Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪২ হিজরি | ১৫ই জুন ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪২ হিজরি | ১৫ই জুন ২০২১ ঈসায়ী |

    ভারতে নামাজ পড়তে যাওয়া বৃদ্ধকে মারধর করে দাঁড়ি কেটে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা

    ভারতের উত্তর প্রদেশের আবদুল সামাদ নামের এক বৃদ্ধ নামাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। তখন রাস্তা থেকে কয়েকজন হিন্দু যুবক তাকে* নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে যায়। এরপর মাধরর করা হয় এই মুসলিম বৃদ্ধকে। পরে ‘জয় শ্রীরাম’ ’বন্দে মাতারম’বলতে বললে তিনি অস্বীকার করেন। এ কারণে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় তাকে। শুধু তাই নয়, এখানেই থামেনি তাদের নিপীড়ন। ওই মুসলিম বৃদ্ধের দাঁড়িও কেটে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।

    গত শনিবার (৫ জুন) উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের লোনিতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, ওই মুসলিম বৃদ্ধকে মসজিদ থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় অটো থেকে নামিয়ে জঙ্গলের কাছে একটি ঝুপড়িতে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর সেখানেই চলে অত্যাচার। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই মুসলিম বৃদ্ধ হাতজোড় করে কাকুতি মিনতি করছেন। এরপরেও রেহাই মিলছে না সন্ত্রাসীদের হাত থেকে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, দু’*জন আক্রমণ করেছে তাঁর ওপর। একজনের পরনে নীল টিশার্ট, ধূসর প্যান্ট, অন্য জন লাল প্যান্ট, কালো শার্ট। মূল আক্রমণকারীর নাম মালাউন প্রবেশ কুমার।

    আবদুল সামাদ বলেন, ‘লাল টিশার্ট পরা এক যুবক তার গলায় ছুড়ি রেখে “জয় শ্রীরাম” বলতে বাধ্য করে। তিনি ওই ধ্বনি দিতে অস্বীকার করলে দাড়ি কেটে নেওয়া হয়। এমন কী তাকে পাকিস্তানি চর বলেও কটাক্ষ করে ওই যুবকেরা।’

    ওই ঘটনার আতঙ্ক এখনো কাটেনি আবদুল সামাদের। আতঙ্কিত ওই প্রৌঢ় কাঁপা কাঁপা গলায় তার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি বলেন, ‘অটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই অটোতে আরও দুই যুবকও ওঠেন। তারা আমাকে জোর জবরদস্তি করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে মারধর করে। জোর করে স্লোগান বলতে বাধ্য করা হয়। দাড়ি কেটে নেওয়া হয়। এমন কী ওই যুবকেরা আমাকে বলেছিল, তারা এর আগেও একাধিক মুসলিমকে মারধর করেছে। খুন করতেও ভয় পায় না তারা।’
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে আলজাজিরার সাংবাদিককে হিন্দুত্ববাদীদের প্রাণনাশের হুমকি

    ভারতে ত্রাণে অনিয়ম নিয়ে আল জাজিরাতে একটি প্রতিবেদন লেখার পরে দেশটির বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ও ব্যক্তির কাছ থেকে হুঁশিয়ারি ও প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত পাচ্ছেন রাকিব হামিদ নাইক নামে একজন মুসলিম সাংবাদিক।

    তবে রবিবার (১৩ জুন) রাতে ওই মুসলিম সাংবাদিকের সমর্থনে আল জাজিরা একটি বিবৃতি জারি করে এবং বলিষ্ঠভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে।

    বিবৃতিতে আল জাজিরা জানায়, তারা রাকিব হামিদ নাইকের সর্বোচ্চ মানের ত্রুটিহীন সাংবাদিকতার পাশে আছে এবং তাঁর পেশাদারি অবদানকে সর্বতোভাবে সমর্থন করছে।

    এর আগে গত এপ্রিল মাসে আল জাজিরাতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রাকিব হামিদ নাইক লিখেছিলেন, মার্কিন ফেডারেল সরকারের কোভিড ত্রাণ সে দেশের এমন কতগুলি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন পেয়েছে যারা ভারতের আরএসএসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনসহ আরও চারটি আমেরিকাভিত্তিক সংস্থা এভাবে প্রায় ৮ লক্ষ ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সোয়া ছয় কোটি রুপি) পেয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ওই সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেতে শুরু করেন।

