Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৪ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৪ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    কাশ্মীরে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর ভয়াবহ দমন অভিযান অব্যাহত; নির্বিচারে অভিযানে অন্তত ২০০ জন নিরীহ কাশ্মীরি আটক



    ভারতীয় দখলদার বাহিনী আবারও কাশ্মীরে ভয়াবহ দমন অভিযান চালিয়েছে। স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরিদের দমন ও ভয় দেখানোর লক্ষ্যে উপত্যকা জুড়ে নির্বিচারে অভিযান চালিয়ে অন্তত ২০০-রও বেশি নিরীহ নাগরিককে আটক করেছে।

    গত ১৪ ডিসেম্বর কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের ওভার-গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বা “OGW” হিসাবে চিহ্নিত করেছে। যা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা-কর্মীদের আত্মীয়স্বজন বা স্বাধীনতাকামীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে দখলদার ভারতীয় বাহিনীর নব-আবিষ্কৃত শব্দ। সাধারণ কাশ্মীরিদের যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে জুলুম নির্যাতন চালানোর ন্যায্যতা প্রমাণ করার জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনী এই শব্দটি তৈরি করেছে৷

    তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দখলদার বাহিনী নিরীহ বেসামরিক মুসলিমদের ‘সন্ত্রাসী সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে। এছাড়া মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দখলদার ভারতীয় বাহিনীর এই তল্লাশি অভিযানগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া।

    তথ্যসূত্র

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মানিকগঞ্জে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালো আওয়ামী দুর্বৃত্তরা



    মানিকগঞ্জে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধানে শহরের পৃথক দুই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রথমে শহরের জেলা পরিষদ এলাকায় এবং পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর সাধারণ মানুষ দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে এবং অনেক দোকানপাট দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়।

    এদিকে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে এমন ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

    তথ্যসূত্র:
    ১। মানিকগঞ্জে ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
    https://tinyurl.com/4damzkwa
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকা আরেকজনকে চিহ্নিত



      শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকা সন্দেহভাজন আরেকজনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। সে হাদির নির্বাচনি প্রচারে উপস্থিত থাকত এবং হাদিকে গুলিবর্ষণকারী মূল সন্দেহভাজন দুইজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।

      একটি ডিজিটাল অনুসন্ধানী মিডিয়া বরাতে ১৬ ডিসেম্বর এই তথ্য জানিয়েছে দৈনিক আমার দেশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্দেহভাজন তৃতীয় ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার নাম জাকির হোসেন ওরফে ‘জিন জাকির’। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের শৌলমারীতে। সে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় থাকত।

      এদিকে, এই তিনজনকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ফেসবুকে হাদির একটি যৌথ ছবি পোস্ট করে এই আহ্বান জানায় ইনকিলাব মঞ্চের এই নেত্রী। ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, হাদির পাশে আরো পাঁচ ছয়জন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে নীল বৃত্ত দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছেন জুমা।

      ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, এই তিনজনকে যে কোনো মূল্যে ধরিয়ে দিন। বাংলাদেশের জনতা আপনারাই ইনকিলাব কর্মী, আপনারাই এই ভার হাতে নিন। প্রশাসন কোথায় আমাদের আপডেট দেবে, তা না করে উলটো আমাদের কাছেই আপডেট চাইছে।

      ছবিতে গোল চিহ্নিত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় আগেই জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন হাদিকে গুলিবর্ষণকারী মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ আর অন্যজন তার বাইকচালক আলমগীর হোসেন।

      তাদের উভয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা চাপদাড়ি মুখের ব্যক্তিটি জাকির হোসেন। গত বছর অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা হয়। সেই রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

      এরপর, একই মাসে ২৭ তারিখ কামাল হোসেন নামক এক ব্যক্তি জাকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গাবতলী থানায় আরেকটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। এর আগে, ১৩ অক্টোবর ডিএমপির ফেসবুক পেজে জাকির হোসেন ও তার দুই সহযোগীর ছবি পোস্ট করা হয়।

      ডিএমপির ওই পোস্টে বলা হয়, ১২ অক্টোবর ২০২৪ দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় সরাসরি জড়িত তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দুই লাখ বিশ হাজার নগদ টাকা, প্রায় চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও দুটি আইফোন উদ্ধার করা হয়।

      ডিএমপি তাদের নাম জানায়- শরীফুল ইসলাম তুষার (৩৫), জাকির হোসেন (৩৭) ও মাসুদুর রহমান (৪৭)। মামলার এজাহারে জাকিরের নাম লেখা রয়েছে ‘জাকির হোসেন ওরফে জিন জাকির’।

      ফেসবুকে জুমা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ছবি চিহ্নিত করে পোস্ট করার পর অনুসন্ধানী টিম গাবতলী থানায় মামলা দায়েরকারী কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ডিএমপির পেজে প্রকাশিত ছবি এবং জুমার পোস্ট করা হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ফয়সাল ও আলমগীরের মাঝখানের ব্যক্তির ছবি পাঠিয়ে তাকে ‘চেনেন কি না’ প্রশ্ন করে। উত্তরে তিনি জানায়, ছবি দুটিতে থাকা একই ব্যক্তি তার বাসায় ২০২৪ সালে ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয়। তার নাম ‘জিন জাকির’ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা করার কথা নিশ্চিত করেন কামাল হোসেন।

