Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৬ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৬ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৭ হিজরি || ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    প্যারাট্রুপিংয়ে অংশ নিয়েছিল জুলাই আন্দোলনকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দেয়া সেনা কর্মকর্তা



    বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় আয়োজনে অংশ নেওয়া এক প্যারাট্রুপারকে ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই প্যারাট্রুপার হল মোহাম্মদ ইবনুল ইসলাম অভি। সে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জুলাই আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ধারাবাহিক রাজনৈতিক পোস্ট দেয়।

    ১৮ ডিসেম্বর দৈনিক আমার দেশের বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি পোস্টগুলো ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। এসব পোস্টে কোথাও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ‘মৌলবাদী’ বলা হয় আবার কোথাও আক্রমণাত্মক ভাষায় ‘গর্দান নেওয়ার’ ইঙ্গিতও দেখা গেছে, যা নিয়ে জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

    জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর প্যারাট্রুপিং দলে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর পাশেই ছিল প্যারাট্রুপার অভি। মূলত ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সমালোচনা শুরু হয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভি ফেসবুকে ইংরেজিতে ‘ibnulovhi ibnulovhi’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে ও পরে একাধিক পোস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ হিসেবে আখ্যা দেয়। একই সঙ্গে হাসিনার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে একাধিক পোস্ট দেয়। সর্বশেষ ২ ডিসেম্বর সে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মুজিববাদী বক্তব্যসংবলিত একটি পোস্ট দেয়। এর আগে ১২ নভেম্বরের একটি পোস্টে সে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং গাজীপুর চৌরাস্তার মতো স্পর্শকাতর স্থানে সহিংসতার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে। ওই পোস্টে শামীম ওসমান এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নাম উল্লেখ করে ‘বড়ই অভাব’ কথাটি ব্যবহার করা হয়।

    এছাড়া ১৬ আগস্ট শেয়ার করা আরেকটি পোস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি প্রসঙ্গে শরীফ ওসমান হাদির একটি ফটোকার্ডে সে লেখে, পাক বাহিনীর নাপাক পানিতে তোর মতো হাজার হাজার হাদি পয়দা হয়েছে বর্তমান এই বাংলায়। ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ‘মৌলবাদীদের গর্দান নেওয়া’-সংক্রান্ত মন্তব্যও দেখা যায়। তার ওই ফেসবুক আইডি গত ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তবে, এসব পোস্টের স্ক্রিনশট ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

    জানা গেছে, প্যারাট্রুপার অভির বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায়। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, তার বড় ভাই ইমরুল রাফি ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী ছিল এবং পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।

    এলাকার বাসিন্দা আবদুল হাকিম জানায়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সময় তার ভাই সরাসরি জড়িত ছিল। ওই সময় অভিও ফেসবুকে ছাত্র-জনতাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে একাধিক পোস্ট দেয়।

    রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে অংশ নেওয়া একজন সেনাসদস্যের এমন প্রকাশ্য রাজনৈতিক অবস্থান এবং সহিংস বক্তব্য সামাজিক ও নিরাপত্তাগত দিক থেকে কতটা উদ্বেগজনক, সে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

    তথ্যসূত্র:
    ১। জুলাই আন্দোলনকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দেওয়া প্যারাট্রুপার অভি আলোচনায়
    https://tinyurl.com/46rtwc2v
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    চলে গেলেন জুলাই বিপ্লবী ওসমান হাদি


    জুলাই বিপ্লবী ওসমান হাদি ১৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ইন্তেকাল করেন। ওসমান হাদির ভাই ওমর হাদি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লেখা হয়েছে, “ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।”

    গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে মোটরসাইকেল আরোহী আওয়ামী লীগ দুর্বৃত্তরা।

    ঘটনার পর হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে একটি অপারেশন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার নেওয়া হয় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে।
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বিপ্লবী ওসমান হাদীকে মহান আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুন: শায়েখ আহমাদুল্লাহ


      ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন শায়েখ আহমাদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ।

      বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া পোস্ট তিনি লিখেছেন, ‘বিপ্লবী ওসমান হাদিকে মহান আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার সাহসিকতা থেকে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়ার তাওফিক দান করুন।’

