Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২১ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২১ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক



    কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের এলাকায় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে টানা কয়েক ঘণ্টা হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় বাংলাদেশের কয়েকটি বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলি এসে পড়েছে।

    শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় থেমে থেমে মর্টারশেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলি চলে। নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়ার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে।

    হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানায়, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দে সীমান্তবর্তী বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    তিনি আরও বলেন, হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতর থেকে এসব মর্টারশেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলি চালানো হচ্ছে। এ সময় হোয়াইক্যং বাজার সংলগ্ন মোহাম্মদ হোসন, আব্দুল কুদ্দুস ও বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়ে। এছাড়া উত্তর পাড়ার সংলগ্ন নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়লে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।

    হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রুদ্র জানায়, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। কয়েকটি বাড়িতে গুলি পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    ১। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক
    https://tinyurl.com/2e3epdb7
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালো দুর্বৃত্তরা


    গোপালগঞ্জের আদালত পাড়ায় ২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের সড়কের ত্রিমোহনায় এ ঘটনা ঘটে। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

    জানা যায়, শুক্রবার রাত অনুমান ৯টার সময় গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের তিন রাস্তার মোড়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসব পটকা নিক্ষেপের ফলে এলাকাজুড়ে বিকট শব্দ তৈরি হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।



    তথ্যসূত্র:
    ১। গোপালগঞ্জের আদালতপাড়ায় বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ
    https://tinyurl.com/4pytzesf

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কেরানীগঞ্জে একটি টাওয়ারে আগুন



      কেরানীগঞ্জের একটি ১২ তলা ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোরে এই আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

      ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানায়, ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পাওয়ার পর ৫টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর একে একে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ১২টি ইউনিট আগুন নেভাতে অংশ নেয়। ভবনের নিচতলায় আগুন লাগায় ধোঁয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ভবনে অবস্থানকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

      ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

      তথ্যসূত্র:
      ১। কেরানীগঞ্জে জমেলা টাওয়ারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
      https://tinyurl.com/59axswv5
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ইসলামপন্থীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছিল আ.লীগ নেতারা



        পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর দেশের সেনাবাহিনীতে যে আতঙ্ক, অস্থিরতা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তার সুযোগ নেওয়া হয় রাজনৈতিকভাবে। যেসব সেনা অফিসার সৎ, দেশপ্রেমিক ও বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার ছিল তাদের একে একে সেনাবাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ‘তাপস হত্যাচেষ্টা মামলা’র নামে কয়েকজনকে আটক করে নির্যাতনও চালানো হয়।

        এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট, সেনাবাহিনীর ভেতরে ইসলামপন্থী রয়েছে, এমন ধারণা প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য পাঁচজন দেশপ্রেমিক জুনিয়র অফিসারকে টার্গেট করা হয়। তারা বিডিআর বিদ্রোহ দমন, তদন্ত, আলামত সংগ্রহসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানত এবং সব ক্ষেত্রে সোচ্চার ছিল। গত ৩০ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যে প্রতিবেদন জমা দেয়, তাতে এসব তথ্য উঠে আসে।

        স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে, তাপসকে আজীবন নিরাপত্তা দিতে এবং সেনাবাহিনীতে ভয় তৈরি করতে সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘তাপস হত্যাচেষ্টা মামলা’ দাঁড় করানো হয়েছিল। যাতে সেনাবাহিনীর কোনো অফিসার বিডিআর বিদ্রোহে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে মুখ খুলতে না পারে।

        প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর ভেতরে ‘জঙ্গিবাদ’ আছে এ বর্ণনা প্রতিষ্ঠার জন্যই প্রথমবারের মতো ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় সেনাসদস্যদের গুম করা হয়। তাদের এ মামলায় জড়ানো হয় এমনভাবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর আওয়াজ তোলার সাহস না পায়। বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি, আমলা কিংবা বিশিষ্ট নাগরিককে গুম বা হত্যা সবই যাতে বিনা বাধায় করা যায়, সে ফ্যাসিবাদী পরিবেশই তৈরি করা হচ্ছিল। এ ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি ভীত, বিভ্রান্ত ও নিষ্ক্রিয় করে ফেলাই ছিল মূল লক্ষ্য।

        প্রতিবেদনে বলা হয়, তাপস হত্যাচেষ্টা মামলায় বাদী ফজলে নূর তাপস নিজেই সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ভিত্তিহীন ঘোষণা করে। মামলায় কোনো সামরিক অফিসারের নাম ছিল না এটিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়।

