Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০২ রজব, ১৪৪৭ হিজরি || ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০২ রজব, ১৪৪৭ হিজরি || ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী

    উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবের পর ভারতে ভিসা সার্ভিস বন্ধ




    ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে হিন্দু জঙ্গিদের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ কর্মরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের হত্যার হুমকি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে।

    দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একাধিক সূত্র বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আমার দেশকে বলেছে, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বারবার অনুরোধ জানানোর পরও দিল্লি তাতে কর্ণপাত করেনি, বরং দিল্লির উসকানিতেই বাংলাদেশ মিশনগুলোতে হামলার পরিধি আরো জোরালো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভিসা সার্ভিস বন্ধের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

    সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দিল্লির পক্ষ থেকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে হাইকমিশনের কার্যক্রম সীমিত করাসহ আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। দিল্লি ছাড়াও গৌহাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ ভিসা সেন্টারে হামলা চালিয়ে তছনছ করে দিয়েছে হিন্দু জঙ্গিরা। ফলে সেখানকার ভিসা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।

    পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে শত শত উগ্রবাদী হিন্দুরা কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে আক্রমণের চেষ্টা চালায়। তবে, পুলিশি বাধার কারণে তারা সফল হয়নি। শুভেন্দুর নেতৃত্বে উগ্রবাদী হিন্দুরা বাংলাদেশ মিশনের ২০০ মিটারের ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে চরম উসকানিমূলক বাংলাদেশবিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এখন ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

    বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উসকানি বন্ধের পাশাপাশি বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানোর পরও দিল্লির পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে ঘিরে হিন্দু জঙ্গিরা যে ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা মোদি সরকারের সমর্থনেই ঘটছে। মোদি সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গসহ আরো কয়েকটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোটারদের টানতে চাচ্ছে।

    কলকাতার একাধিক কূটনীতিক সূত্র আমার দেশকে জানিয়েছে, সোমবার বেলা দুটার দিকে লক্ষণ বানশালের নেতৃত্বে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং হিন্দু জাগরণ মঞ্চের অন্তত ৮০০ থেকে ১০০০ হিন্দু জঙ্গি নানা ধরনের বাংলাদেশবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিলিগুড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ ভিসা সেন্টার অভিমুখে যাত্রা করে সেখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের কোনো রকম বাধা ছাড়াই ভিসা সেন্টারে উপস্থিত হয়। উগ্রবাদী হিন্দুরা ভিসা সেন্টারের কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে বলে, এখানে বাংলাদেশ ভিসা সেন্টারের কোনোরকম কার্যক্রম চালানো যাবে না। অবিলম্বে এটা বন্ধ করে দিতে হবে। তারা এক পর্যায়ে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে দিতে ভিসা সেন্টারে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ভিসা সেন্টারের বাইরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও এ সময়ে ঘটে।

    সোমবার বিকালে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের কয়েকটি উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার বেগ বাগান মোড়ে শত শত উগ্রবাদী হিন্দু বিক্ষোভকারী মিছিল করে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের দিকে যেতে থাকে। তবে প্রায় ২০০ মিটার দূরেই তাদের আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ।

    নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকালই (২২ ডিসেম্বর) আসামের গোহাটিতে বাংলাদেশ মিশনে ভারতীয়দের জন্য ভিসা সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিশনের একজন কর্মকর্তা সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার দেশ-কে বলেন, আজ (গতকাল সোমবার) আসামের বাঙালি পরিষদের ব্যানারে বিভিন্ন জেলায় উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে-এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে উগ্রহিন্দুরা বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভে নামে। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ বিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। তবে গোহাটিতে বাংলাদেশ মিশনে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।

    এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে ২৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং মুম্বাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

    গত শনিবার রাতে দিল্লিতে একদল হিন্দু উগ্রবাদী ভারত সরকারের ‘সম্মতিতে’ নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে বাংলাদেশ হাউসে হামলা এবং হাইকমিশনারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে চরম অস্থিরতা শুরু হয়। তারপর অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে হামলার কারণে স্মরণকালের মধ্যে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।

