Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৩ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৩ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গ্রেপ্তারের পর হ্যান্ডকাপসহ পালালো আ.লীগ নেতা, সাঁড়াশি অভিযানে ব্যর্থ পুলিশ



    হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আক্রমণ করে ক্যান্ডকাপসহ পালিয়েছে এক আ.লীগ নেতা। তাকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ। তবে অভিযানে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। পলাতক জসিম উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য।

    এরআগে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে পুটিজুরী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই জসিম মেম্বার ও সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের এসআই মহসিন রেজা সৌরভ আহত হলে জসিম মেম্বার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ জসিম মেম্বারকে গ্রেপ্তার করার পরে সে চিৎকার করে উঠলে তার সহযোগীরা তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনে অস্ত্রসহ হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সে একাধিক মামলার আসামি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিল।

    তথ্যসূত্র:
    ১. হ্যান্ডকাপসহ পালালো আ.লীগ নেতা, সাঁড়াশি অভিযানে পুলিশ
    https://tinyurl.com/mr5juk4y
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    উপদেষ্টা আসিফের এপিএসের অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য



    ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে চলতি বছরের শুরুর দিকে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেন অনেকেই। এছাড়াও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে।

    এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৪ মে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সংস্থাটি। কিন্তু ৬ মাস পার হয়ে গেলেও দুদক অনুসন্ধান শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি।

    ১৫ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানে গড়িমসি, যথাযথ নথিপত্র সংগ্রহ করতে না পারা, অনুসন্ধানের অগ্রগতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাগাদা না দেওয়া, অভিযুক্ত ব্যক্তির দ্বিমুখী তথ্য প্রদান এবং অদৃশ্য রাজনৈতিক চাপের কারণে তদন্ত কার্যক্রমে ভাটা দেখা দিয়েছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর জন্য সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ৩ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল করেছে।

    দুদকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছে, তদন্তের গতি বাড়াতে প্রয়োজনে তদন্ত কর্মকর্তা বদলের চিন্তা করা হচ্ছে। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে উপদেষ্টাদের সাবেক তিনজন ব্যক্তিগত সহকারীর তদন্ত শেষ করা হবে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই উপদেষ্টার তিন ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে বদলি-পদোন্নতির মাধ্যমে অর্থ আয়, মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটায় কমিশন নেওয়া, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগ ওঠে। পরে দুদক বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব বিবরণী সংগ্রহ করে। এতে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। পরে তিনজনকে দুদক তলব করে। তারা দুদকে এসে বক্তব্য প্রদান করেছে। কিন্তু, তাদের বক্তব্যে দুদক সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

    দুদকের মানিলন্ডারিং শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে দুদকের টিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু দুদকের প্রশ্নের জবাবে সে যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি। এছাড়াও আরেক উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষেত্রে ভয়ে থাকেন তদন্ত কর্মকর্তা। কারণ তাদের ওপর রয়েছে অদৃশ্য রাজনৈতিক চাপ। এই কর্মকর্তারা অভিযোগের বিষয়ে নথি সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। এতে তদন্ত কার্যক্রম থমকে আছে। তবে দুদক যদি তাদের অভয় দেয় তাহলে তারা তদন্ত দ্রুত শেষ করতে পারবেন।

    এদিকে দুদকে এনসিপি নেতাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন দুদকে যাচ্ছে। কেন আখতার দুদকে গিয়েছিল জানতে তাকে কল করা হলে সে রিসিভ করেনি।

    দুদক সূত্র জানায়, প্রায় দিন এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা দুদক কার্যালয়ে যাচ্ছে। মূলত আর্থিক দুর্নীতিতে যারা অভিযুক্ত তাদের মামলার হাত থেকে রক্ষার সুপারিশ করছে তারা।

    তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন আমার দেশকে জানান, ‘অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাদের অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন জমা দেবে।’ তবে কবে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত ২২ এপ্রিল উপদেষ্টা আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় অব্যাহতি দেওয়া হয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. উপদেষ্টা আসিফের এপিএসের অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য
    https://tinyurl.com/5mev8cty
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জবিতে উদীচীর কক্ষে গাঁজা সেবন, বাধা দেয়ায় সাংবাদিককে হুমকি



      সেক্যুলার সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার কক্ষে নিয়মিত গাঁজা সেবন করা হয়। গতকাল (১৪ নভেম্বর) রাতে অবকাশ ভবনের চতুর্থ তলায় গাঁজা সেবনের প্রতিবাদ করায় এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের মোস্তাকিন, সৌমিক, রুদ্র ও তাদের সহযোগী আরও কয়েকজন সাংবাদিককে হুমকি দেয়।

      প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবকাশ ভবনের চতুর্থ তলায় প্রেসক্লাবের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছিল। এ সময় উদীচীর কক্ষ থেকে গাজার গন্ধ পাওয়া গেলে কয়েকজন সাংবাদিক গন্ধের উৎস জানতে সেখানে যান।

      তারা জানতে চান, উদীচীর কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি উপস্থিত আছেন কি না, যার সঙ্গে কথা বলা যাবে। তখন নাট্যকলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী শোভন দায়িত্বে আছে বলে জানায়। তখন সাংবাদিকরা বলেন, এখান থেকে গাজার গন্ধ আসছে। কাউকে আপনারা গাজা সেবন করতে দেখেছেন কি না।

      তখন নাট্যকলা বিভাগের শোভন জানায়, অনেকেই সেখানে যাওয়া-আসা করছে। কে গাজা সেবন করেছে, তাকে দেখেনি। পরে সাংবাদিকরা উদীচীর জানালার পাশে সেবন করা গাজার ছাই দেখতে পান। সেখান থেকে গাজার গন্ধও ভেসে আসছিল।

      পরে সাংবাদিকরা বলেন, ‘এখান থেকেই গাজার গন্ধ আসছিল। এখনও আছে। আপনাদের মধ্যে হয়তো কেউ হতে পারে। এগুলো এখানে করা ঠিক না। গাজার গন্ধে পাশের রুমগুলোতেও থাকা যায় না।’

      প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় উদীচীর কক্ষ থেকে নাট্যকলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাকিন সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তিনি উদীচীর দায়িত্বশীল কেউ কি না, জানতে চাইলে চিৎকার করে মোস্তাকিন বলে, ‘আমিই উদীচীর দায়িত্বশীল। কী করার আছে, কর।’

      তখন সাংবাদিকরা তাকে বলেন, ‘এখান থেকে গাজার গন্ধ আসছিল, আশপাশে থাকা যাচ্ছে না গন্ধে। আপনাদের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।’

      তখন মোস্তাকিন সবার উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে চিৎকার করে জানায়, ‘আমি গাজা খাই। ভিসি ভবনের সামনে চল, মাইকিং করে সবাইকে বলব আমি গাজা খাই।’

      পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়। এ সময় কক্ষে উপস্থিত দুই নারী শিক্ষার্থীও সাংবাদিকদের উদ্দেশে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে। এ সময় নিজেদের উদীচীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমিক বোস, রুদ্র, মোস্তাকিনসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিকদের হুমকি দেয়।

      উদীচীর বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন জাহান অপি জানায়, ‘এমন ঘটনা আগেও অনেক ঘটেছে। অনেককে আমি সামনের জায়গাটায় গাজা সেবন এবং অনৈতিক কাজ করতে দেখেছি। আমি নিষেধও করেছি। উদীচীর আগের কমিটির অনেকেই অফিসে বসেই এসব করত। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর উদীচীর সদস্যদেরও বারবার এসব বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমরাও এ বিষয়ে অভিযোগ দেব। এর আগেও আমরা প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দিয়েছিলাম।’

      এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক জানায়, আমি ঘটনাটি শুনেছি। একজন সহকারী প্রক্টরকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম। ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় সে ।

