ভারতের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ
ভারত পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী নামক সন্ত্রাসী স্কোয়াড (এটিএস) উত্তর প্রদেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মাওলানা কালিম সিদ্দিকী লিসারি গেটের হুমায়ুন নগরের ‘মাশাআল্লাহ মসজিদের’ ইমামের বাসায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। রাত ৯টায় এশার নামাজের পর তিনি তার সাঙ্গীদের নিয়ে ফেরার উদ্দেশে রওনা করেন। কিন্তু সময় মতো বাসায় না পৌঁছানোয় পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে এই তথ্য মাশাআল্লাহ মসজিদের ইমামকে জানানো হয়। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা তাকে খোঁজাখোজি শুরু করে। তবে তার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় লিসাদী গেট থানায় ভিড় করে তারা। গভীর রাত পর্যন্ত তারা সেখানে ছিল। এরপর পুলিশ তার গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করে।
এক বিবৃতিতে ভারত পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী স্কোয়াড জানিয়েছে, মাওলানা কালিম সিদ্দিকী জামিয়া ইমাম ওয়ালিউল্লাহ ট্রাস্ট পরিচালনা করেন। এই ট্রাস্টের অর্থ দিয়ে তিনি কয়েকটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। এই ফান্ডে তিনি ব্যাপক পরিমাণে বিদেশি অর্থ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তর প্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমার বলেছে, ধর্মীয় এই নেতার গণবিদ্রোহের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়। এই আইনের জেরে বিক্ষোভ দানা বেধে ওঠে। আর সেই আন্দোলনের উপকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল দিল্লির শাহীন বাগ। এই আন্দোলন চলার সময় পুলিশ ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন কথোপকথন ফাঁস করে।
পুলিশ তদন্ত করে আরও জানিয়েছে, মাওলানা কালিম সিদ্দিকির ট্রাস্ট ৩ কোটির বেশি বিদেশি অর্থ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দেড় কোটি এসেছে বাহরাইন থেকে।
মাওলানা কালিম সিদ্দিকী ভারতের বিখ্যাত আলেম মুসলিম ধর্মপ্রচারক। দেশটির হাজার হাজার অমুসলিম বিভিন্ন সময়ে তার আলোচনা ও প্রচেষ্টায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাজে জড়িতসহ বিভিন্নভাবে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনকারী বহু অমুসলিমও তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
এদিকে মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের পরপরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করেন। আম আদমি পার্টির আমানাতুল্লাহ খান এবং দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান এই ঘটনাকে ‘মুসলিম নির্যাতন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান।
ভারত পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী নামক সন্ত্রাসী স্কোয়াড (এটিএস) উত্তর প্রদেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মাওলানা কালিম সিদ্দিকী লিসারি গেটের হুমায়ুন নগরের ‘মাশাআল্লাহ মসজিদের’ ইমামের বাসায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। রাত ৯টায় এশার নামাজের পর তিনি তার সাঙ্গীদের নিয়ে ফেরার উদ্দেশে রওনা করেন। কিন্তু সময় মতো বাসায় না পৌঁছানোয় পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে এই তথ্য মাশাআল্লাহ মসজিদের ইমামকে জানানো হয়। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা তাকে খোঁজাখোজি শুরু করে। তবে তার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় লিসাদী গেট থানায় ভিড় করে তারা। গভীর রাত পর্যন্ত তারা সেখানে ছিল। এরপর পুলিশ তার গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করে।
এক বিবৃতিতে ভারত পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী স্কোয়াড জানিয়েছে, মাওলানা কালিম সিদ্দিকী জামিয়া ইমাম ওয়ালিউল্লাহ ট্রাস্ট পরিচালনা করেন। এই ট্রাস্টের অর্থ দিয়ে তিনি কয়েকটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। এই ফান্ডে তিনি ব্যাপক পরিমাণে বিদেশি অর্থ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তর প্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমার বলেছে, ধর্মীয় এই নেতার গণবিদ্রোহের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়। এই আইনের জেরে বিক্ষোভ দানা বেধে ওঠে। আর সেই আন্দোলনের উপকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল দিল্লির শাহীন বাগ। এই আন্দোলন চলার সময় পুলিশ ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন কথোপকথন ফাঁস করে।
পুলিশ তদন্ত করে আরও জানিয়েছে, মাওলানা কালিম সিদ্দিকির ট্রাস্ট ৩ কোটির বেশি বিদেশি অর্থ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দেড় কোটি এসেছে বাহরাইন থেকে।
মাওলানা কালিম সিদ্দিকী ভারতের বিখ্যাত আলেম মুসলিম ধর্মপ্রচারক। দেশটির হাজার হাজার অমুসলিম বিভিন্ন সময়ে তার আলোচনা ও প্রচেষ্টায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কাজে জড়িতসহ বিভিন্নভাবে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনকারী বহু অমুসলিমও তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
এদিকে মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের পরপরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করেন। আম আদমি পার্টির আমানাতুল্লাহ খান এবং দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান এই ঘটনাকে ‘মুসলিম নির্যাতন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান।
Comment