Announcement

Collapse
No announcement yet.

হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ইসকন কর্তৃক টঙ্গীর খতিবের গুম ও নির্যাতন: উম্মাহর বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের আংশিক নমুনা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ইসকন কর্তৃক টঙ্গীর খতিবের গুম ও নির্যাতন: উম্মাহর বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের আংশিক নমুনা

    হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ইসকন কর্তৃক টঙ্গীর খতিবের গুম ও নির্যাতন: উম্মাহর বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের আংশিক নমুনা


    আল ফিরদাউস এর সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:

    গাজীপুর টিএন্ডটি কলোনী মসজিদের ইমাম মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী সাহেব মিডিয়ার সাথে গুমের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন-
    যখন তিনি সকাল বেলা মর্নিং ওয়াকের জন্য বের হন, হঠাৎ একটি এম্বুল্যান্স এসে তার সামনে দাঁড়ায়। গাড়ী থেকে নেমেই তারা প্রথমে ইমাম সাহেবের মুখে ড্রাগস মেশানো রুমাল ধরে, এরপর তাঁর ব্রেন টিউমার অপারেশনের জায়গায় কয়েকটি আঘাত করে গাড়িতে তুলে নেয়।
    গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে ফেলে, যখনই তিনি বাঁধন সরানোর চেষ্টা করেছেন সন্ত্রাসীরা তাঁকে মারধর করে। এরপর সারাদিন এম্বুল্যান্সটি চলমান ছিল। চলন্ত অবস্থায় তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।

    এভাবে নির্যাতনের এক পর্যায়ে গন্তব্যে পৌঁছে তারা তাঁকে গাড়ী থেকে নামায়। নামিয়ে পানিভর্তি কাঁচের বোতল দিয়ে তার কোমরে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে এবং লাথি মারে। সর্বশেষ তাঁর উপর চালানো হয় ভয়াবহ নির্যাতন, পরনের কাপড় খুলে ফেলা হয়। এরপর কি ঘটেছিল তা ইমাম সাহেব লজ্জায় ও কান্নায় প্রকাশ করতে পারেন নি।

    অতঃপর ২৩ তারিখ সকালে পঞ্চগড়ের স্থানীয় মুসলিমরা ইমাম সাহেবকে রাস্তার পাশে শেকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেন। সে সময় ইমাম সাহেব অচেতন ছিলেন এবং তাঁর পরনে কাপড় ছিলনা।

    এই বিবরণ থেকে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়-
    ১। দেশের বিভিন্নস্থানে হিন্দুত্ববাদীদের প্রচুর গোয়েন্দা সক্রিয় আছে যারা সর্বক্ষণ মুসলিমদের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করছে, মসজিদগুলোতেও মুসলিমের বেশে তাদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। কোন ইমাম কি বক্তব্য দেন সব তারা নোট করে উপরে পাঠায়।
    ২। গুমকারীরা যথেষ্ট প্রশিক্ষিত এবং চতুর। এই কারণেই তারা গুমের জন্য এম্বুল্যান্স নির্বাচন করেছিল যেন কারো সন্দেহ না হয়। চেকিংয়ের সম্মুখীন হলেও বলতে পারে ইনি আমাদের আত্মীয়, হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া গাড়িতে ওঠানোর সময় ড্রাগস মেশানো রুমাল ধরা এবং মারধর করে নিরাপদে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া থেকেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
    ৩। দেশজুড়ে তাদের অনেকগুলো গ্রুপ সক্রিয় আছে; এক গ্রুপ তথ্য সংগ্রহ করেছে। আরেক গ্রুপ রেকি করেছে, তিনি কখন বের হন কখন কি করেন সব নোট করে উপরে পাঠিয়েছে। একটা গ্রুপ গাড়ী সহ যাবতীয় সরঞ্জাম ব্যবস্থা করেছে। সর্বশেষ অপারেশন টিম অপারেশন পরিচালনা করেছে। এছাড়াও তাদের আরো অনেকগুলো গ্রুপ আছে যারা গুম সেন্টারের নিরাপত্তা ও টর্চার সেলের দায়িত্বে ছিল।
    ৪। হাসিনা বিদায়ের পর র‍্যাব, সিটিটিসি, ডিবির গুম ও টর্চার সেল বন্ধ হলেও হিন্দুত্ববাদীদের গুম ও টর্চার সেল এখনো সচল আছে।
    ৫। এত বড় একটা ঘটনা ঘটার পরও সরকার, প্রশাসন ও চিহ্নিত কিছু মিডীয়ার নির্লিপ্ততা থেকে বোঝা যায় যে, এরাও এসবের প্রতি মৌন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
    ৬। এটি কোন আকস্মিক বা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়, বরং দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফসল। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হিন্দুত্ববাদী স্লিপার সেলগুলো যে কোন সময় যে কোন বড় ঘটনা ঘটাতে পারে। এটি ছিল মাত্র একটি ট্রেইলার, সামনে এমন ঘটনা আরো ঘটবে বলে আশঙ্কা।
    ৭। তাদের হাতে প্রচুর ফান্ড রয়েছে, এই কারণেই সাধারণ একজন ইমামকে নিজেদের পক্ষে বলানোর জন্য কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেয়। না জানি কত জনকে ইতিমধ্যে টাকা দিয়ে কিনে ফেলেছে।

