Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি | ২০ শে অক্টোবর , ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি | ২০ শে অক্টোবর , ২০২১ ঈসায়ী |

    ভারতে পথ আটকিয়ে মুসলিম তরুণীর বোরখা খুলতে বাধ্য করল হিন্দু বখাটেরা

    ক্রমবর্ধমান মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার দেশ ভারতে মুসলিম নির্যাতন এখন খুবই নিয়মিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে বাড়তে এখন হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মুসলিম নারীরাও।

    বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের ইসলামনগরে মোটরবাইক আরােহী এক মুসলিম তরুণকে হেনস্থা করা হয়েছে। আর তার সাথে থাকা তরুণীকে বােরখা খুলতে বাধ্য করেছে উগ্র হিন্দু বখাটেরা।

    হিন্দুত্ববাদীদের পোষা পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযােগ যে, বরাবরের মতো ঐ ঘটনাতেও তারা থেকেছে নির্লিপ্ত; ওই দুই হিন্দু সন্ত্রাসী যুবককে গ্রেফতার না করে শুধুমাত্র লোক দেখানো ধমক দিয়েই ছেড়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।

    সংবাদমাধ্যম টিডিএন সূত্রের খবরে জানা যায়, তরুণের বাইকে চেপে বােরখা পড়ে যাচ্ছিলেন তার আত্মীয়া মুসলিম তরুণী। রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকজন হিন্দু যুবক আচমকাই তাদের পথ আটকে তাদেরকে ঘিরে ধরে। মুসলিম তরুণীকে বােরখা খুলতে বাধ্য করে তারা, সেই সাথে তরুণীকে নিয়ে চলে নানান কুমন্তব্য ও হয়রানি।
    সােশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ােতে দেখা গেছে, ওই তরুণী দু হাত জোর করে অনুরোধ করছিলেন যেন তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপমানে অপদস্থ হয়ে ঐ তরুণী এক সময় হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।

    ঐ তরুণীর কান্না আর ঐ অসহায় যুবকের চাহনিই যেন অশান্ত ভারতের মুসলিমদের অসহায়ত্বের প্রতীক হয়ে রইল।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনেও উঠে আসলো ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম নিধনের চিত্র

    ভারতে হিন্দুত্ববাদিদের মুসলিম নিধনের আসল চিত্র কখনো মিডিয়াতে আসে না। মাঝে মাঝে যা আসে তা হল খণ্ড চিত্র।
    এমনি কিছু নিপীড়নের খণ্ড চিত্র তুলে ধরেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
    প্রতিবেদনের শুরুতেই আসামে আহমদ আলী নামের এক মুসলিমের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলিশ তার বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, অসহায়ের মতো দৃশ্যটি দেখলেন আহমদ আলী। এরপর তারা ঝাঁকে ঝাঁকে এলো গ্রামটিতে, উচ্ছেদবিরোধী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে লাঠিচার্জ করলো। আর বিক্ষোভকারীরা পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করল গুলি চালানো হলো, নিহত হলো ১২ বছর বয়সী এক বালকসহ দুজন। পরে পুলিশ গ্রামের বাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ আগুনে পুড়ে যায় গবাদি পশুসহ ঘরের সবকিছু। এক ভিডিওতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহমদ আলী বলছিলেন - ‘দয়া করে দেখুন, আমরা কি মিথ্যা বলছি?’

    স্থানীয় আগ্রাসী প্রশাসন একটি বৃহৎ কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কথিত ‘অবৈধ বাংলাদেশীদের’ লক্ষ্য করে এ অভিযান পরিচালনার দাবি করলেও সাক্ষাৎকার এবং হাতে পাওয়া ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা বাসিন্দাদের অনেকেরই ভারতের বৈধ নাগরিকত্ব রয়েছে। তাদের বৈধ অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ভূমিতে বসবাসের।

