Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ৩রা জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ৩রা জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ড


    সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীরা। ঢাকার মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে খুন এবং চট্টগ্রামে নির্বাচনি প্রচারের মধ্যে গুলির ঘটনায় সংগঠিত অপরাধচক্রের উত্থান দেখা যাচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আধুনিক অস্ত্র, কিশোর-তরুণের সমন্বিত গ্যাং নেটওয়ার্ক এবং বিদেশ থেকে পরিচালিত ভার্চুয়াল কমান্ড রুম।

    নিরাপত্তা সংস্থা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কিছু গ্যাং রাজনৈতিক নেতা, শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রাখছে। তাদের উদ্দেশ্য—নির্বাচনের আগে সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করা, এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি এবং অপরাধচক্রকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে টাকা কামানোর নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ তৈরি করা।

    নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া গ্যাং নেতা এবং বিদেশে গা-ঢাকা দেওয়া অপরাধীরা আবার তাদের চক্র গঠন করছে। তারা এনক্রিপটেড অ্যাপ, আন্তর্জাতিক ফোন নম্বর, হুন্ডি নেটওয়ার্ক ও ভার্চুয়াল রুম ব্যবহার করে তাদের অনুসারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখছে। অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা তৈরির মাধ্যমে নির্বাচনি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা রয়েছে তাদের।

    পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় থাকলেও মাঠপর্যায়ে শান্তি বজায় রাখতে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অদৃশ্য রাজনৈতিক অপরাধী নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা। কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদ রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়াদের ওপর। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে নিয়মিত রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহে ঢাকায় যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেগুলো আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুনরুত্থানের ভয়াবহতাকে নতুন করে সামনে এনেছে। গত ১০ নভেম্বর ঢাকার ব্যস্ততম আদালত এলাকার মাত্র কয়েক গজ দূরে দিন-দুপুরে গুলি করে হত্যা করা হয় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে। আদালতপাড়ার মতো উচ্চ নিরাপত্তার স্থানে এমন প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুঃসাহসকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এর মূল পরিকল্পনাকারী আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি, যিনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ডিবি পুলিশ তাকে ঢাকার অপরাধ জগতের নতুন ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রনি প্রথমে মুদি দোকানি এবং পরে ডিশ ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করলেও কারাগারে থাকা ইমনের মাধ্যমে অপরাধচক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে দ্রুত পরিচিতি পায়। ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে জানা গেছে।

    এরপর গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় পল্লবীর সেকশন-১২ এলাকায় একটি হার্ডওয়্যার দোকানে গুলি করে হত্যা করা হয় স্থানীয় যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে। তদন্তে উঠে এসেছে, মালয়েশিয়ায় থাকা সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান মামুন এ খুনের প্রধান পরিকল্পনাকারী।

    এর আগে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় টার্গেটেড শুটিংয়ে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। পুলিশের ভাষ্য, সে স্থানীয় চাঁদাবাজি ও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণে যুক্ত ছিলে। এ হত্যার সঙ্গে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা উল্লেখ করেছে স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ঢাকা-চট্টগ্রাম উভয় শহরেই সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে, যা নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে।

    তথ্যসূত্র:
    ১। নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ড
    https://tinyurl.com/3k7n8etw
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আল্লাহ তায়ালাকে জঘন্য কটুক্তি সত্ত্বেও বাউলদের পক্ষে অবস্থান নিলো এনসিপি


    প্রকাশ্যে মহান আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে জঘন্য কটুক্তি করা সত্ত্বেও বাউল শিল্পী আবুল সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি গত ২৩ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বাউল সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে।

    এছাড়াও দলটি বিবৃতিতে তৌহিদি জনতাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

    এনসিপির ধর্ম ও সম্প্রীতি সেলের সম্পাদক তারেক রেজা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তার সমর্থকদের ওপর সংঘটিত হামলা, ধাওয়া ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনাকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ধর্ম ও সম্প্রীতি সেল গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে এবং দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাচ্ছে। যে মতবিরোধ বা অভিযোগই থাকুক—সহিংসতা, হয়রানি বা আইনহীনতার কোনো বৈধতা নেই।’