    রাকিব হামিদ নাইক বর্তমানে আমেরিকাতে আছেন। তিনি সে দেশের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছেও রিপোর্ট করেছেন যে তাকে নিয়মিতভাবে হত্যা করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তিনি টুইটারে বেশ কয়েকটি আক্রমণাত্মক টুইটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে জিহাদি, সন্ত্রাসবাদী বা হিন্দুবিদ্বেষী বলে গালিগালাজ করা হয়েছে।

    যেমন, শ্রীরামের কাঠবিড়ালি অ্যাকাউন্ট থেকে একজন লিখেছেন, রাকিব নাইক ও তার পরিবারের সকলের ভিসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হোক। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র কার্যালয়কে ট্যাগ করে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, ভারতে রাকিব নাইকের পরিবারে কজন সন্ত্রাসবাদী আছে খুঁজে বের করে সবার চিকিৎসা করা হোক!

    ম্যায় ভি সুশান্ত নামের আড়ালে আরও একজন লিখেছেন, এই রাকিব একজন ভারতীয় মুসলিম, যে হিন্দু করদাতাদের পয়সায়-চলা মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছে – এখন তার লক্ষ্য হল ভারতে ইন্তিফাদা ২.০ আর খিলাফতের জমি প্রস্তুত করা!

    হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী অধিকর্তা সুহাগ এ শুক্লাও তার ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে রাকিব নাইকের প্রতিবেদনটিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন।

    আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রুগ্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে মহামারিতে কর্মীদের চাকরিতে বহাল রাখতে পারে সেই জন্য নির্দিষ্ট মার্কিন ত্রাণ পাঁচটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাতে পৌঁছেছে। হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন ছাড়াও ওখানে উল্লিখিত বাকি চারটি সংগঠন ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আমেরিকা, এ সকল বিদ্যালয় ফাউন্ডেশন অব ইউএসএ, ইনফিনিটি ফাউন্ডেশন ও সেবা ইন্টারন্যাশনাল।

    ওই প্রতিবেদনে হিন্দুজ ফর হিউম্যান রাইটস নামে আর একটি মার্কিন গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সুনীতা বিশ্বনাথনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, এই পাঁচটি সংস্থার হাতে আমেরিকার সরকারি সহায়তা যাওয়ার অর্থ হল ভারতে মুসলিমসহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা। ওই পাঁচটি সংগঠনই যে হিন্দু আধিপত্যবাদী আরএসএসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে কাজ করে, সেটি উল্লেখ করা হয়েছিল।

    গত ৭ই মে তারিখে কলম্বিয়াতে মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তরফে একটি মানহানির মামলা করা হয়, যাতে সুনীতা বিশ্বনাথনকেও অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাকিব হামিদ নাইকও মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তার অভিযোগে বলেছেন, নিছক পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের দ্বারা অনলাইন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি বেদুইনদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করল ইসরায়েল

      অভিশপ্ত ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যাযাবর বেদুইন জনগোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর তাবু ধ্বংস করে দিয়েছে। রোববার অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত তাইব গ্রামের কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মিডলইস্ট মনিটর।

      দখলদার সন্ত্রাসী সেনারা সকালে ওই গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় তারা ছয়টি বাড়ি ও গৃহপালিত প্রানীর খামার ঘর ধ্বংস করে।

      স্থানীয়রা জানায়, ইহুদি সেনাবাহিনীর হাতে ধ্বংস হওয়া ঘরগুলোতে দু’টি পরিবারের ১৫ জন মানুষ বাস করতেন। এসব ফিলিস্তিনির বাড়িঘর ধ্বংস করা হলো ইসরায়েলের একটি বড় পরিকল্পনার অংশ। ইসরায়েলি পরিকল্পনার আওতায় বেদুইন সম্প্রদায়ের ওই এলাকাটিকে খালি করে ফেলা হবে, যাতে ইহুদি বসতি নির্মাণকারী ইসরায়েলের দখলদার কোম্পানিগুলোর সুবিধা হয়।

      ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ‘গত এক বছরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পূর্ব জেরুসালেম ও পশ্চিম তীর অঞ্চলে পাঁচ শ’র বেশি ফিলিস্তিনি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে।’

      ১৯৯৫ সালের ‘অসলো’ চুক্তি অনুসারে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীর আর পূর্ব জেরুসালেম অঞ্চলকে এ, বি ও সি নামে তিন ভাগে বিভক্ত করে।