      তথ্যসূত্র:
      1. জবিতে উদীচীর কক্ষে গাঁজা সেবনের অভিযোগ
      https://tinyurl.com/32ter4en
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ১০ বছর ধরে হাসপাতালে স্বাস্থসেবা বন্ধ, বঞ্চিত ৮ গ্রামের মানুষ



        ফেনীর পরশুরামে নোয়াবাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১০ বছর ধরে বন্ধ, যার ফলে আট গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনবল সংকটের কারণে অর্ধশত বছরের পুরনো এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

        স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পৌর এলাকার উত্তর গুথুমার উত্তর অংশে নোয়াবাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হয়। ১৯৮০-এর দশকে স্থানীয়দের দাবিতে এটি চৌধুরী বাজার সংলগ্ন কেবি আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে স্থানান্তরিত করা হয়। এ কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ গুথুমা, উত্তর গুথুমা, বাগমারা, বাসপদুয়া, বেড়াবাড়িয়া, নরনীয়া, মুন্সীরখিল ও জমিয়ারগাঁও গ্রামের মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতেন।

        সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রটির ভবন জরাজীর্ণ। দেয়ালের পলেস্তারা খসে গেছে, দরজা-জানালা মরিচা ধরেছে, বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে এবং চারপাশ আগাছা দখল করে নিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মাঝে মাঝে একজন চিকিৎসক এসে কোনো সেবা না দিয়ে ঘোরাঘুরি করে চলে যান। এক অফিস সহায়ক ও একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা থাকলেও তা অপ্রতুল।

        ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. ইসমাইল হোসেন সিরাজী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রটি ৪৮ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকলেও ভগ্ন ও ব্যবহারের অনুপযোগী। নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। দশ বছর পরও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

        পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অতিরিক্ত পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মুন্নি বলেন, নোয়াবাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র পাকিস্তান আমলে তৈরি হলেও ২০২০ সালে জনবল সংকটের কারণে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

        স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন এমএলএসএস থাকার কথা।

        উত্তর গুথুমার বাসিন্দা মাহাবুবুল মজুমদার বলেন, এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষ দীর্ঘদিন কেন্দ্রটি ব্যবহার করলেও এখন চিকিৎসা নিতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হচ্ছে। জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসার অভাবে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। ফকির কোনার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, মানুষ এখনও সেবা নিতে আসে, কিন্তু বন্ধ দেখে ফিরে যায়। কেন্দ্রটি চালু হলে গ্রামের হতদরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা সহজ হবে।


        তথ্যসূত্র:
        1. ১০ বছর ধরে বন্ধ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থসেবা, বঞ্চিত ৮ গ্রামের মানুষ
        https://tinyurl.com/5bydfer5
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সিলেটে কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত এক



          সিলেটে কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে শুরু হওয়া ‘গ্যাং ফাইটে’ ফাহিম নামের এক গ্যাং সদস্য খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

          গ্রেফতার আসামির নাম সবুজ আহমদ রেহান। সে জৈন্তাপুর থানার যশপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ও মাসুমা বেগমের ছেলে। গত ১৩ নভেম্বর মধ্যরাতে নগরীর টিলাগড়ের ইকোপার্ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

          এর আগে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন তার পিতা মো. হারুন রশীদ। মামলার এজাহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

          এদিকে ১৩ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতেই নগরীর টিলাগড়ের ইকোপার্ক এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৪নং আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার সবুজকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

          জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধে গত ১০ নভেম্বর বালুচর ছড়ারপাড়ের আল-আমিনের বাসার ভাড়াটিয়া মো. হারুন রশিদের ছেলে মো. ফাহিমের (২৩) ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের অন্তত ৭-৮ জন সদস্য। তারা তাকে জখম করে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে ফাহিমকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকায় নেওয়া হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে গত ১১ নভেম্বর রাতে সিলেট নিয়ে আসা হচ্ছিল।

          কিন্তু পথিমধ্যে আবারও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত ১২ নভেম্বর সকালে ওসমানী মেডিকেল নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।


