Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ১৩ই জিলক্বদ, ১৪৪২ হিজরি | ২৫শে জুন ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ১৩ই জিলক্বদ, ১৪৪২ হিজরি | ২৫শে জুন ২০২১ ঈসায়ী |

    কাশ্মিরে গো-রক্ষকদের পিটুনিতে মুসলিম যুবক নিহত

    মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মিরেও এবার গো-রক্ষকদের তাণ্ডব। ভারতের বিজেপিশাসিত গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে যেভাবে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে– গুজব ছড়িয়ে নির্দোষ মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়- এক্ষেত্রে ঠিক যেন তারই পুনরাবৃত্তি। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য- যেভাবে কেন্দ্র ঢালাও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ইস্যু করে উপত্যকায় অমুসলিমদের ঢুকিয়ে দিয়ে জনবিন্যাস বদলে দিচ্ছে তার জেরেই এখন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

    জম্মু-কাশ্মিরের রাজৌরি জেলায় গোরক্ষকদের এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। ২০ বছরের এক কাশ্মিরিকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কাশ্মিরি যুবকের নাম আইজাজ আহমেদ দর। রাজৌরি পুলিশ স্টেশনের অফিসার জাহাঙ্গির আহমেদ বলেন, আইজাজ তার গরু নিয়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাচ্ছিল। ওইসময় এক দল মালাউন তার উপর চড়াও হয়। তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

    নিহত আইজাজের তুতো ভাই মুদাসসির নাজার জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আইজাজ ও এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল অন্য একটি গ্রাম থেকে মিনি ট্রাকে করে মহিষ আনার জন্য। সেইমতো মহিষ নিয়ে ফেরার সময় এই স্বঘোষিত গোরক্ষকরা তাদের উপর হামলা করে। উন্মত্ত গোরক্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে ট্রাক চালক জোরে গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু– একটি বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে থাকা স্পিড ব্রেকার থাকায় গাড়ির গতি একটু কমতেই গোরক্ষকরা পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। ট্রাকটিকে থামাতে বাধ্য করে তারা। নাজার জানান, ট্রাকের চালক কোনো রকমে পালিয়ে যেতে পারলেও আইজাজ পারেনি। হয় লোহার রড– নয়তো পাথর দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল এই উন্মত্ত হিংস্র গোরক্ষকরা।

    মঙ্গলবার ভোর ৩টা নাগাদ নৃশংস এই ঘটনার কথা জানতে পারে নিহতের পরিবার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইজাজকে জম্মুর একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় আইজাজের।

    এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে গোরক্ষকদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর আইজাজের গোটা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

    রাজৌরির সমাজকর্মী গুফতার চৌধুরি তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘জম্মু অঞ্চলে গত কয়েক বছরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হেট-ক্রাইম (ঘৃণ্য বিদ্বেষজনিত অপরাধ) বাড়ছে। যারা এভাবে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে নিরীহদের হত্যা করছে তারাই আসল সন্ত্রাসবাদী।’

    আইজাজের বাবা মুহাম্মদ আফজল পক্ষাঘাতগ্রস্ত। বাবা-মা ও তিন বোনকে নিয়ে আইজাজের সংসার। সমাজকর্মী চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন আইজাজের পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাবা– মা ও তিন বোনের দায়িত্ব কে নেবে? আইজাজ কি ন্যায় পাবে? সময়ই এর উত্তর দেবে।’

    সূত্র : পুবের কলম
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ৯/১১ পরবর্তী আমেরিকা, ৩০ হাজারের অধিক মার্কিন সৈন্যের আত্মহত্যা

    ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে বৈশ্বিক জিহাদী তানযিম আল-কায়েদা কর্তৃক পরিচালিত ৯/১১ হামলার পরবর্তীতে আমেরিকায় ৩০ হাজারেরও বেশি মার্কিন সৈন্য আত্মহত্যা করেছে, আর যার সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে।

    গবেষণায় বলা হয়, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কথিত "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধ" পরিচালনা অবস্থায় ও যুদ্ধ ফেরত ৩০ হাজার ১ শত ৭৭ জন আমেরিকান সৈন্য আত্মহত্যা করেছে।
    উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মার্কিন সৈন্যদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সর্বোচ্চ, যা গত তিন বছরে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় ছিল। ২০০১ সালে আমেরিকার কথিত "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে"র পর থেকে মার্কিন সৈন্যদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে চলেছে বলে গবেষণায় জানানো হয়।

    গবেষক সুইট (Suitt) মার্কিন সৈন্যদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে যুদ্ধক্ষেত্রে বহুলাংশে উন্নত বিষ্ফোরক ডিভাইস বা IED ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কে আঘাতের ফলে সৃষ্ট আহতাবস্থার প্রতি দোষারোপ করেন।

    তিনি উল্লেখ করেন, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত সৈন্যদেরকেও যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে ফিরিয়ে আনার অনুমতি দেয়, কারণ তা সৈন্যটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারে।

    গবেষক সুইট মার্কিন সেনাবাহিনীর ইউনিট রক্ষার দায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট ডমিনিক ম্যাকড্যানিয়েলের ঘটনা বিবৃতিতে উদাহরণ স্বরুপ তুলে ধরে।

    গত ২০০৫ সালের এক আইইডি বিষ্ফোরণে ডমিনিক মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাকে মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। পরে সে মারা যায়। সে বিষ্ফোরণে তার ইউনিটের আহত হওয়া অন্যান্য সৈন্যরাও সে সময় ভয়ানক মানসিক সমস্যায় ভুগছিল।

