Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ২৮ শে শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ১০ই জুন ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ২৮ শে শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ১০ই জুন ২০২১ ঈসায়ী |

    ভারতে প্রকাশ্যে মুসলিমদের হত্যার হুমকি: আতঙ্কে মুসলিম সমাজ

    ভারতের হরিয়ানাতে গত মাসে একজন মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের খালাস করিয়ে আনার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক 'মহাপঞ্চায়েত' বা জনসমাবেশ আয়োজিত হয়েছে।

    দিনদশেক আগে এরকমই একটি সমাবেশ থেকে মুসলিমদের হত্যা করার ডাক পর্যন্ত দেওয়া হয় - যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়েছে।

    যে মালাউন এই ডাক দিয়েছে সে রাজপুতদের সংগঠন কার্নি সেনার শীর্ষ নেতা। নিজেই* ভিডিওটি নিজস্ব ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে। কিন্তু পুলিশ কাউকে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করেনি।

    ওই কট্টর হিন্দু নেতা সুরজ পাল আমুর ফেসবুক পেজের দাবি অনুসারে সে ক্ষমতাসীন বিজেপিরও নানা পদে আছে।

    ওদিকে মহাপঞ্চায়েতগুলো থেকে ক্রমাগত হুমকি আসতে থাকায় রাজ্যের মুসলিম সমাজ আতঙ্কে সিঁটিয়ে আছে।

    গত মাসের ১৬ তারিখে হরিয়ানার খলিলপুর খেডা গ্রামের বাসিন্দা আসিফ খান তার বাড়ি থেকে একটু দূরে সোহনা শহরে ওষুধ কিনতে এসেছিলেন, তখন তার গ্রামেরই জনাকয়েক হিন্দু মালাউন বাসিন্দা তাকে ঘিরে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

    মামলার এফআইআরে মোট ১৪জনের নাম করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত।

    তাদের মুক্তির দাবিতে লকাডাউনের মধ্যেই রাজ্যে একের পর এক মহাপঞ্চায়েত ডাকা হতে থাকে।

    গত ৩০শে মে নূহ-র কাছে মেওয়াট জেলার ইন্দ্রি গ্রামে এমনই একটি সমাবেশে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকেও বহু মানুষ এসেছে, কারফিউর মধ্যেও প্রায় ৫০ হাজার লোকের ভিড় হয়েছিল সেখানে।

    পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কার্নি সেনা সংগঠনের প্রধান সুরজ পাল আমু সেখানে বলছে, "নিহত আসিফ খান আমাদের মেয়েদের, মা-বোনদের নিয়ে ভিডিও বানাত, তো কেন ওকে মার্ডার করা হবে না?"

    "ও ওর কর্মের সাজা পেয়েছে। ওদেরকে একশোবার মারব, মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে আমাদের আটকাক দেখি!"

    এই ধরনের চরম বিদ্বেষমূলক ভাষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে মিছিল, সমাবেশও করতে থাকে।

    হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ভারতমাতা বাহিনীর মালাউন সদস্যরা ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা সে সব ভিডিও ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে পোস্টও করতে থাকে।

    কার্নি সেনার প্রধানের নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, মহাপঞ্চায়েতে ভাষণই শুরু করছে ''আপনারা কি সত্যিকারের হিন্দু না কি পাকিস্তানের বাচ্চা'' বলে।

    নিহত আসিফের মা আইমান নিশো বলছিলেন, "আমার ছেলের কী দোষ ছিল? ওষুধ আনতে গিয়েছিল শুধু, ওকে ঘিরে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলল।"

    "এখন যারা ওকে মারল, তাদেরই ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে!"

    দিল্লিতে সুপরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট ফারাহ নাকভি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এখানে মুৃসলিমদের বিরুদ্ধে সরাসরি হিংসায় উসকানি দেওয়া হয়েছে।"

    "এই বক্তাদের গ্রেপ্তার করার মতো আইনের কিন্তু দেশে অভাব নেই, কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।"

    "এগুলো কিন্তু হেইট স্পিচের চেয়েও মারাত্মক, কারণ এই মহাপঞ্চায়েতগুলো বা এই ভিডিওগুলোতে হত্যার অধিকারের ডাক দেওয়া হয়েছে - যা যুক্তি-বুদ্ধির অতীত!

