Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৬ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৬ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি || ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    লেডি ফেরাউন হাসিনা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে: আল্লামা মামুনুল হক



    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক হাফিযাহুল্লাহ বলেছেন, ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী লেডি ফেরাউন হাসিনা বাংলার ঘরে ঘরে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করে লাশের মিছিল করেছে।

    গত ১৭ নভেম্বর মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহেশখালী উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইকথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী সরকারকে খুশি করার জন্য ভারতের সংবিধানের ফটোকপি বাংলায় এনে পেস্ট করে তা দিয়ে দেশ চালিয়ে জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে আলেম-ওলামাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে খুন করে যুগ যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল।

    কিন্তু বাংলার প্রতিবাদী মানুষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাপ প্রতিহত করে দিয়েছে এবং আজ বাংলার মাটিতে সেই লেডি ফেরাউনের বিচার করে প্রমাণ করেছে যে এ দেশে ফ্যাসিবাদের আর কোন ঠাই হবে না।

    তথ্যসূত্র:
    ১। ‘লেডি ফেরাউন হাসিনা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে’
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বাগেরহাটে রাসূল ﷺ-কে কটূক্তি, হিন্দু যুবক গ্রেপ্তার



    বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের ছোটআন্ধারমানিক গ্রামে রাসূল ﷺ-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ লেখা সামাজিক যোগা‌যোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়ায় উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের তথ্য মতে, রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আনা হয়।

    জানা যায়, বাগেরহাটের কচুয়ায় রাসূল ﷺ-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল স্থানীয় মুসলিমরা। তাকে গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবিতে কয়েক দফা মিছিল করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে তার বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ শামীম আহমেদ জানায়, আমরা ১৬ নভেম্বর একটি অভিযোগ পাই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত যুবক তার দোষ স্বীকার করেছে। বর্তমানে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    কচুয়া থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামী ইচ্ছাকৃত ভাবে জ্ঞাতসারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শ্রেণি সমূহের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রাসূল (ﷺ) কে ইলেকট্রনিক ডিভাইজের দ্বারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তিমূলক কমেন্ট করিয়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করায়, বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার মামলা নম্বর- ০২, জিআর নং- ৯০/২৫, তারিখ- ১৬/১১/২৫ খ্রি.। ধারা- ১৫৩-এ, ২৯৫-এ পেনাল কোড, ১৮৬০। মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জল মুখোপাধ্যায় (২৪), পিতা- বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায়, গ্রাম-ছোট আন্ধারমানিক, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, ৩নং মঘিয়া ইউনিয়ন, থানা- কচুয়া, জেলা-বাগেরহাট। তাকে কচুয়া থানা পুলিশ ১৭ নভেম্বর গ্রেফতার পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    ১। মহানবী (সা.) কে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু যুবক গ্রেপ্তার
    https://tinyurl.com/4ehs5an7
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      নীতি-আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া আরও ২৮ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি


      দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নীতি-আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সারা দেশে বহিষ্কার হওয়া আরও ২৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জারি করা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে, দলটির এক নেতার পদ স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

      গত ১৭ নভেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

      বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

      যেসব নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বড় একটি অংশই গাজীপুর মহানগর ও তার অধীনস্থ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের।

      গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. ছবদের হাসান, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ খান শিপুসহ প্রায় ১৮ জন নেতাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

      এছাড়া, বরিশাল দক্ষিণ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু, কুমিল্লা উত্তরের মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনী এবং নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এস এম আসলাম-এর বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

      পদত্যাগ ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান পূর্বে স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করলেও, আবেদনের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং বহিষ্কারাদেশও তুলে নেওয়া হয়েছে।

      অন্যদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে স্থগিতাদেশপ্রাপ্ত দিনাজপুর জেলাধীন ফুলবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. খুরশিদ আলমের (মতি) স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে।


      তথ্যসূত্র:
      ১। ২৮ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি
      https://tinyurl.com/2s3zyxrx

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আমেরিকা ও তাদের মদদপুষ্ট মোগাদিশু বাহিনীর নৃশংস হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ জন শহীদ, আহত আরও ৯ জন



        দক্ষিণ সোমালিয়ার জামামে শহরে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের মদদপুষ্ট মোগাদিশু বাহিনী যৌথভাবে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে একটি নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে। এতে নারী ও শিশুসহ ১২ জন বেসামরিক নাগরিক শহীদ এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

        শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ নভেম্বর শনিবার, মার্কিন বাহিনী এবং মোগাদিশু বাহিনী এক নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে। দক্ষিণ সোমালিয়ার নিম্ন জুবা রাজ্যের জামামে শহরে ঠান্ডা মাথায় পরিচালিত উক্ত ভয়াবহ গণহত্যার শিকার হয়েছেন বারোজন বেসামরিক নাগরিক, আহত হয়েছেন আরও নয়জন। এসময় বেসামরিক লোকদের বাড়িঘর এবং তাদের সম্পত্তিও ধ্বংস করে হামলাকারীরা।

        সূত্রমতে, জামামেতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে রক্তাক্ত এই গণহত্যা শুরু করা হয়। মার্কিন বাহিনী এবং মোগাদিশু বাহিনী বিমান কামান ব্যবহার করে এদিন আক্রমণটি চালায়। আগ্রাসী বিদেশি বাহিনী ও স্থানীয় শত্রু বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে শহরের বেসামরিক বাড়িঘর, দোকানপাট এবং কিছু শিক্ষাকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে এই হামলাটি পরিচালনা করে। স্পষ্টতই এই হামলার লক্ষ্য ছিল, শরিয়াহর ছায়াতলে বসবাসরত জনগণকে আতঙ্কিত করা। আর এই ভয়, আতঙ্ক এবং রক্তপাত ছড়িয়ে শত্রুরা বেসামরিক নাগরিকদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করতে চায়।

        মার্কিন ও মোগাদিশু বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত গণহত্যায় শহীদ বারোজন বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে ৮ জন শিশু, ৩ জন মহিলা এবং ১ জন বৃদ্ধ ছিলেন। হামলায় বিভিন্ন বয়সী আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

        এটিই প্রথমবার নয় যে মার্কিন বাহিনী তাদের সহযোগী মোগাদিশু বাহিনীর সাথে মিলে সোমালিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ করেছে। আর এই সব কিছুই চলছে কোনোপ্রকার বিচারের মুখোমুখি না হওয়া ও বাধা ছাড়াই। এমনকি নিরপেক্ষ মিডিয়া কাভারেজও এসব কিছু প্রকাশ করতে পারছে না। আর এসব নৃশংস হামলার ভুক্তভোগীরা নিজেদের আইনি অধিকার রক্ষা করতে পারছেন না।

        যৌথ বাহিনী পূর্বে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এবং যাযাবর এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। আর হামলার পর নির্লজ্জভাবে নারী ও শিশুদের হত্যার দায় অস্বীকার করেছে। কিছু মানবাধিকার সংস্থা সোমালিয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে আমেরিকার পরিচালিত এইসব অপরাধগুলো নথিভুক্তি করা সত্ত্বেও বারবার বিচার হীনতার অভাবে এধরণের অপরাধ ঘটছে।

        বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, আমেরিকার এধরণের আক্রমণগুলি মূলত বেসামরিক নাগরিকদের উপর পরিচালিত বাস্তব সামরিক প্রশিক্ষণ অনুশীলন। এসবের মাধ্যমে জীবন্ত লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে সরকারি মিলিশিয়াদের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। এই বাহিনী গত বছর জালাজদুদ অঞ্চলের এল জারাসের উপকণ্ঠেও একটি গ্রামে সরাসরি হামলা চালিয়ে একজন দাদী, তার নাতি-নাতনি এবং পুরো গবাদি পশুর পালকে হত্যা করেছিল।

        আশ-শাবাবের উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং যুদ্ধ-প্রতিভাবান যোদ্ধাদের সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করার পরিবর্তে, ক্রুসেডাররা তাদের ক্রোধ এবং হতাশাকে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করছে, যাতে এই জনগণকে ইসলামিক রাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা যায়।

        শাহাদাহ নিউজ এজেন্সি কর্তৃক প্রচারিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, এই বোমা হামলার শিকার ব্যক্তিরা, যাদের মধ্যে সরাসরি আঘাতে নিহত শিশুরা এবং আহতরাও রয়েছেন। হতাহতদের দৃশগুলো দেখার পর এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই: কেন মার্কিন বাহিনী এই অঞ্চলে তাদের ঘাঁটি থেকে গ্রামবাসীদের উপর এবং তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুলে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য অভিযান চালায়? এর একমাত্র ব্যাখ্যা হল মুসলিমদের প্রতি তাদের অন্ধ ঘৃণা।

        নিশ্চই আমেরিকার এই আগ্রাসন, গণহত্যা এবং রক্তপাত বৃথা যায় না। বরং তারা একটি ভয়াবহ এবং চলমান আদর্শিক সংঘাতের ইন্ধন জোগায়, যা কেবল দেশে আশ-শাবাবের বিশ্বাসযোগ্যতা, শক্তি এবং নিয়োগ প্রচেষ্টাকে বাড়িয়ে তুলছে।

        তথ্যসূত্র:
        https://tinyurl.com/yjed2tcs
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X