Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৫ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৫ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিলো আদালত



    ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় (পরবর্তীতে যা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়), সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ সরকারের পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

    শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও দ্বিতীয় অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল। অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় লঘুদণ্ড হিসেবে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

    সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হল- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    ৬ ভাগে বিভক্ত ৪৫৩ পৃষ্ঠা রায়ের সার সংক্ষিপ্ত অংশ পড়েছে বিচারক। দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে রায়ের সার সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে বিচারক।

    গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম বিচারের রায়। হাসিনার মামলার রায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এছাড়া রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বড় পর্দায় বিচার কার্যক্রম দেখানো হয়।

    হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পালিয়ে বর্তমানে ভারতের আশ্রয় রয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়েছে। সে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছে এবং নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছে।

    হাসিনাসহ এ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রসিকিউশন ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করে। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার।

    মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের মূল অভিযোগ হচ্ছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে হাসিনা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত দমনপীড়ন চালানোর সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল, যা গণহত্যা, খুন এবং ভয়াবহ নির্যাতনের শামিল। প্রতিবেদনে প্রধান যে অভিযোগ আনা হয় সেগুলো হলো সরাসরি আদেশ অর্থাৎ শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সব বাহিনী, তার দল আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো বিশেষ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরাসরি নির্দেশ দেয়। গণহত্যা ও নির্যাতন হাসিনার নির্দেশের ফলে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত, অঙ্গহানি এবং নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

    তথ্যসূত্র:
    ১. জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
    https://tinyurl.com/umr8aej5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের আদর্শিক দমন-পীড়নের শিকার ভারতের শিক্ষাঙ্গন



    নরেন্দ্র মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত এক সিদ্ধান্ত নতুন করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক আয়োজন স্থগিত রেখে ‘গরু সম্মেলন’ প্রচারের নির্দেশকে বহু শিক্ষক-শিক্ষার্থী আদর্শিক চাপ ও শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক দখলদারির ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

    হিন্দুদের অনেকের কাছেই গরু পবিত্র হলেও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার গরু ভক্তিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাকে আরো জোরালো করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মনে করেন, এই নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারি চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সেকুলার ভ্যালু’র ওপর ভর করে গণতন্ত্রের নামে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।

    সিএনএনের প্রতিবেদনে এসেছে, গত ৩১ অক্টোবর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ছয় দশক ধরে চলমান “ভূমি, সম্পত্তি এবং গণতান্ত্রিক অধিকার” শিরোনামে সেমিনারটি বাতিল করে একই দিনে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের ‘জাতীয় গরু সম্মেলন’-এ অংশ নিতে ই-মেইলে নির্দেশনা পাঠায় ডিন অব কলেজেস বালারাম পানি।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আদর্শিক দমন-পীড়ন হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক নন্দিনী সুন্দর। সে জানায়, ‘তারা (প্রশাসন) শুধু হিন্দুত্ববাদী চিন্তাকেই জায়গা দিতে চায়।’

    অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করেছে—আগে অনুমতি না নেওয়ার কারণেই গণতন্ত্র বিষয়ক সেমিনারটি বাতিল করা হয়েছে। তবে এই যুক্তির বিরোধিতা করেছে নন্দিনী। সে জানিয়েছে, গত ৬০ বছরে এই সেমিনারের জন্য কখনো পৃথক অনুমতির প্রয়োজন হয়নি, অন্যান্য বিভাগেও তা নেওয়ার সংস্কৃতি নেই। ঘটনাটির প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত সমন্বয়কারীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে নন্দিনী।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিরোধী জাতীয়তাবাদী’ তকমা দিয়ে অভিযুক্ত করেছে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। তবে বহু শিক্ষাবিদ অভিযোগ করেছেন—সরকার নিযুক্ত প্রশাসন পাঠ্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে, কিছু বই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে এবং সেমিনারগুলোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

    গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ—সরকারের সমালোচনামূলক গবেষণা করলে দ্রুত প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একজন পিএইচডি গবেষক জানান, ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান নিয়ে গবেষণা করতে চাইলেও তাঁকে বিষয় বদলাতে বাধ্য করা হয়েছে।

    গরুকে জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজনীতির অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাই বিরোধী কঠোর আইন হয়েছে। একই সঙ্গে ভিন্নধর্মী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গোরক্ষকদের সহিংসতার ঘটনাও বেড়েছে।

    নন্দিনী সুন্দর জানায়, ‘ভারতের বহু উৎকৃষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি যে অল্প কয়েকটি অবশিষ্ট আছে, সেগুলোও ধ্বংসের পথে।’


    তথ্যসূত্র:
    1. Why an email about cows is intensifying concerns about academic freedom in India
    https://tinyurl.com/3ddju4rd

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ছাড়া নিস্পত্তির কোনো পথ নেই: আল্লামা ওলীপুরী



      হবিগঞ্জ ইসলাম সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী হাফিযাহুল্লাহ বলেছেন, আপনারা লক্ষ্য করে থাকেন কিছুদিন পরপরই একেকটা কুলাঙ্গার মাথা ছাড়া দেয়। নবীর (ﷺ) পবিত্র বিবিগণের চরিত্র নিয়ে নানা মন্তব্য করে। আমরা মনে করি এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এগুলো দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার সুগভীর চক্রান্তের অংশ। এসব নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ছাড়া নিস্পত্তির কোনো পথই থাকবে না।

      আজ (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে কলেজ ছাত্রীর ফেসবুকে মুহাম্মদ (ﷺ) ও খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে এইসব কথা বলেন তিনি।

      তিনি বলেন, দেশের বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে একটা যেকোনো ধরনের গণ্ডগোল সৃষ্টি করে নবীর (ﷺ) বিবিগণের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করে মুসলিমদের স্পর্শকাতর স্থান ধর্মীয় অনুভূতিকে এভাবে চরম আঘাত করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ করাতে চায়।

      অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ সাদী, ইসলামিক বক্তা মাওলানা লোকমান সাদি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল হুদা, মাওলানা মঈনুল ইসলাম চৌধুরীসহ (হাফিযাহুমুল্লাহ) আরো অনেকেই। পরে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সকলকে নিয়ে মোনাজাত করেন আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী।


      তথ্যসূত্র:
      ১. নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ছাড়া নিস্পত্তির কোনো পথ নেই: আল্লামা ওলীপুরী
      https://tinyurl.com/74de78pt
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পটুয়াখালীতে ইমামের স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা



        ​পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মোসা. মুকুল বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।

        গত ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে চাকামাইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

        স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান স্থানীয় মৌলভী সুলতান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম। গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে খাবার শেষে তিনি মসজিদে নামাজ পড়াতে যান। সেই সময় তার স্ত্রী বাড়িতেই ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় প্রতিবেশী এক নারী ঘরে ঢুকে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন।

        কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

        তথ্যসূত্র:
        ১. মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
        https://tinyurl.com/2s3vvjpu
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          মাদক কারবারে বাধা: মা ও ভাইকে কুপিয়ে হত্যা



          কুমিল্লায় মাদক কারবারে বাঁধা দেওয়ায় মা ও ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বিল্লাল হোসেন নামে এক মাদক কারবারি। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

          এ ঘটনায় ঘাতক বিল্লাল হোসেন পালিয়ে গেলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- বসন্তপুর গ্রামের মৃত আজগর আলীর স্ত্রী রাহেলা বেগম (৬৫) ও তার ছোট ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)।

          স্থানীয়রা জানায়, সকালে একটি মাদকের চালান নিয়ে বিল্লাল হোসেন বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ওয়াজ মাহফিল শেষ করে ছোট ভাই কামাল হোসেনও বাড়িতে আসেন। কামাল তার বড় ভাইকে মাদক নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে নিষেধ করলে দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে বড় ভাই বিল্লাল তার ঘরে প্রবেশ করে ছুরি এনে ছোট ভাই কামালকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় মা রাহেলা বেগম বাঁধা দিতে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কামাল হোসেন প্রাণ হারান।