          তথ্যসূত্র:
          ১. সিলেটে ‘গ্যাং ফাইটে’ ফাহিম খুন, সদস্য গ্রেফতার
          https://tinyurl.com/yyu6pzcz
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            অভাবের তাড়নায় সদ্যোজাত ছেলে শিশুকে ডাস্টবিনে ফেলে দিলো মা-বাবা




            গাজীপুরের টঙ্গীতে অভাবের তাড়নায় সদ্য প্রসূত এক ছেলে শিশুকে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মা-বাবার বিরুদ্ধে। গত ১৩ নভেম্বর সকালে এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে টঙ্গীর মরকুন এলাকায়। এলাকাবাসী নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে মনিরা নামক এক নারীর জিম্মায় রেখেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ১৩ নভেম্বর সকালে মরকুন মধ্যপাড়া ময়লার স্তুপে শিশুটিতে জীবিত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এলাকাবাসী। পরে ওই এলাকার নি:সন্তান মনিরার জিম্মায় শিশুটিকে রাখা হয়।

            একপর্য়ায়ে গত ১৪ নভেম্বর ওই শিশুটির বাবা-মার সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই ছেলে শিশুটির বাবা স্বপন মিয়া (৪২) দীর্ঘদিন যাবৎ দু’টি কিডনি নষ্টজনিত রোগে এবং মা মাটিকাটা শ্রমিক খালেদা (৩০) প্রসবজনিত কারণ ছাড়াও নানা ধরনের রোগে ভুগছেন। এছাড়া তাদের সংসারে জিহাদ (১২) ও ফাতেমা নামে আড়াই বছরের দু’জন ছেলে মেয়ে রয়েছে।

            রংমিস্ত্রী স্বপন তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে নি:স্ব হওয়া ও আয় রোজগার না থাকায় তারা এ অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। শিশুটির মা খালেদা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অকপটে স্বীকার করলেন, স্বামী অসুস্থ, ১৫ হাজার টাকা বাড়িভাড়া জমে গেছে, টাকার জন্য বাড়িওয়ালার চাপ, স্বামীর রোজগার নেই। সংসারে আরো দু’জন ছেলে মেয়ে রয়েছে। অভাবের তাড়নায় ছেলেকে ফেলে দিয়েছি।

            তথ্যসূত্র:
            ১. অভাবের তাড়নায় সদ্যোজাত শিশু ডাস্টবিনে
            https://tinyurl.com/449xnpbe​
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে ৩৫টি তাজা ককটেল উদ্ধার




              রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ৩৫টি তাজা ককটেল ও বিপুল পরিমাণে ককটেল বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

              মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, থানার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট মোহাম্মদপুর থানাধীন জেনেভা ক্যাম্পের ৭নং সেক্টরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ৩৫টি তাজা ককটেল ও বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে সংবাদ দেওয়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকৃত ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করে।

              পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে এই ককটেলগুলো তৈরি করছিল। এসব ককটেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।

              জানা গেছে, শুধু ১৪ নভেম্বরের এই ঘটনাই নয়, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে এর আগেও ককটেল তৈরির কারখানা বা ককটেল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। অক্টোবর মাসেও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এক যৌথ অভিযানে ৩২টি তাজা ককটেলসহ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তখন চারজনকে আটক করা হয়। এছাড়া, জেনেভা ক্যাম্পে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ফলে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে, যেমন ২২ অক্টোবর ককটেল বিস্ফোরণে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। ককটেল তৈরি এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে মাদক কারবারি ও বিভিন্ন গ্রুপের আধিপত্যের বিষয় জড়িত বলেও পূর্বে বিভিন্ন সংবাদে উঠে এসেছে।


              তথ্যসূত্র:
              1. মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে ৩৫ তাজা ককটেল উদ্ধার
              https://tinyurl.com/mrna6bh3
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                গাজায় নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি, জীর্ণশীর্ণ তাঁবুতে বৃষ্টির পানিতে দুর্ভোগে ফিলিস্তিনিরা



