সুদান থেকে শিক্ষা!!
~~ফেসবুক থেকে সংগৃহীত~~
সুদানের ৭৫% তেলক্ষেত্র দক্ষিণ সুদানে। যেটা আমেরিকা ২০১৪ সালে খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে উত্তর সুদানে এখনো অনেক স্বর্ণের খনি আছে। এই স্বর্ণের খনির দখল নিয়ে চলছে সেখানকার জালিমদের মধ্যে যুদ্ধ।~~ফেসবুক থেকে সংগৃহীত~~
একটা সম্ভাবনাময় মুসলিম শক্তিকে আমাদের চোখের সামনে ধ্বংস করলো পশ্চিমারা এবং আমাদের মধ্যে থাকা গাদ্দারেরা। অথচ এখন থেকে ৩০বছর আগে সুদানে মুসলিমদের জয়জয়কার ছিলো। এই সুদানে আল-কায়দা, হামাস এর মতো সংগঠনের একসাথে ট্রেনিং ক্যাম্প ছিলো। তেলের খনি আর স্বর্ণের খনিতে ভরপুর একটা দেশ ছিলো। (মুজাহিদিন কর্তৃক) সুদানের উন্নয়নে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছিলো। এখান থেকেই সোমালিয়া বিজয়ের সোপান তৈরি হয়েছিলো। আমেরিকান বাহিনী ১৯৯৩ সালে আল-ক|য়দ|র কাছে সোমালিয়াতে পরাজিত হয়েছিলো।
তারপর হঠাৎ কি হলো?
সুদানের আপোষকামী সরকার পশ্চিমাদের হুমকিতে ভয় পেয়ে গেল। মুজাহিদদের সুদানে আর আশ্রয় দিলো না। আল-কায়দা চলে গেল আফগানিস্তানে তালিবানদের কাছে। হামাস আবার ফিলিস্তিনে নিজেদের অবস্থানে।
এরপর কি পশ্চিমারা খুশি হয়ে সুদানকে ছেড়ে দিয়েছে?
মোটেও না। সুদানকে ২০১৪ সালে ২ টুকরা করেছে। সুদানের সম্পদ খুবলে খেয়েছে। পশ্চিমাদের খাওয়া শেষে আভ্যন্তরীণ গাদ্দারেরা শেষটুকু লুটেপুটে খাওয়ার চেষ্টা করছে।
সুদান ফেরত এক বাংলাদেশী ভাড়াটে সৈনিকের কাছ থেকে শুনেছিলাম, সুদানের কোথাও কোথাও পানির চাইতে মদ নরমাল। পশ্চিমারা এরকম অবস্থা করেছে যেন সেখানে কোনো ইসলামী চিন্তার উন্মেষ না ঘটে। সন্ত্রাসবাদ, গনহত্যা চলুক কিন্তু ইসলামের পতাকা তলে যেন অন্তত না হয়।
এদিকে, আজকে আফগানিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুুন, মুজাহিদরা আম্রিকাকে পরাস্ত করে আফগান জয় করে ফেলেছে। ফিলিস্তিনে মুজাহিদরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
সুদানের সরকার পশ্চিমাদের থেকে বাঁচতে মুজাহিদদের বের করে দিলেও, শেষ পর্যন্ত কি বাঁচতে পেরেছে? পারেনি। বরং মুজাহিদরা থাকলে জীবন বাজি রেখে সুদানের জন্য যুদ্ধ করতো। রক্তপাত এখন যত হচ্ছে তার চেয়ে কম হতো। ইতিহাস এটাই বলে।
আমি আপনাদের কাছে প্রমাণ হাজির করছি। মুসলিমরা যেখানে যেখানে আপোষ করেছে, সেখানে সেখানে পশ্চিমারা মুসলিমদের ছেড়ে দিয়েছে, মোটেও না। এভাবে ছেড়ে দেওয়ার রেকর্ড নেই তাদের।
Comment