      পোস্টে কমেন্ট বক্সে তিনি আরও লিখেছেন, ‘এমন মৃত্যু সত্যিই ঈর্ষণীয়। পরিণতি জেনেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীনতার এরচেয়ে উত্তম উদাহরণ নিকট অতীতে বিরল। মৃত্যুভয় জয় করে শাহাদাতের এমন আকাঙ্ক্ষা লালন করতে কেবল আদর্শ মুসলিম তরুণরাই পারে। হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে তুমি এমন স্বার্থক মৃত্যু দান করো।

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আমি চলে গেলে আমার সন্তান লড়বে, বলেছিলেন ওসমান হাদি






        ‘মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে না, আসমানে হয়। আমি চলে গেলে আমার সন্তান লড়বে, তার সন্তান লড়বে।’– কথাগুলো চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর এভাবে বলেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। জুলাইয়ের এই অগ্রনায়ক গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ওসমান হাদির জনপ্রিয় বক্তৃতার মধ্যে রয়েছে, ‘যুগ হতে যুগান্তরে আজাদির সন্তানেরা স্বাধীনতার পতাকা সমুন্নত রাখবেই। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই! আমরা তো শাহাদাতের জন্যই মায়ের উদর হতে পৃথিবীতে পা রেখেছি।’

        হাদির সাহসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুসারীরা। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের কাছে তিনি চক্ষুশূল। সব কিছু মিলিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে আলোচিত নাম ওসমান হাদি। তিনি শেখ হাসিনার পতনের পর জনপরিসর থেকে সরে যাননি। বরং দিনে দিনে তার রাজনৈতিক অবস্থান আরও স্পষ্ট এবং জনপ্রিয় করে তুলেছেন। রাজপথে নানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরব থেকেছেন। হাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

        তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকার জন্য তিনি পরিচিতি পান। জুলাই অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখদের নিয়ে গঠন করা হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর সদস্য ছিলেন হাদি। যদিও পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি গঠন হলেও সেখানে যাননি তিনি। অভ্যুত্থানের পর হাদি নিজেই ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, জুলাইয়ে হামলাকারীদের বিচার ও অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে নানা সময়ে মিছিল, সমাবেশ এবং অনশনের মতো কর্মসূচি হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে। এসব কর্মসূচির সামনে থেকেছেন ওসমান হাদি। সব ধরনের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ এই প্ল্যাটফর্মের ঘোষিত লক্ষ্য।

        আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ হাদি ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর বলেছিলেন, ‘এই রায় পুরো পৃথিবীর জন্য নজির স্থাপন করেছে’। ওসমান হাদি লেখালেখি করেন সীমান্ত শরিফ নামে। ‘লাভায় লালশাক পুবের আকাশ’ নামে একটি কবিতার বই আছে তাঁর। কোচিং সেন্টার সাইফুরসের শিক্ষক ছিলেন হাদি। সাইফুরস প্রকাশনী থেকেও একটি ইংরেজির বই বের হয়েছে তাঁর। চলতি বছর এনসিপির ডাকা মার্চ টু গোপালগঞ্জ কর্মসূচিতে হামলা হলে হাদি তীব্র ভাষায় বক্তব্য দেন, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে তিনি এও বলেন, ‘এগুলো গালি নয় মুক্তির মহাকাব্য।’ পাশাপাশি দুঃখপ্রকাশও করেন।


        গত নভেম্বরে ফেসবুকে হাদি লিখেছিলেন, দেশি-বিদেশি অন্তত ৩০টি ফোন নম্বর থেকে তিনি হত্যার হুমকি পেয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের খুনি সমর্থকরা তাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখছে। জীবননাশের আশঙ্কা সত্ত্বেও তিনি ইনসাফের লড়াই থেকে পিছিয়ে যাবেন না।

        তথ্যসূত্র:
        ১। আমি চলে গেলে আমার সন্তান লড়বে, বলেছিলেন হাদি
        https://tinyurl.com/547ce3mz
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X