কুমিল্লায় মন্দিরের জায়গা দাবি করে মুসলিমদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করলো জেলা প্রশাসন

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৩ নভেম্বর মন্দিরের জমি দাবি করে একটি মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। অভিযানে বসতবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। অথচ এই জায়গা নিয়ে আদালতে তখনও মামলা চলমান রয়েছে।
এ স্থানে বসবাসকারীরা জানান, ‘আমাদের পূর্বপুরুষের সময় থেকেই আমরা এখানে বসবাস করছি। এই জমি নিয়ে মামলা চলমান, কিন্তু হঠাৎ আজ কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
বাড়িগুলো ভাঙার সময় হাতে লাল ফিতা পেছনে চুল ঝুঁটি বাঁধা (টিকিওয়ালা) অনেক ইসকন সদস্যকেও দেখা যায়। তারা বাড়িটি ভেঙে ফেলতে প্রশাসনকে বেআইনিভাবে সহায়তা করে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, এই জায়গাটি নাকি ৪০০ বছরের পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের সম্পত্তি। এটি প্রতিষ্ঠার সময় (৪০০ বছর আগে) মন্দিরটির জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১২০ একর। বর্তমানে তা কমে মাত্র ২০ একরে নেমে এসেছে। এভাবে কয়েক শতাব্দীর পূর্বের ইতিহাস টেনে আদালতে মামলা দায়ের করে মন্দির কর্তৃপক্ষ, যার ফলে এখন নিরীহ মুসলিম পরিবারকে কোন নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা এডভোকেট তাপস বকসির দাবি, ‘এটি চার শত বছরের পুরোনো মন্দির। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটি সংরক্ষিত কীর্তি হিসেবে নিয়েছে। মন্দিরের ঐতিহ্য রক্ষায় দখলকৃত বাকী জমি উদ্ধারে পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এসিল্যান্ড তানজিনা জাহানের দাবি, ‘আমরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করেছি। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।’
এদিকে জমি দখল সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক মামলা এখনও আদালতে চলমান রয়েছে। এর আগেই হিন্দুরা প্রশাসনের সহযোগীতায় মুসলিমদের উচ্ছেদ করে।
তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/yuemtp6x



Comment