    তাই সহজেই অনুমেয়, উচ্ছেদের বিষয়টি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারি দলের মুসলিম বিরোধী বৃহৎ প্রচারণা ও পদক্ষেপের অংশ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হিন্দু জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে বিপদে পড়েছে দেশটির ২০ লাখেরও বেশি মুসলমান। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভারত শরণার্থী বিষয়ক একটি আইন করে, যেখানে পার্শ্বর্তী দেশগুলো থেকে আগত হিন্দু ও অন্য আরো পাঁচটি ধর্মের বাসিন্দাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সেখানে স্থান পায়নি মুসলিমরা। কয়েকটি রাজ্যে এমন একটি আইন বলবৎ করা হয়েছে, যেখানে বিয়ের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তনকে ‘লাভ জিহাদ’ আখ্যা দিয়ে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    আসামের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর রাজ্য আসামে। ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে নাগরিকত্ব পর্যালোচনার নামে নাগরিকত্বহারা করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজারের মতো মানুষকে, যাদের বেশিরভাগই গরিব ও মুসলিম। আর এখন রাজ্যটিতে হেমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রশাসন জোর করে উচ্ছেদ করছে হাজারো মানুষকে, যাদেরকে তারা সন্দেহভাজন বিদেশী বলে চিহ্নিত করছে। স্থানীয় জনগণ ও মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলছে, উচ্ছেদ করা মানুষগুলো প্রধানত মুসলিম।

    হেমন্ত শর্মা সরকার সম্প্রতি রাজ্যের আদিবাসীদের মাঝে ভূমি পুনঃবণ্টনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। দলের নেতারা ইতিমধ্যেই শর্মাকে তাগিদ দিয়েছে আরো বেশি উচ্ছেদ অভিযান চালাতে।

    প্রতিবেদনে আসামিয় মুসলিমদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, হিন্দু-মুসলিমসহ অনেক আসামিয় আদিবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ *দুশ্চিন্তায় আছেন যে, কখন না তারা শরণার্থী হিসেবে চিহ্নিত হন, বিশেষ করে যার বাংলাভাষী মুসলমান।
    জোর করে উচ্ছেদের ঘটনা কয়েক দশক ধরেই চলে আসছে। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বরের সংঘর্ষ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় মইনুল হক নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গুলি খেয়ে মইনুল হক মাটিতে পড়ে যান। তারপরও পুলিশ সদস্যরা তাকে লাঠি দ্বারা আঘাত করতে থাকে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হয়ে কাজ করা একজন হিন্দু ফটোগ্রাফার তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার আঘাতে মইনুলের বুক থেকে রক্ত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

    তাকে সরকারের দেয়া পরিচয়পত্র ‘দি টাইমস’কে দেখায় তার পরিবার, যেখানে দেখা যায়, তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় নাগরিক। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তার বয়স ২৮ বছর। তারা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি চরে টিন ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা ঘরে বসবাস করছেন। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায় দুজন নারী কান্নাকাটি করছেন। মইনুল হকের আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীরা তাদের হুমকি দিয়েছে যে, তারা যেন মাইনুলের লাশের কাছে না আসে বা লাশ স্পর্শ না করে। তারা তার লাশকে একটি বুলডোজারের সাথে বেঁধে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
    মইনুল হকের ছোট ভাই আইনুদ্দিন বলেন, ‘আমরা মুসলমান হওয়ার কারণেই তারা আমাদের অত্যাচার করে।’ স্থানীয়রা বলছেন, তারা এখানে বসবাস করছেন এবং চাষাবাদ করছেন কয়েক দশক ধরে। মইনুলের পরিবার ও অন্যরা তাদের জমির খাজনা দেয়ার ডকুমেন্ট এ প্রতিবেদককে দেখিয়েছেন।

    তবুও সরকারের পরিকল্পনা হলো, এখানে কৃষিকাজের জন্য জমির উন্নয়ন করবে এবং তা ধোলপুরে নতুন করে ভূমিহীন হওয়া আদিবাসীদের মাঝে বরাদ্দ দিবে, যারা বেশিরভাগই হিন্দু। সেখানকার একটি হিন্দু মন্দিরের পুরোহিত উধব দাস বলেছে, ‘এই লোকগুলোকে উচ্ছেদ করাটা খুব ভালো একটি কাজ হয়েছে। ”

    তথ্যসূত্র :
    -------

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হিন্দুত্ববাদী ভারতের দেখানো পথেই গরু জবাই নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে শ্রীলংকার মুসলিম বিদ্বেষী সরকার

      গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে একটি খসড়া আইন অনুমোদন করেছে শ্রীলংকার মুসলিম বিদ্বেষী সরকার। শ্রীলংকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের লক্ষ্য করে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। কারণ তারাই গরুর মাংস বেশি ভক্ষণ করে। এবছরের শুরুতে বোরখা নিষিদ্ধ করার পর এই নতুন আইনের মাধ্যমে বর্তমান শ্রীলঙ্কা সরকার মুসলিমদের মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণে আরো একধাপ অগ্রসর হয়েছে।

