Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১১ ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১১ ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    বাংলাদেশের ফসলের ক্ষেতে ভারতীয় আগ্রাসন



    বাংলাদেশ-ভারতের কুড়িগ্রাম সীমান্তে এখন আর অন্ধকার নামে না, বরং নামে এক অদৃশ্য উদ্বেগ। সন্ত্রাসী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সার্চ লাইটের তীব্র আলো সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের নিস্তব্ধ গ্রামগুলোতে। মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা ধান গাছ যেন এই আলোয় চোখ মুছে তাকিয়ে থাকে।

    সবজির পাতায় জমে ওঠে বিবর্ণতা, ভুট্টার শীষ কুঁকড়ে যায়। নারিকেল, কলা, আমের মুকুল ঝরে যায়। রাতের অন্ধকারে প্রাণ ফিরে পাওয়া পোকামাকড়গুলো দল বেঁধে নেমে আসে আলোর টানে, তাদের আক্রমণে নুয়ে পড়ে ফসলের গাছ।

    মানুষও নিরাপদ নয়। সীমান্তের জরাজীর্ণ ঘরের চালা ভেদ করে ঢুকে পড়ে তীক্ষ্ণ আলো। শিশুর ঘুম ভেঙে যায়, বৃদ্ধের চোখ জ্বলে ওঠে, মাথাব্যথায় অস্থির হয় নারীরা। নিরাপত্তার নামে সীমান্তের এই আলো আজ তাদের জীবন-জীবিকার নতুন সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে।

    ভারতের সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর-রৌমারী-উলিপুর-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ীর ২৭৮.৭৮ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। তাদের জীবন-জীবিকার একমাত্র উৎস কৃষি। কিন্তু সেই কৃষিজমি ও ফসল ভারতীয় আগ্রাসনে হুমকির মুখে পড়েছে।

    ২০০১ সালে বড়াইবাড়ী যুদ্ধে বিএসএফ-এর পরাজয়ের পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে শক্তিশালী কাঁটাতারের বেড়ার পাশাপাশি দু’শো মিটার পর পর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্চ লাইট স্থাপন করে ভারত। সন্ধ্যার পর এসব লাইট জ্বালানো হয়, বন্ধ করা হয় সকাল হলে।

    সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, লাইটের আলো সীমান্ত থেকে প্রায় চারশো মিটার বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে পড়ে। যতদূর পর্যন্ত আলো যায়, ততদূর অনেকটাই দিনের মতো দেখা যায়।

    ভারতীয় এসব লাইটের আলোতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কৃষকদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ফসলি জমির উর্বরতা কমে যায়, মাটি শুষ্ক হয়। ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়, শীষ ছোট হয়। অনেক সময় ধানের পাতা বেশি হয় কিন্তু ফলন কম হয়। পাটগাছ লম্বা কম হয়, গাছের বাকল শক্ত হয় না। ভুট্টার ফুল কম ধরে এবং ঝরে যায়, মোচা ছোট হয়।

    আলু, শিম, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির গাছ কুঁকড়ে যায় এবং বেড়ে উঠতে সমস্যা হয়। ফুল কম ধরে এবং ঝরে যায়, তাই ফলনও কমে আসে। সবজি তেতো লাগে, যার কারণে প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। রাতের অতিরিক্ত আলোতে আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় আক্রমণ করে। মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, সাদা মাছি, বিছা পোকা ধান-পাটসহ বিভিন্ন ফসল ও নানা রকম সবজির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে।

    ফুলবাড়ী বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী সাজু আহমদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হওয়ায় সেখানে আমাদের সার ও কীটনাশক বিক্রিও বেশি হয়।

    সীমান্তবর্তী আম-লিচুর বাগানেও তীব্র আলোর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। আম ও লিচুর ফুল কম ধরে, ফুল ঝরে যায় এবং ফলন কম হয়। সুপারি, নারিকেল, কলা গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফলন কম হয় এবং পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যায়।

    সীমান্ত এলাকায় পাকা ঘর নির্মাণে নিষেধ থাকায় কাঁচা ঘরে সার্চ লাইটের আলো প্রবেশ করে। এতে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। মাথা ব্যথা, চোখে কম দেখাসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয় মানুষ।

    ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ফকিরপাড়া সীমান্তে কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভারতের সার্চ লাইটের আলোতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ধানের পাতা হলুদ হয়, শীষ ছোট হয়। ভুট্টার ফুল কম হয় এবং মোচা ছোট হয়। এছাড়াও আলু, মুলা, শিম, লাউসহ বিভিন্ন সবজি গাছ ঝিম মেরে থাকে, ফলন ভালো হয় না।

