Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ #৮ই মহররম, ১৪৪৩ হিজরি | ১৮ই আগস্ট, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ #৮ই মহররম, ১৪৪৩ হিজরি | ১৮ই আগস্ট, ২০২১ ঈসায়ী |

    আফগানে বালিকাদের স্কুলে যাওয়ার ছবি ভাইরাল, নারীসহ সব চাকরিজীবীকে কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান তালেবানের

    কাবুল এখন শান্ত। আর এই পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে তালেবান। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসতে চলেছে তালেবান। ইতিমধ্যে তারা নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন রাজধানী কাবুল। দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদও তাদের নিয়ন্ত্রণে। রোববার তালেবানরা কাবুলে প্রবেশের পর থেকেই দেশ ছাড়তে শুরু করে বিদেশিরা। সোমবার দেশটির বিমানবন্দরে দালাল আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়।

    অন্যদিকে কয়েকজন আফগান বালিকার ‘স্কুলে যাওয়ার’ ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে।

    ছবিতে দেখা যায়, সাত বালিকা স্কুলের ইউনিফর্ম ও স্কার্ফ পরে নির্জন সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছে। ছবিটি সোমবার টুইটারে পোস্ট করা হয়। পরে তা ফেইসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে।

    এর আগে রবিবার আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর নারী অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো হবে বলে জানিয়েছে তালেবান।

    তালেবান এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতিতে জানান, যোদ্ধারা নারীর অধিকারের প্রতি সম্মান জানাবে।

    রবিবার কাবুল দখলের পর ওই মুখপাত্র বলেন, নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে এবং কাজ ও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে।

    ফলে দেখা গেছে, কাঁধে ব্যাগপ্যাক ঝুলিয়ে মেয়েরা খুশি খুশি স্কুলে যাচ্ছে। তালিবানরা নিশ্চিত করেছে তারা অবশ্যই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেবে। তবে ছেলে মেয়েদের স্কুলগুলো সেপারেট হবে।
    যারা তালিবানরা ক্ষমতায় এলে মেয়েদের পড়াশোনা গেলো গেলো করে কান্নায় মাটিতে গড়াগড়ি করতেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখছি এদের মেয়েরা ঠিকই স্কুলে যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা গত ৫১৮ দিন ধরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও যাচ্ছে না।
    আমাদের পড়াশোনাটাই বন্ধ হয়ে গেছে। ওদেরটা হয়নি। শিক্ষা বন্ধ থাকায় সন্তানেরা বিভিন্ন বাজে নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। একেই বলে নিজের পাছায় কাপড় নাই, আবার ঘোমটা দেয় বড় করে।

    এদিকে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের উপ প্রধান আব্দুসসালাম হানাফি সোমবার বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদেশী কূটনীতিক ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সরকারি কাজে নিয়োজিত সব চাকরিজীবী কোনো ধরনের শঙ্কা ছাড়াই নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাবুলে বিমানে উঠতে গিয়ে পদদলিত হয়ে, আমেরিকান সৈন্যদের গুলিতে ও উড়ন্ত বিমানের চাকা থেকে পড়ে ১২ আফগানির মৃত্যু

    তালিবানরা কাবুলের দখল নেওয়ার পর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। তবুও যারা এতদিন মার্কিনিদের গোলামী করেছে তারা ভয়ে পালোচ্ছে। এর জন্য কাবুল বিমানবন্দরে দালালদের ভিড় তৈরী হয়েছে। একে অপরকে ঠেলে ফেলে যে ভাবেই হোক বিমানে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। দেশ ছাড়ার জন্য তারা এতই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে বিমানের চাকার সাথে ঝুলে ঝুলে দেশ ছাড়তে চাচ্ছে তারা। উড়ন্ত বিমান থেকে ছিটকে পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠেলাঠেলি করে বিমানে উঠতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের এবং মার্কিনিরা তাদের গোলামদের ভীড় নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কমপক্ষে ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে।
    উল্লেখ্য, তালেবানরা কাবুল নিয়ন্ত্রণ নিলেও বিমানবন্দর ছিল আমেরিকানদের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে তালেবান যোদ্ধারা ছিল না কিন্তু দূঃজনক হলেও সত্য হলুদ মিডিয়াগুলো এবিষয়টিকে তালেবানদের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। দালাল মিডিয়াগুলো বলছে, কাবুল বিমানবন্দরের পাশে উড়ন্ত বিমান থেকে পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা বিমানের চাকার সঙ্গে নিজেদের বেঁধে দেশ ছাড়তে চেয়েছিল। তালেবানদের অত্যাচারের ভয়েই তাদের এমন প্রাণের ঝুঁকি নিতে হয়েছে।
    এদিকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো বিমান নামলে তা ভরে যাচ্ছে মুহূর্তেই। বিমানে তাড়াহুড়া করে উঠতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গত রবিবার সকালে দক্ষিণের জালালাবাদ দখল নেওয়ার পর দুপুরের মধ্যে বিনা যুদ্ধে কাবুল বিজয় করেছে তালিবান। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠকের পরই পদত্যাগ করেছিল প্রেসিডেন্ট গনি। তারপর সেও প্রচুর অর্থসম্পদ নিয়ে দেশ ছেড়েছে।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এক মার্কিন সেনা জানায়, জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতেই গুলি করা হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেকগুলো ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অনেকগুলো ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, মানুষজন রানওয়ের দিকে দৌড়ে বিমানে ওঠার চেষ্টা করছে। এই বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে মার্কিন সৈন্যরা।জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানগুলোয় কূটনৈতিক কর্মীদের আগে সরিয়ে নিতে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, যা বিশৃঙ্খলা আর বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    এদিকে তালিবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সহযোগী দেশগুলোর কর্মীরা রাজধানী ছাড়তে শুরু করলেও চীন ও রাশিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে যে, দূতাবাস বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
    চীন তার নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা যেন ঘরের ভেতরে অবস্থান করে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকে। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন পক্ষকে চীন তার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।
    রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার সেদেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাদের আফগানিস্তান ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
    উল্লেখ্য,তালিবানের একটি প্রতিনিধি দল গত জুলাই মাসে চীন সফর করেছেন, যেখানে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং লির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই সময় ওই বৈঠককে রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তালিবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মনে করা হয়েছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গুমের শিকার হওয়া ৮৬ জনের আজও খোজ পাওয়া যায়নি : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

      হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে যে প্রতিবেদনটি তৈরি করার সময় তারা দেখেছে যে, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে এবং তাদের মত দাবিয়ে রাখতে গুম এবং গুমের হুমকিকে ব্যবহার করেছে।

      মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বাংলাদেশে এখনো ৮৬ জন গুম হয়ে আছেন। সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ বলেছে, তারা মনে করে, জাতিসংঘের উচিত গুম নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া। প্রতিবেদনে গুমের জন্য বাংলাদেশের বাহিনীগুলোকে দায়ী করা হয়েছে।

      জুলাই ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত মোট ১১৫টি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এইচআরডব্লিউ ‘নো সান ক্যান এন্টার: আ ডিকেড অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এটি প্রকাশিত হয় ১৬ আগস্ট। নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা, গুম বন্ধ করা ও ভবিষ্যতে নির্যাতন প্রতিরোধের নিশ্চয়তা আদায়ে জাতিসংঘ, দাতাগোষ্ঠী ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে মানবাধিকার সংগঠনটি।

      এইচআরডব্লিউর ৫৭ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ধারাবাহিকভাবে গুম করে আসছে এবং এর বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য–প্রমাণ আছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে এমন দেশের সরকার, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজ বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধে আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার কখনোই এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

      প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো বহু বছর ধরেই নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। বিগত সরকারের আমলেও এমনটি ঘটেছে। কিন্তু গত এক দশকে ‘গুম’ এই সরকারের ‘হলমার্ক’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ গুম বা গুমের ভয় দেখানোর কাজটি করছে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে এবং বাক্*স্বাধীনতা হরণ করতে।

      বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ পরে ফিরে এসেছেন। আবার কাউকে কাউকে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। কেউ কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

      হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো গুমের বেশির ভাগ ঘটনায় র*্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র*্যাব) দায়ী করেছে। র*্যাবকে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং বিভিন্ন সময় একে ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যারা তালিবানরা ক্ষমতায় এলে মেয়েদের পড়াশোনা গেলো গেলো করে কান্নায় মাটিতে গড়াগড়ি করতেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখছি এদের মেয়েরা ঠিকই স্কুলে যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা গত ৫১৮ দিন ধরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও যাচ্ছে না।
        আমাদের পড়াশোনাটাই বন্ধ হয়ে গেছে। ওদেরটা হয়নি। শিক্ষা বন্ধ থাকায় সন্তানেরা বিভিন্ন বাজে নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। একেই বলে নিজের পাছায় কাপড় নাই, আবার ঘোমটা দেয় বড় করে।
        ঠিক বলেছেন....আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন।
        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

        Comment


        • #5
          এইচআরডব্লিউর ৫৭ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ধারাবাহিকভাবে গুম করে আসছে এবং এর বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য–প্রমাণ আছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে এমন দেশের সরকার, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজ বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধে আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার কখনোই এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
          মরণ কাছে চলে আসছে মনে হয়। তাই এত বেপরোয়া ভাব।
          হে আল্লাহ, এই তাগুত জালিম শাসককে হটিয়ে দিন ও তাগুতি শাসনব্যবস্থাকে গুঁড়িয়ে দিন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X