          স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় রাহেলা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।

          জানা যায়, বিল্লাল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

          তথ্যসূত্র:
          ১. মাদক কারবারে বাধা: মা ও ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
          https://tinyurl.com/yc56z9yv
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটালো দুর্বৃত্তরা



            গাজীপুরের টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত ১৬ নভেম্বর রাত পৌনে দশটার দিকে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর স্টেশন রোড এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

            পথচারীরা জানান, রাতে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটে। বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়াল সড়কের উপর থেকে টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কে সাউন্ড গ্রেনেডটি নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।

            এসময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করেন। ঘটনাস্থলের পাশেই আগে থেকে চেকপোস্ট ডিউটিতে ছিল পুলিশ সদস্যরা। পরে ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরিত সাউন্ড গ্রেনেডের আলামত সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা।

            এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দুর্বৃত্তরা সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

            তথ্যসূত্র:
            ১. টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ
            https://tinyurl.com/22f7m375
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কেরানীগঞ্জে থানার ডাম্পিংয়ে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা



              ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ডাম্পিংয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ১৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পোস্তাগোলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাজেদুল কবির জোয়ারদার।

              স্টেশন অফিসার জানায়, রাত ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। আগুনের অবস্থা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য মতে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আগুনে ডাম্পিং করা একটি লেগুনা পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

              প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী জানান, থানায় আগুন জ্বলে উঠলে চিৎকার দেই। এ সময় দুই ব্যক্তিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছি। অন্ধকারে তাদের চেনা যায়নি।

              তথ্যসূত্র:
              ১. কেরানীগঞ্জে থানার ডাম্পিংয়ে আগুন
              https://tinyurl.com/4fxh3taz
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                মির্জা ফখরুলের ধমক দেওয়ার ভিডিও শেয়ার করায় ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার




                এক ব্যক্তিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ধমক দেওয়ার’ একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করার পর পদ হারিয়েছে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের এক নেতা। পদ হারানো ওই নেতার নাম খাইরুল ইসলাম ওরফে রোমান। সে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিল।

                গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বহিষ্কারের এ তথ্য জানিয়েছে।

                সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম রোমানকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন (নাছির) আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের খাইরুলের সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

                এ বিষয়ে খাইরুল ইসলাম বলেছে, ‘আমাদের মহাসচিব এক ব্যক্তিকে ধমক দেয়। আজ (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে আমি ওই ভিডিওটি আমার ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। রাজনীতিতে সহনশীলতা–পরমত সহিষ্ণুতার কোনো বিকল্প নেই। ওই ব্যক্তিও (যাকে ধমক দেওয়া হয়েছে) তো আমাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। সেই ব্যক্তি বা কর্মীকে ধমক দেওয়া আমাদের দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে। তাদের ভোটেই তো আমরা নির্বাচিত হব।’

                সে আরও বলে, ‘ইতিমধ্যে ভুল বুঝতে পেরে পোস্টটি ডিলিট করে ক্ষমাও চেয়েছি। তবু আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন আর কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’


                তথ্যসূত্র:
                ১. মির্জা ফখরুলের ‘ধমক দেওয়ার’ ভিডিও শেয়ার, ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার
                https://tinyurl.com/5n96z6ba
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  খুলনায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা



                  খুলনার লবণচরা এলাকায় একই পরিবারের নানি ও দুই শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ নভেম্বর রাতে শিশুদের বাবা-মা অফিস শেষে বাড়িতে ফিরলে তাদের লাশ দেখতে পায়। শিশুরা স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।

                  স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।

                  নিহতরা হলো, শাহীতুন নেসা (৫৫), তার নাতি মুসতাকিম (৮) ও নাতনি ফাতিহা (৭)। তাদের মা শাহীতুন নেসা বাগেরহাটের রামপালে ভূমি অফিসে ও বাবা শিফার আহমেদ খুলনা চেম্বার অব কমার্সে চাকরি করে। শিশুদের বাবা-মা কর্মস্থলে থাকায় তাদের দেখাশোনা করতেন নানি।