        যারা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুবিচারের জন্য সোচ্চার ছিল, সে পাঁচ অফিসার হল ক্যাপ্টেন রেজাউল করিম ও ক্যাপ্টেন খন্দকার রাজীব হোসেন (বরখাস্ত), মেজর হেলাল (বিডিআর মহাপরিচালকের সচিবালয়ের জেনারেল স্টাফ অফিসার-২, সমন্বয়ক), ক্যাপ্টেন সুবায়েল বিন রফিক (ডিজির এডিসি) এবং ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফুয়াদ খান (জেনারেল স্টাফ অফিসার-৩, অপারেশন)।

        পিলখানায় তদন্ত, তদন্ত-সহায়তা ও সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এ অফিসারদের হঠাৎ সরিয়ে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল তাদের হাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করা এবং তাদেরই অপরাধী বানিয়ে ভয়াবহ দৃষ্টান্ত তৈরি করা।

        ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল ফজলে আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ এবং তৎকালীন ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আজিজ এ মামলাকে ভিন্ন খাতে নিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

        সাক্ষ্য অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন রেজাউল করিম ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে র‍্যাব-৩-এর কর্মকর্তা হিসেবে নিউমার্কেট গেট লক্ষ্য করে বিদ্রোহীদের দিকে গুলি ছোড়ে। আদেশ না থাকা সত্ত্বেও উদ্ধার উদ্যোগ নেওয়ার কারণে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। পরে তিনি পিলখানায় নিরাপত্তা দায়িত্ব ও আলামত সংগ্রহের কাজে যুক্ত ছিল। এ সময় ডিজিএফআই ক্যাপ্টেন রেজাকে পিলখানা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

        ক্যাপ্টেন রাজিব, ক্যাপ্টেন ফুয়াদ, ক্যাপ্টেন সুবায়েল ও মেজর হেলাল সবাই বিদ্রোহপরবর্তী সময়ে পিলখানায় দায়িত্ব পালন করছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার অভিযান শুরুর কোনো নির্দেশ না পেয়ে তারা নিজেরাই অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে বিপদাপন্ন সহকর্মীদের উদ্ধার পরিকল্পনা করে। ঘটনাপরবর্তী সময়ে সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার দরবারেও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে তারা।

        সাক্ষ্যে জানা যায়, তদন্তে কোনো আলামত পেলে তা গোয়েন্দা সংস্থার অনুমতি ছাড়া তদন্ত কমিটিকে না দিতে বারবার চাপ প্রয়োগ করা হয়। ক্যাপ্টেন ফুয়াদ বিষয়টি অমান্য করায় গোয়েন্দা সংস্থার রোষানলে পড়ে এবং পরে ডিজিএফআই তাকে তুলে নিয়ে যায়।

        ক্যাপ্টেন সুবায়েল ও মেজর হেলাল তৎকালীন ডিজি বিডিআরের পারসোনাল স্টাফ হিসেবে পিলখানা ছাড়া ছিল অসম্ভব। কিন্তু ডিজির নির্দেশে ছলচাতুরীর মাধ্যমে কর্নেল আজিজ আহমেদ তাদের ডিজিএফআইয়ে রেখে আসে এবং পরে তারা আটক হন।

        এমন অভিযোগ আরো দৃঢ় হয় যখন তাপস হত্যাচেষ্টা মামলায় আটক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডিজিএফআই মৌখিকভাবে গ্রেপ্তার, জেআইসিতে নির্যাতন এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার মতো অভিযোগ ওঠে। তদন্ত আদালতের সামনে উপস্থিত হওয়া কর্মকর্তারা ‘সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া’ অবস্থায় ছিলে—এমন মন্তব্যও দিয়েছে এক ব্রিগেডিয়ার।

        তদন্তের আলামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল মোবাইল যোগাযোগের নকশা, বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও একটি ট্রাংকভর্তি অস্ত্র। কিন্তু সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কমান্ডার সাক্ষ্য দিয়ে জানান, আলামতগুলোর কোনোটিই গ্রহণযোগ্য বা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিশেষ করে ১৬ ইসিবি ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা এক ট্রাংক অস্ত্রের বিষয়ে ইউনিট কমান্ডাররা জানান, ইউনিটে এমন কোনো উদ্ধার অভিযান হয়নি; এটি হলে পুরো ইউনিটে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াত।

