শ্রীমঙ্গলে ডিসি অফিসের এক হিন্দু পিয়নের দাপটে দিশেহারা গ্রামবাসী
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক হিন্দু পিয়নের মাত্রাতিরিক্ত দাপটে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ দিশেহারা।
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট এর দালালি এবং সরকারি চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে অর্থ নেওয়া সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত মৌলভীবাজার ডিসি অফিসের পিয়ন মানস ভট্টাচার্য শেখর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্লাবের রিক্রিয়েশন ফান্ডে টাকা না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এই মালাউন শেখর ভট্টচার্য।
এলাকাবাসীরা বলেন সরকারি কালভার্ট ভাঙ্গায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করার পরও কেবল ডিসি অফিসের পিয়ন হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, খলিলপুরের পাশের গ্রাম জানাউড়া গ্রামের খালেদ আহমেদ দুয়েল একটি চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করছিলেন।
খালেদ আহমেদ দুয়েল বলেন,”গত জানুয়ারি মাসে খলিলপুর গ্রামের নান্টু ভট্টাচার্যের ছেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পিয়ন মানস ভট্টাচার্য শেখর তাকে ডিসি অফিসে পিয়নের চাকরি পাইয়ে দেবার কথা বলে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে।
২ মাসের মধ্যে চাকরির নিয়োগপত্র এনে দেয়ার কথা বললেও ৬ মাস অতিবাহিত হলে একপর্যায়ে মালাউন শেখর উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে গত ২৭ জুন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ করি।”
আশিদ্রোন ইউনিয়নের মৃত নুরুজ মিয়ার ছেলে প্রান্তিক কৃষক ফুরুক মিয়া মাছ চাষ করতে নিজের একখন্ড জমিতে পুকুর সংস্কার করতে উদ্যোগী হলে হিন্দু শেখর সেখানেও বাগড়া দিয়ে বসে।
১ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে পুকুরে যাওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের একটি রাস্তায় গত ৫ জুন মালাউন শেখর ও তার লোকজন ২টি আরসিসি খুঁটি বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এ নিয়ে ফুরুক মিয়া গত ২৭ জুন আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর হিন্দু শেখর ও তার আরো ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় তার পুকুর সংস্কারের কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কাতারে যেতে খলিলপুর গ্রামের এক বাসিন্দা পাসপোর্ট করার প্রস্ততি নিচ্ছিল। এ সময় শেখর তাকে ১০ দিনে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করে দেয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। ওই যুবক থেকে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য শেখর অতিরিক্ত টাকা নিলেও ১৪ দিনের মাথায় সে বলে ২১ দিন লাগবে। তারপর শেখর আরও অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে।
খলিলপুর গ্রামের আনুর মিয়ার কন্যা স্বামী পরিত্যাক্তা পারভীন বেগম স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ৬ কন্যা নিয়ে একটি কুড়ে ঘরে বাস করেন।
পারভীন বেগম জানান তার থাকার বাড়িটি নির্জন একটি ছড়ার পারে। কয়েক মাস আগে নতুন বাড়ি করার জন্য গরু ছাগল বিক্রি, ধার দেনা ও মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ২০ শতক জায়গা ক্রয় করি। সেই জায়গা রেজিষ্ট্রি করার সময় আমার মা মারা যান।
কিছুদিন পর মায়ের দোয়া মাহফিলে ভরা মজলিসে হিন্দু শেখর তার লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে আমাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
পারভীন বেগম কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, এতগুলো মেয়ে সংসারে হাঁস মুরগী, ছাগল পালন করে কোন মতে দিনাতিপাত করছি। এ অবস্থায় শেখর আমার অসহাত্বের সুযোগে আমাকে হয়রানি করছে।
গ্রামের লোকজন বলেন মালাউন শেখর ভট্টচার্য কিছু উঠতি ছেলেদের নিয়ে গত বছর একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে।
গ্রামে জমি বেচাকেনা, বিয়ে শাদির যে কোন অনুষ্ঠান হলেই শেখরের ক্লাবের সদস্যদের আনন্দ ফুর্তির জন্য চাঁদা দিতে হয়। এই চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে গ্রামের ছেলেদের মধ্যে মারামারির অনেক ঘটনাও ঘটে বলে গ্রামবাসীরা জানান।
সম্প্রতি শেখরের ক্লাবে চাঁদা না দেওয়ায় ৪টি গ্রামের সাথে সংযুক্ত খলিলপুর- সিন্দুর খান বাজারে যাওয়ার রাস্তার কালর্ভাট রাতের আধাঁরে দুষ্কৃতকারীরা ভেঙ্গে ফেলে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই কালভার্ট ভাঙ্গার জন্য এলাকাবাসীরা হিন্দু শেখরের ক্লাব সদস্যদের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক হিন্দু পিয়নের মাত্রাতিরিক্ত দাপটে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ দিশেহারা।