      রাজাপাক্ষের সরকার চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত। এই সরকারের প্রচ্ছন্ন ইশারায় একের পর মুসলিম নিপীড়ন মূলক আইন হচ্ছে। দেশটিতে বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের নাগরিক অধিকার হরণের মহাউৎসব চলছে।

      শ্রীলংকার কট্টরপন্থী সিংহলী বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলি গোমাংস নিষিদ্ধ করার মুসলিম বিদ্বেষী প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা আশংকা প্রকাশ করে বলছেন, দেশটিতে ক্রমান্বয়ে মুসলিম দমনাভিযান ও নিপীড়ন গরু জবাই নিষিদ্ধের আইনের পর আরো বিস্তৃত হতে পারে।

      শ্রীলংকা একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু দেশ। জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ লোক এই ধর্মের অনুসারী। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই মাংসভোজী।
      শ্রীলংকার গোমাংসের ব্যবসা এবং হালাল সার্টিফিকেশনের নিয়ন্ত্রণ মুসলমানদের হাতে। ফলে মুসলিমরাই এই প্রস্তাবিত আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছেন।
      শ্রীলংকায় গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব প্রথম উঠেছিল ২০০৯ সালে। সে সময় একজন সংসদ সদস্য ভিজেদাসা রাজাপাক্সে এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সংসদে তুলেছিল। তবে সে সময় প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়নি। এরপর ২০১২ সালে ক্যান্ডি শহরের কর্তৃপক্ষ পৌর এলাকার মধ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে।
      পরের বছর এনিয়ে বিতর্কটি তীব্র আকার ধারণ করে যখন গরু জবাই নিষিদ্ধ করার দাবিতে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

      এরপর কট্টরপন্থী দুটি সিংহলী বৌদ্ধ সংগঠন, সিনহালা রাভায়া এবং বদু বালা সেনা একে তাদের আন্দোলনের একটি প্রধান বিষয়বস্তুতে পরিণত করে। বর্তমান মুসলিম বিদ্বেষী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাক্ষে ২০১৬ সালের প্রস্তাবটিকে নতুন করে সংসদে তুলে আনে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে ইসলাম বিরোধী দুই সন্তান নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সরকার

        ভারতে হিন্দুত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুসলিম বিদ্বেষী বিভিন্ন আইন পাশ করে চলেছে। একের পর এক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার পর এবার দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী দুই সন্তান নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয়।

        দীর্ঘদিন ধরেই এই নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আসছে মােদি সরকার। অসম, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই দুই সন্তান নীতির ক্ষেত্রে সম্মতি জানিয়েছে।

        অপরদিকে আরএসএস প্রধান মােহন ভাগৰতও গােটা দেশে ‘দুই সন্তান জনসংখ্যা নীতি’ প্রণয়ন করার ডাক দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতারা।

        মূলত ইসলাম অধিক সন্তান নেওয়ার উপর উৎসাহিত করায় ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে অনেক বেশি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি উম্মাতের আধিক্য নিয়ে গর্ব করবো।

        হিন্দুত্ববাদিদের ভয়, যদি মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে তাদের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তাহলে আগামী দিনে মুসলিমদেরকে আর মাজলুম বানিয়ে রাখা যাবে না। আর অধিক সন্তান হলে মুসলিম মায়েরা তাদের সন্তানদের ইসলাম রক্ষা ও বিজয়ের লড়াইয়ে পাঠাতেও দ্বিধাবোধ করবেন না।

        একারণে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ মনে করছেন যে, দুই সন্তান নীতি প্রণয়ন করে মুসলিমদের সংখ্যা কমানোর এজেন্ডা নিয়েই মাঠে নামছে হিন্দুত্ববাদী সরকার।

        তথ্যসূত্র :
        —–
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          Originally posted by Al-Firdaws News View Post
          ভারতে পথ আটকিয়ে মুসলিম তরুণীর বোরখা খুলতে বাধ্য করল হিন্দু বখাটেরা

          ক্রমবর্ধমান মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার দেশ ভারতে মুসলিম নির্যাতন এখন খুবই নিয়মিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে বাড়তে এখন হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মুসলিম নারীরাও।

          বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের ইসলামনগরে মোটরবাইক আরােহী এক মুসলিম তরুণকে হেনস্থা করা হয়েছে। আর তার সাথে থাকা তরুণীকে বােরখা খুলতে বাধ্য করেছে উগ্র হিন্দু বখাটেরা।

