Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২২ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২২ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    সাভারে পিকআপে অগ্নিসংযোগ


    সাভারের আশুলিয়ায় সড়কের পাশে পার্কিং করে রাখা একটি পিকআপে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকার মেডলার গার্মেন্টসের সামনে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

    শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জিরাবো মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম।

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভোর ৫টার দিকে একটি মোটরসাইকেলযোগে দুজন লোক এসে পিকআপে পেট্রোল মেরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে আগুনের বিষয়টি জানান।

    জিরাবো মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম বলেন, স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে জিরাবো মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। তবে মূল আগুন স্থানীয়রা আগেই নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। এতে পিকআপটির ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    তথ্যসূত্র:
    1. সাতসকালে পিকআপে অগ্নিসংযোগ
    https://tinyurl.com/mwc3xphe
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মানিকগঞ্জে বাসে আগুন, চালক গুরুতর দগ্ধ


    মানিকগঞ্জে গভীর রাতে একটি স্কুলবাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাসে ঘুমিয়ে থাকা চালক তাবেজ খান (৪৫) গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ তাবেজ খানকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাড়ইবিকুরা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

    গত ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিবালয় উপজেলার ফলসাটিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, ‘হলি চাইল্ড স্কুল ও কলেজ’-এর শিক্ষার্থী বহনকারী বাসটি প্রতিদিনের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে পার্কিং করা ছিল। এ সময় চালক তাবিজ খান বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।


    তথ্যসূত্র:
    ১. মানিকগঞ্জে বাসে আগুন, চালক দগ্ধ
    https://tinyurl.com/mskxcb5y
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও রেললাইনে অগ্নিসংযোগ



      ​ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও রেললাইনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা এলাকায় আখাউড়া-চিনাইর সড়কের পাশের রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মাত্র একদিন আগে একই এলাকার কাছে রেললাইনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

      খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রেললাইনে আগুনের কারণে ট্রেন চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস প্রায় ১৫মিনিট ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে থাকে। পরে রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

      ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শফিকুল ইসলাম জানায়, দুর্বৃত্তরা ভাতশালা স্টেশনের সামনে রেললাইনে টায়ারে আগুন দেয়। এতে কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।



      তথ্যসূত্র:
      ১. আখাউড়ায় রেললাইনে আগুন
      https://tinyurl.com/3db8vhjj

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ঝিনাইদহে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা


        ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস-স্ট্যান্ডে অবস্থিত শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে এই ভাস্কর্য ভেঙ্গে অপসারণ করা হয়।

        এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী ও ছাত্রজনতা। মুজিব চত্ত্বর নামের পরিবর্তে এই স্থানটির নাম স্বাধীন চত্ত্বর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রজনতা।

        উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্টের পর ভাস্কর্যটি এক দফা ভাঙচুর করা হয়। পরে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস-স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত মুজিব ম্যুরালসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুজিবের ভাস্কর্য এক্সকেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর দুপুরে চুয়াডাঙ্গা বাস-স্ট্যান্ডে অবস্থিত শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের অবশিষ্টাংশ ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।


        তথ্যসূত্র:
        1. শেখ মুজিবুরের ভাস্কর্য ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা
        https://tinyurl.com/bdcp8xbv
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের কারণে বহিষ্কৃত ১৭ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি


          দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের কারণে দেশের বিভিন্ন ইউনিটের বহিষ্কার ও পদ স্থগিত করা ১৭ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি।

          গত ১৩ নভেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

          এতে বলা হয়, ‘ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক- মো. ইকবাল হোসেন, গাজীপুর মহানগরের অন্তর্গত গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, দিনাজপুর জেলাধীন বিরল উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. সাদেক আলী, সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মোসা. ফিরোজা বেগম (সোনা), হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহিন, ভোলা জেলাধীন তজুমদ্দিন উপজেলার ৪নং চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হাওলাদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. বাবর আলী বিশ্বাস, ভোলাহাট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম আজম, নোয়াখালী জেলাধীন সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের সভাপতি বেলাল হোসেন সুমন, সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. জামাল উদ্দিন গাজী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলাধীন নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো।’

          এ ছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য হবিগঞ্জ জেলাধীন বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মুজিবুল হোসেন মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রাকিব মাখনের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