    এ সময় সেখানেই বসে পড়ে শুভেন্দু অধিকারীসহ হিন্দু সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। সেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা অভিযোগ করে বলে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সে বলে, আগামী দিনে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে বাংলাদেশ হাউসের মূল ফটকের সামনে এসে বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে হত্যার হুমকি নজিরবিহীন ঘটনা। অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্রসেনার অন্তত ২০ থেকে ২৫ জনের একটি উগ্রবাদী দল চার থেকে পাঁচটি গাড়িতে করে সব নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে বাংলাদেশ হাউসের মূল ফটকের সামনে চলে আসে। এ সময় তারা বাংলাদেশবিরোধী উগ্র স্লোগান দিতে থাকে। তাদের মধ্যে কয়েকজন চিৎকার করে হাইকমিশনারের উদ্দেশে বলতে থাকে, ‘শালাকে গুলি করে মার’।

    এ ঘটনা যখন ঘটছিল তখন বাংলাদেশ হাউসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা নীরবে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের সেখানে আসতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি নিরাপত্তা কর্মীদের পক্ষ থেকে। এ সময় হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ হাউসেই অবস্থান করছিলেন। হাইকমিশনার ও তার পরিবারের সদস্যরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ছিলেন তখন। কারণ, এই উগ্রবাদীদের ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনী কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। রাতের আঁধারে চাণক্যপুরী অর্থাৎ কূটনৈতিকপাড়ায় কীভাবে উগ্র হিন্দুরা বিক্ষোভ করতে পারল তা একটি বড় প্রশ্ন। কারণ, কর্তৃপক্ষের সম্মতি ছাড়া কোনোভাবেই এ সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা সম্ভব নয়।

    গত রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক জরুরি ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ হাউসের সামনে উগ্রবাদী হিন্দুদের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে আসতে দেওয়া হয়েছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসব উগ্রবাদী শুধু বিক্ষোভ করে চলে যায়নি, তারা আরো অনেক কিছু করেছে। হাইকমিশনার ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ছিলেন। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।

    হামলার ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দিল্লির ব্যাখ্যা আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। দিল্লি বিষয়টিকে যত সহজে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে বাস্তবে বিষয়টি তত সহজ নয়।

    ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত বলছে ২০-২৫ জনের একটি দল সেখানে গিয়েছিল। হতে পারে সংখ্যাটি আরো বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকায় হিন্দু চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা এতদূর কীভাবে প্রবেশ করল? এর অর্থ দাঁড়ায়, কোনো না কোনোভাবে তাদের সেখানে আসতে দেওয়া হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

    তৌহিদ হোসেন আরো বলেন, বিষয়টি শুধু স্লোগান দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হাইকমিশনের ভেতরে একটি পরিবার বসবাস করে। হাইকমিশনার ও তার পরিবার সেখানে থাকেন। তারা হুমকি অনুভব করেছেন এবং আতঙ্কিত হয়েছেন। সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না; মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। তিনি বলেন, কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন রয়েছে, এ ঘটনায় তা যথাযথভাবে পালিত হয়নি।

    বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনে দিল্লিতে মিশনের কার্যক্রম ছোট করে আনার চিন্তা রয়েছে কি না—এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    তথ্যসুত্রঃ

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের কর্ণাটকে দলিত শ্রেণির পুরুষ বিয়ে করায় গর্ভবতী নারীকে হত্যা করেছে তার স্বজনেরা