    মিস নাকভি মনে করেন, ভারত ক্রমশ এমন একটা পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইন আর সমান নয়।

    মেওয়াটের মুসলিম নেতা ইশা মিও-ও তার সঙ্গে একমত।

    তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "গরু নিয়ে যাওয়ার অপরাধে আগে যেমন আকবর খান বা পহেলু খানকে পিটিয়ে মারা হয়েছে কিংবা জুনেইদ খানকে মেরে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকাতেই আর একটি নাম আসিফ।"

    "অথচ তার হত্যার বিচারের জায়গায় আমরা দেখছি পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হচ্ছে এদেশে শুধু একটি শ্রেণিরই থাকার, বলার অধিকার আছে - অন্যদের কিছু নেই।"

    মেওয়াটের পুলিশ প্রধান রাজ্য জুড়ে এই সব বিতর্কিত মহাপঞ্চায়েত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    রাষ্ট্রীয় সমর্থন থাকা স্বত্বেও পশ্চিমা বিশ্বে ইসরাইলের জনপ্রিয়তা তীব্রভাবে কমছে

    বিশ্ববাসীর নিকট দিনদিন জয়োনিস্ট ইসরাইলের মুখোশ উন্মোচনের ফলে পশ্চিমা বিশ্বেও ইসরাইলের প্রতি জনপ্রিয়তা তীব্রভাবে কমছে।

    যুক্তরাজ্য ভিত্তিক জনমত ও তথ্য উপাত্ত নিয়ে কাজ করা, ইউগভের সাম্প্রতিক জরিপে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপ জুড়ে ইসরাইলের জনপ্রিয়তা ব্যপকহারে কমছে।

    জরিপটি জানায়, সরকারি নীতিমালা গ্রহণ ও ইসরাইলকে রাষ্ট্রীয় সমর্থন প্রদান স্বত্বেও শুধু ইউরোপ মহাদেশেই ইসরাইলের জনপ্রিয়তার কমপক্ষে ১৪ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে।

    ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিলিস্তিন বিরোধী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন স্বত্বেও ইসরাইলের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত আশ্চর্যজনক হারে কমছে।

    জরিপে জানা যায়, জার্মানিতে জার্মান নাগরিকদের মধ্যে ইসরাইলের প্রতি জনপ্রিয়তা ১৪ পয়েন্ট কমেছে।

    ফ্রান্সে ইসরাইলি জনপ্রিয়তা কমেছে ২৩ পয়েন্ট, যা ২০১৯ সালের মে মাসের পর ফরাসি নাগরিকদের মধ্যে সর্বনিম্ন ইসরাইলের প্রতি জনসমর্থন।

    যুক্তরাজ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ইসরাইলের প্রতি জনসমর্থন কমেছে ২৭ পয়েন্ট, যা যুক্তরাজ্যে ২০১৬ সাল থেকে ইউগভের করা জরিপ মতে সর্বনিম্ন।

    ডেনমার্কে ইসরাইলের প্রতি ড্যানিশ নাগরিকদের জনপ্রিয়তা কমেছে ২২ পয়েন্ট আর সুইডেনে ইসরাইলের প্রতি সুইডিশ নাগরিকদের জনপ্রিয়তা কমেছে ১৭ পয়েন্ট।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে আমাদের ভাইদের সাহায্যে নিয়োজিত হওয়ার তৌফিক দান করো আর আমাদের দুর্বলতাকে ক্ষমা করো। আমীন

      Comment


      • #4
        Originally posted by ASFAQ SALAM View Post
        হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে আমাদের ভাইদের সাহায্যে নিয়োজিত হওয়ার তৌফিক দান করো আর আমাদের দুর্বলতাকে ক্ষমা করো। আমীন
        আমীন ইয়া রব্বাল আ’লামীন।
        সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

        Comment


        • #5
          বিজয় আমাদেরই হবে। ইনশাআল্লাহ

          এ শতাব্দী বিজয়ের শতাব্দী। একদিকে আল্লাহর বাহিনী। অপরদিকে শয়তানের বাহিনী। যু্দ্ধ চলছে............
          আমাদের আর ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না। বরকতময় জিহাদে আমাদেরও শরিক হতে হবে। কেননা,শয়তানের বাহিনী সব একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে।
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment

          Working...
          X