Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ০৩রা জিলহজ্জ, ১৪৪২ হিজরি | ১৪ই জুলাই ২০২১ ঈসায়ী|

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ০৩রা জিলহজ্জ, ১৪৪২ হিজরি | ১৪ই জুলাই ২০২১ ঈসায়ী|

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নের দুর্নীতিতে অনন্য রেকর্ড

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বালিশকাণ্ডকেও হার মানিয়ে এবার নতুন রেকর্ড গড়ল গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ।

    শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের নামে নির্মিত হাসপাতালটির জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ভাগ্নে রায়ান হামিদের প্রতিষ্ঠান ‘বিডি থাই কসমো লিমিটেড’ প্রতিটি ১৫ ওয়াট বাথরুম লাইটের দাম ধরেছে ৩ হাজার ৮৪৩ টাকা। যার প্রকৃত বাজারদর হচ্ছে ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা। ১৮ ওয়াট এলইডি সারফেস ডাউন লাইট ৩ হাজার ৭৫১ টাকা। যার বাজারদর হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭০০-৮০০ টাকা। এলইডি ওয়াল স্পট লাইট ১ হাজার ৫৫৬ টাকা।যার বাজারদর হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা।

    এমন ২৪ ধরণের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে রায়ানের প্রতিষ্ঠানটি।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের সরকারি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে জড়িত, গণপূর্ত অধিদপ্তরের (PWD) তালিকাভুক্ত না হয়েও ভাগ্নে রায়ান হামিদের প্রতিষ্ঠান ‘বিডি থাই কসমো লিমিটেড’ জনগণের টেক্সের টাকায় নির্মিত হাসপাতালটির জন্য এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

    জানা যায়, হাসপাতালের ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত দাম ভাগ্নে রায়ানের থেকে তুলনামূলক অনেক কম; কিন্তু স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ফরমায়েশ মাফিক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ভাগ্নে রায়ানকে চড়া মূল্যে উক্ত প্রকল্পে কাজ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ঠরা দাবী করেন।

    উল্লেখ্য, ভাগ্নে রায়ান প্রতি ১৫ ওয়াট বাথরুম লাইটের যে দাম ৩ হাজার ৮৪৩ টাকা ধরেছে, উক্ত দরপত্রে আরেকটি প্রতিষ্ঠান ৭১৫ টাকায় প্রতিটি লাইট দিতে চাইলেও সেটি গ্রহণ করেনি জাহিদ মালেকের স্বজনপ্রীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

    উল্লেখ্য, ত্বাগুত কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কেনাকাটায় এই ধরনের পুকুর চুরি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

    দেশের বৃহত্তম নির্মাণাধীন মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয় ২০১৯ সালের মে মাসে, যেখানে প্রতি বালিশ বাবদ ব্যয় উল্লেখ করা হয়েছিল ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। প্রতি বালিশের মূল্য ধরা হয় ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে ৭৬০ টাকা খরচ দেখানো হয়েছিল।

    তারপর, মেডিকেল যন্ত্র ও সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির নতুন নজির গড়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

    ওই হাসপাতালের ১৬৬টি যন্ত্র ও সরঞ্জাম কেনাকাটার দুর্ণীতি পূর্বের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যায়। যেখানে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবহৃত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) জন্য একেকটি পর্দা কেনা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা ব্যায়ে, যার প্রকৃত বাজার মূল্য হবে ২০ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকার ডিজিটাল ব্লাড প্রেশার মেশিন কেনা হয়েছিল ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। এভাবে প্রায় ১৮৬ গুণ পর্যন্ত বেশি দাম দিয়ে হাসপাতালটির ১৬৬টি যন্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল অনিক ট্রেডার্স নামে এক কুখ্যাত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে মালাউন বাহিনীর গুলিতে ৩ স্বাধীনতাকামী নিহত

    ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে ৩ স্বাধীনতাকামী মুুসলিমকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির মালাউন বাহিনী।