                ১৪ নভেম্বর ভোরে গাজা উপত্যকায় নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে জীর্ণশীর্ণ তাঁবু এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলি ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

                ফিলিস্তিনি আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে ফিলিস্তিন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি গাজার দিকে ধেয়ে আসছে, যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা বাতাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কখনও কখনও বজ্রসহ ঝড় হচ্ছে। এর জেরে বড় ধরনের বন্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়েছেন দক্ষিণ গাজার নয় লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি।

                এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা অঞ্চলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

                খান ইউনিস পৌরসভার মুখপাত্র সাঈদ লাক্কান জানিয়েছেন, ঝড়টি ‘খুবই বিপজ্জনক’ এবং উপকূলজুড়ে হাজারো তাঁবু প্লাবিত হতে পারে, শহরের ভেতরের বড় এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

                গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজার প্রায় ৯৩% তাঁবু আশ্রয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। জালিম ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির মানবিক প্রোটোকল লঙ্ঘন করে গাজায় তাঁবু এবং অস্থায়ী আবাসস্থলের মতো আশ্রয় সামগ্রীর প্রবেশে দিয়ে রেখেছে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে।


                তথ্যসূত্র:
                1. Storm brings flooding risks to Gaza, threatening fragile tents sheltering hundreds of thousands of Palestinians
                https://tinyurl.com/45t8zjst
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ছাত্রকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক কারাগারে



                  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্রদের যৌন হয়রানি ও মারধরের অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ১৪ নভেম্বর আদালত এ আদেশ দেয়। এর আগে ১৩ নভেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় ওই শিক্ষকের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। পরে যৌন হয়রনির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ঢাবি’র রসায়ন বিভাগের এক ছাত্র বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
                  তথ্যসূত্র:
                  1. যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক কারাগারে
                  https://tinyurl.com/5cue8jt9
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ঝালকাঠিতে ৬৮০ কোটি টাকার নদীরক্ষা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি



                    ঝালকাঠিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীর তীররক্ষা কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে প্রকল্পটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের বালু, ব্লক তৈরিতে বালুর অনুপাতে কম সিমেন্ট ও কম ওজনের জিও ব্যাগ। এসব অনিয়মের কারণে ইতোমধ্যে প্রকল্প থেকে একজন এসওকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

                    এছাড়া বাতিল করা হয়েছে ব্লক তৈরির কাজে ব্যবহৃত বালু, জিও ব্যাগ ও ব্লক। ব্যাগে মানসম্মত বালু না থাকা, বাতিল করা বালু এখনো ফিল্ড থেকে না সরানো এবং প্রকল্পের আওতাভুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় জিও ব্যাগ না ফেলাসহ নানা অনিয়মে পুরো কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

                    একনেকের সভায় অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা’ নামের প্রকল্পটির আয়তন ১৩ দশমিক ২১৫ কিলোমিটার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২০২৭ সালের জুনে। সদর উপজেলায় ১৮টি এবং নলছিটিতে ১৬টিসহ মোট ৩৪টি প্যাকেজে এই কাজ হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয়েছে মাত্র ১৭টির। বাকি প্যাকেজগুলোর এখনো কাজ শুরুই হয়নি।

                    পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, এখানে নদী প্রতিরক্ষা, প্রাক প্রতিরক্ষা ও মজবুতকরণ—এ তিনটি ভাগে নদী রক্ষার কাজ চলছে। সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী সদর উপজেলার ভাটারিকান্দা, শহরের বাসস্ট্যান্ড ও কুতুবনগর এলাকা এবং নলছিটির তিমীরকাঠিতে ভাঙন রোধে ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ বাস্তবায়ন করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৫ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে।

                    অনিয়মের প্রকৃত চিত্র জানতে গত ৯ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠির কুতুব নগরে সরেজমিনে সেখানে দেখা যায় ইতিপূর্বে নিম্নমানের বালু দিয়ে ব্লক তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই বালু ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দায়িত্বরত এসওকে প্রত্যাহার করে নেয়। এছাড়া ঠিকাদারকে সাইট থেকে নিম্নমানের বালু অপসারণের জন্য চিঠি দেয়।