    ওরা ইসরায়েল পন্থী রাষ্ট্র, ওরা আমাদের ভালো চায় না। ওরা ইচ্ছা করলেই লাইটের পাওয়ার কম দিতে পারে কিংবা নিচের দিকে দিতে পারে, কিন্তু দেয় না।

    আব্দুস সালামের সাথে কথা বলার সময় তারই ছোট ভাই আবুল কালাম আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দেন। তিনি বলেন, সীমান্তে আমরা ধান-সবজি আবাদ করি। বাতির বাইরে যে ধান আবাদ করি, তা বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ হয়; আর বাতি সংলগ্ন জমিতে ৮ মণই জুলুম। আরও সমস্যা আছে, ভাত খাওয়ার উপযোগী না। ভাত তেতো লাগে, খাওয়াই যায় না। এমনকি ওই ধানের খড়ও গরু খায় না।

    নিজের ক্ষেতে ছেলেকে সাথে নিয়ে ধান কাটার সময় কথা হয় রৌমারী সীমান্তের বকবান্দা বেপারী পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাথে।

    তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফ-এর লাইটের কারণে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, সাদা মাছি—এসব ফসল ও সবজির অনেক ক্ষতি করে। অন্যান্য জায়গায় দুইবার কীটনাশক দিলেই হয়, অথচ আমাদের দেওয়া লাগে ৪ থেকে ৫ বার। আবার সারও বেশি লাগে। তা ছাড়া নারিকেল, সুপারি, আম এসবেরও ফুল ঝরে যায়, ফলন কম হয়।

    রাতে সীমান্তে টহলরত অবস্থায় কথা হয় কয়েকজন বিজিবি সদস্যের সঙ্গে। তারা বলেন, ভারতের লাইটের কারণে আমাদের চোখের সমস্যা হচ্ছে। সারারাত আমরা ডিউটি করি, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইটের আলো এসে একদম চোখে পড়ে। পাকিস্তান সীমান্তে লাইট দিলেই ওরা গুলি করে ভেঙে ফেলে, কিন্তু আমরা তো পারি না।

    এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, উদ্ভিদ একটা নির্দিষ্ট সময়ে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে; আবার রাতের অন্ধকারে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়। এই শ্বসন প্রক্রিয়া ও সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চক্রাকারে আবর্তিত হয়। কিন্তু আমাদের সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের যে শক্তিশালী আলো রয়েছে, এর ফলে ওখানে যে ফলদ ও ফসলি উদ্ভিদ আছে, তাদের সালোকসংশ্লেষণ চক্রে ব্যাঘাত ঘটছে। এর ফলে সেখানে ফসলের অবশ্যই ফলন বা উৎপাদন কমবে। আলোর সাথে কীটপতঙ্গের একটা সম্পর্ক আছে, যার ফলে সেখানে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের জন্ম নেবে এবং ওই এলাকার পরিবেশ অবশ্যই বিপন্ন হবে।

    সীমান্তে চোরাচালান ও নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে এসব সার্চ লাইট স্থাপন করা হয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হলেও, মূলত বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষিকে ঝুঁকিতে ফেলতেই এমনটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।

    তথ্যসূত্র:
    ১। ভারতীয় আগ্রাসন বাংলাদেশের ফসলের ক্ষেতে
    https://tinyurl.com/2rmrnzbf
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ লুট করল বিএনপি নেতা



    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জলমহাল থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। গত ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে ভুনবীর ইউনিয়নের শাসন লতুয়া খালকাটা বিলে এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় ২ নম্বর ভুনবীর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আহাদসহ ১৫ জনকে আসামি করে রাত ১০টায় শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্পাদক ও আলীসারকুলের বাসিন্দা সুজিত সরকার।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, যুবদল নেতা মো. আব্দুল আহাদ দীর্ঘদিন ধরে জলমহাল ইজারাদার সমিতির কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। সমিতি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ৩০ নভেম্বর রাত ১০ টায় আব্দুল আহাদ মাইকিং করে জলমহালের ইজারা ‘অবৈধ’ বলে প্রচার করে। পরদিন ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নয়টায় আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে শতাধিক লোক জলমহালে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে সমিতির প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। এসময় সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    তিনি আরও জানায়, উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট থেকে সমিতির মাধ্যমে তারা তিন বছরের জন্য লতুয়া বিল লীজ নেন। আব্দুল আহাদ দীর্ঘদিন ধরে সমিতির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাদা দাবী করে আসছিল। এসময় সে নিজেকে মৌলভীবাজার ৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপি নেতা হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর লোক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে।