    আহত ডমিনিক মৃত্যুর পূর্বে বিষন্নতায় ভুগছিলেন। তার মধ্যে তখন আত্মহত্যা প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

    গবেষণায় বলা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে যদি ৯ জন সৈনিক মারা যায়, তবে আত্মহত্যায় ১৫ জন মার্কিন সৈন্য মৃত্যুবরণ করে।

    গবেষণা মতে, মার্কিন সৈন্যদের উচ্চহারে আত্মহত্যার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু সৈন্য সহজাতই যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়। বাকি সৈন্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বতন্ত্র কথিত "সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধের" কাঠামোগত কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

    তাছাড়াও অতি মাত্রায় মানসিক আঘাত, পেশাগত কাজের চাপ, সামরিক সংষ্কৃতি ও প্রশিক্ষণ, অনবরত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, নাগরিক জীবনে পুনরায় মানিয়ে নেয়ার সমস্যাকেও মার্কিন সৈন্যদের আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে গন্য করা হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ২০টি কারখানা ধ্বংস, চাকরি হারিয়ে বেকার ৫০০০ ফিলিস্তিনি

      গত মে মাসে অবরুদ্ধ গাজায় ইহুদীবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনে ২০টি কারখানা ধ্বংস হয়ে গেছে, এতে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ফিলিস্তিনি মুসলিম।

      ফিলিস্তিনের জেনারেল ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন প্রধান সামি আল আমাসি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন,অবরুদ্ধ গাজায় গত মে মাসে ইসরাইলের ১১ দিনব্যাপী আগ্রাসনে গাজার ২০টি কারখানা ধ্বংস হয়ে গেছে, এতে ৫ হাজার কর্মী চাকুরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন।

      বিবৃতিতে সামি সন্ত্রাসী ইসরাইলের সর্বশেষ আগ্রাসনে গাজার অর্থনৈতিক খাত প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বর্ণনা দেন।

      বিগত দেড় দশক ধরে গাজার দূর্বল অর্থনীতি, যা কোভিড ১৯ কারণে আরো নাজুক অবস্থায় ছিল কিন্তু সর্বশেষ ইসরাইলি আগ্রাসনে তা আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে সামি উল্লেখ করেন।

      আক্রমনে গাজার বড় কোম্পানিগুলোর বহুতল ভবন ধ্বংসের প্রসঙ্গ টেনে এনে ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের মূলত অর্থনৈতিক খাতগুলিই ইহুদিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বলে সামি ইঙ্গিত করেন।

      এদিকে, কোভিড ১৯ এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে গত এক বছরে ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনি মুসলিম চাকুরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন বলে সামি প্রতিবেদনে তুলে ধরেন।

      শুধুমাত্র কোভিড ১৯ এর কারণে, ফিলিস্তিনি অর্থনীতির ২০ কোটি শেকেল (61,377,914.085920 USD) ক্ষতি হয়েছে এবং ফিলিস্তিনের বেকারত্বের হার বেড়ে গিয়ে বর্তমানে ৫৫% এ পৌছেছে।

      উল্লেখ্য, গত ১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত ১১ দিনব্যাপী ইসরাইলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজায় ৬৯ শিশু ও ৪০ নারীসহ কমপক্ষে ২৭৯ জন মুসলিম নিহত হন। আহত হয়েছেন ১৯১০ জন ফিলিস্তিনি।

      ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাগরিক নিবন্ধন অনুযায়ী ইসরাইলের ঐ আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৪১ শিশু ও ২৫ নারীসহ ১৯ টি ফিলিস্তিনি পরিবার চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

      ৯০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি মুসলিম ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। হামলায় অবরুদ্ধ গাজার প্রশাসনিক অবকাঠামো সহ বহু আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ কেজি গাঁজাসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক

        তিন কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ মান্নাকে (২২) আটক করেছে বিজিবি।

        বুধবার (২৩ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আসিফ মান্না সিংগারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদি গ্রামের ফারুক চৌধুরীর ছেলে।

        ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।

        বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিষ্ণুপুর (বিওপি) ক্যাম্পের নায়েক মোহাম্মদ বজলুর রহমান জানায়, ক্যাম্পের ২০ গজ সামনে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা তিন কেজি গাঁজাসহ আসিফ মান্নাকে আটক করা হয়।

        তথ্যসূত্রে জানা যায়, সারাদেশেই মাদক ব্যবসার সাতে সরাসরি জড়িত রয়েছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। প্রশাসন ও দলীয় ক্ষমতার দাপটে নিজেদের আয়ের প্রধান উৎস বানিয়ে নিয়েছে মাদক ব্যবসাকে। ফলে প্রতিটি জেলা উপজেলায় মাদক সহজলভ্য হয়েছে। এসব মাদকে যুবকরা সহজেই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক ও অসামাজিক কাজকর্মে। হুমকি মুখে পড়েছে দেশের যুবসমাজ।

        সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আপনি আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন। আল্লাহ ভারতিয় মুসলিম ভাইদের জাগিয়ে তুলুন। আল্লাহ আপনি আমাদের দেশকে একটি পূর্নাঙ্গ ইসলামের রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করুন আমীন।

          Comment


          • #6
            আসলে তারা আমাদের পক্ষ থেকে মূল ঔষধ পাচ্ছে না। এজন্য আমাদের চাপাতিগুলো আরো ধারালো করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বেশি বেশি তৌফিক দান করেন আমীন।

            Comment


            • #7
              এতকিছুর পরও তারা আবার মাথা ঘুরাতে চায়! হে আল্লা তুমি আমাদেরকে আরো কাফেরদের হত্যা করার তৌফিক দান করো। আমীন

              Comment

              Working...
              X