                  স্থানীয়রা জানান, শিশু দুটির মা বাড়ি ফিরে লাশ দেখেন। তিনি চিৎকার করার পর প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের বলছে, ইট বা লাঠির আঘাতে তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাত ৮টার দিকে বাবা-মা বাসায় ফিরে লাশ দেখতে পান।

                  মা শাহীতুন নেসা অভিযোগ করেন, তার মামা শ্বশুরের ছেলের সঙ্গে জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল, সে একজন সন্ত্রাসী। সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।

                  তথ্যসূত্র:
                  ১. খুলনায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা
                  https://tinyurl.com/yya2ac7t
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    পাকিস্তানি পুলিশের ব্যাপক নির্যাতনের শিকার আফগান শরণার্থীরা


                    সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগান শরণার্থীদের উপর পাকিস্তানি পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের নির্যাতন আরও তীব্র হয়েছে। পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা আফগান শরণার্থীরা বলছেন, তাদের অনেকেই ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, অনেকের ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছে।

                    এটিএনের একজন সাংবাদিক স্পিন বোল্ডাক এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ফিরে আসা শরণার্থীদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা চিত্র তুলে ধরেছেন।

                    ফিরে আসা আফগান শরণার্থীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সরকারি দপ্তর ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ঘরবাড়ি, জমি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি জোর করে বাজেয়াপ্ত করছে।

                    ফেরত আসা এক অভিবাসী শামসুল্লাহ বলেন, “আমি চল্লিশ বছর করাচিতে ছিলাম। আমাদের পূর্বপুরুষরাও সেখানে গিয়েছিলেন। মনে করেছিলাম সারা জীবন সেখানেই কাটবে। এমনকি জমিও কিনেছিলাম। কিন্তু সবকিছু ফেলে রেখে ফিরতে আসতে হলো।”

                    ইসলামউদ্দিন নামের অপর একজন বলেন, “দেড় থেকে দুই মিলিয়ন আফগানি মূল্যের বাড়ি রেখে আসতে হয়েছে। সবাই আমাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছিল। আমরা কোনোমতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি। পাকিস্তানে থাকা আমাদের আফগান ভাইয়েরা ভয়াবহ কষ্টে আছে।”

                    অনেকের জন্য ক্ষতি শুধু সম্পত্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়— তাদের পুরো ভবিষ্যৎ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মোহাম্মদ শাহীন নামে এক শেষ বর্ষের মেডিকেল ছাত্র বলেন, আমি এবং আমার পাকিস্তানি স্ত্রী সবকিছু হারিয়েছি। আমার স্ত্রী পাকিস্তানি এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমাকে বলেছে, ‘তুমি আফগান হওয়ায় তাকে নিয়ে যেতে হবে।’

                    পাকিস্তানি পুলিশের চাঁদাবাজি

                    শরণার্থীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে পাকিস্তানি পুলিশ একাধিক চেকপোস্টে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে। তারা ২০,০০০ থেকে ৮০,০০০ আফগানি পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে এবং এই চাঁদা না দিলে তাদের যেতে দেয় না।

                    ইউসুফ খান নামে এক আফগান শরণার্থী বলেন, “আমরা তিন মাস জেলে ছিলাম। এরপরও মুক্তি পেতে ৮০,০০০ আফগানি দিতে হয়েছে। বাড়ি ফিরতে আমাদের আট দিন লেগেছে।”

                    শিশুদের আটক ও নির্বাসন

                    শরণার্থীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি পুলিশ ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। পরিবারকে না জানিয়েই কখনও কয়েকদিন, কখনও কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের আটক করে রাখছে। এরপর তাদের পরিবার ছাড়া একাই আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