    তথ্যসূত্র:
    ১। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ লুট যুবদল নেতার
    https://tinyurl.com/bdfx85y3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মাদারীপুরে বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার



      মাদারীপুরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের বাথরুমের ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক মেয়ে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। তাৎক্ষণিক সবধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

      এ ব্যাপারে সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

      গত ২ ডিসেম্বর বিকালে মাদারীপুর শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাথী বেগম বাথরুম পরিষ্কার করতে যায়। এ সময় বাথরুমের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে দেখতে পায়। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে শিশুটিকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

      নবজাতকের অবস্থা প্রথমে গুরুতর হলেও আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে বলে জানায় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স। এদিকে পুলিশ বলছে, সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

      বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের কর্মী স্বর্ণালী খন্দকার জানায়, ‘ক্লিনিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মী শিশুটিকে দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। পরে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয় বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’

      মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিয়া আক্তার জানায়, ‘নবজাতকের বয়স একদিন। জেলা হাসপাতালে আনার সময় শিশুটির অবস্থা খারাপ ছিল। তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ায় উন্নতির দিকে যাচ্ছে।’

      তথ্যসূত্র:
      ১। বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধার, পরিচয় খুঁজছে পুলিশ
      https://tinyurl.com/2kjwe2je
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কালিয়াকৈরে পোশাক কারখানায় একসাথে ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ



        গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা কাঁঠালতলা এলাকাস্থ মোয়াজউদ্দিন টেক্সটাইল নামক একটি পোশাক তৈরি কারখানায় প্রায় ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থতার কারণ জানা যায়নি।

        অসুস্থ শ্রমিকদের উদ্ধার করে ঢাকা মহাখালী কলেরা হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল (০২ ডিসেম্বর) কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।

        কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ০১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পরেই কয়েকজন শ্রমিক হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। তাদেরকে সফিপুর তানহা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সকালে কাজে যোগ দিতে এসে বহু সংখ্যক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে সাথে-সাথেই বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

        অসুস্থ হয়ে পড়া নাসিম ইকবাল ও শিমু আক্তার জানান, অন্যান্য দিনের মতো আজ সকালে কাজে যোগদান করি। কিন্তু হঠাৎ পেট ব্যথা শুরু হয়। পরে ডায়রিয়া ও মাথা ব্যথা শুরু হলে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

        কারখানার ডেপুটি ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের শ্রমিকরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন সুস্থ আছেন। ইতিমধ্যেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এত সংখ্যক শ্রমিকের অসুস্থতার কারণ শনাক্ত হয়নি।


        তথ্যসূত্র:
        ১। কালিয়াকৈরে পোশাক কারখানায় একসাথে ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ
        https://tinyurl.com/frf85tp5
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কৃত্রিম সংকটের আড়ালে সারের দাম বৃদ্ধি; না দেখার ভান কৃষি কর্মকর্তার



          পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী একটি দ্বীপ অঞ্চল। এখানকার মানুষ কৃষি নির্ভর। মাটি উর্বর হওয়ার কারণে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়। আগাম তরমুজ রোপণ করার জন্য প্রয়োজন হয় সার, কিন্তু সারসংকটে এখানকার কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, সারের কৃত্রিম সংকট করে তাদেরকে সারসংকট দেখানো হয় এবং এই সার আবার তাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

          রাঙ্গাবালীর রাঙা তরমুজের রয়েছে সুনাম। এখানকার তরমুজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাহিদা পূরণ করে। অর্থনীতিতে যোগ করে নতুন মাত্রা। কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছরও প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করা হবে।

          জানা যায়, আগাম তরমুজ চাষ করতে ব্যস্ত কৃষকরা কিন্তু সার সংকটের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। সার ক্রয় করতে গেলে কৃষকদেরকে বলা হয়, “আমাদের কাছে সার নেই। সার নিতে হলে অগ্রিম টাকা দিতে হবে।” এভাবে সার-সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হয়। নিরুপায় হয়ে সার কিনতে বাধ্য হন কৃষক। সারের যে মূল্য তালিকা আছে, তার চেয়ে ২ থেকে ৩০০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয়। কৃষকদেরকে যে মেমো দেওয়া হয়, সেখানে উল্লেখ করা হয় সরকার নির্ধারিত মূল্য।

          একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যে তারা পাচ্ছে না সার। ইউরিয়া সারের সরকারি মূল্য ১৩৫০ টাকা, বিক্রি করা হয় ১৫০০ টাকা। টিএসপি সার ১৩৫০ টাকা সরকারি মূল্য, বিক্রি করা হয় ১৪৫০ টাকা। এমওপি সরকারি মূল্য ১ হাজার টাকা, বিক্রি করা হয় ১২০০ টাকা। ডিএপি সার সরকারি মূল্য ১০৫০ টাকা, বিক্রি করা হয় ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা।

          দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধির হাতে খুচরা সার বিক্রেতাদের তিনটি অডিও রেকর্ড রয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে সার বিক্রির ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র। খুচরা সার বিক্রেতাদের অভিযোগ, তারা নামমাত্র সার বিক্রেতা। নিয়ম অনুযায়ী সার বণ্টন করা হয় না। বেশি দামে বাহিরে সার বিক্রি করে ডিলার। তাদেরকে সামান্য কিছু সার দিলেও তাও সরকার নির্ধারিত মূল্যে দেওয়া হয় না।

          তারা আরও বলেন, রাঙ্গাবালী কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে সবকিছু জানে। তাদের পক্ষ থেকে নেই কোনো তদারকি।

          অভিযুক্ত রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন ডিলার ফারুক লাহারীর একটি অডিও রেকর্ড আমার দেশের প্রতিনিধির কাছে এসেছে । সেখানে সে ক্রেতাকে বলে, “আমার কাছে কোনো সার নাই। আমার কাছে সার আগামী মাসে পাবেন।” ক্রেতা বলেন, “আমি অগ্রিম টাকা দিলে আমাকে সার দিতে পারবেন?” তিনি বলেন, “পারবো, কিন্তু সারের দাম দিতে হবে ১৪০০ টাকা।” এছাড়া তাকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা ভোলা থেকে সার আনেন, রাঙ্গাবালী সার নাই।”

          তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ১৭ তারিখ রাতে তার গুদামে এক হাজার বস্তা সার আসলে অগ্রিম টাকা দেওয়া কৃষকদেরকে সার দিয়ে দেয়। কিন্তু সার পায়নি ক্ষুদ্র কৃষকরা।

          ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন ডিলার রিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রুহুল মাস্টার বলে, “আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে এর কোনো সত্যতা নেই। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করি। খুচরা বিক্রেতারা কে কিভাবে সার বিক্রি করে আমার জানা নেই।”

          মেসার্স লাহারি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফারুক লাহারীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, “আমি সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করি। বেশি দামে বিক্রি করে থাকলেও এটা ভুলত্রুটির কারণে হতে পারে।”

          রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানায়, “অভিযোগের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখবো। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।”

          উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব দাশ পুরকায়স্থ বলেন, “অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি ভালোভাবে আমি দেখবো।”

          তথ্যসুত্রঃ

          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            জামিন অযোগ্য মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দাবির পর হিন্দু নেতার জামিন



            জামিন অযোগ্য মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ৬ষ্ঠ আদালত তাকে এই জামিন দেন। তাকে আদালতে তোলার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ তার মুক্তির দাবি জানায়।

            চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূইয়া এই জামিনকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

            তিনি আমার দেশকে বলেন, জামিন অযোগ্য ধারায় নিম্ন আদালত কীভাবে জামিন দিল, আমার বোধগম্য নয়। একই ধারায় সাধারণ মানুষ মাসের পর মাস হাজতে থাকে। কিন্তু এ মামলায় বিচারিক আদালতের এমন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ।বিস্ফোরক, হামলা-এ ধরনের মামলায় সাধারণত হাইকোর্ট ছাড়া জামিনের নজির প্রায় নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত আইনি প্রয়োগে বৈষম্যের একটি উদাহরণ।

            মঙ্গলবার প্রদীপ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। ওসি আবদুল করিম জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, সেই মামলায় তিনি তদন্তে প্রাপ্ত আসামি। তাকে আমরা গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছিলাম। জামিন অযোগ্য মামলায় কীভাবে জামিন-প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের

            বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলার শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সংগঠক হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের একজন, তখন আহত হওয়া বর্তমানে এনসিপির যুবশক্তির নেতা হুজ্জাতুল ইসলাম সাঈদ আমার দেশকে বলেন, যে মানুষটি আমাদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল, বিস্ফোরক মামলাসহ এত অভিযোগ যার নামে, তিনি এক ঝটকায় জামিন পেয়ে গেলেন। আদালত কি শুধু প্রভাবশালী মানুষের জন্য? আমরা সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাব কোথায়?

