Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৬ই রবিউল আউয়াল , ১৪৪৩ হিজরি | ১৬ই অক্টোবর, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৬ই রবিউল আউয়াল , ১৪৪৩ হিজরি | ১৬ই অক্টোবর, ২০২১ ঈসায়ী |

    উগান্ডায় মানবরচিত আইনের প্রতি অনিহা, বিপরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন

    মানব রচিত বৈষম্যমূলক আইন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে উগান্ডার জনগণ, সেদেশে ধীরে ধীরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন।

    দেশটির চার কোটি ৬০ লাখ মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মুসলিম। ২০১৯ সালে দেশটিতে শরিয়াহ আইন চালু হয়, প্রতিটি জেলায় গঠন করা হয় ইসলামি আদালত। এর পর থেকেই সময়ের পরিক্রমায় প্রচলিত আলাদতের চেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শরিয়াহ আদালত।

    আনাদোলুর এক খবর থেকে জানা যায়, সাফিনা নামুকোসে (৩০) নামে এক মুসলিম নারীকে তার তিন সন্তানের ভরণপোষণ না দিয়ে স্বামী অন্যত্র একটি বিয়ে করে সংসার করতে থাকে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলাও করলেও পুলিশ ঘুস খেয়ে তার স্বামীকে খোরপোষ না দেওয়ার অপরাধে বিচারের আওতায় আনেনি।
    কয়েক মাস ধরে থানা-পুলিশে ধরনা দিয়ে ক্লান্ত নামুকসে শেষ পর্যন্ত শরিয়াহ আদালতের দ্বারস্ত হন। এতে সাথে সাথেই কাজ হয়। স্বামী এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন। সাফিনার মতো অনেকেই তাই এখন ভরসা করছেন ইসলামি আদালতে।

    গত তিন মাসে কেবল বুগিরি জেলাতেই শরিয়া আদালত ১৪০ মামলা নিষ্পত্তি করেছে। ওই জেলায় সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের বসবাস। উগান্ডার মুসলিম সুপ্রিম কাউন্সিলের মুখপাত্র আশরাফ মুভাওয়ালা জোড় দিয়ে বলেন যে, দিন দিন এখানে শরিয়াহ বিচারব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

    উল্লেখ্য, মানব রচিত সংবিধানে সকল সমস্যার সমাধান নেই, তাছাড়া ঘুষ-দুর্নীতির কারণে বিচার ব্যবস্থা প্রহসন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একারণে দিনকে দিন মানুষ আল্লাহ তায়ালার শরিয়া ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করেন হকপন্থী উলামাগণ, কেননা এতেই রয়েছে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান।

    তথ্যসূত্র:
    উগান্ডায় জনপ্রিয় হচ্ছে শরিয়াহ আইন - https://tinyurl.com/vz9y5u23
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসরাইলি কারাগারে বন্দী মায়ের ছয় বছর : মিলছে না প্রয়োজনীয় জরুরী চিকিৎসা!

    সম্প্রতি ইসরাইলি অন্ধকার কারাগারে বন্দীত্বের ছয় বছর পূর্ণ করেছেন অসহায় ফিলিস্তিনি মা ইসরা জাবিস। কারাগারের প্রথম দিন থেকেই তাঁর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন হলেও বর্বর ইসরাইলিরা তার চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি।

    ৩৭ বছর বয়সী এই মা’কে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর দখলদার ইসরাইল গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। জেরুজালেমের একটি চেকপয়েন্টে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল তাঁকে।

    সুত্রে জানা যায়, তিনি এবং তাঁর পরিবার জেরুজালেমে নিজ বাড়ি দখলদার ইসরাইলের অবৈধ দখল থেকে মুক্ত রাখার জন্য অন্য বাড়ি থেকে মালপত্র নিয়ে আসছিলেন। এ সময় রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার চেকপয়েন্ট থেকে ৫০০ মিটার দূরে ফেটে আগুন ধরে যায়। এতে তিনি ও তাঁর ১৪ বছরের ছেলে গুরুতর আহত হন। তাঁর শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পুরে গিয়েছিল, যার মধ্যে মুখ এবং হাতের ক্ষত বেশি ছিল।

    ঐ অবস্থায় গ্রেফতারের পর তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হলে ৮ টি আঙুল কেটে ফেলা হয়। আর বর্বর ইসরাইলি আদালতও গুরুতর আহত এই মাজলুম মাকে মুক্তি না দিয়ে উল্টো ইহুদি সেনাদের হত্যা চেষ্টার নামে মিথ্যা মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

    বর্তমানে তাঁর শারিরীক অবস্থা খুবই করুণ। তাঁর পোড়া হাতটি নিচের চামড়ার সাথে আটকে থাকায় ঐ হাত সব দিকে উঠানামা করতে পারে না। ডান কান প্রায় অস্তিত্বহীন এবং সার্বক্ষণিক এতে ব্যাথা থাকে। নাকের একপাশে অল্প একটু ফাঁকা হয়ে থাকায় বেশিরভাগ সময় তাকে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে হয়। আর বাতাসের সংস্পর্শে আসলেই তার চোখ থেকে পানি পড়ে। এসব শারীরিক সমস্যা ছাড়াও তিনি আরও কিছু গুরুতর রোগে ভুগছেন।