      পশ্চিম তীরের সি-এরিয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় তিন লাখ ফিলিস্তিনি বাস করেন। যেখানে অনেক বেদুইন পশুচারণবৃত্তির সাথে সংশ্লিষ্ট। তাদের বেশির ভাগই তাবু, ক্যারাভান ও গুহায় থাকেন।

      আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম অধিকৃত অঞ্চল। এসব অঞ্চলে ইহুদিরা জোরপূর্বক বসতি নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি। অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন নতুন বসতি নির্মাণ করে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল।

      সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        প্রথমবারের মত 'এইচটিএস'এর কারাগারে কাটানো দিনগুলো নিয়ে মুখ খুললেন সাংবাদিক বিলাল আব্দুল কারিম
        কারাগারে কয়েক মাস বন্দী জীবন কাটানোর পর প্রখ্যাত সাংবাদিক বিলাল আব্দুল কারিম প্রথমবারের মতো বন্দী জীবন সম্পর্কে মিডিয়ায় কথা বলেছেন। এর আগে তিনি হায়াত তাহরিরুশ-শাম (এইচটিএস) কর্তৃক সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে গ্রেফতার হন।

        মধ্যপ্রাচ্যে ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিডিল ইস্ট আইয়ে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক বিলাল এইচটিএসের নেতা আবু মুহাম্মাদ আল জুলানিকে শাসনের পক্ষে অযোগ্য উল্লেখ করে কারাগার সম্পর্কে মিডিয়ায় তাদের মিথ্যাচারের অভিযোগ করেন।

        উল্লেখ্য, জুলানি মার্কিন পিএসবি নেটওয়ার্কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এইচটিএস কর্তৃক কারাগারে বন্দী নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছিলেন।

        ফেব্রুয়ারিতে মুক্তির পর থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বিলালের সাংবাদিকতা ও সামাজিক মাধ্যমে আগমন এইচটিএস নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

        বিলাল উল্লেখ করেন দলটির বিরুদ্ধে কথা বলে তিনি নিজেই নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন, যদিও তিনি এইচটিএস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে বর্তমানে দূরে অবস্থান করছেন।

        উল্লেখ্য, এইচটিএস হচ্ছে সিরিয়ায় বিদ্রোহী দলগুলোর একটি সম্মিলিত জোট, যারা ২০১৭ সাল থেকে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। সিরিয়ায় দশক ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বর্তমানে এইচটিএস গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে বিবেচ্য।

        সাংবাদিক বিলাল মিডিল ইস্ট আইকে বলেন, গত আগস্ট, ২০২০ সালে গ্রেফতারের পর থেকে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে একাকী সেলে তাকে বন্দী রাখা হয় ও শারিরীক নির্যাতনের হুমকি দেয়া হতো। তিনি প্রতিনিয়ত তার পাশের সেলগুলোতে অন্যান্য বন্দীদের উপর নির্যাতনের শব্দ শুনতেন।

        তিনি বলেন,"সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই আমি আমার থেকে কয়েক মিটার দূরে নির্যাতনের আত্মচিৎকার শুনতে পেয়েছি। কারাগারের অন্যান্য বন্দীরাও নির্যাতনের একই রকম শব্দ শুনতে পেতো।"

        "সংক্ষেপে বলতে গেলে, আবু মুহাম্মাদ আল জুলানি, তার দেয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতনের বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন।"

        সাংবাদিক বিলাল আব্দুল কারিম ২০১২ সাল থেকে সিরিয়ার সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের সংবাদ পবিবেশন করে আসছেন। প্রত্যক্ষ সংবাদ সংগ্রহের জন্য ২০১৪ সালে তিনি সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করছেন। স্বপ্রতিষ্ঠিত অন দ্যা গ্রাউন্ড নিউজের পাশাপাশি সাংবাদিক বিলাল সর্বাধিক প্রচারিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন, বিবিসি, স্কাই নিউজেও সাংবাদিকতা করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিডিল ইস্ট আইয়েও সংবাদ পরিবেশনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

        ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় আলেপ্পোর চূড়ান্ত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বিশ্ববাসীর নিকট বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে তিনি বিখ্যাত।

        সাংবাদিক বিলাল মিডিল ইস্ট মনিটরকে জানান, এইচটিএস কর্তৃক কারাগারে বন্দীদের উপর নির্যাতনের উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদ করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ব্রিটিশ সাহায্য কর্মী তাওকীর শরীফকে আটক করে এইচটিএস হেফাজতে টায়ারের সাথে বেঁধে পেটানোর সংবাদ পরিবেশন করায় তিনি এইচটিএসের রোষানলে পড়েন।