            রাকিব হাসান নামে আরেকজন আন্দোলনকারী বলেন, আমরা থানায় গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও মামলা করতে পারিনি। অথচ যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তারা ঘণ্টা না পেরোতেই জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসে। এই বিচারব্যবস্থা আমাদের ভরসা কেড়ে নিচ্ছে।

            আইনজীবীদের একটি অংশ বলছেন, বিস্ফোরকসহ অজামিনযোগ্য ধারার মামলায় এত দ্রুত জামিন ‘অস্বাভাবিক’। আদালত কেন এ সিদ্ধান্ত নিলেন-এ নিয়ে আইনজীবী মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

            এক সিনিয়র আইনজীবী নাম প্রকাশ না করে বলেন, একই মামলায় সাধারণ মানুষ মাসের পর মাস জামিনের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয় শক্ত হলে আদালত দ্রুত সাড়া দেয়-এমন ধারণাই আবারও শক্ত হলো।


            তথ্যসুত্রঃ


            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              নোয়াখালীতে সন্দেহের বশে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা আ.লীগ নেতার, গ্রেপ্তার ১




              নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা এ.কে.এম সিরাজ উল্যাহ’র বাড়িতে চোর সন্দেহে এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী।

              গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম মো. লুৎফুর রহমান ওরফে লাতু (৫৯)। তিনি উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যাদবপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম মাস্টার বাড়ির মৃত নজির আহম্মদের ছেলে।

              বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় আসামিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

              এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার যাদবপুর গ্রাম থেকে পিবিআই নোয়াখালীর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

              নিহত মো. আলাউদ্দিন (২৬) উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাটইয়া গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।

              পিবিআই জানায়, ২০২৪ সালের ১ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান এ.কে.এম সিরাজ উল্যার বাড়ির পুকুরের ঘাটলায় চোর সন্দেহে আলাউদ্দিনকে আটক করে তার বাড়ির কেয়ারটেকার লাতু। পরে চেয়ারম্যান সিরাজের নির্দেশে লাতুসহ এজাহারনামীয় অপর আসামিরা লোহার রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করে আলাউদ্দিনকে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে বিচার আরও বাকি আছে বলে চেয়ারম্যান সিরাজের বসতবাড়ির সামনে দোতলা আজিমা দরবার হলে আল্লাউদ্দিন আটকে রাখে। ওইদিন গভীর রাতে আলাউদ্দিন পালিয়ে গিয়ে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

              পিবিআই আরও জানায়, এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৫ দিন পর ৬ মে বিকেলে সে মারা যান। এ.কে.এম সিরাজ উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা তৎকালীন রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ঘটনার মীমাংসা করাসহ ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। ওই আশ্বাসে নিহতের অসহায় বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনেরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভিকটিমের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেন। ১ নম্বর আসামি বা তার স্বজনেরা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কোনো সমাধানের উদ্যোগ না নিলে পরবর্তীতে আদালতে নিহতের মায়ের দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে ১৩ জুন মৃত্যুর ৩৬ দিন পর ভিকটিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

              মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (পিবিআই নোয়াখালী) রাশেদুল হক বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় আমার দেশকে জানান, আলাউদ্দিনের মৃত্যুর পর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উল্লাহ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সমঝোতা করে দেবে মর্মে নিহতের স্বজনদের মামলা করতে দেননি। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৬ জুন নিহতের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ পলাতক রয়েছে।

              নোয়াখালী পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ মাস নিবিড় তদন্তে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা নিয়ে মামলার তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


              তথ্যসুত্রঃ

              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কর্কশিট কারখানায় আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


                নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মোর্শেদ খন্দকারের মালিকানাধীন আয়েশা ইপিএস ইনসোলেশন লিমিটেড-এর একটি কর্কশিট তৈরির কারখানা ও গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

                বুধবার দুপুরে বন্দরের লক্ষণখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কারখানার গোডাউনে থাকা মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মালিক পক্ষ।

                স্থানীয়রা জানায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মোর্শেদ খন্দকারের মালিকানাধীন আয়েশা ইপিএস ইনসোলেশন লিমিটেড-এর একটি কর্কশিট তৈরির কারখানা ও গোডাউনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। এ সময় শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে কাজ করছিলেন।

                বন্দর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সঞ্জয় খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা নেই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার মূল কারণ বিস্তারিত পরে বলা যাবে।


                তথ্যসুত্রঃ

                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X