    এ নিয়ে কাশ্মীরে বছরের প্রথম ছয় মাসে ৫৩ জন স্বাধীনতাকামীকে শহিদ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় আরও ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর স্পুটনিকের।

    ভারত দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় বুধবার ভোরে মালাউন বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আইজাজ আলিয়াস আবু হুরাইরা এবং তার দুই সহযোগী নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

    কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমারও এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    এ ঘটনার পর সীমান্ত শহর পুলওয়ামায় মুসলিমদের আন্দোলনের ভয়ে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে রেখেছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমবহুল এলাকাতেও RSSসন্ত্রাসীদের শাখা খোলার ঘোষণা দিয়েছে মোহন ভাগবত; বাংলায় তিনভাগে চলবে প্রচার

      ভারতের চিত্রকূটে চলা পাঁচ দিবসিয় সংঘ শিবিরে আরএসএস সন্ত্রাসীদের প্রধান মোহন ভাগবত প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে যে, আগামী দিনে মুসলিম বহুল এলাকাতেও সংঘের শাখা খোলা হবে। মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের সীমান্তে পাঁচ দিন ধরে চলা এই শিবির ১৩ জুলাই সমাপ্ত হয়। সংঘের এই শিবিরটিতে অনেক মুসলিম বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত এবং বড় ঘোষণাও করা হয়েছে।

      সংঘ পশ্চিমবঙ্গকে তিনটি জোনে ভাগ করে সংগঠনের আলাদা-আলাদা নেতাকে কার্যালয় চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে। এই তিনটি জোনের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গের প্রধান দফতর কলকাতা, উত্তরবঙ্গের প্রধান দফতর শিলিগুড়ি এবং বর্ধমানে একটি সদর দফতর বানানো হয়েছে।

      পাশাপাশি সংগঠনেও অনেক ফেরবদল করা হয়েছে। রমাপদ পালকে উড়িষ্যা আর বাংলার প্রচারকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশান্ত ভট্টকে দক্ষিণ বঙ্গের প্রচারক বানানো হয়েছে। এর সাথে, ভাইয়াজী জোশী নামে খ্যাত সুরেশ জোশী এখন সংঘের পক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যোগাযোগ আধিকারিক পদ পরিচালনা করবে এবং অরুণ কুমারকে সংঘ এবং বিজেপির মধ্যে সমন্বয়কের ভূমিকা দেওয়া হয়েছে।

      এছাড়াও মোহন ভাগবত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে। যে, এবার দেশজুড়ে মুসলিম বস্তিতেও সংঘ তাঁদের শাখা খুলবে। সংঘ এখন প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিমদেরও আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চালাবে।

      প্রসঙ্গত, সময়ের সাথে সাথে সংঘ ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও পা রাখছে। এ সম্পর্কে একটি ঘোষণাও করা হয়েছিল, যাতে বলা হয়েছিল যে সংঘকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সংঘের নিজস্ব আইটি সেল স্থাপন করা উচিত। এই নতুন আইটি সেলে সংঘ যুবকদের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছে। তবে বিজেপি এবং সংঘের আইটি সেল সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আসামে নিষিদ্ধ হচ্ছে গোমাংস বিক্রি

        আসাম বিধানসভায় এবার গো-সুরক্ষায় নতুন বিল উত্থাপন করা হয়েছে, যাতে মন্দির চত্বরের পাঁচ কিলোমিটারর মধ্যে গোমাংস এবং গোমাংসজাত পণ্য কেনাবেচা নিষিদ্ধের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

        শুধু তাই নয়, হিন্দু, জৈন, শিখ ও গোমাংস না খাওয়া সম্প্রদায়ের বাস যে এলাকায়, সেখানেও এ নিষেধাজ্ঞা চালুর প্রস্তাব রয়েছে ওই বিলে।