    বেশ কয়েকবার ইসরা জাবিসের মুক্তি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার আবেদন করা হলেও দখলদার কর্তৃপক্ষ না তাঁর মুক্তির ব্যাপারে কোন সাড়া দিয়েছে, আর না তাঁর চিকিৎসার কোন পদক্ষেপ নিয়েছে।

    ইসরা জাবিসের মতো এরকম আরও ৯ জন ফিলিস্তিনি মা রয়েছেন, যারা তাদের পরিবার, সন্তান ও একটি সম্মানজনক জীবন-যাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন বছরের পর বছর ধরে। তাদেরকে তাদের নিজ এলাকা পশ্চিম তীরে থেকে অনেক দূরে হাশারণ ও ড্যামন নামক কারাগারে রাখা হয়, যা ১৯৬৭ সালের ৪র্থ জেনেভা কনভেনশনের ৭৬ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উক্ত ধারাতে বলা আছে যে, কোন দখলকৃত এলাকার বন্দীদেরকে তাদের নিজ নিজ এলাকার কারাগারে রাখতে হবে।

    তাছাড়া হাশারন এবং ড্যামন উভয় কারাগারেই নানা সমস্যা রয়েছে। মহিলা বন্দীরা প্রায়শই কঠোর কারাবাসের শর্ত ভোগ করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা অবহেলা, শিক্ষা প্রত্যাখ্যান, আত্বীয় স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে বাধা প্রদান, নির্জন কারাবাস, পোকামাকড় এবং ময়লা দ্বারা নোংরা কক্ষ এবং প্রাকৃতিক আলোর অভাব।

    অধিকন্তু, ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের বেশিরভাগই গ্রেপ্তার ও আটকের সময় শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও অসদাচরণের শিকার হয়। যার মধ্যে মারধর, অপমান, হুমকি, দেহ অনুসন্ধানের মতো হীন কর্মকাণ্ড সাধারণভাবেই ঘটে। আর গ্রেফতারের পর নারী বন্দীদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা তাদেরকে জানানো হয় না।

    এখানে উল্লেখ্য যে মিডিয়া, পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসঙ্ঘ – এই কথিত মানতার ফেরিওয়ালারা আফগানিস্তানের মতো মুসলিম দেশগুলোতে নারী অধিকার নিয়ে মেকিকান্না কাঁদে; অথচ দখলদার ইসরাইলের নিয়মিত বর্বর কর্মকাণ্ডে ফিলিস্তিনি বন্দী নারীদের এমন করুণ অবস্থার পরেও তারা অন্ধ ও বধির সেজে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।

    তথ্যসূত্র :
    ——-
    Israa Jaabis: Six years passed in Israeli jails while her burns still bleeding –
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল-আকসায় ইহুদিদের জোড়পূর্বক অনুপ্রবেশ : যেন চূড়ান্ত দখলের প্রস্তুতির মহড়া!

      পবিত্র নগরি জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদ আল-আকসাকে ইহুদিরাও তাদের মনগড়া উপাসনার পবিত্র জায়গা মনে করে। বর্বর ইহুদিদের দাবি- এখানেই ছিল তাদের কথিত ‘পবিত্র মন্দির’। বরাবরই এই অজুহাতে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ ও সেখানে প্রার্থনার অধিকার দাবি করে আসছে উগ্র ইহুদিরা।

      এরই ধারাবাহিকতায় গত এক মাসে বেশ কয়েকবার পুলিশি প্রহরায় মসজিদ আল-আকসায় জোড়পূর্বক অনুপ্রবেশ করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে বর্বর ইহুদিরা, যার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। ঐদিন সেনা নিরাপত্তায় জোড় পূর্বক আলআকসায় প্রবেশ করে ৫০ এরও অধিক ইহুদি নাগরিক। ফিলিস্তিনিরা উগ্র ইহুদিদের অনুপ্রবেশে বাধা দিলে, তাদের উপর হামলা ও ধরপাকড় চালায় ইসরাইলি বাহিনী।

      মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ইহুদিরা তাদের মনগড়া ধর্মীয় রীতি ‘তালমুদিক’ প্রার্থনার ছবি উস্কানিমূলকভাবে প্রচার করতে থাকে।

      ইহুদিদের এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডকে আল-আকসা মসজিদ দখল এবং এতে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন ফিলিস্তিনি মুসলিমরা। আল-আকসায় বর্বর ইহুদিদের দখল প্রতিষ্ঠা করার যে প্রচেষ্টা-এর জন্য তারা অযোগ্য মুসলিম শাসকদের নির্লিপ্ততাকেই সরাসরি দায়ি করছেন।



      তথ্যসূত্র :
      Extremist Israeli settlers break into Al-Aqsa Mosque in occupied Jerusalem –
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X