    ভারতের কর্ণাটকে হুব্বাল্লি তালুক অঞ্চলে দলিত শ্রেণিভুক্ত পুরুষকে বিয়ে করায় গর্ভবতী নারীকে হত্যা করেছে তার স্বজনেরা। হত্যার শিকার এই হিন্দু মহিলার নাম মানিয়া, বয়স ১৯ বছর। মৃত্যুর সময় সে ৬ বা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গত ২১ ডিসেম্বর উক্ত অঞ্চলের ইনাম-বীরাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ সূত্র জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে একই গ্রামের দলিত হিন্দু যুবক বিবেকানন্দ ও মানিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সনাতন ধর্মের কুপ্রথা অনুযায়ী, মহিলাটি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ভুক্ত, অপরদিকে তার স্বামী নিচু জাত তথা দলিত শ্রেণিভুক্ত। তাই এই বিয়েতে মহিলার স্বজনেরা তীব্র বিরোধিতা করে। স্বজনদের হুমকির মুখে এই দম্পতি নিজ গ্রাম থেকে দূরে এক আত্মীয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিল। তবে গত ৮ ডিসেম্বর তারা নিজ গ্রামে ফিরে আসে।

    গত ২১ ডিসেম্বর মেয়ের সাথে দেখা করার অজুহাতে তার পিতা, ভাইয়েরা স্বামী বিবেকানন্দের ঘরে প্রবেশ করে। এই সময় লোহার রড, পাইপ ইত্যাদি ব্যবহার করে ঐ নারী, তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি সহ অন্যান্য সদস্যদের গুরুতর আহত করে।

    স্বজনদের অত্যাচারে এই নারী মারাত্মকভাবে আহত হয়, একই দিন রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া মহিলার স্বামী বিবেকানন্দ ও শ্বশুর-শাশুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


    তথ্যসূত্র:
    1. https://tinyurl.com/48hrwdys
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা


      ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দলের ডাকে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে।
      নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এই বিক্ষোভ শুরু হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

      ময়মনসিংহে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে কটূক্তির অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেয়। হাইকমিশনের চারপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

      এর আগে, ২০ ডিসেম্বর রাতে হাইকমিশনের সামনে একটি ছোট বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জানিয়েছিল, সেদিন মাত্র ২০–২৫ জন বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিল এবং তারা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি। তবে বাংলাদেশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে সুরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারার ঘটনায় গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে।

      বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, নয়াদিল্লির হাইকমিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকা, তাই অনুমতি ছাড়া সেখানে বিক্ষোভ করা স্বাভাবিক নয়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে উগ্র সংগঠনের সদস্যরা সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো।

      তথ্যসূত্রঃ

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করল সন্ত্রাসী ইসরায়েল



        ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৪১১ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১১১২ জন আহত হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর, সোমবার গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

        মিডিয়া অফিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে দখলদার ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের উপর ২৬৫ বার সরাসরি গুলি চালানো, আবাসিক এলাকায় ৪৯ বার সামরিক অভিযান, ৪২১ বার বিমান হামলা এবং ১৫০টি বাড়িঘর ধ্বংসের ঘটনা।

        সন্ত্রাসী ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রেও ভায়াবহ লঙ্ঘন করেছে। চুক্তি অনুসারে ৪২,৮০০টি ত্রানের ট্রাকের মধ্যে মাত্র ১৭,৮১৯টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ২৪৪টি ট্রাক, যেখানে চুক্তিতে ৬০০টির কথা ছিল।

        জ্বালানি ট্রাকের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ। চুক্তিতে সম্মত ৩,৬৫০টি ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৩৯৪টি প্রবেশ করেছে, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৫টি (চুক্তিতে ৫০টি)। ফলে হাসপাতাল, বেকারি, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে এবং বেসামরিকদের দৈনিক দুর্ভোগ বেড়েছে।

        গাজার সীমান্তবর্তী ক্রসিংগুলো খুলতে অস্বীকার এবং তাঁবু ও আশ্রয়ের উপকরণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় গভীর মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দখলদার ইসরায়েলের স্বেচ্ছাচারী নীতির ফলে সাম্প্রতিক শীতকালীন ঝড়ে ৪৬টি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে পড়ে, যাতে ১৫ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়।

        উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় প্রায় ৭১,০০০ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১,৭১,০০০-এর বেশি আহত হয়েছে। হতাহতের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।


        তথ্যসূত্র:
        1. 411 Gazans killed, over 1,100 injured in Israeli attacks since ceasefire, media office says
        https://tinyurl.com/2nwx96w2
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X