      তিনি বলেন, আমার বাসায় তারা কয়েকজন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঢুকে ডাকাতি করেছিল। এরপর মোহাম্মদপুরে আরেক ডাকাতির ঘটনায় তাদেরকে পুলিশ আটক করলে আমাকে ডেকে নেয় পুলিশ। তখন এই জিন জাকিরকে আমি চিহ্নিত করি।

      প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট ওমর সাদমানীর পিটিশনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি আতাউর রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ গত জুলাই মাসে জাকির হোসেনের জামিন মঞ্জুর করলে ওই মাসেই সে কারাগার থেকে বের হয়।

      এর আগে, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মোহাম্মদ ওসামা জানান, হাদির ওপর গুলিবর্ষণে জড়িত ব্যক্তিরা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার নির্বাচনি প্রচার টিমে যুক্ত হয়েছিল। তবে, ওই দুই ব্যক্তিকে মাঝখানে কয়েকদিন প্রচারে দেখা যায়নি। পরে আবার কয়েকদিন আগে তারা ফিরে এসে নির্বাচনি প্রচারের কাজে যুক্ত হয়।

      তথ্যসূত্র:
      ১। হাদি হত্যাচেষ্টা: নির্বাচনি প্রচারে থাকা আরেক সন্দেহভাজন চিহ্নিত
      https://tinyurl.com/3j553xw7
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কলকাতায় মুসলিম প্যাটিস বিক্রেতার উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নির্মমতা


        কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের কাছে রাস্তায় দুই মুসলিম প্যাটিস বিক্রেতাকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এর সাথে সম্পৃক্ত ‘সনাতন সাংস্কৃতিক সংসদ’ এর একদল সদস্য নির্মমভাবে মারধর করে। গত ১১ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম মুসলিম মিররের তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগের বাসিন্দা শেখ রিয়াজুল এবং তিলজালার মুহাম্মাদ সালাউদ্দিন ২২ বছর ধরে সেই এলাকায় সবজি এবং মুরগীর মাংসের প্যাটিস বিক্রি করে আসছিল। আক্রমণকারীরা তাদের নাম জিজ্ঞেস করে, মুসলিম নাম শুনে এবং “গীতা পাঠ” প্রোগ্রামের পাশে দাড়িয়ে চিকেন প্যাটিস বিক্রি করার অজুহাত দেখিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে।
        তথ্যসূত্র
        https://tinyurl.com/58rddtd7
        https://tinyurl.com/yc4xj5jh
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বিহারে মুসলিম কাপড় ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা



          ভারতের বিহার প্রদেশের নালন্দা জেলার নাওয়াদা এলাকায় এক মুসলিম কাপড় বিক্রেতাকে একদল হিন্দুত্ববাদী নৃশংসভাবে পিটিয়ে আহত করার ৬ দিন পর গত ১২ ডিসেম্বর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

          ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম মুসলিম মিররের তথ্যমতে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ৪০ বছর বয়সী মোহাম্মদ আতহার হুসেন ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাওয়াদার গ্রাম এলাকায় পোশাক বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

          তার মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে, তিনি বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে চার থেকে পাঁচজন লোক তাকে থামিয়েছিল, তার পকেট পরীক্ষা করেছিল, তাকে একটি ঘরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল এবং তাকে তার মুসলিম পরিচয় প্রকাশ করতে বাধ্য করেছিল।

          হামলাকারীরা তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে, তার আঙ্গুল ভেঙে দেয়, তার বুক পদদলিত করে, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং কান ছুরি দিয়ে কাটার চেষ্টা করে, তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে, তার উপর পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া হামলাকারীরা তার ধর্ম নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্যান্ট খুলে পরীক্ষা করে।

          উল্লেখ্য, বিহারের একই এলাকায় এই বছরেই আরও দুইয়ের অধিক এমন ঘটনার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যম মুসলিম মিরর।

          তথ্যসূত্র
          https://tinyurl.com/5fc3ytu2
          https://tinyurl.com/j87585kr
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আরও দুই কাশ্মীরি মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে দখলদার ভারত




            UAPA কালো আইনের আওতায় আরও দুই কাশ্মীরি মুসলিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারত নিযুক্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা’র প্রশাসন। তারা হলেন, ডোডা জেলার মঙ্গোটা গ্রামের জাহিদ হুসেন এবং শ্রীনগর জেলার শালতাং এলাকার ফায়াজ আহমেদ বাট। যারমাঝে একটি তিনতলা আবাসিক বাড়িসহ ফায়াজ আহমেদ বাটের সম্পদের মুল্য প্রায় 2 কোটি রুপি।

            গত ১১ ডিসেম্বর কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

            উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ স্বাধীনতা মর্যাদা বাতিলের পর থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দখলকৃত অঞ্চলে শত শত কাশ্মীরির বাড়ি, দোকান, কৃষিজমি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করছে। পরে এসব সম্পত্তি ইসরায়েলি কায়দায় অ-স্থানীয় হিন্দুদের হাতে তুলে দিচ্ছে।


            তথ্যসূত্র

            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X