                    নাজিবুল্লাহ নামে এক শিশু জানায়,“তারা শিশুদের গ্রেপ্তার করে এক মাস জেলে রাখে, নির্যাতন করে, কাজ করায়, তারপর পরিবার ছাড়াই তাদের আফগানিস্তানে পাঠিয়ে দেয়।”

                    স্পিন বোল্ডাকের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে বিপুলসংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পাকিস্তান জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে।

                    স্পিন বোল্ডাক জেলা গভর্নর কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আলী হকমল হাফিযাহুল্লাহ বলেন: “কয়েক ডজন শিশুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের বাবা-মা কে না জানিয়েই তাদের গ্রেপ্তার ও ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা গুরুতর সমস্যায় আছে, তবে ইমারতে ইসলামিয়া তাদের সহায়তা করছে।”

                    স্পিন বোল্ডাকের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন ১,২০০ থেকে ১,৫০০ অভিবাসী পরিবার—অর্থাৎ ৬,০০০ থেকে ৮,000 মানুষ চামান–স্পিন বোল্ডাক সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে।

                    তথ্যসূত্র:
                    1. Afghan refugees returning from Pakistan report widespread abuse, property seizures, and forced deportations
                    https://tinyurl.com/26drt5m3
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ২৯ বাংলাদেশি জেলে-মাঝিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড



                      বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে পথ হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রামের একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ২৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড।

                      গত ১৫ নভেম্বর রাতে ঘটনাটি ঘটে। পরে ট্রলারটি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূলীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রলারটির নাম ‘আমেনা গণি’।

                      ট্রলারটির মালিক সৈয়দ নূর জানান, গত ১২ নভেম্বর ট্রলারটি চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট থেকে রওনা দেয়। যাত্রাবিরতি দিয়ে মহেশখালীর ধলঘাটা থেকে ১৩ নভেম্বর সকালের দিকে ট্রলারটি মাছ ধরতে সাগরে যায়। এতে দুই মাঝি, এক চালকসহ মোট ২৯ জন জেলে ছিলেন। গত ১৫ নভেম্বর রাতেই মাঝিদের কাছ থেকে তারা জানতে পারেন, কুয়াশার মধ্যে পথ হারিয়ে সীমান্তের কাছাকাছি চলে যাওয়া অবস্থায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড তাদের আটক করেছে। আমাদেরকে জেলেরা মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তাদেরকে ভারতের চব্বিশ পরগণা কোষ্টাল থানা হেফাজতে নিয়েছে। বিষয়টি তারা মৎস্য অধিদপ্তরকেও জানিয়েছে।

                      আটক জেলেরা হলেন— মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, তার ভাই আবু বক্কর, চালক ফেরদৌস, সায়েদ আলী, বখতিয়ার আলম, শহিদুল্লাহ, আবু ছৈয়দ নূরী, সাইফুল ইসলাম, তাহসীন, সাহাব উদ্দিন, তারেকুল ইসলাম, মিন্নাতুল, মোহাম্মদ তারেক, ফুতু আলম, সাজ্জাদ, নেছার আহমদ, সালমান, জসিম উদ্দিন, কালু মিয়া, মিজান, আরাফাত, হারুন, মিঠু, হাসান, পারভেজ ও তৈহিদসহ মোট ২৯ জন। তাদের মধ্যে ২৮ জনের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ও একজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বলে জানা গেছে।

                      জেলে নেছার আহমদের স্ত্রী সালেহা বেগম জানান, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। নেছার জানিয়েছিলেন, তারা কুয়াশায় দিক হারিয়ে ফেলেছেন এবং অজানা দিকে চলে যাচ্ছেন। এরপর রাতে ফোন দিয়ে তার ফোনের আর সংযোগ পাওয়া যায়নি।

                      এ বিষয়ে কোষ্টগার্ডের চট্টগ্রাম বেইস ও সদরদপ্তরের জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে জানিয়েছে।

                      তথ্যসূত্র:
                      ১. ২৯ বাংলাদেশি জেলে-মাঝিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড
                      https://tinyurl.com/5n7xm5df
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment

                      Working...
                      X