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট এর দালালি এবং সরকারি চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে অর্থ নেওয়া সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত মৌলভীবাজার ডিসি অফিসের পিয়ন মানস ভট্টাচার্য শেখর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্লাবের রিক্রিয়েশন ফান্ডে টাকা না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এই মালাউন শেখর ভট্টচার্য।
এলাকাবাসীরা বলেন সরকারি কালভার্ট ভাঙ্গায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করার পরও কেবল ডিসি অফিসের পিয়ন হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, খলিলপুরের পাশের গ্রাম জানাউড়া গ্রামের খালেদ আহমেদ দুয়েল একটি চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করছিলেন।
খালেদ আহমেদ দুয়েল বলেন,”গত জানুয়ারি মাসে খলিলপুর গ্রামের নান্টু ভট্টাচার্যের ছেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পিয়ন মানস ভট্টাচার্য শেখর তাকে ডিসি অফিসে পিয়নের চাকরি পাইয়ে দেবার কথা বলে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে।
২ মাসের মধ্যে চাকরির নিয়োগপত্র এনে দেয়ার কথা বললেও ৬ মাস অতিবাহিত হলে একপর্যায়ে মালাউন শেখর উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে গত ২৭ জুন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ করি।”
আশিদ্রোন ইউনিয়নের মৃত নুরুজ মিয়ার ছেলে প্রান্তিক কৃষক ফুরুক মিয়া মাছ চাষ করতে নিজের একখন্ড জমিতে পুকুর সংস্কার করতে উদ্যোগী হলে হিন্দু শেখর সেখানেও বাগড়া দিয়ে বসে।
১ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে পুকুরে যাওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের একটি রাস্তায় গত ৫ জুন মালাউন শেখর ও তার লোকজন ২টি আরসিসি খুঁটি বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এ নিয়ে ফুরুক মিয়া গত ২৭ জুন আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর হিন্দু শেখর ও তার আরো ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় তার পুকুর সংস্কারের কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কাতারে যেতে খলিলপুর গ্রামের এক বাসিন্দা পাসপোর্ট করার প্রস্ততি নিচ্ছিল। এ সময় শেখর তাকে ১০ দিনে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করে দেয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। ওই যুবক থেকে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য শেখর অতিরিক্ত টাকা নিলেও ১৪ দিনের মাথায় সে বলে ২১ দিন লাগবে। তারপর শেখর আরও অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে।
খলিলপুর গ্রামের আনুর মিয়ার কন্যা স্বামী পরিত্যাক্তা পারভীন বেগম স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ৬ কন্যা নিয়ে একটি কুড়ে ঘরে বাস করেন।
পারভীন বেগম জানান তার থাকার বাড়িটি নির্জন একটি ছড়ার পারে। কয়েক মাস আগে নতুন বাড়ি করার জন্য গরু ছাগল বিক্রি, ধার দেনা ও মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ২০ শতক জায়গা ক্রয় করি। সেই জায়গা রেজিষ্ট্রি করার সময় আমার মা মারা যান।
কিছুদিন পর মায়ের দোয়া মাহফিলে ভরা মজলিসে হিন্দু শেখর তার লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে আমাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
পারভীন বেগম কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, এতগুলো মেয়ে সংসারে হাঁস মুরগী, ছাগল পালন করে কোন মতে দিনাতিপাত করছি। এ অবস্থায় শেখর আমার অসহাত্বের সুযোগে আমাকে হয়রানি করছে।
গ্রামের লোকজন বলেন মালাউন শেখর ভট্টচার্য কিছু উঠতি ছেলেদের নিয়ে গত বছর একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে।
গ্রামে জমি বেচাকেনা, বিয়ে শাদির যে কোন অনুষ্ঠান হলেই শেখরের ক্লাবের সদস্যদের আনন্দ ফুর্তির জন্য চাঁদা দিতে হয়। এই চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে গ্রামের ছেলেদের মধ্যে মারামারির অনেক ঘটনাও ঘটে বলে গ্রামবাসীরা জানান।
সম্প্রতি শেখরের ক্লাবে চাঁদা না দেওয়ায় ৪টি গ্রামের সাথে সংযুক্ত খলিলপুর- সিন্দুর খান বাজারে যাওয়ার রাস্তার কালর্ভাট রাতের আধাঁরে দুষ্কৃতকারীরা ভেঙ্গে ফেলে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই কালভার্ট ভাঙ্গার জন্য এলাকাবাসীরা হিন্দু শেখরের ক্লাব সদস্যদের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন।
Comment