          তথ্যসূত্র:
          ১. ১৭ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি
          https://tinyurl.com/y3t79d4v
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতকে খুশি করতে সাতছড়ি উদ্যানে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার



            ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বারবার মঞ্চস্থ হয়েছিল অস্ত্র উদ্ধার নাটক। ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তসংলগ্ন চুনারুঘাটে ২৪৩ হেক্টরের এ বনে র‍্যাবের উদ্যোগে মোট ৯ দফা অভিযান চালানো হয়। দেশে যখনই রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতো, তখনই জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে সাজানো হতো অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা। উদ্ধার দেখানো হতো ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এগুলো ঠিক কোথা থেকে, কী উদ্দেশ্যে, কারা এনেছিল—এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও। উদ্ধার দেখানো পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল এসব কার্যক্রম। এসব ঘটনায় চুনারুঘাট থানায় অন্তত ১০টি মামলা করা হলেও একটিরও রহস্য উদঘাটন হয়নি। এতেই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এ উদ্যান থেকে অস্ত্র উদ্ধার ছিল আওয়ামী সরকারের পরিকল্পিত নাটক?

            সচেতন মহল মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কৃপা ও আশীর্বাদ পেতেই দেখানো হতো সীমান্তের জঙ্গলে বিপুল অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান। কেউ কেউ মনে করেন, ক্রসফায়ার ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুমের ঘটনায় র‍্যাবের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সাজানো হয়েছিল এ অস্ত্র উদ্ধারের নাটক।

            এসব প্রশ্ন প্রথমবার অস্ত্র উদ্ধারের পরই জোরালো হয়ে উঠেছিল আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। বিশেষ করে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের সাত খুনের ঘটনার পর দুদফা অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে তখনই নানা প্রশ্ন উঠেছিল।

            ২০১৪ সালে বিবিসি বাংলার একটি সংলাপে তৎকালীন উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ)-এর নির্বাহী পরিচালক ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভারতের নতুন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অস্ত্র উদ্ধার ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন। সে সময় তিনি র‍্যাবের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছিলেন, সময়ের কারণেই প্রশ্ন উঠছে। যখন শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলছে আবার হবিগঞ্জে অস্ত্র উদ্ধার করছে। এটা একটা প্রশ্ন থেকে যায়। পাশাপাশি মোদি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের একটা ইচ্ছা সরকারের রয়েছে।

            একই সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের তৎকালীন উপদেষ্টা ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি আহমেদ আজম খান র‍্যাবের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য অস্ত্র উদ্ধারের নামে নাটক সাজানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিল।

            তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ মে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ভারতের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে। এর আগে ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব সাতজনকে অপহরণ ও লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ২৬ মে মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের ঠিক ছয়দিন পরই সাতছড়ি উদ্যান থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখায় র‍্যাব। এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিল তৎকালীন র‍্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কর্নেল জিয়াউল আহসান। সে শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।

            সর্বশেষ আওয়ামী লীগের পতনের পর ৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ১৬ আগস্ট দেশ থেকে পালানোর সময় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে ঢাকা কলেজের সামনে ছাত্র ও হকার নিহতের মামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

            আয়নাঘরের জনক, গুম-খুনের মাস্টারমাইন্ড, ফোনকলে আড়িপাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ডের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠলেও তৎকালীন সরকারের আস্থাভাজন হওয়ায় ক্রমান্বয়ে পদোন্নতি পেয়ে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছে জিয়াউল আহসান।

            সাতছড়িতে যতবার অস্ত্র উদ্ধার

            ২০১৪ সালের ৩ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটো রাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধারের দাবি করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

            এরপর ওই বছরের ১৬ অক্টোবর চতুর্থ দফায় উদ্যানের ভেতরে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার দেখানো হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির আট হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রিনট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার দেখায় র‍্যাব।

            পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ এমএম অ্যান্টিট্যাংক রকেট উদ্ধার হয়।

            ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ২০২১ সালের ২ মার্চ বিজিবি বিশেষ অভিযান চালিয়ে উদ্যান থেকে ১৮টি ট্যাংকবিধ্বংসী রকেট লঞ্চার উদ্ধার করে। একই বছরের ১৩ আগস্ট সাতছড়ি এলাকায় মাটির নিচ থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় ৯টি একনলা বন্দুক, তিনটি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধারের কথা জানায় বিজিবি।

            ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে খাগড়াছড়ির বাসিন্দা এবং ভারতীয় নাগরিক আবেল ত্রিপুরাকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতছড়ির গহিন বনে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা। অভিযানে ১৫টি রকেট প্রপেলড গ্রেনেড (আরপিজি), ২৫টি বুস্টার, ৫১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথা বলা হয় তখন।

            এসব ঘটনায় চুনারুঘাট থানায় অন্তত দশটি মামলা দায়ের করা হলেও একটি ঘটনারও রহস্য উদঘাটন হয়নি। প্রথমবার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ২০১৪ সালের ৪ জুন চুনারুঘাট থানায় মামলা রুজু করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশের কাছে তদন্তে থাকলেও পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তৎকালীন হবিগঞ্জ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা। সে তদন্ত প্রতিবেদনে এসব অস্ত্র ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ত্রিপুরা পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (টিপিডিএফ) কর্তৃক ২০ থেকে ২৫ বছর আগে এখানে মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে উল্লেখ করে তদন্ত নিষ্পত্তি করে। একই সঙ্গে এসব অস্ত্র মজুতের বিষয়ে কোনো আসামি পাওয়া না যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করার কথা উল্লেখ করে।

            সর্বশেষ মামলায় আবেল ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে বসবাস করেছিল সে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হলেও রহস্য উদঘাটন হয়নি।

            মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক চম্পক দাম চার্জশিটে উল্লেখ করে, আসামি আবেল ত্রিপুরা ঘটনাস্থলে অস্ত্র মজুত করার কথা জানায়। কিন্তু অস্ত্রের উৎস ও মজুতের কারণ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদেও প্রকাশ না করায় কারণ জানা সম্ভব হয়নি।

            স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু স্থানীয় কোনো সাংবাদিককে তারা অভিযানস্থলের আশপাশেও যেতে দেয়নি। প্রতিটি অভিযানে তারা ঢাকা থেকে নির্দিষ্ট সাংবাদিক নিয়ে আসত। অস্ত্র উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে আসা ঢাকার সাংবাদিকরা তাদের মতো করে এ উদ্ধার নাটকের বয়ান তৈরি করে প্রচার করত।

            তথ্যসূত্র:
            1. ভারতকে খুশি করতে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার
            https://tinyurl.com/84nx47ck
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              এই অপদার্থগুলো কী শুরু করে দিয়েছে!
              হাজি শরীতুল্লাহ'র ভূমিতে আজ মুসলমানের সম্পদ ও জীবনের কোনই নিরাপত্তা নেই!

              আর এরচেয়েও দুঃখের বিষয় মুসলমানদের জীবনের চেয়েও দামী তাদের ঈমানই যে এখন কুফরী তন্ত্রমন্ত্রের বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হয়ে আছে।আল্লাহ ভালো জানেন, কবরস্থানের কয়জন মাইয়্যাত কোন পর্যায়ের ঈমান নিয়ে আখেরাতের মহা সফর শুরু করছে!

              হে আল্লাহ ! আমাদের জান-মাল ও ঈমান হেফাজত করুন আমীন

              Comment


              • #8
                রাতের আঁধারে নিকলীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে দুর্বৃত্তদের আগুন



                কিশোরগঞ্জের নিকলীতে নদীর ঘাটে বেঁধে রাখা একটি যাত্রীবাহী ট্রলারে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এতে ট্রলারটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। গত ১৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের মহরকোনা সংলগ্ন কামালপুর ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

                স্থানীয়রা জানান, নৌকার মালিক মো. আবুল কালামের ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি ঘাটে বাঁধা ছিল। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা নৌকায় আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আগুন দেখে স্থানীয়রা চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ঘাটে থাকা আবুল কালামের ভাই বাচ্চু মিয়ার আরেকটি নৌকার আংশিক অংশও পুড়ে যায়।


                তথ্যসূত্র:
                1. রাতের আঁধারে নিকলীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে দুর্বৃত্তদের আগুন
                https://tinyurl.com/4yb7hcse
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X