপুরের শিশু আশা মনিসহ সকল নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং মসজিদের খতিবকে হত্যার চেষ্টায় উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতা। জুমার নামাজের পর গাজীপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গাজীপুরের প্রধান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ৩৬ এর চত্বর এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

    এছাড়াও রংপুর, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, কাপাসিয়া, সিলেট, চট্টগ্রামের পটিয়া, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও ভোলার চরফ্যাশনসহ দেশের আনাচে-কানাচে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    1. ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ
    https://tinyurl.com/yc38bj35
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X