    প্রিয় পাঠক! সরকার, প্রশাসন, মিডিয়া, রাজনৈতিক দল কোনটাই কিন্তু আমাদের তথা তাওহীদি জনতার পাশে নেই। কেউ হিন্দুত্ববাদীদের পদলেহনে ব্যস্ত, কেউ নিরব ও নির্লিপ্ত। তাই তাওহিদী জনতাকে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিশ্চিত করতে হবে। তাদের পক্ষে কেউ দাঁড়াবেনা এটি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজাতে হবে।

    যদি আমরা বিষয়গুলোকে হালকা ভাবে দেখি তাহলে অচিরেই আমাদেরকে অনেক বেশি মূল্য চুকাতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, হিন্দুত্ববাদীদের যাবতীয় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিন।
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদী ইসকন সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় উম্মাহর প্রতি আহ্বান



    আল ফিরদাউস এর সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:

    সকল প্রশংসা কেবলই আল্লাহর, সালাত ও সালাম বর্ষিত হক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও তাঁর সাহাবীগণের উপর।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,

    لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا

    “তুমি মানবমন্ডলীর মধ্যে ইয়াহুদী ও মুশরিকদেরকে মুসলিমদের সাথে অধিক শক্রতা পোষণকারী পাবে…” [সুরা মায়েদা, ৮২]

    বহুবার উম্মাহর সামনে মহান আল্লাহ্‌ তা’আলার এ পবিত্র আয়াতের সুগভীর বাস্তবতা প্রকাশিত হয়েছে, এবং বহুবার মানুষ তা বিস্মৃত হয়েছে। বর্তমানে এ ভূখণ্ডে এবং সমগ্র উপমহাদেশে এ আয়াতে বর্ণিত সত্যের বাস্তব চিত্র আমরা আবারো দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদী আদর্শ ও আন্দোলনের প্রকাশ্য উত্থান ঘটছে, এবং এ কাজ এরই মধ্যে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এই উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে এ ভূখন্ডে আবির্ভূত হয়েছে!

    আজ সমগ্র হিন্দুস্তানের মুসলিমরা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি, যা আমাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে সংঘটিত হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রে রয়েছে ইসকন নামক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। যারা তাদের নাপাক কথিত আদর্শের আড়ালে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এই মালাউন সন্ত্রাসীদের হাতে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে আমাদের ভাই-বোনদের নিরপরাধ দেহ, তাদের হাতে ভাঙা আমাদের পবিত্র মসজিদের দেওয়াল, তাদের হাতে লুণ্ঠিত আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত। এই আর্টিকেলে আমরা এই হিন্দু সন্ত্রাসীদের অপরাধের নোংরা অন্ধকারময় কর্মকাণ্ডের কিছু অংশ তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।

    এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এ ভূখণ্ডের মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে আজ থেকে ৮০/৯০ বছর আগে! গত ১৭ বছর যাবত তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এদেশের প্রতিটি স্তরে! স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার বোনদের নিয়ে তাদের ঘৃণ্য ও ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্রের নাম হল নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে মুসলিম মেয়েদের বিয়ে করে, কিছুদিন ভোগ করে পালিয়ে যাওয়া। তাদের আরো একটি ষঢ়যন্ত্রের নাম “ভাগ‌ওয়া লাভ ট্র্যাপ”। এসব ফাঁদে ফেলে তারা অসংখ্য মুসলিম বোনদের সম্ভ্রম হানি করেছে! এই ঘৃণ্যে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে কিছু কিছু মেয়ে নিজেদের ঈমান হারিয়েছে! উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ইসকন শুধু মুসলিম নারীদের ধর্ষণ – নির্যাতনে থেমে নেই, তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অনেক আলেম, তাওহিদবাদী মুসলিমদের উপর গুম, খুন, অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে! মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আংশিক কিছু উদাহরণ:

    •২০১৬ সালে সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে পাশের মসজিদের মুসল্লীদের উপর গুলি চালানো হয়! এই নৃশংস হামলায় ডজনখানেক মুসল্লী গুরুতরভাবে আহত হন। এটা কোন সাধারণ ঘটনা নয়, এটি ছিল আমাদের ঈমানের উপর, আমাদের পবিত্র মসজিদের উপর, আমাদের ভাইদের উপর আঘাত!

    •একই বছরে, সিলেটের একজন মসজিদের ইমাম, যিনি ইসকনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, ইসকন সন্ত্রাসীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের সমালোচনা করায় তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শুধুমাত্র ইসকনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে এই নিরপরাধ আলেমকে প্রাণ দিতে হয়।

    •২০১৪ সালে রাজধানীর স্বামীবাগে তারাবীর নামাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আরেকটি আঘাত। ইসকনের এই ধৃষ্টতায় বেশ কয়েকজন মুসলিম আহত হন! সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ভূখণ্ডে মসজিদে ঢুকে নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলা!

    •এই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ইসকনের দৌরাত্ম শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেই থেমে নেই!
    ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইসকনের ফুড ফর লাইফ কর্মসূচীর আড়ালে মুসলিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এর চেয়েও ভয়াবহ, তারা আমাদের নিষ্পাপ শিশুদের মুখে নাপাক স্লোগান ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পড়ানোর চেষ্টা করে। এ কি শুধুই খাদ্য বিতরণ? না, এটি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ঈমান ধ্বংস করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র! আমাদের শিশুদের, যারা আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদের মন থেকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ মুছে ফেলে কুফরী মন্ত্র শেখানোর এই অপচেষ্টা কি আমরা মেনে নেব? আমাদের শিশুদের ঈমান রক্ষার দায়িত্ব কি আমাদের নয়?

    এছাড়াও, চট্টগ্রামে মসজিদে ইসকন সমর্থকদের হামলা ও ভাঙচুর, মানিকগঞ্জে একজন মাদরাসার মুহতামিমের উপর নির্মম আক্রমণ, চট্টগ্রাম হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে এডভোকেট আলিফকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা! গাজীপুরের মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরী মেয়েকে দিনের পর দিন আটকে রেখে ধর্ষণ! বুয়েটের উগ্র হিন্দুত্ববাদীর মুসলিম বোনদের ধর্ষণ ও মুসলিম নারীদের ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য এবং তা গর্বভরে প্রচার!এবং সম্প্রতি টঙ্গীর খতিব মাওলানা মহিবুল্লাহর গুম ও নির্যাতন—এই সব ঘটনাই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রের গভীরতা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। তারা উপমহাদেশের মুসলমানদের নিধনে তাদের সমস্ত আয়োজন ইতিমধ্যে সম্পন্ন করে রেখেছে! উগ্র হিন্দুত্ববাদী কর্তৃক আমাদের মা বোনদের উপর অত্যাচার নির্যাতন, আলেম ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উপর চলমান হত্যাযজ্ঞ কি আমাদের হৃদয়ে আগুন জ্বালায় না? এই ঘটনাগুলো কি আমাদের ঈমানের উপর আঘাত নয়? ইসকনের এই সন্ত্রাসীরা আমাদের মসজিদ ভাঙছে, আমাদের আলেমদের হত্যা করছে, আমাদের ভাইদের গুম করছে!