        তদন্ত আদালতের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। মোবাইল সিমের মালিকানা নিশ্চিত করা হয়নি। পুলিশের ডিবি অফিসাররাও জানিয়েছে—তাপস হত্যাচেষ্টা ‘ঘটেনি’।

        প্রথম পর্যায়ের তদন্তে কোনো প্রমাণ না পাওয়ার পরও অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের এক মাস ধরে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার পর তাতে টাইপ করা স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়।

        সামরিক আদালতের পরবর্তী ধাপ—সামারি অব এভিডেন্স ও কোর্ট মার্শালে মুখ্য ভূমিকা পালন করে সে কর্মকর্তারাই, যারা তদন্ত আদালতে যোগদান করেছিল তদন্তের মাঝপথে। আটক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্ল্যাকমেইল ও লাঞ্ছনার অভিযোগও পাওয়া যায়।

        প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথাকথিত তাপস হত্যাচেষ্টা মামলার গল্প তাই শেষে দাঁড়ায় একটি সাজানো নাটকে, যার লক্ষ্য ছিল সত্যকে চাপা দেওয়া, সেনাবাহিনীকে স্তব্ধ করে দেওয়া এবং বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মূল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাকে আড়াল করা।

        তথ্যসূত্র:
        ১। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে নিতেই নাটক সাজান তাপস
        https://tinyurl.com/4b628995
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কুষ্টিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেলো বাংলাদেশি যুবকের


          কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শান্ত (২২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন মোহাম্মদপুর ডাংয়েরপাড়া গ্রামের শিপন আলীর ছেলে।

          দৈনিক আমার দেশ ১৩ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে সীমান্ত পিলার ১৫৪/৩-এস এর নিকট মোহাম্মদপুর সীমান্তের ওপারে ভারত ভূখন্ডে এ ঘটনা ঘটে।


          তথ্যসূত্র:
          ১। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেলো বাংলাদেশি যুবকের
          https://tinyurl.com/yc4emtzy
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দুই দিনে চার খুনের মামলায় গোপনে শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন



            দুই দিনে চাঞ্চল্যকর চারটি খুনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে জামিন পেয়েছে চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। তবে বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধরে গোপন রাখা হয়। এর আগে তাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।

            শেষ পর্যন্ত প্রায় আড়াই মাস পর জামিননামাগুলো কারাগারে পৌঁছালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। একাধিক হত্যা ও গুরুতর মামলার আসামি হওয়ায় এখনই তাদের মুক্তি মিলছে না।

            সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০টি খুনসহ মোট ১৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে জোড়া খুন ও প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলার আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলাও রয়েছে। তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের বিরুদ্ধেও একাধিক খুনসহ অন্তত আটটি মামলা রয়েছে।

            জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট চান্দগাঁও থানার দোকান কর্মচারী শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাজ্জাদ ও তামান্নাকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। একই দিন একই বেঞ্চে ১৮ আগস্ট পাঁচলাইশ থানার ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলায় তাদেরসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানার দোকান কর্মচারী মো. ফারুক হত্যা মামলায় এবং একই দিনে আফতাব উদ্দিন তাহসীন হত্যা মামলাতেও তারা জামিন পায়।

            চারটি মামলাতেই কোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন দেয়। যদিও ১৫ ও ২২ সেপ্টেম্বর জামিনের আদেশ দেওয়া হয়, হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী যথাক্রমে ১৮ সেপ্টেম্বর ও ৫ অক্টোবর আদেশে স্বাক্ষর করে। এরপরও সেই জামিননামা চট্টগ্রাম আদালতে পৌঁছায় প্রায় আড়াই মাস পর, ৮ ডিসেম্বর।

            সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জামিন পাওয়ার পরপরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালত বা কারাগারে পাঠানো হয়নি। বরং পদে পদে কৌশল অবলম্বন করে বিষয়টি আড়াল রাখার চেষ্টা করা হয়। জামিন আবেদনে চারটি মামলাতেই নারী হিসেবে সহানুভূতি পেতে তামান্নার নাম এক নম্বরে রাখা হয়। সাজ্জাদের নাম ছিল দুই ও তিন নম্বরে।

            অভিযোগ রয়েছে, তার ভয়ংকর সন্ত্রাসী পরিচয় আড়াল করতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। সাধারণত হাইকোর্ট থেকে জামিন হলে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। পাশাপাশি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের চেম্বার জজ আদালতে জামিন স্থগিত চাওয়ার নজির থাকলেও এখানেও তা দেখা যায়নি।