                    এই প্রজেক্টের দায়িত্বরত ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট পংকজ কুমার সরকার জানায়, ১ দশমিক ৫০ এফএম (এটি একটি বালুকণা বা সমষ্টির নমুনার কণাগুলো কতটা সূক্ষ্ম বা মোটা, তা বোঝাতে ব্যবহৃত অভিজ্ঞতামূলক পরিমাপ) বালু দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে বালুর কোয়ালিটিতে তা ছিল না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমভিবি এবং এমটিআই (জয়েন্ট ভেঞ্চার) এখানে ১ দশমিক ৩৭ এওএম বালু দিয়ে ব্লক বানাচ্ছিল। যার কারণে টাস্কফোর্স এই বালু বাতিল করেছে। এরপর এক মাস কাজ বন্ধ ছিল। তবে ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ১ দশমিক ৩৭ এফএম দেওয়ার কথা বললেও এলাকাবাসীর অভিযোগ শুধু এক এফএম বালু দিয়ে ব্লক বানানো হয়েছে।

                    কী পরিমাণ বালু বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে এই প্যাকেজের এসও নাহিদ হাসান বলেন, ৪০০ কিউবেক (১৪ হাজার সিফটি) বালু বাতিল করা হয়েছে। তবে বাতিল করার আগে এই বালু দিয়ে কী পরিমাণ ব্লক বানানো হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেনি।

                    কতুবনগর সাইটে দেখা যায়, এখনো বাতিল করা বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এই বালু দিয়ে যে আবারও কাজ হবে না তার নিশ্চয়তা কী জানতে চাইলে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নিলয় পাশা জানায়, ওখানে সার্বক্ষণিক পাহারা বসানো রয়েছে। তাই এই বালু দিয়ে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।

                    প্রকৌশলী নিলয় পাশা আরো জানায়, ইতোমধ্যে এই প্যাকেজের দায়িত্বরত এসও তানভির শাহরিয়ারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঠিকাদার কেন বালু সরাচ্ছে না জানতে চাইলে নিলয় পাশা বলেছে, বালু অপসারণের জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। এখন না সরালে আমাদের কী করার আছে? কুতুবনগরে ২৬ কোটি টাকা ব্যয় ৪৫০ মিটার নদী প্রতিরক্ষার কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশ বিল তুলে নিয়েছে।

                    কতুবনগরের এই প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে অভিযোগ করে এলাকার বাসিন্দা মাসুম খলিফা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে এখানে নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছিল। বালুর বিষয়টি ধরা পড়ায় এখন তা বাতিল করেছে। ব্লক তৈরিতে ছয়টি বালুতে একটি সিমেন্ট দেওয়ার নিয়ম থাকলেও ১২টি বালুতে একটি সিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। জিও ব্যাগে গাঁথনি বালু দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ভিটে বালু। এছাড়া মাত্র এক এফএম বালু দিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে।

                    শুধু কুতুবনগরই নয়, এই প্রকল্পের সদর উপজেলার ভাটারাকান্দা প্যাকেজেও গিয়েও দেখা যায় অনিয়মের চিত্র। ১০ নভেম্বর সকাল সোয়া ৯টায় সাইটে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা ব্লক ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিন্তু সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো তদারককারি নেই। ফোন দেওয়া হলে ঘণ্টাখানেক পর আসেন এই প্যাকেজের এসও ওহিদুল ইসলাম। এখানে এক কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলা হচ্ছে।

                    তিনি বলেন, এখানে তিনটি প্যাকেজের কাজে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার ব্লক ও বরাদ্দ এক লাখ ৮০ হাজার জিও ব্যাগের অধিকাংশই নদীতে ডাম্পিং করা হয়েছে। এখন পাঁচ থেকে ছয় হাজার জিও ব্যাগ বাকি রয়েছে। ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স নিম্নমানের হওয়ায় ১০টি ব্লক বাতিল করেছে।