        আসাম গো-সুরক্ষা বিল ২০২১ নামের ওই বিলটি সোমবার বিধানসভায় পেশ করে মালাউন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

        তাতে গোহত্যা, গোমাংস ভক্ষণ এবং* গরু পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে।

        ভারতের একাধিক রাজ্যে গোহত্যা রুখার আইন থাকলেও, কোনো কোনো জায়গায় গোমাংসের দোকান থাকা চলবে না, এমন নির্দেশিকা এই প্রথম।

        এ প্রসঙ্গে আসাম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া জানায়, বিলটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে।তাই আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছে তারা।

        দেবব্রত বলেন, পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই পাঁচ কিলোমিটার কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে?

        যেখানে ইচ্ছে পাথর ফেলে মন্দির বানিয়ে ফেলতে পারে যে কেউ। গোটা বিষয়টিই সন্দেহজনক। ফলে মুসলিম বিদ্বেষ ও উত্তেজনা বাড়বে বই কমবে না।

        বিলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলামও। তার বক্তব্য— গো-সুরক্ষায় এই বিল আনা হয়নি। মুসলমানদের আবেগে আঘাত করাই বিলটির লক্ষ্য, যাতে আরও বিভাজন তৈরি হয়। আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি। সংশোধন করতে আর্জি জানাব।

        রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেমন নির্দিষ্ট করে গাভী হত্যা নিষিদ্ধ রয়েছে, গো-সুরক্ষা আইনে মোষকে বাইরে রাখা হয়েছে, আসাম সরকারের নয়া বিলে সে রকম নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।

        এর আগে আসামে ১৪ বছরের বেশি বয়সি গরুদের হত্যায় কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু ১৯৫০ সালের সেই আইন গো-সুরক্ষায় যথেষ্ট নয় বলে মত হিমন্তর।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভয়াবহ হুমকিতে পাহাড়ি নওমুসলিমরা; হয় ছাড়তে হচ্ছে ইসলাম ধর্ম, না হয় বাড়িঘর

          হয় ইসলাম ধর্ম ছাড়ছে, না হয় বাড়ি ছাড়ছে। এই হলো পার্বত্য নওমুসলিমদের বর্তমান অবস্থা। বান্দরবানে নওমুসলিম ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে হত্যার পর দেশের পার্বত্য এলাকার নওমুসলিমদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দু-একটি পরিবার এখনো যারা টিকে আছে, তারা নিজেদেরকে চরম নিরাপত্তাহীন ভাবছেন। এ দিকে ওমর ফারুক হত্যায় জড়িতদের কেউ এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় পাহাড়ি জনপদে আতঙ্ক আরো বাড়ছে।

          বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম তুলাছড়ির বাসিন্দা ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে গত ১৮ জুন রাতে নিজ ঘর থেকে বের করে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। ওমর ফারুক পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন। সনাতন ধর্ম থেকে প্রথমে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিষ্টান হন। পরে ২০১৪ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তুলাছড়ির নিজ এলাকাতেই মসজিদ গড়ে তুলে সেখানে ইমামতি করে আসছিলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, মুসলমান হওয়ার পর পূর্ণেন্দু ত্রিপুরার নাম রাখা হয় ওমর ফারুক। ১৮ জুন রাতে এশার নামাজের ইমামতি করে বাসায় ফেরার পর কিছু দুর্বৃত্ত হত্যা করে ওমর ফারুককে। এই ঘটনায় ২০ জুন নিহতের স্ত্রী নওমুসলিম রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। এজাহারে অজ্ঞাতনামা পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করা হয়। ওমর ফারুক ত্রিপুরার মেয়ে আমেনা ত্রিপুরা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার রাতে দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়ির সামনে এসে তার বাবাকে ডাকে। তার বাবা বের হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা জানতে চায়, তোমার জমিনে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছো, তুমি মুসলিমদের নেতা? এমন প্রশ্নের জবাবে তার বাবা হ্যাঁ বলার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি গুলি করে তাকে হত্যা করে। সারা রাত তার লাশটি ঘরের সামনেই পড়েছিল। এই ঘটনার সময় রাতে ওই এলাকার কোনো মানুষ ঘরের বাতি পর্যন্ত জ্বালায়নি।