            জামিনের বিষয়টি স্বীকার করে সাজ্জাদের আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিক জানায়, কারাবন্দি সাজ্জাদ ও তামান্না চারটি মামলায় জামিন পেয়েছে এবং জামিননামা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে হাইকোর্ট থেকে কাগজ চট্টগ্রামে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কারণ সে জানে না।

            চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহ সৈয়দ শরীফ জানায়, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি মামলায় হাইকোর্টের জামিননামা এসেছে। তার স্ত্রী তামান্নার চারটি মামলায় জামিননামা এসেছে। সাজ্জাদ বর্তমানে রাজশাহী এবং তামান্না ফেনী জেলা কারাগারে বন্দি থাকায় সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ওই দুই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

            এর আগে চলতি বছরের ১৫ মার্চ রাজধানী থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন ও চান্দগাঁও এলাকায় ‘ছোট সাজ্জাদ’ বা ‘বুড়ির নাতি’ নামে পরিচিত। সে হুলিয়া নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা বড় সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল।

            সাজ্জাদ গ্রেপ্তারের প্রায় দুই মাস পর, গত ১০ মে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার বাকলিয়া এক্সেস রোড চন্দনপুরা এলাকায় প্রাইভেটকারে গুলি করে জোড়া খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী তামান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় ৫ নভেম্বর প্রকাশ্য বাজারে সরোয়ার বাবলা হত্যাকাণ্ডের পর সাজ্জাদের বিরুদ্ধে কারাগারে বসে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর সাজ্জাদকে রাজশাহী এবং ১৮ নভেম্বর তামান্নাকে ফেনী জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

            তথ্যসূত্র:
            ১। দুই দিনে চার খুনের মামলায় গোপনে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্নার জামিন
            https://tinyurl.com/336w7xsy

            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হাদিসহ ৩ জনের ওপর হামলার আগাম তথ্য জানানো হয়েছিল, ব্যবস্থা নেয়নি সরকার



              গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় আগ্রাসন এবং আওয়ামী লীগের দেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত তিনি।

              তবে শরিফ ওসমান হাদিসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন জুলাই যোদ্ধার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হতে পারে-এমন স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরকারকে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

              টার্গেট কিলিংয়ের ওই তালিকায় হাদি ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ আরও কয়েকজন জুলাই সংগঠকের ওপর হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়।

              সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জনৈক আইনজীবীর সূত্রে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত তথ্য যথাসময়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ উচ্চপর্যায়ের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়। এমনকি খোদ ওসমান হাদিসহ তিন জুলাই যোদ্ধা নিজেরাই হুমকির বিষয়টি সরকারের দায়িত্বশীলদের নজরে আনেন। এছাড়া পৃথকভাবে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওই আইনজীবী নিজেও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা আলাপ করেন।

              সূত্র জানায়, হত্যার হুমকির বিষয়টি নিয়ে ওই আইনজীবী সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে তার কাছে আসা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এ সময় তিনি তথ্য প্রাপ্তির সুনির্দিষ্ট সূত্রেরও উল্লেখ করেন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, পেশাগত কাজে বিশ্বের কয়েকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার হাতে স্পর্শকাতর এসব তথ্য এসেছে। দ্রুততম সময়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বিপদ আসন্ন বলেও সতর্ক করেন তিনি।

              এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন হামলার তথ্য পেয়ে আমরা সরকারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এছাড়া এসব ক্ষেত্রে শুধু ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা বাড়িয়েও তেমন কোনো ফল আসে না। কারণ বিদ্যমান বাস্তবতায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতি করাও সম্ভব নয়। এসব উন্নত দেশগুলোতে চলে।’

              এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বারবার বলেছি-নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের অভিযান চালাতে হবে। বিশেষ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা আদৌ সম্ভব নয়। শুধু কয়েকজন ছিঁচকে চোর ধরেই লোক দেখানো অভিযান সবার জন্য আত্মঘাতী হতে বাধ্য।’

              সূত্র জানায়, ওসমান হাদি, ব্যারিস্টার ফুয়াদ এবং হাসনাত আবদুল্লাহসহ জুলাই সংগঠকদের ওপর হামলার বিষয়ে তথ্য পেয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওই আইনজীবী দ্রুততম সময়ে ঢাকায় আসেন। তিনি সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ, ওসমান হাদি এবং ব্যারিস্টার ফুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

              তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানার পর সংশ্লিষ্টদের কয়েকজন সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করেন। তারা এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানান। এ সময় সরকারের তরফে তাদের বডিগার্ড বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু মাঠের রাজনীতি এবং কর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের কথা বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে চলাফেরার প্রস্তাবে তারা রাজি হননি। হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আগাম তথ্য জানানো যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওই আইনজীবী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

              তথ্যসূত্র:
              ১। হাদিসহ ৩ জনের ওপর হামলার আগাম তথ্য সরকারকে জানানো হয়েছিল
              https://tinyurl.com/5am3s2hw
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তির আগেই অপরাধ চক্রে চট্রগ্রামের সাবেক বিএনপি নেতা সবুজ



                চট্রগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, খুলশী থানা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ৩৫টি মামলার আসামি, বহিষ্কৃত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. সবুজ ওরফে বার্মা সবুজ এবার জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তির আগেই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।

                জানা যায়, তার জামিনের দিন গত ৪ ডিসেম্বরই নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় দুই কাস্টমস কর্মকর্তার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তার ইন্ধনেই হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা তারই সহযোগী। হামলার সময় রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর গুলি করারও নির্দেশ দেয় হামলকারীদের একজন। পুলিশ এ ঘটনায় গতকাল রাতে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল হোতা পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী বার্মা সবুজসহ অপর এক হামলকারী।

                এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর সকাল দশটায় কাস্টমস কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও বদরুল আরেফিন ভূঁইয়্যাকে বহনকারী একটি প্রাইভেটকার আটকে হামলা করা হয়। এতে কোনমতে প্রাণে বাঁচেন দুই রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান ও বদরুল আরেফিন ভূঁইয়্যা। এসময় তাদের গাড়ির গ্লাসে চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়া হয় এবং দরজায় লাথি মারা হয়। পরে এক যুবককে গুলি কর, গুলি কর, বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। এসময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন পালিয়ে যায়। পাশে আরও একটি মোটরসাইকেলও দেখা যায়। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে কাস্টমস কর্মকর্তারা থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা করেন।

                একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় মোট ছয়জন অংশ নেয়। তারা তিনটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। তারা সবাই শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সবুজ ওরফে বার্মা সবুজের অনুসারী। অভিযোগ ওঠেছে, ইতিমধ্যে হামলায় অংশ নেওয়া সোহাগকে বাইরে নিরাপদে সরিয়ে দিয়েছেন বার্মা সবুজ।

                কাস্টমস কর্মকর্তারা জানায়, আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ ও ঘনচিনি, নিষিদ্ধ কসমেটিকসসহ একাধিক অবৈধ চালান তারা আটক করেছে। এসব ঘটনায় হামলার শিকার দুই রাজস্ব কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এতে অনেকে তাদেরকে টার্গেট করে হামলা করতে পারে। এ ঘটনায় কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় আছেন বলে জানিয়েছে একাধিক কর্মকর্তা। ধারণা করা হচ্ছে, চোরকারবারীরা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হত্যা করতে চেয়েছিল।

                খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ জুন শীর্ষ সন্ত্রাসী বার্মা সবুজ বায়েজিদের হিলভিউ কলোনী থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে সে পাঁচ মাস ধরে কারাগারে ছিল। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা, চাঁদাবাজি, হামলাসহ ৩৫টির বেশি মামলা রয়েছে। কারাগারে থাকাকালে তার সাথে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সাথে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ডিল হয়। বর্তমানে সাজ্জাদের হয়ে বার্মা সবুজ কাজ করছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এমনকি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা তার দলে যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

                চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ জানান, আমরা সত্যিকার অর্থে উদ্বিগ্ন। জড়িত সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পারলেই আমরা মনে করব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের নিরাপত্তা দিতে পেরেছে। অন্যথায় দেশের জন্য কাজ করতে কমিশনাররা উৎসাহিত হবেন না। তারা মানসিকভাবে যেন ভেঙে না পড়েন সেটাই আমরা চাই। আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যে আমদানি আটকে দেওয়া ও কয়েকটি চালান আটকের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে চোরাকারবারীরা এসব করছে।

                তথ্যসূত্র:
                ১। জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তির আগেই অপরাধ চক্রে সন্ত্রাসী সবুজ
                https://tinyurl.com/2fe4vkz3
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X