                    তবে ভাঙনকবলিত চর ভাটারাবকান্দার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, নদী যেখানে গভীর সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি। ভাটারাকান্দার জামাল হোসেন বলেন, যেখানে তীব্র ভাঙন সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি।

                    এ বিষয় জানতে চাইলে সাইটে উপস্থিত এসও ওহিদুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, যে পাঁচ থেকে ছয় হাজার জিও ব্যাগ বাকি রয়েছে তা দিয়েই এই গ্যাপ পূরণ করা যাবে। ভাটারাকান্দা গ্রামের নদী তীরে যে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে তার সঠিক ওজন নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। এলাকাবাসী এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি অবহিত করলে জিও ব্যাগের ওজন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসওর কাছে।

                    তিনি বলেন, প্রতিটি জিও ব্যাগের ওজন হবে ২৭৫ কেজি। তবে অনেক বস্তায়ই ২৭৫ কেজি হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে যেকোনো একটি বস্তার ওজন পরিমাপ করে দেখানোর অনুরোধ করা হয়। তখন সংবাদ প্রতিনিধিকে স্কেল এনে পরিমাপ করার কথা বলে আধা ঘণ্টা বসিয়ে রেখে এখানকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সুপার ভাইজার নজরুল ইসলাম এসে জানায়, রুম তালাবদ্ধ থাকায় স্কেল এনে মাপ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

                    এছাড়া নদীর তীরে ফেটে যাওয়া একটি জিও ব্যাগের বালু দেখা যায় খুবই নিম্নমানের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই বালু কখনোই শূণ্য দশমিক ৮ এফএম হবে না। এখানে কারচুপি রয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে এসও ওহিদুল ইসলাম বলেন, এটা দেখার জন্য তো টাস্কফোর্সই আছে। ইতিপূর্বে টাস্কফোর্স ৪০০ বস্তা বালু ওজনে কম হওয়ায় তা বাতিল করেছে।

                    এই প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মতিন কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবেদ আলী জিও ব্যাগ মাপার স্কেল সম্পর্কে জানায়, আমাদের একটি মেশিন। সেদিন হয়তো অন্য কোনো সাইটে ছিল, তাই আপনাদের জিও ব্যাগ ওজন করে দেখাতে পারেনি। প্রতিটি জিও ব্যাগে ২৫০ কেজি বালু থাকার নিয়ম বলে তিনি জানায়।

                    এলাকাবাসী জানান এই প্যাকেজের ভাঙনকবলিত যেসব জায়গায় এখনো জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি সেখানে কম করে ১৫-২০ হাজার জিও ব্যাগ লাগবে। অন্যদিকে এ ব্যাপারে আবেদ আলী বলেন, আমাদের তিন থেকে চার হাজার ব্যাগ এখনো রিজার্ভ আছে তা দিয়ে বাকি জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

                    তথ্যসূত্র:
                    1. ৬৮০ কোটি টাকার নদীরক্ষা প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি
                    https://tinyurl.com/2dh3nsu8
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে


                      ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধভাবে অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে এবং কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সাধারণ জনগণের চলাচলে উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে।

                      ১৪ নভেম্বর কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের বরাতে জানা গেছে, কুলগাম জেলার লারু–চাওয়ালগাম এলাকায় একটি পরিত্যক্ত গাড়ি শনাক্ত হওয়ার পর ভারতীয় বাহিনী সেখানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে এবং আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করে।

                      এদিকে শ্রীনগর, গান্ডারবাল, বারামুল্লা, পুলওয়ামা, ইসলামাবাদ, শোপিয়ানসহ বিভিন্ন জেলায় ভারতীয় বাহিনী তল্লাশি অভিযান, ব্যক্তিগত যানবাহন পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে।


                      তথ্যসূত্র:
                      1. Indian forces continue operations, tighten restrictions in IIOJK
                      https://tinyurl.com/5mbsaan8
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment

                      Working...
                      X