        বিলাল জানান,"গ্রেফতারের পর তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ও চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। কারাগারে জেরাকারী প্রতিদিন তাকে মারধরের হুমকি দিতো।"

        সাড়ে চার মাস বন্দী করে রাখার পর কারা প্রহরীরা বিলালের নিকট আসে। তারা বিলালের চোখ বেঁধে ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গাড়িতে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়। তারপর চোখ ও হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে বলে, "আপনার বিচার শুরু হতে চলেছে।"

        "জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন দলগুলোর সাথে কারাগারে পরবর্তী ১২ মাস কাজ করার সাজা প্রদান করা হয়।"

        এটি এমন সাজা ছিল, যা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উষ্কানি এবং মিথ্যার প্রকাশ ও প্রচার- যা প্রমাণ বা প্রমাণ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করে।

        কয়েক সপ্তাহ পরে সমস্ত সাজার ধরণ দেখে বিলালের হাসি দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তিনি বলেন,"আমি তোমাদের পক্ষে কৌতুক লিখতে পারবো না। এখানে কোন ন্যায়বিচার নেই। এটা ইসলামী সুবিচার কিংবা সেক্যুলার বিচারও নয়। এটা আদৌ কোন বিচারই নয়।"

        বন্দীকালীন সময়ের প্রথম দিকে সাংবাদিক বিলালকে তার সাংবাদিকতার দরুন বিবৃতির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার শর্তে মুক্তির প্রত্যাশা দেয়া হয়েছিল। তিনি তা অস্বীকার করেন এবং পরবর্তী ১২ মাসের বন্দী জীবনকেই বেছে নিয়েছিলেন। অবশেষে ১৭ ফেব্রুয়ারী তিনি মুক্তি লাভ করেন।

        উল্লেখ্য, মার্কিন চ্যানেল পিবিএস-এর ফ্রন্টলাইন অনুষ্ঠানে হাইয়াতু তাহরীরুশ শাম দলের নেতা আবু মুহাম্মাদ আল-জুলানিকে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার হয়।




        ৫৪ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে জুলানি এবং তার দলকে আল-কায়েদা ও আইএসের মতো দলগুলোর বিপরীতে একটি তুলনামূলক মডারেট দল এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর সম্ভাব্য মিত্র হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়। জুলানি এ অনুষ্ঠানে বলে সে আমেরিকাসহ পশ্চিমা শক্তিগুলোর সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। একজন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের ব্যক্তিও সিরিয়াতে সম্ভাব্য মিত্র হিসাবে জুলানির কথা উল্লেখ করে। অনুষ্ঠানে বলা হয় জুলানি এবং তার দল ২০১৭ থেকে আসাদের বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইনগুলো নিস্ক্রিয় রেখেছে এবং তুরস্ককে তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন অঞ্চলে ঢুকতে দিয়েছে। যার ফলে সিরিয়াতে রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় এক ধরণের তুলনামূলক স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। সম্ভবত ওয়াশিংটনে তুরস্কের লবিগুলোর মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আসলে কিছু লিখার নেই। ইসলামের উপর থাকাটা আল্লাহর নিয়ামত, আল্লাহ চাইলে এ-ই নিয়ামত উঠিয়ে নিতে পারেন। এক সময়ের আল কায়েদার নেতার আজ এ-ই দূরাবস্থা। দুয়া করি আল্লাহ হেদায়েত দান করুন আমীন। আল্লাহ আপনি মুজাহিদ ভাইদেরকে hts এর জুলুম থেকে হেফাজতে রাখুন আমীন। সিরিয়ার জিহাদে ফলাফল নিজেদের পক্ষে না আসার কারণ হচ্ছে তাওহীদের উপর ভিত্তি করে ঐক্যের কমতি। একটি ময়দানে একাধিক গ্রুপ যদি একাধিক লক্ষ অর্জনের জন্য যুদ্ধ করে তাহলে কারো লক্ষই অর্জন হবে না। তালেবান কেনো বিজয় অর্জন করলো??? যদি এ-র উত্তর খুজতে যায় তাহলে দেখতে পাবো তাওহীদ ও ঐক্য। সাথে সাথে একই ব্যক্তির নেতৃত্ব। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন আমীন।
          اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

          Comment

          Working...
          X