    এনসিপি বিবৃতিতে দাবি করেছে, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে বাউল, ফকির, সুফি, তাসাওফপন্থীসহ বিভিন্ন ধারার সমৃদ্ধ অবদান রয়েছে। এই বৈচিত্র্য রক্ষা করা মানে রাষ্ট্রচিন্তা ও ঐতিহাসিক সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।

    বিবৃতিতে মহান আল্লাহকে গালি দেয়াকে ধর্মীয় ব্যাখ্যা আখ্যা দিয়ে এনসিপি বলেছে, ধর্মীয় মত বা ব্যাখ্যা নিয়ে ভিন্নতা থাকতেই পারে, এবং কখনো কখনো তা বিতর্কের সৃষ্টি করতেও পারে। কিন্তু তার উত্তরের পথ কখনোই সহিংসতা বা প্রতিশোধ হতে পারে না।

    এনসিপি আরও জানায়, মানিকগঞ্জের ঘটনাবলির নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করে হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অভিযোগ বা মতভিন্নতার সমাধান হবে আইন, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে, কোনোভাবেই জনতা বা গোষ্ঠীর হাতে নয়।

    এছাড়াও বিবৃতিতে বাউল–ফকির–তাসাওফপন্থীসহ সকল সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করার দাবি জানায়।

    উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর মহান আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে কটুক্তি করায় গ্রেফতার হওয়া বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে সকালে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হয়েছিল বিভিন্ন জেলা থেকে আগত একদল বাউলশিল্পী।

    একই সময় নাস্তিক আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে মিছিল বের হয়। মিছিলটি ডিসি অফিস চত্বর এলাকায় এলে সেখান থেকে তৌহিদী জনতা বাউলশিল্পীদের দেখতে পেয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বাউলদের বিক্ষোভ দমন করে।

    তথ্যসূত্র:
    ১। বাউল শিল্পীর সমর্থকদের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: এনসিপি
    https://tinyurl.com/3smrue44
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আবুল সরকারকে গ্রেফতার মানে আমাকে গ্রেফতার করা: ফরহাদ মজহার


      মহান আল্লাহ তা’য়ালাকে গালিদাতা বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেফতার করা মানে ফরহাদ মজহারকে গ্রেফতার করা বলে মন্তব্য করেছে বাউলদের আধ্যাত্মিক গুরু ফরহাদ মজহার।

      সে জানায়, ‘আবুল সরকার প্রত্যেকটা আন্দোলনের প্রথম থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত। সে শহীদ মিনারের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে এমন কোনো প্রতিবাদ সভা নেই, যেখানে আমার পাশে ছিল না। আপনারা তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার মানে আমাকে আপনারা গ্রেফতার করেছেন। আমি এটা মেনে নেব না।’

      সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাস্তিক বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে সে এ মন্তব্য করে। সভাটি সাধু গুরুভক্ত ও কথিত অলি-আওলিয়া আশেকান পরিষদ নামে আয়োজিত হয়।

      সরকারের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার জানায়, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের কাছে আপনাদের অঙ্গীকার যদি আপনারা রক্ষা করতে চান, তাহলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের ব্যক্তির মর্যাদা, অধিকার, কথা বলার অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু এতদিন যাওয়ার পরে যে ঘটনা আবুল সরকারকে নিয়ে হয়েছে এটা আমাদের কাছে আর গ্রহণযোগ্য নয়।’

      এ সময় বক্তারা আবুল সরকারের বিরুদ্ধে মামলাকে ‘মিথ্যা মামলা’ দাবি করে এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। একইসঙ্গে বাউলদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিও জানায় তারা।


      তথ্যসূত্র:
      ১। আবুল সরকারকে গ্রেফতার মানে আমাকে গ্রেফতার করা: ফরহাদ মজহার
      https://tinyurl.com/59sakv7p
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হিন্দুস নিউজের গুজব -‘পালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু পরিবার’



        ফরিদপুরের সদরপুরে মন্দিরের জমি নিয়ে সংঘর্ষ-পালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু পরিবার, টহলে পুলিশ- শিরোনামে সম্প্রতি ‘হিন্দুস নিউজ’ (hindus news) নামে একটি পোর্টালে জমিসংক্রান্ত বিরোধের সংবাদকে বিকৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে জনমনে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

        রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ওই পোর্টালে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। প্রতিবেদনের শিরোনামটির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে উদ্বেগ বাড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, হামলার পর ভয়-আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন অন্তত পাঁচ শতাধিক হিন্দু পরিবার।

        সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে হিন্দুজ নিউজ (hindus news) পোর্টালের সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে পোর্টালটি।

        ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি বলেন, গত ১৬ নভেম্বর জমি বেচাকেনা নিয়ে দুই পক্ষ তর্কাতর্কি হয় কিন্তু বড় কোনো সংঘর্ষ হয়নি এমনকি কোনো হিন্দু পরিবার পালিয়েও যায়নি। আর জমি বেচাকেনা সম্পূর্ণই বৈধ উপায়ে হয়েছে, কোনো ঝামেলা নেই।

        এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়- ওই পোর্টালের প্রতিবেদনটি অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর। বিরোধটি কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক নয়; কারণ উভয় পক্ষেই সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছে। ‘হিন্দুস নিউজ’ প্রতিবেদনে যেভাবে একক ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর হামলা দেখানো হয়েছে, তা ঘটনা অনুযায়ী সঠিক নয়। হিন্দু পরিবার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর অনেকেই জানায়, জমির মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই ১৬ নভেম্বর ভোরে কিছু উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে তারা বলছেন, এটি ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নয়।

        রোববার (২৩ নভেম্বর ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফরিদপুর জেলা পুলিশের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘সদরপুরে মন্দিরের জমি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দেওয়ানি মামলা চলমান। উভয় পক্ষেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছে। সম্প্রতি দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির জেরে ছোট একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

        এটিকে ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’ বা ‘হিন্দু পরিবার পালিয়ে যাচ্ছে’ এ ধরনের দাবি বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

        স্থানীয় পূজারী বিমল ভট্টাচার্য জানায়, আমরা বহু বছর ধরে এখানে হিন্দু–মুসলমান একসঙ্গে আছি। ঝগড়া হয়েছে জমি নিয়ে, ধর্ম নিয়ে নয়। আর পালিয়ে যাওয়ার বিষয় পুরোটাই গুজব।

        সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় জানায়, হরিন্যা মৌজার জমিসংক্রান্ত বিরোধটি সম্পূর্ণই দু’পক্ষের মালিকানাসংক্রান্ত। এটি কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। উভয় পক্ষেই মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী দুই সম্প্রদায়ের মানুষ জড়িত আছেন। জমি দখলকে কেন্দ্র করে ১৬ নভেম্বর ভোরে সীমিত আকারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ বা গণ পলায়নের ঘটনা ঘটেনি।

        উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, জমির মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে তর্কবিতর্ক চলছিল। উভয় পক্ষেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছে। গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

        তথ্যসূত্র:
        ১। হিন্দুস নিউজের গুজব -‘পালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু পরিবার’
        https://tinyurl.com/5fuxdaux
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বেনাপোল দিয়ে তীর্থযাত্রায় ১৭৯ ইসকন সদস্য ভারতে


          রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন-এর ১৭৯ সদস্য ভারতীয় বিভিন্ন তীর্থস্থান পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে।

          সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তারা বেনাপোলে নিয়মিত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

          দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা আশিষ কুমার রায় (পাসপোর্ট নং— A00586006)। তার সঙ্গে সিরাজগঞ্জসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার ১৭৯ নারী-পুরুষ সদস্য যাত্রা করেছে।

          ইসকন সূত্রে জানা যায়, তীর্থযাত্রীরা ভারতের মায়াপুর, গয়া, বুদ্ধগয়া, প্রেয়া, বৃন্দাবন, কুরুক্ষেত্র, হরিদ্বারসহ বিভিন্ন পবিত্রস্থানে ধর্মীয় আচার, পূজা-পার্বণ ও তীর্থদর্শন করবে। সেখানে তারা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন ভারতে অবস্থান করবে।


          তথ্যসূত্র:
          ১। বেনাপোল দিয়ে তীর্থযাত্রায় ১৭৯ ইসকন সদস্য ভারতে
          https://tinyurl.com/38c9nezw
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X