          হিন্দুত্ববাদীদের পোষা পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযােগ যে, বরাবরের মতো ঐ ঘটনাতেও তারা থেকেছে নির্লিপ্ত; ওই দুই হিন্দু সন্ত্রাসী যুবককে গ্রেফতার না করে শুধুমাত্র লোক দেখানো ধমক দিয়েই ছেড়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ।

          সংবাদমাধ্যম টিডিএন সূত্রের খবরে জানা যায়, তরুণের বাইকে চেপে বােরখা পড়ে যাচ্ছিলেন তার আত্মীয়া মুসলিম তরুণী। রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকজন হিন্দু যুবক আচমকাই তাদের পথ আটকে তাদেরকে ঘিরে ধরে। মুসলিম তরুণীকে বােরখা খুলতে বাধ্য করে তারা, সেই সাথে তরুণীকে নিয়ে চলে নানান কুমন্তব্য ও হয়রানি।
          সােশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ােতে দেখা গেছে, ওই তরুণী দু হাত জোর করে অনুরোধ করছিলেন যেন তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপমানে অপদস্থ হয়ে ঐ তরুণী এক সময় হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।

          ঐ তরুণীর কান্না আর ঐ অসহায় যুবকের চাহনিই যেন অশান্ত ভারতের মুসলিমদের অসহায়ত্বের প্রতীক হয়ে রইল।
          অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা! হৃদয় বিদারক ঘটনা। এত এত মুসলমান ও নেতৃবর্গ থাকতে মুসলিম ভাই-বোন হিন্দুদের কাছে এত অসহায়ত্বের শিকার। পুরো মুসলিম জাতির জন্য লজ্জা, কলঙ্ক। কিন্তু নামধারী ইসলামিক নেতাদের কারণে আমাদের হাত-পা বাধা। আজ ইসলামের পথে সবচেয়ে বড় বাধা এই মোড়লরা। নামধারি শায়খুল ইসলাম, ফকীহুল উম্মাহ, শায়খুল হিন্দু, আমীরুল উমারাহ।

          আজ যদি কোন মাদরাসায় গিয়ে সংবাদ দেওয়া হয়, মুসলিম ভাইয়েরা, ভারতে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনকে এমন লাঞ্চিত করা হয়েছে বা হত্যা করা হয়েছে, এখন কী করা যায়? এটা নিয়ে মিটিং করুন। একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাড়াতাড়ি চলুন.... তখন এই উদাস লোকগুলো হাসবে.. আশ্চর্য হবে! বলবে, পাগল হয়ে গেছো, তাড়াতাড়ি ক্লাসে বসো.... বেফাকে মাদরাসার সুনাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে.... হায় এদের দ্বীন!! আল্লাহ এই নিকৃষ্টগুলোকে ধ্বংস করে এদের পরিবর্তে আল্লাহর অনুগত বান্দাদের আবির্ভাব ঘটান।

          Comment


          • #6
            Originally posted by salahuddin aiubi View Post
            অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা! হৃদয় বিদারক ঘটনা। এত এত মুসলমান ও নেতৃবর্গ থাকতে মুসলিম ভাই-বোন হিন্দুদের কাছে এত অসহায়ত্বের শিকার। পুরো মুসলিম জাতির জন্য লজ্জা, কলঙ্ক। কিন্তু নামধারী ইসলামিক নেতাদের কারণে আমাদের হাত-পা বাধা। আজ ইসলামের পথে সবচেয়ে বড় বাধা এই মোড়লরা। নামধারি শায়খুল ইসলাম, ফকীহুল উম্মাহ, শায়খুল হিন্দু, আমীরুল উমারাহ।

            আজ যদি কোন মাদরাসায় গিয়ে সংবাদ দেওয়া হয়, মুসলিম ভাইয়েরা, ভারতে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনকে এমন লাঞ্চিত করা হয়েছে বা হত্যা করা হয়েছে, এখন কী করা যায়? এটা নিয়ে মিটিং করুন। একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাড়াতাড়ি চলুন.... তখন এই উদাস লোকগুলো হাসবে.. আশ্চর্য হবে! বলবে, পাগল হয়ে গেছো, তাড়াতাড়ি ক্লাসে বসো.... বেফাকে মাদরাসার সুনাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে.... হায় এদের দ্বীন!! আল্লাহ এই নিকৃষ্টগুলোকে ধ্বংস করে এদের পরিবর্তে আল্লাহর অনুগত বান্দাদের আবির্ভাব ঘটান।
            আল্লাহুম্মা আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

            Comment

            Working...
            X