    মুসলিম মা বোনদের ব্যাপারে ইসকন সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র:

    সবচেয়ে হৃদয়বিদারক এবং অমানবিক অপরাধ হলো আমাদের মুসলিম মা-বোনদের উপর ইসকন সন্ত্রাসীদের অত্যাচার। এ পর্যন্ত বেশ কিছু মুসলিম বোনকে তারা জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। যৌন সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা আমাদের বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করছে। ধর্ষণ, নির্যাতন, এবং অপমানের শিকার হচ্ছে আমাদের মা-বোনেরা। এ কোন ধরনের ধর্মীয় সংগঠন, যারা এমন জঘন্য অপরাধে লিপ্ত? আমাদের মা-বোনদের কান্না কি আমাদের হৃদয়ে ব্যথা জাগায় না? তাদের ইজ্জত রক্ষার জন্য আমরা কি এখনো নীরব থাকব?

    কথিত রাম রাজত্বের স্বপ্ন: মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্র

    ইসকনের এই সকল অপকর্মের পেছনে রয়েছে একটি গভীর ষড়যন্ত্র। তারা এই জমিন থেকে মুসলিমদের নাম নিশানা মুছে দিয়ে তাদের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মিশন- রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়! তাদের এই নাপাক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মুসলিমদের গুম, হত্যা, ধর্ষণ অব্যাহত রেখেছে! আমরা কি এই ষড়যন্ত্রের মুখে চুপ থাকব? আমাদের উম্মাহর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আমরা কি এখনো ঐক্যবদ্ধ হব না?

    হে মুসলিম ভাই-বোনেরা! আমাদের ঈমান এখন পরীক্ষার সম্মুখীন। ইসকনের এই অত্যাচার, নির্যাতন, এবং অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আমাদের মসজিদ রক্ষা করতে হবে, আমাদের আলেমদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে হবে, আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে হবে। আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের বদলা নিতে হবে। আমাদের শিশুদের ঈমান বাঁচাতে হবে।

    হিন্দুত্ববাদী নাপাক অপশক্তির মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে।
    হে মুসলিম উম্মাহ! এই মুহূর্তে আমাদের ঈমানী আহ্বান শুনুন। আমাদের ভাই-বোনদের রক্তের ডাক শুনুন। আমাদের মসজিদের কান্না শুনুন।
    কমিউনিটি ভিত্তিক সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। মুসলিম অভিভাবকদেরক সচেতন করুন। মালাউন মুশরিকদের বিরুদ্ধে অবশ্যম্ভাবী যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। জিহাদের উপর, শাহাদাতের উপর বায়াত গ্রহণ করুন। জিহাদি কাফেলায় শরীক হোন। হিন্দুত্ববাদী নাপাক মালাউনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শপথ গ্রহণ করুন।

    আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা প্রতিবাদ করি, আমরা ইসকনের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়াই। আল্লাহ‌ই আমাদের সাহায্যকারী। আমরা বিশ্বাস করি,
    أَلَا إِنَّ نَصْرَ اللَّهِ قَرِيبٌ
    “নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।” [সূরাহ বাকারাহ, আয়াত: ২১৪]

    আল্লাহ আমাদের ঈমান রক্ষা করুন। আমাদের উম্মাহকে বিজয়ী করুন। আমীন। ইয়া রব্বাল আলামীন।
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X