          স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ওমর ফারুককে হত্যার পরও পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা থেমে নেই। তারা অন্যও নওমুসলিম পরিবারগুলোকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের হুমকিতে অনেক পরিবার ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে আগের ধর্মে ফিরে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, তুলাছড়িতে আগে ১১টি মুসলিম পরিবার ছিল। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে ছয় পরিবার ইতোমধ্যে খ্রিষ্টান ধর্মে ফিরে গেছে। ওমর ফারুকের পরিবারসহ অন্য যে পাঁচটি পরিবার এখনো ইসলাম ধর্মে টিকে আছে তারা কেউ এলাকায় নেই। সবাই যে যার মতো অন্য কোথাও গিয়ে অবস্থান করছেন। নারেংপাড়ায় পাঁচ নওমুসলিম পরিবার ছিল, যাদের মধ্যে তিন পরিবার প্রাণে বাঁচতে আগের ধর্মে ফিরে গেছে। সাধু হেডম্যান পাড়ায় আট পরিবার ইসলাম গ্রহণ করলেও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে ছয় পরিবার আগের ধর্মে ফিরে গেছে। শিলবান্ধা পাড়ায় পাঁচ পরিবার ইসলাম গ্রহণ করলেও বর্তমানে তিন পরিবার আছে। বাকিরা আগের ধর্মে ফিরে গেছে। সূত্র জানায়, যে পরিবারগুলো এখনো টিকে আছে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এই পরিবারগুলোর বেশির ভাগই নিহত ওমর ফারুকের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেছিল।

          স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওমর ফারুক খুনিদের কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি। যে কারণে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া। তারা নওমুসলিমদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে সবাই চরম ভয়ের মধ্যে আছেন। এমনকি সাধারণ পাহাড়িরাও আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
          সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হলে নওমুসলিমসহ এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসতো বলে একাধিক বাসিন্দা জানান।

          নিহত ওমর ফারুকের পরিবার অভিযোগ করেছে, তারা ইসলাম গ্রহণ করার পরেই জনসংহতি সমিতির একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে সাবেক এক জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন। তারাই ওমর ফারুককে হত্যা করেছে। জানা গেছে, ওই জনপ্রতিনিধিসহ যাদেরকে এই হত্যার ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছে তারা এখনো এলাকাতে প্রকাশ্যে ঘুরছে কিন্তু গ্রেফতার হচ্ছে না। এতে মানুষ আরো ভয়ের মধ্যে আছে।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মনে হচ্ছে পাকিস্তান বিভক্তির খেসারত। আল্লাহই জানেন এ খেসারত আর কতকাল দিতে হবে । তবে মালাউনদের শিক্ষা দিতে অচিরেই খোরাসানের বাহিনী আসছে। ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              মুসলিম উম্মাহ অনেক খারাপ দিন অতিবাহিত করছে। দিনকে দিন মুসলিম উম্মাহর অবস্থা আরো শোচণীয় হচ্ছে। আমাদের বেশি বেশি দাওয়াহর কাজ করা দরকার । যাতে উম্মাহ জেগে উঠতে পারে।
              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

              Comment


              • #8
                Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
                মুসলিম উম্মাহ অনেক খারাপ দিন অতিবাহিত করছে। দিনকে দিন মুসলিম উম্মাহর অবস্থা আরো শোচণীয় হচ্ছে। আমাদের বেশি বেশি দাওয়াহর কাজ করা দরকার । যাতে উম্মাহ জেগে উঠতে পারে।
                জি ঠিক বলেছেন ভাই...
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment

                Working...
                X